আমেরিকা বনাম বাংলাদেশের সম্পাদিত টিকফা চুক্তি প্রসঙ্গ

(llcobangla.org)

 আমেরিকা বনাম বাংলাদেশের  সম্পাদিত টিকফা চুক্তি প্রসঙ্গ

ওয়াসিংটন ডিসিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও আমেরিকার মাঝে টিকফা নামে একটি চক্তি সম্পাদিত হয়েছে । এই চুক্তির প্রস্তুতী মূলক কাজ এই দুই সরকারের মাঝে অনেক দিন যাবত চলে আসছে । এই চুক্তি সম্পর্কে তাঁরা বলছেন যে,

 “এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তিটি  আমেরিকা ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের ব্যবসা বানিজ্য বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগীতা বিষয়ে উভয় দেশের মাঝে সম্ভাবনার নতুন দোয়ার খোলে যাবে। বিনিয়োগ ও ব্যবসার পথ প্রসস্ত হবে।”

এই চুক্তি বাংলাদেশে বিদেশী বিশেষ করে আমেরিকার বিনিয়োগ বৃদ্বিতে সহায়তা ও বাংলাদেশী পন্য আমেরিকার বাজারে প্রবেশের পথকে সহজতর করবে । আমেরিকা ও বাংলাদেশকে ক্রমে উন্মোক্ত বনিজ্যের পথে নিয়ে যাবে- বলে দাবী করছেন চুক্তিকারীগন । এখনও চুক্তির চুড়ান্ত কোন শর্তাবলী লিপিবদ্ব হয় নাই। ইহা কেবল উউয় দেশের মাঝে একটি আলোচনার ক্ষেত্র তৈরী করেছে। এই ফোরাম উভয় দেশের বানিজ্য সংক্রান্ত বাঁধা সমূহ চিহ্নিত করবে এবং তা কিভাবে দূর করা যায় তা খতিয়ে দেখবেন। এই চুক্তি হলো নয়া উদারনৈতিক ব্যবস্থা চালু করার একটি উদ্যোগ। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে প্রথম বিশ্ব তথা  বিশ্ব বুর্জোয়া শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষাকারী পুজক হিসাবে পুনঃ নির্মান করবে। বিশেষ করে আমেরিকার সেবা দাসে পরিনত করবে। এই চুক্তিটি দেশের দুটি বুর্জোয়া  রাজনৈতিক দল (আ.লী -বিএনপি)  ছাড়া সকল  বাম ও কমিউনিস্ট পার্টি ও দল গুলোর কেহ ই সমর্থন করেন নাই।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এখন ও দারিদ্রসীমার নিচে জীবন যাপন করছেন । বাংলাদেশ দুনিয়ার দরিদ্রতম দেশ গুলোর একটি । এদেশের দারিদ্রতা হলো ঐতিহাসিক ভাবে বিশ্ব জোড়ে অসম উন্নয়ন ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণ প্রক্রিয়ার ফল। এদেশের সামাজিক স্তর সেমি-সামন্ত ও পুজিবাদী ধরনের । বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় আছে – যেমন ছিলো চিনে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পুর্ব মুহুর্তে। মহান মাওসেতুং বলেছিলেন,” দুটি পাহাড়” এর একটি সাম্রাজ্যবাদ অন্যটি সামন্তবাদ চিনের পিঠে ছোয়ার হয়ে আছে । এটা অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বেলায় ও প্রযোজ্য । পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সামান্তবাদের অবশেষ আমাদের আওয়াম জনতাকে এখন ও কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।

সাম্রাজ্যবাদ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে । পুঁজি এখন ছোট ছোট আকারে সাম্রাজ্যবাদ প্রভাবিত দেশসমুহে অনুপ্রবেশ করছে। বড় পুঁজি গুলো এখন কয়েকটি জাতি মিলে তৈরী করছে, বা কেবল মাত্র প্রথম বিশ্বের দেশ গুলো মিলে সৃজন করছে। তাঁর সাথে সাথে সাম্রাজ্যবাদে ও বৈচিত্র এসেছে। যা অনেক ক্ষেত্রে আগের তুলনায় আরো ভয়াবহ। তাঁরা এটাকে কখনো ‘ভুবনায়ন’ আবার খকনো ‘ নয়া – ঊদারনৈতিক’ ব্যবস্থা হিসাবে অবহিত করে থাকে। বিশ্ব পুঁজিবাদ এখনো দুনিয়ার বহু জায়গায় পুনাফা অর্জন করছে- আবার কিছু এলাকায় লোকসান ও গুনছে। বিশ্ব পুঁজিবাদের লোকসানের এলাকা হলো প্রথম বিশ্ব আর লাভের এলাকা হলো প্রলেতারিয়ান বিশ্ব তথা তৃতীয় বিশ্ব। পরিস্কার করে বললে, বলতে হয় – আজকের দুনিয়ার দ্বন্দ্বটি সাম্রাজ্যবাদ বা তাঁদের উপনিবেশ বা নয়া উপনিবেশের মাঝে নয়। বরং বুর্জোয়া বিশ্ব এবং প্রলেটারিয়েট বিশ্বের মঝে। বিশ্ব বুর্জোয়া এবং বিশ্ব দরিদ্রের মাঝে, প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের মাঝে  দ্বন্দ্ব ই প্রধান দ্বন্দ্ব। তাই, মাও ও লেলিনের সময়ের সাথে আমাদের চলমান সময়ের বিরাট তফাত লক্ষ্যনীয়। আধা-সামন্তবাদ ক্রমে সাম্রাজ্যবাদের কারনে বিলিন হয়ে প্রথম বিশ্বের উৎপাদন ব্যবস্থাকে তৃতীয় বিশ্বের জন্য নির্দেশনা দান করে। বিশ্ব বুর্জোয়ারা সামন্তদের মত সাধারণ জনতাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা।  আজ ঐতিহাসিক ভাবে সত্য যে, পল্লীর চেয়ে বেশী মানুষ শহরে বসবাস করে। এর ফলে কৃষি ভিত্তিক সয়াজের রীতিনীতি ও সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা দিনে দিনে অপসারিত হচ্ছে। স্বীয় শ্রেণী থেকে উচ্ছেদ হওয়া কৃষক, গ্রামীন গরীব আজ বিশাল বিশাল শহরে এসে জায়গা করে নিচ্ছে। ইহা  এক দিকে যেমন বিপ্লবী বিজ্ঞানকে সামনে এগিয়ে দিচ্ছে। অপর দিকে সাম্রাজ্যবাদ  ও পুঁজিবাদ নিজেকে প্রগতিশীল ব্যবস্থা হিসাবে প্রমান করতে চাইছে।

মুক্তবাজার কোনভাবেই সুসম প্রতিযোগীতার ক্ষেত্র নয়। যদি ও মুক্ত বানিজ্যের চুক্তি সমুহ এই বিষয় গুলোকে সামনে আনে কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো – তাঁদের শক্তি ও সামর্থের কারনে সকল সময়ই সাম্রাজ্যবাদ ও বুর্জোয়ারা প্রাধান্য বজায় রেখে চলে। তাঁরা সর্বদা বুঝাবার চেষ্টা করে থাকে যে এই সকল সমঝুতা ও চুক্তির উদ্দেশ্য হলো দরিদ্র দেশ সমুহ কে অর্থনৈতিক সহযোগীতা করা । বানিজ্যিক বাঁধা দূর করা এবং দরিদ্র দেশে বিনিয়োগ করা ।  এই সকল অবস্থা ই পুঁজিবাদী দেশের জন্য লাভজনক হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে, উদারনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সব কিছুকে পুনঃ গঠন করার মূল্য অনেক বেশী দিতে হয়। বাস্তবতা হলো, এই মুক্তবাজার অর্থনীতি বাংলার মানুষ তাঁদের অর্থ ব্যবস্থার উপর থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রন  হারাবে। ক্ষমতাশালী দেশ ও জোট গুলো দুর্বল খবরদারী করার সুযোগ তৈরী করে দিবে। ইহা বাংলাদেশ  ও আমেরিকার মধ্যে একটি অসামঞ্জস্যপূর্ন সম্পর্কের সূত্রপাত করবে। চুক্তির শর্ত গুলোতে ও আমেরিকা তাঁর প্রভাব বজায় রাখবে। আমেরিকা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে এক সঙ্কট ময় অবস্থার দিকে নিয়ে যাবে। অন্যদিকে, পরনির্ভশীলতা ও অপ উন্নয়ন ঘটবে বাংলার অর্থনীতিতে। যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতি অতীত থেকে একটি ধারাবাহিকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। মুলত বাংলাদেশ টিকফা চুক্তি এবং অন্যান্য মুক্তবাজার অর্থনীতি নয় উদারনৈতিক ব্যবস্থার জন্য এবং সাম্রাজ্যবাদকে সেব প্রদানের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করে চলছে। বুর্জোয়া গুষ্টি নিজেদের নিয়ন্ত্রন লাইনে বাংলাদেশকে যুক্ত করার জন্যই এই সকল চুক্তির অবতারনা করছেন। বিশেষ করে আমেরিকার নিজস্ব প্রভাব  বলয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে আসার জন্য, আঞ্ছলিক প্রাভাব বৃদ্বির জন্য এবং নিরাপদে আইনী কাঠামো ব্যবহার করে শোষণ প্রক্রিয়াকে চালিয়ে যাওয়ার জন্যই এই টিকফা।

 প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দাড়প্রান্তে উপস্থিত। পুঁজিবাদ প্রকৃতিকে বিনাশ করার একটি বড় কারণ। বুর্জোয়া সমাজের ভোগের ধরন ও প্রকৃতি মানবতাকে মহা দুর্যোগে ঠেলে দেয়। যদি তা চলতে থাকে তবে মানুষের ভবিষ্যৎ অন্দ্বকার। নয় উদারনৈতিক মুক্ত বাজার অর্থনীতি আমাদের প্রকৃতিকে দিনে দিনে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব হয়ে পরেছে যে, আমারা আমাদের পৃথীবী ও আগামী প্রজন্মকে সুরক্ষা দান করার। অবাদ বানিজ্যের চুক্তি সমুহ আমাদের পরিবেশ রক্ষার কাজকে জটিল থেকে জটিলতর করে তুলছে। ক্ষমতা থাকার কথা হলো স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে- কিন্তু আজ তা জনগনের কাছ থেকে বহু দূরে বিভিন্ন বহু জাতিক কোম্পানীর কাছে চলে যাচ্ছে। এই সকল চুক্তি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে ক্ষমতা তুলে দিচ্ছে – যা কোন ভাবেই সমাজকে কার্যকরী ভাবে সেবা দিতে পারবে না । টিকফার মত চুক্তিগুলো তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত প্রভাব ফেলবে।কেননা, উপরে যারা আছেন তাঁদের এক মাত্র লক্ষ্যই হলো অধিক মুনাফা অর্জন করা – তৃনমুলের মানুষের জীবনে কি ঘটলো তা নিয়ে তাঁদের মাথা ব্যাথার কোন কারণ নেই। পজিবাদি হিসাবে একজন বিনিয়োগকারী চাইবেন তাঁর পুজিকে আরো বড় করতে, তাতে সাধারণ মানুষের জিবনে কি ঘটলো বা পরিবেশের কি ক্ষতি হলো তা তাঁর বিবেচনায় থাকার কথা নয়।

মুক্তবাজার চুক্তি মানেই হলো- নানা জাতির মাঝে আর্থিক সমন্বয় সাধন করা, আমেরিকা বিত্তিক কোম্পানী গুলো সরাসরি বাংলাদেশে তাঁদের ব্যবসা বানিজ্য চালাতে পারবে। দেশ প্রমিক বুর্জোয়া, স্থানীয় ভাবে গড়ে উঠা পজিপতিরা স্থানীয় ভাবে বিনিয়োগ করেন – যারা চায় স্থানীয় উন্নয়ন । বাহিরের বুর্জোয়াদের তুলনায় তাঁরা বরাবরই স্থানীয় স্বার্থ সংরক্ষন নাগরিকদের কল্যানসাধনে যত্নবান হন। সাম্রাজ্যবাদীরা বিনিয়োগ করার জন্য এককালিন মুনাফা অর্জনের জন্য প্রয়োজনে এককালিন দালাল বা ফরিয়াদেরকে ব্যবহার করে থাকে।  মুক্তবাজারের নামে কখনও কখনও সাম্রাজ্যবাদিরা তাঁদের বাজারকে নিজেরাই নিয়ন্ত্রন করে থাকে। সেখানে দালালরা নানাহ নামে সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের পাট শিল্প, গার্মেন্টস, জ্বালানী, বন্দর ইত্যাদীতে সাম্রাজ্যবাদের দালাল গোস্টীর তৎপরতা আমরা প্রকাশ্যেই দেখছি।

মুক্তবাজার ব্যবস্থায় আদিবাসী ও কৃষকদের সুরক্ষা ঝুকিতে পড়ে। আন্তর্জাতিক বানিজ্য সংস্থা সমুহ পুঁজিবাদী বিশ্বের স্বার্থে পরিচালিত হয়। তাঁরা আদিবাসিদের ভুমি  ও তাঁদের আবাস স্থলের প্রতি শ্রদ্বাশীল হয় না । বহুজাতিক কোম্পানী গুলোর অধিক মুনাফার লোভ স্থানীয় আদিবাসিদের স্বার্থ ও কৃষকদের সুযোগ সুবিদার প্রতি নজর দেয় না । বড় বড় কৃষি বিত্তিক ব্যবসা প্রতিস্টান ছোট ছোট কৃষকদের ভুমি কেড়ে নেয়, এবং তাদেরকে বাধ্যকরে বহুজাতিক কোম্পানীর মালামাল বা পন্য উৎপাদনে । নাফটা চুক্তির আওতায় মেক্সিকোতে ও এইরূপ ঘটনা ঘটে গেছে। সেই নাফটা চুক্তিটি ও সম্পাদিত হয়েছিলো আমেরিকা এবং মেক্সিকোর মাঝে । চুক্তিতে আদিবাসি এবং কৃষকদের স্বার্থের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ থাকলে ও তাদেরকে এক ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলেদেয়। সেই পরিস্থিতি মেক্সিকোর কৃষক ও আদিবাসীদেরকে বিদ্রোহের দিকে এগিয়ে নেয় । সেই অবস্থায় মায়া আদিবাসিরা বিখ্যাত যাবাদিস্থা জাতীয় মুক্তি সংস্থা গড়ে তুলেন। আদিবাসিরা নিজেদের ভুমি রক্ষার্থে দল বদ্ব হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় । সে লড়াই আজ থামে নাই ।

আমেরিকানরা বলছেন এই চুক্তি নাকি বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা করবে। এটা ডাহা মিথ্যা কথা – তা তাঁরা বলছেন কেবল মাত্র টিকফার প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য। তাঁর প্রমান হলো – আমেরিকা আরো যে সকল দরিদ্র দেশের সাথে এই ধরনের চুক্তি করেছে তাতে কোন দেশেরই শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করা হয় নাই। মেক্সিকোর সাথে আমেরিকার নাফটা চুক্তির ফলে পুজিবাদ ও বুর্জোয়া বিশ্ব ব্যাপক ভাবে উপকৃত হয়ছে। কিন্তু সেখান কার মেহেনতি মানুষ কেবল মধুর স্বপ্নই দেখেছেন। নিজেরা দাসের মত জীবন ধারন করে অ্যামেরিকায় রপ্তানির বহর দৃশ্য অবলোকন করছেন।

 মুক্ত – বানিজ্যের চুক্তি দেশীয় শ্রমজীবী মানুষের মক্তির পথকে সমস্যা সংকুল করে তুলে। জাতীয় বিধি বিধান স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থের জন্য যে ভাবে কাজ করার কথা – তা আন্তর্জাতিক চুক্তির শর্তের ফলে বাস্তবায়ন সম্ভব হনা ।এই ভাবে বাংলাদেশ ও তাঁর সরকার নিজেদের শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ন্ত্রন হারাবে। বাংলাদেশ আজ একটি গরীব দেশ হলে ও ইতিহাস বলে আমাদের গরীবীর জন্য পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণ-লুণ্ঠন প্রধান কারণ। আমেরিকা বাংলাদেশের শ্রমজিবী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিবে – এমন চিন্তা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। দেশের উন্নয়ন এবং দারিদ্র দুরীকরন সাম্রাজ্যবাদের হাতে নয়। সত্যিকার ক্ষমতা হলো জনতার হাতে । চলমান সমস্যার সমাধান জনতার হাতে। সমাধান বিপ্লবে। বিপ্লবী বিজ্ঞানে। লিডিং লাইট সাম্যবাদে।

অনেক সময় মন্দ থেকে ও ভালোর সূচনা হতে পারে । মুক্ত- বানিজ্যের চুক্তি সাধারনভাবে সমগ্র জনতার বিরুদ্বে এক ধরনের আক্রমণ। ইহা আমাদেরকে বৃহৎ পরিসরে বুর্জোয়া বিশ্বের বিরুদ্বে ঐক্যবদ্ব হতে সহায়তা করবে। মনে হচ্ছে এই চুক্তি আমাদেরকে জেগে ঊঠতে সহায়তা করবে। প্রাগ্রসর লিডিং লাইট কমিয়নিজমের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি বিপ্লবী পরিবেশ তৈরীর  ও নতুন দিনের  ইঙ্গীত দিচ্ছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য আমাদেরকে সুদক্ষ হতে হবে। পুঁজিবাদ  দিনে দিনে এগিয়েছে- আমাদেরকেও এগোতে হবে। আমাদেরকে বিপ্লবী বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে হবে। আমরা সংগঠিত হতে, পরিচালনা করতে ও লড়াই করতে ভয় পাই না । আমরা সর্বোচ্ছ ত্যাগ করতে রাজি। এমন কি জীবন দিতে ও। আমাদের দিন আসছে ! সূর্য উঠছে ! -একে এম শিহাব।

Leave a Reply