২০০৭ সালে মাওসেতুং এর রক্তাক্ত বিপ্লব ডকুমেন্টারী ফিল্মটি প্রকাশিত হয়। ইহা ‘মাওঃ একটি জীবন’ এবং বি বি সি প্রতিনিধি মি, ফিলিপ সর্ট কর্তৃক প্রকাশিত হয়। এই রক্তাক্ত বিপ্লবকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ইহার প্রথম ভাগে দেখানো হয়েছে চীনের মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সূচনা পর্ব এবং দ্বিতীয় ভাগে দেখানো হয়েছে বিপ্লবের পরবর্তী এক দশক (১৯৬৬ – ১৯৭৬) পর্যন্ত। দ্বিতীয় ভাগের চার ভাগের তিন ভাগ সময়ই সেই মহান বিপ্লব তুঙ্গে ছিলো । তা হলো ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৬৯ বা ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময় কাল। আর এর বাকী সময়টা হলো ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল যা মাওয়ের জিনাবসানের সময় কাল। রক্তাক্ত বিপ্লব নামক ডকুমেন্টারী ফিল্মটিতে সাম্যবাদের বিরুদ্বে বিষুদগার করন, ক্ষুধার জ্বালায় মানব শিশু ভক্ষন ও মাওসেতুঙ্গকে এক জন নিস্টুর কসাই হিসাবে নানা ভঙ্গিমায় দেখানো হয়েছে। তাতে আরো দেখানো হয়েছে যে, চিনে একটি সংশোধনবাদী ও কমিউনিজম বিরোধী কার্যক্রম চলছে। আমাদের এই সমীক্ষায় ‘রক্তাক্ত বিপ্লব’ নামক ফিল্মটির প্রতিটি বিষয়ইয়”পুংখনোপুংখ আলোচনা করব না বরং আমরা বৃহত্তর পরিসরে এই ফিল্মটির পদ্বতি গত কি কি সমস্যা ছিলো তা নিয়ে আলোচনা করব। এবং ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত চলা সাংস্কৃতিক বিপ্লব বিষয়ক উত্থাপিত প্রশ্ন সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে ।
যেমন ২০০৩ সালে মর্নিং সান পত্রিকায় কিছু গুরুত্বপূর্ন ছবি এই রক্তাক্ত বিপ্লব সম্পর্কে পাকাশ করা হয়েছিল। তাতে দেখানো হয়েছলো – মাওবাদিদের তৎপরতা, তাঁদের নেতাদের আন্দোলন সংগ্রাম । লিন বিয়াও, চেন বুদা,জিং কুইং, অয়াং লি, গূয়ান ফেং এবং আরও অন্যান্য নেতাদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। ব্ল্যেক লিবারেশন যুদ্বা রবার্ট এফ. উইলিয়ামসকে ও দেখানো হয়। এমন কি জিয়াং কয়িংস এর কমিউনিস্ট পার্টীতে যোগদান করার আগে তাঁর পেশা গত ছবি ও তাঁরা চেপে দেয় মাওয়ের বিপ্লবের নামে। এই ফিল্মটির একটি প্রতিজ্ঞাই ছিলো যে- এক সময়ে যারা মাওসেতুঙ্গের আপনজন ছিলেন বা তাঁর নিকট জন ছিলেন তাদেরকে বিপ্লবী হিসাবে প্রদর্শন করা। ছবিটির পরিচালক তাঁর সাক্ষাৎকারে উল্ল্যেখ করেন যে, মাওয়ের এককালিন সেক্রেটারি – লি রুই; লিউ সুক্কির কন্যা, লিউ তিংতিং ; দেং জিয়াও পিং এর পুত্র, দেং পু ফাং এদের সকলেই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের শুরুতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ; তাঁদের সাথে আরো ছিলেন – জো এনালিস নিচি, জো বিংদি এবং আরো অনেকে।
পুজিবাদকে ফিরিয়ে আনার জন্য সংস্কারবাদীদের অনেকেই তাঁদের নানা সাক্ষাৎকারে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন, তাঁরা সামাজতন্ত্রের যবনিকাপাত করে এই শত কোটি মানুষের দেশ চীনে ধনতন্ত্র কায়েম করতে চাইছেন। সংশোধনবাদীরা চিত্রায়ন করে দেখিয়েছেন যে মাওবাদীরা যাদের বিচার করেছেন তা এক ধরনের পাগলামী। মর্নিং সান পত্রিকার নানা সাক্ষাৎকারে ও এই রক্তাক্ত বিপ্লবের কথা উঠে এসেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন- সিডনি রেতিন বার্গ এবং নি ইয়াং জি। রেতিন বার্গ ওয়াংলি এর সাথে নানা ভাবে যুক্ত ছিলেন, এবং ১৯৬৭ সালের আন্তর্জাতিক বাম আন্দোলনের সাথে ও তাঁর সম্পৃক্ততা ছিলো। পরে তিনি জেল খাঠেন এক বছর এর পর মুক্তি পেয়ে সংশোধনবাদের সাথে যুক্ত হন। নারী নেত্রী নি জেইন ও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তিনি বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপিকা ও কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদিকা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে ২৭শে মে তাঁর লিখিত বিখ্যাত গ্রন্থ মার্ক্সবাদ-লেনিন বাদ প্রকাশিত হয়। এই দু’জন মাওবাদীর কেঊই পরবর্তীতে আর মাওবাদি থাকেন নি। উক্ত দু’টি সাক্ষাৎকারের মধ্যে রেতিন বার্গের বক্তব্য ছিলো অধিকতর ইতিবাচক। তিনি যথার্থভাবেই বলেছিলেন, আমাদের চলমান ইতিহাস, মাওবাদ, সাংস্কৃতিক বিপ্লব সকল কিছুকেই আমরা দুষিত করে ফেলছি। এর সঠিক চেতনা থেকে আমরা দূরে সড়ে এসেছি। এটা আমাদের জন্য দূর্ভাগ্যজনক। তাই আমাদের উচিৎ সতর্কতার সাথে মাওবাদকে অধ্যয়ন করা । তা থেকে যথাযথ ভাবে শিক্ষা গ্রহন করা।
রক্তাক্ত বিপ্লব ব্যক্তিগত বিষয়-আশয়কে বেশী প্রধান্য দিয়েছে। ব্যক্তিগত বিষয়-আসয় সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে বুঝার জন্য যতেস্ট নয় । নির্মল আনন্দদানের জন্য ছবি তৈরী করা হয়, তখন ব্যক্তিগত বিষয় বিশ্লেষণ করে সামগ্রীক ভাবে সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে বুঝা সম্ভব নয় কোন ভাবেই। মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অনু ঘটক ব্যক্তি হলেও প্রকৃত বিশ্লেষণে ব্যক্তি সব কিছু নয়। বিপ্লকে যদিও সাধারনত বিবেচনা করা হয় ক্ষমতা দখলের মাধ্যম হিসাবে-কিন্তু আসলে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে সমাজকে গভীরতম স্থর থেকে তা বদল করে দেয়। ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি সময়ে যখন চীনের গন আন্দোলন তুঙ্গে তখন বিপ্লবি শক্তিকে নিস্কৃয় করে দেয় হয়। ঘন জংলে এমন গাছ পালার জন্য সকল কিছু দেখা যায় না তেমনি মেকী বিপ্লবীদের আড়ালে চলে যায় সাংস্কৃতিক বিপ্লবের আসল চেতনা । প্রধান্য পায় সীমাহীন ব্যক্তি পূজা বিশেষ করে সংস্কারবাদি ও সাম্যবাদ বিরোধী শক্তির উত্থান ঘটে যা আমাদের কে প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝতে দেয় না । ব্যক্তির প্রধান্য আমাদেরকে সামাজিক ব্যবস্থার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দেখতে দেয় না, সেখানে ব্যক্তির অভিজ্ঞতাকে সামনে নিয়ে আসে। আমরা আজ চিনের সমাজে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে যাদেখছি তা ব্যক্তিবাদেরই বহি প্রকাশ মাত্র। ব্যক্তিকে সকল কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা মূলত বুর্জোয়া রাজনীতির সংস্কৃতি। এমন কি বক্তিবাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন ও দেখা যায়। এর মধ্যে আছেন মাওসেতুং এর চিকিৎসক ডাক্তার অয়াং হিবেন। তিনি মাওয়ের বক্তৃতা সম্পর্কে বলেন-
“ মাওসেতুং যখন বক্তব্য দিতেন, তিনি উপস্থিত প্রতিটি লোককে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতেন। তিনি বুদ্বিমত্তার সাথে ভাষা চয়ন করতেন এবং নতুন নতুন উদাহরন দিয়ে অতি প্রাঞ্জল ভাষায় ভাষণ দিতেন। তিনি মানুষের হ্রদয়ের কথা বলতেন।”
এই ছবিটির নির্মানে পদ্বতীগত আরো একটি সমস্যা হলো – এতে মাওসেতুং এবং অন্যান্য প্রথম সারির নেতাদের বিপ্লবের মনস্তাত্মিক দিক গুলো তুলে ধরার প্রয়াস নেয়া হয়েছে। উদাহরন হিসাবে উল্লেখ্য যে, সেখানে যেন কুইন কে আবেগ প্রবন, চরম পন্থী হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে, তাঁর রাজনৈতিক উন্নতির জন্য তাঁর এই আচরণকে সহায়ক বলে দেখানো হয়েছে। এই ছবিতে প্রমান করার চেষ্টা করা হয়েছে একটি বিশেষ তত্বকে আর তা হলো – ইতিহাসের ‘মহা মানব’ তত্ব। অথচ মার্ক্সীয় তত্ব অনুসারে বলা হয়েছে- পৃথিবীর ইতিহাস শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস। এই ছবিতে দেখানো হয়েছে মানুষের জীবন, মেধা ও সৃজনশীলতার চাইতে ইতিহাসের পরিধি অনেক বেশী। অবশ্য মাওবাদীরা ও কোন কোন সময় এই অবৈজ্ঞানিক মনোভাব পোষণ করে থাকে।
১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সালে মর্নিং সান যেভাবে সাংস্কৃতিক বিপ্লবে রক্তাক্ত বিপ্লব হিসাবে তুলে ধরেছে তা কাম্য ছিল না। তাঁরা লুই সুখির প্রথমিক জীবন, উত্থান ও লড়াই সংগ্রামকে এক সাথে তুলে ধরেছে। তাঁরা নবম কংগ্রেস এবং লিন বিয়াওয়ের উত্থান পথনকে ও তুলে ধরেছে এক ভিন্ন মাত্রায়। তাঁরা ১৯৭০ সালের জো এনলাই, দেং জিয়াও পিং, এবং তাঁদের ডানপন্থার লোকদেরকে উপস্থাপন করেছে। ইহা ১৯৭৬ সালে মাওসেতুং এর মৃত্যু ও চার খলিফার গ্রেফতারের বিষয়টি ও প্রচার ব্যাপক ভাবে। তাঁদের জন্য মর্নিং সান ও এই চলচ্চিত্রটি একই ভাবে ইতিহাসের শিক্ষা হয়ে থাকতে পারে। তাঁদের অনেকেই মনে করেন- ১৯৭০ সালে সাংস্ককৃতিক বিপ্লবের পথ ধরেই চিনের ক্ষমতায় রেড আর্মীদের ক্ষমতা বেড়ে গেছে। এখন ও মাওবাদিরা মনে করেন ১৯৭১ সালে লিন বিয়াওয়ের পতনের পর চীন তাঁর স্বীয় পথ থেকে সড়ে গেছে।
সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সূচনায় চীনের সমাজে একধরনের মন্থরতা ও আমলাতান্ত্রিকতা দেখা দেয়। রুতেন বার্গ তাঁর ভাষ্যে বলেন যে, মহান মাও প্রায় ই বলতেন যে, সামাজিক স্থবিরতার চাইতে এত খারাপ আর কিছুই নেই। এই ছবিতে লুই সকি, যু এনলাই এবং দেং জিয়াও পিং এর প্রতি বিশেষ আকর্ষন প্রদর্শন করা হয়েছে। এতে মাওবাদিদের ভেতরকার স্থবিরতা কেঊ দেখানো হয়েছে। যে সকল মাওবাদি চীনকে সঠিক সাম্যবাদী পথে চালিত করতে চাইচিলেন তাদেরকে ছবিতে চরম পন্থী, কট্টর,কল্পনাবাদী ও উন্মাদ বলে দেখানো হয়েছে । তাঁর সাথে সেই সময়ে যত গুলো সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে তাঁর সব গুলো ঘটনার জন্য মাওবাদীদেরকে দুষারূপ করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছিলো মূলত একটি শ্রেণী সংগ্রাম। বিপ্লবের সময় কিছু অনাকাংখীত পরিস্থিতির উদ্বভব হতেই পারে। ইহা কোন ডিনার পার্টি নয়। তবে, চলচ্চিত্রকার প্রতিক্রিয়শীল চক্র এবং প্রতিবিপ্লবীদের সহিংসতাকে আলাদা করতে পারেন নি। তিনি সকল সহিংসতাকে মাওবাদী বিপ্লবীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। উদাহরন হলো – সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে রাজপথের একটি সাধারণ ঘটনা ও আইনী বিষয় হিসাবে প্রদর্শন করেছেন। যদি ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের একটা বিশেষ ঊদ্দেশ্য ছিলো ক্ষমতায় আসীন পুঁজিবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল শীর্ষ নেতাদেরকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করা, বিপ্লবের প্রতি আবেগ আনুভূতি প্রকাশ করা এবং গন জোয়ারকে আরো সামনে এগিয়ে নেয়া। এটা ছিলো একটি বিরাট আন্দোলন, বিশাল বিতর্ক, যার লক্ষ্য ছিলো মানুষের হৃদয় স্পর্শ করা এবং একটি নতুন সমাজ বিনির্মান করা । পক্ষান্তরে, বিরুধীদের লক্ষ্য ছিলো কমিঊন ও সাধারণ মানুষের গণতন্ত্রের ধারাকে বাধাগ্রস্থ করা । আর বিপ্লবীদের কাজ ছিলো সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ধারাকে অব্যাহত রাখা। এই বিপ্লবী কর্মসূচী জনগণকে এগিয়ে যাবার শক্তি যোগায়। এই বিপ্লবের উদ্দেশ্য ছিলো নিপীড়নের অবসান ও সাম্যবাদের প্রতিস্টা করা । এই গন আন্দোলন ১৯৬৮ সালে সমাপ্ত হয়, আর ১৯৭১ সালে লিন বাওয়ের পতন ঘটে, ফলে বিপ্লবী শক্তি ও দিক ভ্রান্ত হয়। এই চলচ্চিত্র অনুসারে, ১৯৬৯ সালে ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কাজ অব্যাহত ছিলো। তবে মাওসেতুং সেই সময় কিছুটা বিরক্ত বোধ করছিলেন । ১৯৭২ সালে নিক্সন চীন সফর করেন। ১৯৭৩ সালে কর্মধারায় পরিবর্তন আসে। মাও দেং জিয়াও পিং কে পুনঃ প্রতিস্টা করেন। যিনি ছিলেন দ্বিতীয় গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তি যারা পুঁজিবাদের প্রীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। সেই সময়ে বিপ্লবীদের নেতা জেয়াং কুইং দৃঢ় ভাবে এর বিরোধিতা করেন এবং হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। রক্তাত বিপ্লবের ভাষ্যে বলা হয়েছে- বিপ্লবী চার খলিফা ও বামপন্থার পতন হয় মহান মাওয়ের মৃত্যুর মধ্যদিয়া । জো এনলাই এর ভাতিজি জো বিংদি তাঁর ভাষ্যে বলেন, আমি যখন মাওয়ের মৃত্যু সাংবাদ শুনলান, তখন ভাবছিলাম জেং কুইং এবার তাঁর উপযুক্ত শিক্ষা পাবে। চিনের মানুষ তাকে ঘৃনা করে। জনগণ তাকে চিবিয়ে খাবে। তাঁরা তাকে বেইজ্জতি করে ছাড়বে। এই বক্তব্য সঠিক হোক বা বেঠিক হোক তা বড় কথা নয় বরং এটা পরিস্কার যে সেই সময়ে চার খলিফা সাধারণ মানুষের মাঝে খুব জন প্রিয় ছিলেন না । তাঁদের যখন পতন হলো মানুষের মাঝে কোন প্রতিক্রিয়াই হল না । এই পরিস্থিতি প্রমান করে কিভাবে ১৯৭০ সালে চিনের মানুষকে বিরাজনৈতিকি করন করা হয়েছিলো ।
রক্তাক্ত বিপ্লব প্রদর্শন করে মাওয়ের বক্তিগত আচার ও ধর্মীয় রীতি নীতি যা সামাজতান্ত্রিক আদর্শের সাথে সামঞ্জস্যশীল নয়। এই ধরনের রীতি নীতি প্রদর্শন কেবল পশ্চিমা সামাজের জন্যই প্রযোজ্য । যেমন – নেতার অভ্যাস, বিশিস্টজনদের অভ্যাস, ধর্ম বিশ্বাস ইত্যাদি। ছবিটিতে এমন ভাবে দেখানো হয় যে, যেন এই সকল আচরনিক বিশিষ্টের কারনেই তিনি সামাজ্যবাদকে বিতারন, সামন্তবাদকে উচ্ছেদ এবং দুনিয়ার প্রায় এক চতুথাংশের মানুষের জন্য এনে দিতে পেরেছেন সমাজতন্ত্র। এই ছবিতে মাওসেতুঙ্গের শিশু কালিন ধর্মানুরাগকে বিশেষ ভাবে উপস্থান করা হয়েছে। তাঁর সেই আচরনিক দিক গুলো নিয়ে বেশ কিছু দায়লগ আউরিয়েছেন পুঁজিবাদের পথ যাত্রী লুই সুক্কী। তবে আচরনিক দিক গুলোকে বৈজ্ঞানিক পন্থায় উপস্থাপন করা হলে আমাদের কোন আপত্তি থাকত না ।