আমাদের গনমানুষের উপর, আমাদের পৃথিবীর উপর, আমাদের ঘরবাড়ীরর উপর, এক যমকালো অন্ধকার রাত ঘিরে ধরেছে । পুঁজিবাদের মৃত্যু ঘন্টা বেজে উঠেছে । এটা এখন পতনের দ্বারপ্রান্তে । ইহা তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের রক্ত শোসন করেছে । অনন্ত যুদ্ধ, অনাহার, গৃহহীনতা, শরণার্থী , পয়ঃপ্রনলী এবং খাবার পনির সংকট, প্রাকৃতিক দুঃযোর্গ মানবতাতে এক ক্রান্তিকালে দাড়ঁ করিয়ে দিয়েছে । সামনে হয় সমাজতন্ত্র অথবা মৃত্যু ? আমরা কি অনন্ত রাত্রিতে মারা পড়ব ? নাকি আমরা আবার সূর্য্যরে উদয় ঘটাবো ? আমরা অবশ্যই সূর্যোদয় দেখব, আমরা অবশ্যই এই অন্ধকার ও তিমির রাত্রিকে চরম মূল্য দিয়ে হলেও হঠাব । তিমির রাত্রি শেষে আসবে সুন্দর সূর্য উদয়, শীতের পর বসন্ত, দুঃখের পর অনন্দ ।
সকল প্রকার বিপ্লবী আন্দেলনই গতি হারিয়ে ফেলে, যখন কমিউনিষ্টদের নেতৃত্বাধীন মহান বিপ্লবী ঢেউ গুলির পতন হয়, বিশেষ করে চীনের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব । আন্দোলন গুলো থেমে যায়, দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে, অতীতের সকল গৌরব হারিয়ে ফেলে । প্রথমে বির্পযয়, দিত্বীয় র্পযায়ে হীনমন্যতা । অতীতের মহান বিপ্লব গুলো লিডিং লাইট কমিউনিজমে পৌছঁতে ব্যার্থ হয় । আমরা অতীতের পানে তাকিয়ে বসে থাকব না বরং তা থেকে অনেক কিছু শিখব এবং সামনের পানে জোড় কদমে এগিয়ে যাব । সেই সব উদ্যোগে কি কি অন্ধানুসরন ও সুবিধাবাদ ছিল তা আমরা দেখব । আমরা অতীতে ভূলত্র“টি গুলো সাথে নিয়ে যাব এগোব না, তা শোধওে নেব । আমরা পরবতী বিপ্লবী ঢেউ তুলার জন্যই দ্রুত এগিয়ে যাব । ঐতিহাসিকভাবে সাধারণ জরগণই বিপ্লবের মূল চালিকা শক্তি , কিন্তু তাদেরকে এগিয়ে নিতে হবে, জনগনকে যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ সর্ব্বোত্তম পন্থায় প্রস্তুত করতে হবে । বিপ্লবের সর্ব্বোচ্চ স্তরই হলো লিডিং লাইট কমিউনিজম । অবৈজ্ঞানিক পন্থায় বিপ্লবী র্চচা অন্ধ । আমরা অবশ্যই প্রচন্ডভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাব, সকল বাধঁ অতিক্রম করব । আমরা আমাদের পথ আমরই নির্মাণ করব যেভাবে মহান লেনিন অতীতে করে গিয়েছেন । এবং ঠিক যে ভাবে করেছিলেন মহান মাও সেতুং । পরবর্তী বিপ্লবের ঢেউটা হবে আমাদের, লিডিং লাইট কমিউনিজম এর নেতৃত্বে থাকবেন প্রলেটারিয়েট শ্রেণী ।
আমাদেও বিজয় হলো একটি চলমান প্রক্রিয়া । আমরা ক্রমাগত ভাবে গণমানুষের কাছে আহবান পৌঁছেদেব । াামরা আমাদের শক্তি বাড়াতে থাকব । আমরা ছোট ছোট উদ্যোগ নিতে থাকব । সময় হলেই আমরা এর বিশাল উল্লম্পন ঘটাব । চার পার্শ্বে থাকিয়ে দেখুন, এটাই হলো সঠিক সময় দেখে নেবার কারা সঠিক আর কারা বেঠিক । ইতিহাস এখন সকলের সামনেই উন্মূক্ত । আমাদের আর্ন্তজাতিক কাজ দিনে দিনে বাড়ছে, প্রয়সই আমরা যে রকম পরিকল্পনা করে থাকি । যেমন আমরা স¤প্রতি বাংলায় সাময়িকী প্রকাশ করেছি । তা আরো প্রকাশিত হবে । আমরা আগামী মাসেই স্পেনিস ভাষায় সাময়িকী প্রকাশ করব । আমাদের দাড়ি/ফার্সী ও আরবী কার্যক্রম চলছে । আমাদের তাগালগ ভাষা ভাষী কমরেডগন তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছেন । আমরা জামার্ন ভাষাভাষী কমরেডদের কে ও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহবান করছি । আমাদের একই বক্তব্য হলো জাপানী কমরেড, গ্রীক, এবং পুর্তুগীজ কমরেডদের প্রতি । আমাদের সংগ্রাম আন্দোলন হলো বিশ্ব ব্যাপী । আমরা একা নই, সারা দুনিয়ায় আমাদের কমরেডগন ছড়িযে আছেন । বিশ্ব ব্যাপী বিজয় অর্জন করাই আমাদের বিশ্ব ব্যাপী আন্দোলনের সামগ্রীক উদ্দেশ্য । সংগঠন তৈরী হয়েছে, এখন ঠিক করতে হবে করণীয় কি কি ? নেতৃত্ব বিজয় অর্জনের পথ ও পন্থা র্নিনয় করবেন । এখন সময় এসেছে নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করার, গোয়র্তুমী দূরে রাখার, লিডিং লাইট কে অনুসরন করার, জনগনকে সেবা করার ।
অমাদের এই মহান অভিযানে আমাদেরকে আনেক সমস্যাই মোকাবেলা করতে হবে । অনেকেই হয়ত ভয়ে পাবেন, অনেকই আলোচনা সর্বস্ব হবে, অনেকেই পিছিয়ে পড়তে পারেন, তাদের অত্ম অহংবোধ ও ঈর্শাপরায়নতার কারনে পিছুটান ও দিতে পারেন, তাদের মধ্যে যারা ইতিহাসের চাকাকে সামনের পানে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তারাই নিজেদের কর্ম এবং অনুদান প্রদানের মাধ্যমে । যারা প্রতিদিন কিছু না কিছু বিপ্লবী কর্মকান্ড করেন, যারা অনুদান প্রদান করেন, তারাই হলেন প্রকৃত বিপলবী নায়ক, তারাই হলেন জনগনের সেবক । আমরা তাদের এই অবদানের জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । যারা আন্দোলন থেকে পিছু হঠে, বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক , প্রকৃত বিবেচনায় তারা প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই সহায়তা করে । আমদের কর্মকান্ড ও মিশন একজন ব্যক্তির চেয়ে অনেক বড় । আবর্জনা থেকে গমকে আলাদা করতে হবে । আমাদেরকে নত ও ভদ্র হতে হবে । আমাদেরকে শুনতে হবে । আমাদেরকে ধৈর্য্যশীল হতে হবে । আমাদের প্রচারকার্য হবে বাস্তববুদ্ধি সম্পন্ন । সর্বোপরি আমরা আমাদের নীতির প্রশ্নে সর্বদা আপোষহীন থাকব । লিডিং লাইট এর সর্ব্বোচ্চ বিপ্লবী বিজ্ঞান ব্যবহার করব । বিদ্যা অর্জন, বিজ্ঞান,শৃংখলা, সংগঠন, নেতৃত্ব এ সব গুলোই হলো সফলতার চাবিকাঠি । এই চাবি কাঠির মাধ্যমে আমরা আমাদের আগামী দিনের সকল সোনালী দোয়ার খোলতে চাই ।
আমরা কোন প্রহেলিকায় ভোগছি না । বিপ্লবের পদযাত্রা একটি দির্ঘ ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া । বছরের পর বছর, দশকের পর দশক এমন কি প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেগে যেতে পারে । যারা এই পদযাত্রায় শক্তিপ্রয়োগ করেন, এবং যারা এটাকে সমর্থন করেন, এটা হচ্ছে জীবনের জন্য একটি বোঝা এবং যন্ত্রণার বিষয় । এটা হচ্ছে ত্যাগের জীবন, কিন্তু শহীদদের জীবন ও খুব সুন্দর । আমাদের শত্র“রা আমাদেরকে এবং আমাদের ত্যাগকে নিয়ে হাসি তামাসা করে । তবে অনেকেই এটা প্রথম দিকে বুঝতে পারেন না । দুনিয়াতে মানুষকে সেবা করা, তাদের শিশুদেরকে এবং তাদের শিশুদেরকে এবং দরিত্রীর পরিচর্যা করার মত এত বড় মহৎ কাজ আর একটি ও নেই । মানুষের জন্য বেচেঁ থাকা এবং মানুষের জন্যই মরা আমাদের মহান ব্রত । আমরা তো তাদেরই একজন যারা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য কাজ কওে গেছেন । আমরা নেতৃত্ব গ্রহনে উৎসাহিত নই, ইহা আমাদের জন্য এক বোঝা । শক্তভাবে দাঁড়াও, আমাদের দিন আসবেই । লিডিং লাইট দীর্ঘজীবি হোক! অনুবাদ ঃ একেএম শিহাব