(llbangla.org)
প্রথম বিশ্বে বর্তমানে বিপ্লবের জন্য তেমন শক্ত কোন সমাজিক ভিত্তি গড়ে উঠেনি । এর মানে এই নয় যে, আমেরিকাতে তৃতীয বিশ্বের বিপ্লবের জন্য, শ্রেণী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য, জেন্ডর ইস্যূ, প্রলেতারিয়েতের বিপ্লবের প্রতি সমর্থন জানানো , বাক স্বাধিনতা ও জাতীয় স্বার্থ বজায় রাখার জন্য কোন সামাজিক সংগঠন নেই । যদি ও তৃতীয় বিশ্বের সাথে প্রথম বিশ্বের দ্বন্ধ চলছে, এমনকি আমেরিকার ভিতরে ও দ্বন্ধ আছে, তবু আমেরিকার জনগন নিজেদের মধ্যে যতটা ঐক্য অনুভব করে, ততটা তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লবী প্রলেতারিয়েতের প্রতি অনুভব করে না । যখন প্রথম বিশ্বের জনগন তাদের কোন তাৎনিক বা মধ্যবর্তী স্বার্থে উপনিত হয় , তখন তারা তৃতীয় বিশ্বের প্রলেতারিয়েতদের বিপরীতে অবস্থান নিতে দ্বিধাবোধ করে না । এমনকি যদি কখনও কখনও বিশেষ কোন কমিউনিটিতে নিয়োগ প্রদান পদ্ধতী অনেক ভালো, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আমেরিকাতে বিপ্লবের ভালো ভিত্তি তৈরী হয়ে আছে । এর মানে এও নয় যে, প্রথম বিশ্বের আভ্যন্তরিন দ্বন্ধ ও বিরোধের সময় লিডিং লাইট বা জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তি গুলো গণ বিস্ফোরণ ঘটাতে সম হবে । এর মানে এই নয় যে, আমরা প্রথম বিশ্বকে ছেড়ে দিব । এর অর্থ হলো, আমাদেরকে অধিকতর বুদ্ধিমত্তার সাথে ‘পশুত্বেও উপত্যকা’ য় বিশেষ পদপে নিতে হবে । কোন বিশেষ একটি পথ বা পন্থায় নয় ; লিডিং লাইট নিম্ন বর্ণিত কার্যক্রম গ্রহন করে তার বিপ্লবী লক্ষ্য অর্জন করবে ।
১. সংকট ঃ পুঁজিবাদ ঐতিহ্যগত ভাবে অস্থিরপ্রকৃতির । পুঁিজবাদী ব্যবস্থা সমস্যা সংকূল একটি আদর্শ । মন্দা এবং চরম পরিস্থিতিতির চক্রে আবর্তিত হয় । মান র্কাল মার্কসের ভাষায়, পুঁজিবাদ সে তার নিজের কবর নিজেই তৈরী করে । দুনিয়ার একদিকের উন্নতি ও স্থায়িত্বশীলতা অন্য প্রান্তের সংকটের ফল । প্রথম বিশ্বের আরাম আয়েস হলো তৃতীয় বিশ্বের দুঃখ আর যন্ত্রনার ফল । এই ব্যবস্থাটি এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যা তাকেই ধ্বসের দিকে নিয়ে যায় । গরিব মানুষের উপর আর্থিক বোঝ চাপিয়ে দেয়, তৃতীয বিশ্বের উপর চাপিয়ে দেয় স্থনান্তর করে আর্থিক দায়, পুঁজিবাদ যাদেরকে সৃষ্টি করে তারাও এর দ্বারাই ধ্বংস প্রাপ্ত হয় । এছাড়া, ভূবনায়নেরে প্রক্রিয়ায় এক এরাকার সংকট দ্রুত অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে । একটি স্থানীয় সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবীর সমস্যায় রূপান্তরিত হয় । ভূবনায়নেরে প্রক্রিয়া পুঁিজবাদকে শক্তিশালী করেছে, কিন্তু তার সাথে সাথে এমন এক পরিস্থিতির তৈরী করেছে যার ফলে কোন সমস্যার সমাধান স্থানীয়ভাবে সমাধান বা ব্যবস্থাপনা করা যাচ্ছে না । সেই সকল সমস্যার সমাধান লিডিং লাইট করতে পারবে ।
২. বিশ্ব জনযুদ্ধ ঃ নিপিড়ণ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শেখায় । সাম্রজ্যবাদী পদ্ধতী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের উপর দারিদ্রতার বোঝা চরম ভাবে চাপিয়ে দেয় । বর্তমানে মধ্যম আয়ের মানুষেরা গড়ে দিনে ৩ ডলার আয় করে থাকে । এর অর্থ হলো দুনিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষ অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন । যেহেতু সম্পদ সীমিত ও খরচ হয়ে যাচ্ছে তাই প্রথম বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বের মানুষের সুযোগ সুবিধার মাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে । খাদ্যের আখাল, পানির সংকট, গনহত্যা, পরিবেশগত দুযোর্গ এরূপ সকল সমস্যার পরিমান বৃদ্ধি করে দিচ্ছে । তৃতীয় বিশ্বের মানুষ বিভিন্ন ভাবে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে । জীবনের বাকী অন্যান্য বিষয়ের মতই, লড়াই করাটা ও একটি প্রক্রিয়া । জনগন শেখে সফলতা ও ব্যাথর্তার মধ্যদিয়ে । আর এটাই হলো বিজ্ঞানের প্রকৃতি । পরিস্থিতিগত কারনেই, বেশীর ভাগ সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ বিপ্লবী বিজ্ঞান গ্রহন করে ফেলে । আর সবচেয়ে শক্তিশালী অস্র হল মানুষের মাঝে মুক্তির আকাঙ্খা । বিপ্লবের পরবর্তী ঢেউ আসছে । সমগ্র দুনিয়া বিপ্লবেরে ও জনযুদ্ধের আলোতে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে এই বিপ্লব সমগ্র দুয়িাকে একাকার করে দিবে লিডিং লাইটের নেতৃত্বে জনযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে সবখানে । বিশ্ব জনযুদ্ধ শুরুহবে গ্রাম গ্রমান্তর থেকে এবং তৃতীয় বিশ্বের বস্তি এলাকা থেকে । ইহা প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের শহন নগরের সাথে সকল প্রকার সংযোগ বন্ধ করে দিবে এবং জন যুদ্ধাগণ শত্র“কে ঘেরাও করে ফেলবে । প্রথম বিশ্বকে বিপ্লবী শক্তি নিজেই বিজয় করে ফেলবে কোন প্রকার বাইরের সহায়তা ছাড়াই । বিশ্ব জনযুদ্ধের কলা কৌশল আগে থেকেই নিধার্রন করা বা জানা সম্ভব নয় । দুনিয়ার অনেক জায়গায় হয়ত যুদ্ধেও কৌশল হিসাবে মাও সেতুং এর পথকেই হুবহু অনসরণ করা হবে , গরিব দেশ গুলোতে গ্রাম থেকে শহরের দিকে যুদ্ধ প্রসারিত হবে । তবে, নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও জনসংখ্যার বৃদ্বির কারনে নতুন সম্ভাবনার পথ প্রসারিত হয়েছে । এটা প্রথম বিশ্ব কর্তৃক পুনঃ প্রলেতারিয়েটাইজেশনের সাথে সম্পৃক্ত । এটা আমেরিকার বিপ্লবের প্রতিক্রিয়ার সাথে ও সম্পৃক্ত হতে পারে । উদাহরণ হলো, মেস্কিকোর জন যুদ্ধ দনি আমেরিকায় প্রভাব ফেলতে পারে । সেখানে প্রথম বিশ্বে তৃতীয় বিশ্ব র্কতৃক পরিচালিত জনযুদ্ধের অভিযানের প্রভাব ও পড়তে পারে । প্রথম বিশ্বের কোন একটি অংশ ধবংস ও হয়ে যেতে পাওে যেমন ফ্যসিস্ট নাজি বাহিনী সৌভিয়েত ইউনিয়নের অংশবিশেষ ধ্বংস করে ফেলেছিল এবং তাদেও নেতৃত্ব কায়েম করেছিল।
৩.পুনঃ প্রলেটারাইজেন ঃ বর্তমানে সাম্রজ্যবাদের কারনে আমেরিকার সীমান্ত এলাকায় সামাজিক অস্থিরতা ও বিদ্রোহের অনেক কম । আমেরিকা ব্যাপক হারে মুনাফা কামই করছে সাম্রাজ্যবাদী পদ্ধতী কাজে লাগিয়ে,তৃতীয় বিশ্বের মানুষকে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়, জেন্ডার এবং এমন কি জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে কাজে লাগাচ্ছে । প্রথম বিশ্বের মানুষের জীবন যাত্রার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে, তৃতীয় বিশ্বের মানুষকে চরমভাবে শোষন করে । সাধারণ ভাবে বলা হয়ে থাকে আমেরিকাতে অর্থনৈতিক দ্বন্ধ অনেকাংশে কম এবং তাও দিনে দিনে কমিয়ে আনা হচ্ছে, কারন তারা সকল প্রকার আর্থিক দায়িত্বেও ভার ক্রমান্নয়ে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের কাধেঁ স্থানান্তার করছেন । প্রথম বিশ্বের মানুষের ব্যাক্তিস্বাতন্ত্র বাদের বিকাশ হচ্ছে বলে জেন্ডার ভিত্তিক দ্বন্ধ ক্রমে কমে আসছে সবাই বলছেন। এমনকি আমেরিকাতে শোষক ও শোষিতদের মধ্যে ও পারস্পরিক দ্বন্ধ হ্রাস পাচ্ছে । এবং ক্রমে শোষিত জাতির লোকেরা ও প্রথমবিম্বেও লোক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমানে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে । সাধারণ ভাবে এটা ও বলা হয় যে, তাদের নিজেদেকে আলাদা ভাবে পরিচিত করাতে ও তারা দিনে দিনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে । আমেরিকা তার নিজের সমাজে অপোকৃত শান্তি বজায় রাখার জন্য তৃতীয় বিশ্বে তার শোষন প্রক্রিয়াকে জোড়দার করেছে । তবে এই প্রক্রিয়া ঠেকসই নয় । পুঁিজবাদ প্রকৃতিগত ভাবেই অস্থিতিশীল, সমস্যা সৃষ্টিকারী, জনগনকে প্রতিােধে ফিরতেই হবে । লিডিং লাইট যে প্রক্রিয়ায় সংগ্রামকে গড়ে তুলছে সাম্রাজ্যবাদকে হটানোর জন্য, তৃতীয় বিশ্বের মানুষ ও প্রতিনিয়ত সংঘবদ্ধ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদেও বিরুদ্ধে । তৃতীয় বিশ্বের মানুষ একের পর এক রাষ্ট্র দখল করবে এবং পুঁিজবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে থাকবে । এইভাবে আমেরিকা সহ প্রথম বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহে শ্রম ও সম্পদ সরবরাহ ব›দ্ব করে দেয়া হবে । তখন সাম্রজ্যবাদকে ঠিকে থাকার জন্য তাদেও সুযোগ সুবিধা বজায় রাখার জন্য বিভিন্নেে ত্র যুদ্ধে নামতে হবে । তখন তারা তৃতীয় বিশ্বের অনুগত রাষ্ট্র গুলোতে নিয়ন্ত্রন বৃদ্ধি করতে থাকবে, ফলে সেই দেশ গুলোর জনগন গণপ্রতিরোধ করতে জেগে উঠবে, তারা তখন গড়ে তুলবেন লড়াই সংগ্রাম । তারা এগিয়ে আসবে, নিজেরাই বুঝতে পারবেন যে, প্রথম বিশ্বের শক্তির আসল খোরাক তরাই তাই তাদের মুক্তির পথ তাদেরকেই খোঁেজ নিতে হবে । তখনই তৃতীয় বিশ্বের মানুষ মুক্ত হবে আর প্রথম বিশ্বের সাশক শ্রেণী তাদের নিজেদের মানুষকেই শ্রেণী স্বর্থে শোষন করতে শুরু করবে । আর তখন ই প্রথম বিশ্বের মানুষ দিনে দিনে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের মত দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হতে থাকবে এবং সাম্যবাদী সমাজের মুক্তির পথে এগিয়ে আসবে। এই প্রক্রিয়া কিছুটা এখনই কাজ করছে, প্রথম বিশ্বের কোন কোন দেশে বর্তমানে অসন্তুষ চলছে, তারা রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ ও সামাজিক ফ্যাসিবাদ কে মোকাবেলা করছে, তারা প্রথম বিশ্বের নাগরিক হিসাবে তাদের সুযোগ সুবিধা বজায় রাখার জন্য দাবী জানাচ্ছে। অন্যদিকে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করতে ও কিছু মানুষ রাস্তায় নেমেছে । এই সর্বপ্রথম ব্যাপক হারে মানুষ রাস্তায় নেমেছে শোষনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এবং এতে রি প্রলেটারাইজেন প্রক্রিয়াকে জোড়দার করা হয়েছে । স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবেই প্রথম বিশ্বে প্রলেতারিয়েত শ্রেণীর বিকাশ ঘটবে । আর সেই প্রলেতারিয়েত শ্রেণীকেই তখন লিডিং লাইট সংঘটিত করে পুঁজিবাদী প্রভুদের কবর রচনা করবে । সেই শ্রেনীটি হবে আর্ন্তজাতিক প্রলেতারিয়েত শ্রেণীর অংশ ।
৪. ভাঙ্গন : আমেরিকার ইতিহাস হলো তার প্রতিবেশীদের উপর নির্মম অত্যাচার আর নিযার্তনকারীর ইতিহাস । আমেরিকার সৃষ্টিই হয়েছে সাদা জাতি স্বত্বার প্রভূত্বের ভেতর দিয়ে । আমেরিকা সভ্যতা আদিবাসী সমপ্রদায়ের রক্ত আর তাদের হাড়ের উপর দাড়িয়ে আছে । তারা নিবির্চারে গণ হত্যা করেছে রেড ইন্ডিয়ানদেরকে । সেই আমেরিকার ভূমি থেকে তার আদিবাসীদেরকে চিরতরে নির্মূল করেছে সাদা মানুষের আবাস গড়ে তুলার জন্য । আদিবাসী স¤প্রদায়ের মানুষকে তারা শ্রমশিবিরে বন্দি কওে খেছে , পরিনত করেছ তাদের ভাধ্যগত গোলামে । আমেরিকার পুঁজিবাদের উন্মষের প্রাথমিক স্তরে সামাজিক অস্থিরতা ছিল ব্যাপক হারে, পরবর্তীতে তারা কালো মানুষ, এশিয়ান, এবং অন্যান্য দেশী মানুষকে মুক্তকরে শ্রমিক ও জমির মালিকানা প্রদান করেছে । তারা তখন সর্বহারা থেকে পেটি বুর্জোয়া বা বুর্জোয়ায় পরিনত হয়েছে । তাদের সীমান্ত এলাকাতে ও সামাজিক অস্থিরতা দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহন করে কেবল মাত্র উত্তর আমেরিকার নিরাপত্তÍ জন্য নয় বরং সমগ্র ইউরোপের জন্য ও । ইউরোপ ও পৃথিবীর অন্যান্য এলাকা থেকে আগত প্রন্তিক দরিদ্র মানুষকে আদিবাসীদেও ভূমিতে বসতি গড়তে দেয় । এছাড়া আমেরিকার পুজিঁবাদেও বিকাশে দাস প্রথা এক ঊল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করে। আফ্রিকার কালো মানুষ গুলোকে পুঁজিবাদের চাকা সচল রাখতে নির্মম ভাবে ব্যবহার করে । এমন কি যখন আনুষ্ঠানিক ভাবে ও দাসত্বের অবসান ঘটে, তখন ও কালো মানুষেরা একটি অমানবিক ও ত্রাসের রাজত্বে বসবাস করত । তখন ও দাসত্বের উত্তরাধিকার শেষ হয়নি । এখনও আমেরিকার সমাজে বর্নবাদ প্রথা সমাজের গভীরে অবস্থান করছে । বর্তমানে যেভাবে তৃতীয় বিশ্বের দ্বারা আমেরিকা দুবর্ল হচ্ছে, আথির্ক সংকটে পড়ছে, এটা এখনও সম্ভব যে তাদেও মাঝে আবার জাতিগত বৈষম্যগত বিরোধ াাবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে । যেমন ভাবে তৃতীয় বিশ্বেও মানুষ মুক্তি অর্জন করছে, অন্য দিকে সাদা মানুষেরা আবার তাদের সুযোগ সুবিধাগুলো বজায় রাখার জন্য তাদের খরচের বোঝা আমেরিকার নিজদেশের ভেতরেই নিপিড়িত জাতি গুলোর উপর চাপিয়ে দেবা চেষ্ঠা করতে পারে । প্রথম বিশ্বের জীবন যাত্রার ধরনের মাঝেই জাতিগত বৈষম্য বিরাজমান তারা প্রতিনিয়ত বর্নবাদের শিকার হচ্ছে । এই জন্য নিপিড়িত জাতি সমূহ একসময় প্রবল বিদ্রোহের মধ্যদিয়ে বেঢ়িয়ে আসতে পারে। আর এর ফলেই পটভূমি তৈরী হবে জাতিয় মুক্তির আন্দোলনের ও সংগ্রমের । আর এই যুদ্ধ রূপ নিবে নিজস্ব জাতির লোকদের মধ্যেই পরস্পরের বিরোদ্ধে । এবং এটাই হবে আমেরিকার ভাঙ্গনের লড়াই । তাদেও ভাঙ্গন প্রক্রিয়া অন্যভাবে ও হতে পারে । যদি পুঁজিবাদ গভীর সংকটে নিপতিত হয় তবে তারা কে মহা দূর্যোগের দিকে এগিয়ে যাবে ফলে তাদের ফেডারেল ব্যবস্থা ঠিকিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ ও শক্তি তাদের থাকবেনা । বিশ্ব মুড়লী পনার জন্য তাদেরকে আনেক মূল্য দিতে হবে, আমেরিকার আকাশে এক মহা দুর্যোগ ঘনিভূত হচ্ছে । প্রচলিত ফেডারেল গর্ভনমেন্ট কে ঘিরে তাদের মেয়র, গর্ভনর, সেনাকর্মকর্তা, পুলিশ বিভাগ, অপরাধীচক্র ও লিডিং লাইট প্রচেষ্টা চালাচ্ছে চলমান সংকট কালে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে । বিভক্তি তাদেও সমগ্র ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিবে , প্রথম বিশ্বকে ধ্বংস করতে সহায়তা করবে এবং লিডিং লাইটের পরিকল্পনা বাস্থবায়নে তা বিষেশ ভাবে সহায়তা করবে ।
৫. বিপর্যয় ঃ প্রথম বিশ্বে বিপ্লব সাধনের জন্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । পুঁজিবাদ হলো সীমাহীন উৎপাদন ব্যবস্থার উপর গড়ে উঠা একটি মতবাদ । অথচ পৃথিবীর সম্পদ হলো একটি সীমাবদ্ধ ও নিদির্ষ্ট সংখ্যক । যে হারে সম্পদের অপসারন ঘটছে ও হাড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতি তাতে প্রকৃতিতে নানা প্রকার সংকট ও বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠছে । প্রকৃতিক দূযোর্গ ও বিপর্যয় প্রথম বিশ্বকে ক্রমে দুর্বল থেকে দূর্বল কওে দিচ্ছে ; আর ইহা বিপ্লবের গতিকে বাড়িয়ে দিচ্ছ, এবং রি প্রলেটারাইজেশনের প্রক্রিয়াকে গতিশীল করছে , তাদের ভাঙ্গন প্রক্রিয়াকে ও দ্রুততর করছে । প্রকৃতিক দূযোগের্র বিষয় টি প্রথম ও তৃতীয় বিশ্বেও সকল শ্রেনীর মানুষকেই চলমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাদেও নিজেদের ও তাদের সন্তানদের স্বার্থেই ঐক্যব্ধ ও আন্দোলীত করবে ।
৬. লড়াই ঃ চলমান যুদ্ধ, পারমানবিক অস্র, গণ বিধ্বংসী মারনাস্র এবং আনা প্রকার ধ্বংশাত্বক কার্যকলাপ রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও নানাহ প্রকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে দিনে দিনে দূর্বল করে দিচ্ছে ইহা ও প্রথম বিশ্বে বিপ্লবী পটভূমি তৈরীর করছে । পারস্পরিক যুদ্ধ বিগ্রহ অর্থনীতিকে দূর্বল করছে । তবে, রাষ্ট্রীয়ভাবেই হোক বা রাষ্ট্রবিহীনভাবেই হোক পারমানবিক অস্র আমেরিকায় ব্যবহার করলেই দ্রুত তাদের বিশ্ব ব্যাপী মোড়লীপনার অবসান হবে । বিপ্লবের প্রস্তুতী হিসাবে পারমানবিক যু্েদ্ধর পথ ও একটি উল্লেখযোগ্য পথ হতে পারে।
৭.প্রতিরোধ ও প্রথমবিশ্বের ধ্বংস ঃ বিপ্লবী প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে প্রথম বিশ্ব বা আমেরিকাকে দূর্বল করা ছাড়া উপায় নেই । মহান লেনিন প্রথম বিশ্বযুদ্বের সংকটটিকে বিপ্লবের কাজে ব্যবহার করেছেন, তিনি সেই যুদ্ধকে বিপ্লবী যুদ্ধে রুপান্তরিত করেছেন । লেনিন প্রথমে সম্রাট জারকে পদ থেকে সরিয়েছেন এর পর সংশোধনবাদীদেরকে অপসারন করেছেন । বলশেবিকগণ বিপ্লবী নীতি হিসাবে পরাজিত করনের নীতিই অনুসরন করেছেন । তাদের ল্যই ছিল তাদের নিজেরদেশের সাম্রাজ্যকে পরাজিত করে নিজেদেরকে বিজয়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা । একই পন্থায়, লিডিং লাইট ও তাদের শক্তির স¤প্রসারন করছে প্রথম বিশ্বের সাম্রাজ্যের গভীরে যেন তাকে তারা ধ্বংস করে দিতে পারে । লিডিং লাইট প্রথম বিশ্বে সেই বিপ্লবী শক্তির সমাহার ঘটাচ্ছে যারা প্রথম বিশ্বের বিরুদ্ধে মানবতার পে লড়াই করবে । লিডিং লাইট সাংগঠনিক কাঠামো তৈরী করছে প্রয়োজনের সময় যেন তারা বিপ্লবের পে দাড়াতে পারেন, যখন রি প্রলেটারাইজেশন ও বিশ্ব জন যুদ্ধ শুরু হবে । লিডিং লাইট কাজ করছে জনগনকে আপাত নিরপে এবং প্রথম বিশ্বের মানুষকে যতদূর সম্ভব আদর্শিকভাবে প্রভাবিত করতে । প্রতিনিয়ত পুঁজিবাদের সমস্যা, পরিবেশের সমস্যা, এবং দুনিয়া জোড়া প্রতিরোধ আন্দোলন, সর্বোপরি প্রথম বিশ্বকে প্রতিরোধ আর প্রতিশোধ এর মোকাবেলা করতে হচ্ছে । আন্দোলন আর সংগ্রমের এই স্তরে এসে লিডিং লাইট এর অনুসারী গণ এই ভাবে বলতে পারছে যে, “ তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লব ; প্রথম বিশ্বে প্রতিরোধ” !