দলিল পত্র বলছে স্ট্যালিন হিটলারকে থামাতে ছেয়েছিলেন

stalin-poster-08

(llbangla.org)

১৯৩৯ সালে, স্ট্যালিন ফ্যাসিস্ট জার্মানী ও পশ্চিমাদের সাথে একটা বুঝা পড়া করতে ছেয়েছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে আগের নানা প্রকারের অফিসিয়াল নথি পত্র ঘেটে দেখা গেছে যে, ১৫ই আগস্ট, ১৯৩৯ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সাথে জোট বেধে হিটলারকে থামাতে ছেয়েছিলেন। দলিল অনুসারে দেখা যায়, স্ট্যালিন জার্মানীর সিমান্ত এলাকায় এক মিলিয়ন সৈন্য দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ব মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রেখেছিলেন। তথ্য অনুসারেঃ

“ সৌভিয়েত পক্ষে- প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্সেল ক্লেমেঞ্চি ভরশিলভ এবং লাল ফৌজের প্রধান বরিস সপস্নিকভ এর নেতৃত্বে ১২০ টি ডিভিশন সৈন্য ( প্রতিডিভিশনে ১৯,০০০ জন সৈন্য), ১৬ কেভেলারী ডিভিশন, ৫০০০ জন করে হার্টিলারী ধারক , ৯৫০০ করে ট্যাঙ্ক এবং ৫,৫০০ যুদ্ব বিমান যারা জার্মানীর বিরুদ্বে বোমা মেরে যাবে”। (১)

স্ট্যালিনের এই চুক্তিটি করার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার অভাব ছিলো না, স্ট্যালিনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে তার লক্ষ্য ছিলো হিটলারের শক্তির দ্বিগুন রাখা। তবে, তখন ও পশ্চিমারা ও স্ট্যালিন এর বিরুদ্বে আক্রমন করছিলো।

এক সপ্তাহ পরে, ২৩শে আগস্ট, ১৯৩৯ হিটলারের পোলেন্ড আক্রমনের পর স্ট্যালিন জার্মানির হিটলারের সাথে একটি চুক্তি করলেন। সেই সময়ে স্টালিন সমালোচিত হচ্ছিলেন মলটভ-রিবেন্ট্রপ চুক্তির জন্য । তাকে ক্ষমতার জন্য সুযোগবাদি, ক্ষমতা লোভী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। এটা সত্যি যে, সেই সময়কার দলিল পত্রাদি বলছে যে, স্ট্যালিন আন্তরিক ভাবে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বকে আটকে দেবার জন্য চেস্টা করেছেন। মেজর জেনারেল লেভ শটস্কভ এর মতে পশ্চিমাদের কাছে স্ট্যালিনের সম্পাদিত মলটভ – রিবেন্ট্রপ চুক্তি মেনে নিতে পারেন নাই। এই ধরনের চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে স্ট্যালিন হিটলারকে চাপ প্রয়োগ করে সম্পাদনে বাধ্য করতে চাইলেন যেন সময়ে নিয়ে সৌভিয়েত সামরিক শক্তিকে বৃদ্বি করার জন্য ।

বৃটেনের রক্ষনশীল নেতা চেম্বারলিন এবং ১৯৩৮ সালের প্রথম দিকে ফ্রান্সের নেতারা জার্মানির হিটলারকে স্যাদারল্যান্ড এবং চেকোস্লাভাকিয়াকে আগ্রাসনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। পশ্চিমাদের অনেকেই চেকোচলাভাকিয়াকে সৌভিয়েতের সাথে চুক্তি না করা আহবান জানায়। বাস্তবতা হলো কার্যত পশ্চিমারা তলে তলে হিটলারের সাথে সৌভিয়েতের সাথে অধিক মাত্রায় চুক্তি করে রেখে ছিলো। পরবর্তীতে আমরা দেখলাম পশ্চিমাদের চাইতে হিটলারের পরাজয় ঘটাতে সৌভিয়েতই উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা পালন করেন।

পরিসংখ্যান বলছে যে, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিলেন। সৌভিয়েতের একাই ২৭ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছেন, এ ছাড়া ও তাদের সহযোগীদের অনেকে মারা গিয়েছিলেন। স্ট্যালিন প্রানান্তকর চেস্টা করেছিলেন এই মহা প্রলয়কে রোধ করার জন্য । পশ্চিমারা তখন মানবতাকে নাজিদের কাছে বিক্রিকরে দিয়েছিলো। কেবল মাত্র স্ট্যালিন ইউরূপে ফ্যাসিবাদের বিজয়কে আটকে দিয়েছিলেন।

পশ্চিমারা স্ট্যালিনকে এক জন সাম্রাজ্যবাদি, ফ্যাসিস্ট, এবং অন্যান্য অন্যান্য কমিউনিস্ট বিরুধি দৃস্টি ভঙ্গীতে বিশ্লেষন করে থাকেন। যেমন – ট্রটস্কীর মত। তবে স্ট্যালিনকে রাশিয়ার জনগণ এখনো ভিন্ন

ভাবে বিবেচনা করে থাকেন। জনমতের পর জনমত জরিপে দেখা যায় যে, এক জন জর্জিয়ান হিসাবে রাশিয়ার একজন শীর্ষ নেতা হলেন স্ট্যালিন। (২)(৩)(৪)(৫)

সর্বশেষ বিপ্লবে পশ্চিমা ইতিহাসে স্ট্যালিনকে বিকৃত ভাবে চিত্রায়ন করা হয়েছে। #শিহাব

Leave a Reply