এশিয়া, আফ্রিকার পরিবেশ ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপুরন দাবী…

water-shortage(llbangla.org)

সম্প্রতি বার্কনিয়া ফেসু র রাজধানী উগাদুগুতে আফ্রিকান উইনিয়ন ভুক্ত দেশ গুলো এক সম্মেলনে মিলিত হয়ে প্রথম বিশ্বের দেশ সমূহের কাছে তাঁদের পরিবেশ ধ্বংসের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার দাবী করেছেন। আফ্রিকান উইনিয়নের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ক্ষতিপুরন প্রথম বিশ্বের দেশ সমূহের দেয়া উচিৎ কেননা তাঁদের কারনেই আজ আমাদের জলবায়ুর পরিবর্তন, পরিবেশ দুষন, এবং প্রকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত ডিসেম্বরে এক সভায় উইনিয়নের একজন কর্মকর্তা, জেন পিং বলেছেন, “ আমরা সিদ্বান্ত নিয়েছি সকলেই এক সূরে কথা বলব”, এবং ক্ষতি পুরন আদায়ের জন্য দাবী জানাব ও আন্দোলন গড়ে তুলব

আজকের তৃতীয় বিশ্ব যে মাত্রায় গ্রীন হাউস গ্যাসের কারনে দুর্দশায় পড়েছে তাঁর জন্য ৮০% দায়ী হলো প্রথম বিশ্বের দেশ সমূহ। পেং এর মতে, কেবল টেক্সাসের ৩০ মিলিয়ন মানুষের জীবন যাত্রা নির্বাহের জন্য যে পরিমান গ্রিন হাউস গ্যাস উদ্গিরন করা হয় তা তৃতীয় বিশ্বের এক বিলিয়ন মানুষের জীবন যাত্রার জন্য ও তা হয় না”। বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারনেই আজ আফ্রিকার বেশ কিছু অঞ্চল পরিবেশ দুষনের শিকার হয়েছে এবং সেখানকার জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে

আফ্রিকার পরিবেশ ধ্বংসের জন্য সাম্রাজ্যবাদী দেশ সমূহের একটি সুদির্ঘ ইতিহাস রিয়েছে। উদাহরন হিসাবে উল্লেখ করতেই হয় যে, আজ সোমালিয়ার উপকূল অঞ্চলে যে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে তাঁর জন্যও পশ্চিমা বিশ্বই প্রধানত দায়ী। তারা ই এখানে এসে সোমালীদের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও ঐতিয্যগত জীবন যাত্রা বিনষ্ট করেছে। একজন সোমালীয়ান মূখপাত্র মিঃ জান্না আলী জামা বলেছেন, বিগত প্রায় ২০ বছর যাবত শিল্প সমৃদ্ব প্রথম বিশ্বের দেশ গুলো আমাদের কথায় কর্ণ পাত না করে আমাদের উপ কূলে নানা বিষাক্ত বর্জ্য নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের জীবন জীবিকার সকল উপায় উরা শেষ করে দিয়েছে।

জাতি সংঘের পরিবেশ উন্নয়ন সংক্রান্ত কর্মসূচির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কার্বন নিশ্বরন কারী দেশ সমূহ ২০০৪ সালের পর থেকে তাঁদের শিল্প বর্জ সাফ করে তা নিয়ে তারা সোমালিয়ার উপকূলিয় এলাকায় নিক্ষেপ করে এসেছে। ইউএন এর এই কর্মকর্তা আরো বললেন যে, সুনামীর ঢেউ সোমালিয়ার উপকূলের সকল কিছুকেই নষ্ট করে ফেলেছে। সুনামীর পর সেখানকার সব কিছুই মারাত্মক ভাবে দুষিত হয়ে পড়েছে। সেই কর্মকর্তার মতে, এই “ বিপদজনক কার্যক্রম” বিগত এক দশক ধরে প্রথম বিশ্ব লাগাতর ভাবে করে এসেছে। তাঁর মতে, এখন শত শত সোমালি নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত । সোমালী নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ এখন মূখের গা, পেটের মারাত্মক পিড়া ও রক্ত ক্ষরন, চর্ম রোগ ইত্যাদীর দ্বারা মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এই সকল দুষনের মূল কারণ হলো ইউরূপীয়দের বর্জ সেখানে ডাম্পিং করা। “ ইউরূপীয় কোম্পনী গুলোর এই ভাবে বর্জ নিষ্কাশন করার কারণ হলো খরচ বাঁচানো। অধিক মুনাফা করাপরিবেশ বান্দ্বব ভাবে সেই কাজ করতে প্রতি টন শিল্প বর্জের জন্য খরচ হয় ১০০০ ডলার আর সমূদ্রে নিক্ষেপ করলে তাঁর খরচ পড়ে মাত্র ২.৫০ ডলার

প্রথম বিশ্বের মানুষের ভোগবিলাসের যোগান দিতে গিয়ে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ জীবনপাত করছেন। আজকের দুনিয়ার মানুষ কেবল অর্থনৈতিক শোষনের শিকার নয় বরং তারা লিঙ্গ এবং জাতীয় শোষণের শিকার, তৃতীয় বিশ্বের মানুষের পরিবেশ ও প্রথম বিশ্বের মানুষেরা বিনাশ করে ফেলছে। তাই, এশিয়া, আফ্রিকা ও অন্যান্য তৃতীয় বিশ্বের মানুষের ক্ষতিপুরনের জন্য প্রথম বিশ্বকে বাধ্য করতে হবে। কেবল আন্তর্জাতিক সংস্থায় কিছু ঘোষনা পাশ করা ই যতেস্ট নয়। তাঁর জন্য চাই উপযুক্ত চাপ সৃষ্টি। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের জন্য ন্যায় বিচার পেতে হলে দুনিয়া জোড়ে আন্দোলন সংগ্রামের প্রয়োজন। বিশ্ব গ্রাম থেকে বিশ্ব শহর নগরকে ঘেরাও করতে হবে। ন্যায় বিচার তখনই নিশ্চিত হবে যখন প্রথম বিশ্ব সহ তৃতীয় বিশ্বের সকল এলাকায় সামাজতন্ত্র কায়েম হবে। গড়ে উঠবে নতুন শক্তি ! নতুন সমাজ ও বিনির্মান হবে লিডিং লাইট কমিউনিজম!#শিহাব

Leave a Reply