( ফিলিস্তিন কি এবার চিরতরে বিলিন হয়ে যাবে ? পুঁজিবাদ মানুষের উপর সীমাহীন দূর্দশা চাপিয়ে দিচ্ছে।)
বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইলী প্রধান মন্ত্রী বেঞ্জামীন নেতানিয়াহুর নির্দেশে সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার স্থল ভুমিতে মারাত্মক আস্রশস্ত্র সহ ট্যাংক বহর নিয়ে প্রবেশ করেছে। বিগত ১০ দিনের অভিযানে এযাত ২৩১ জন নিরিহ ফিলিস্তিনি মানুষকে ইস্রাইল হত্যা করেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীর বর্ননায় জানা যায় যে, ইসরাইলী বাহিনী যুদ্ব বিমান থেকে বৃস্টির মত গোলা বর্ষন করছে ফিলিস্তিনী জনগণের উপর। তাঁদের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে, পানি সরবরাহ বন্দ্ব করে দিয়েছে। খাদ্য ও পানির অভাবে এখন তাঁরা সীমানীন দূর্ভোগের শিকার।
নেতানিয়াহুর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক ভাষ্যে বলেছেন যে ইসরাইলের সাথে গাজার সকল যোগাযোগ বন্দ্ব করে দেয়ার জন্য ই নাকি এ অভিযান তাঁরা শুরু করেছে ।
এক দল অস্ত্রধারী লোক গত বৃহস্পতিবার সকল বেলা দক্ষিন ইসরাইলের সংযোগ স্থলে প্রবেশের চেষ্টা করে, সেনাবাহিনী বলছে, সেই আক্রমনের সময় তেরজন আক্রমণ কারীর মধ্যে আট জন সেখানেই মারা পড়েন। হামাস অবশ্য সেই আক্রমনের কথা স্বীকার করেছে। এটা ছিলো বগত ১০ দিনের মাঝে দ্বীতীয় উল্লেখযোগ্য ঘটনা ।
হামাস বলেছে সেই আক্রমনে তাঁরা গাজা উপত্যাকায় অবকাঠামোগত কোন ক্ষতি সাধন করেন নি।
সেই ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই মানবিক কারনে জাতি সংঘযুদ্ব বিরতির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ইস্রাইলী সেনারা ফিলিস্তিনিদের বাড়ী ঘরে প্রচন্ড আক্রমণ করতে থাকে । ইসরাইলী বিমান বহর থেকে অবিরত গোলা বর্ষনে জনপদের পর জন পদ ধ্বংস হতে থাকে। তাঁদের কেহই যুদ্ব বিরতি না মানায় বিগত ১০দিন যাবত সকল দোকান পাট, বাজার, ব্যাংক বীমা সব কিছু বন্দ্ব রয়েছে।
এপর্যন্ত ২৩১ জন ফিলস্তিনী হত্যার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ৩৯ জন শিশু এবং ১৭০০ জন নানা ভাবে আহত হয়েছেন। গাজা থেকে প্রতি আক্রমনে রকেটের আঘাতের কারনে একজন ইসরাইলী মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গন মাধ্যমে বলা হয়েছিল যে, উভয় পক্ষই যুদ্ব বিরতি মেনে নেবার বিষয়ে আলাচনা করছেন। শুক্রবার সকাল থেকে যুদ্ব বিরতি কার্যকরী হবে । পরে তাঁরা বলেছেন কোন পক্ষ ই যুদ্ব বিরতিতে রাজি হচ্ছেন না ।
‘কোন আলোচনায় অগ্রগতি নেই’
‘কোন আলোচনায় অগ্রগতি নেই’
দুপুরের পর হামাসের একজন মূখপত্র সামি আবু ঝুহুরী বলেছেন, আমাদের আলোচনায় কোন প্রকার অগ্রগতি হয় নাই। তিনি বলেন যে, হামাসের কোন নেতা কায়রোতে গমন ও করেন নি। অথচ এই দলের একজন গুরুত্ব পুর্ন নেতা মুসা আবু মার্জুক কায়রোর মধ্যস্থতাকারীদের সাথে বৈঠক করেছেন এবং দির্ঘ সময় ধরে সেখানে অবস্থান ও করছেন।
কায়রোর ফাতাহ দলের প্রতিনিধি আজ্জাম আল আহমেদ আল জাজিরাকে বলেছেন এখানে কোন প্রকার চুক্তি সাম্পাদিত হয় নি।
পক্ষান্তরে, কায়রোতে ইসরাইলী প্রতিনিধি ইয়ারম কোহেন জানালেন, প্রধান মন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে যুদ্ব বিরতির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
মোটকথা হলো এখনো কোন শান্তির আবাস দেখা যাচ্ছে না । ইসরাইলী বাহিনী তাঁদের অভিযান অব্যহত রেখেছে। অন্য দিকে হামাস ইসরাইলী এলাকায় ১০০ উপর রকেট হামলা করেছে কিন্তু তা কোন কাজেই লাগেনি। ইসরাইলিরা বলছে আগামী সাপ্তাহ থেকে তাঁরা সেখানে ড্রোন হামলা শুরু করবেন।
দুনিয়ার শান্তিকামি মানুষের কি এ অবস্থায় কিছুই করার নেই ? # শিহাব