৫ ই এপ্রিল , ২০১৪
( আমরা সাম্রাজ্যবাদের কর্তৃক সৃষ্ট মানব জাতির প্রতি সকল প্রকার হুমকির বিরোধিতা করছি- এন পি )
বুয়েনস আইয়ারস (এ এফ পি) আর্জেন্টিনার প্রসিডেন্ট ক্রিস্টিনা কিরসিনার দাবী করেছেন, ফকল্যান্ড দ্বীপে ন্যাটোর পারমানবিক স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। তাঁদের উদ্দেশ্য হলো দক্ষিন আটলান্টিক সাগরকে নিয়ন্ত্রন করা ।
আর্জেন্টীনা যাকে ম্যলোভিয়ান বলে ডাকে তা ১৯৮২ সালের এক রক্ত ক্ষয়ী যুদ্বের পর থেকে ব্রিটিশ রাজ দখল করে আছে।
প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ন্যাটো ব্রিটিশরা এই দক্ষিন আটলান্টকের এই পারমানবিক স্থাপনাটিকে এখন আর লুকিয়ে রাখতে পারছে না ।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন যে, এই দ্বীপটিকে পৃথিবীর সবছেয়ে মারাত্মক ও ব্যাপক ভাবে সামরিকিকরন করা হয়েছে, ১৫০০ সৈনিক এবং ২০০০ সামরিক ব্যক্তিত্ব সেখানে অবস্থান করছেন। যেখানে মাত্র ১০০০ সাধারণ লোক বসবাস করে থাকেন।
কিরসিনার তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, দক্ষিন অ্যাটলান্টিক মহা সাগরে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে ইলেকট্রনিক গোয়েন্দা নিয়োগ দান করা হয়েছে। অন্য দিকে ব্রিটিশ সরকার এর বিরুধিতা করে বক্তব্য প্রদান করছেন।
ব্রিটিশ সরকার বলেছেন, ঐ দ্বিপটিতে কেবল মাত্র নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনী ই রয়েছে। আর্জেন্টিনার বক্তব্য ভিত্তিহীন।
পারমানবিক স্থাপনা সম্পর্কে তাঁদের কথা হলো- ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারাবিয়ান দেশ সমুহ সহ পারমানবিক জোণ সংক্রান্ত ১৯৬৯ সালের প্রটোকলের প্রতি শ্রদ্বাশীল। এবং আমরা তা অবশ্যই মেনে চলছি । ব্রিটিশ সরকার কোন ভাবেই পারমানবিক হুমকি তৈরী করবে না। অপারমানবিক কোন দেশের প্রতি তাঁরা তা ব্যবহার ও করবে না বলে সাফ জানান।
কিরসিনার আর্জেন্টিনার এই সংক্রান্ত বিরুধের কারনে শহীদ হওয়া লোকদের ৩২তম শাহাদত বার্ষিকীতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই বিক্তব্য রাখেন।
১৯৮২ সালের ২ এপ্রিল আর্জেন্টিনার সেনাবাহিনী এই দ্বীপটির নিয়ন্ত্রন গ্রহন করেছিলেন। এর মাত্র ৭৪ দিন পর ব্রিটিশ সেনারা আক্রমণ চালিয়ে সেই ফকল্যান্ড দিপটি পুনরায় দখল করে নেয়। সেই যুদ্বে আর্জেন্টিনার ৬৪৯ জন ও ব্রিটিশ ২৫৫ জন সৈনিক সহ দ্বীপবাসী বহু মানুষ মারা যান। – একে এম শিহাব