ধারাবাহিক জিজ্ঞাসা ও জবাব ঃ দি লিডিং লাইট ।

ডাউনলোড PDF

(llbangla.org)

প্রাথমিক কথা ঃ আমরা এখন এক অন্ধকার সময়ে বসবাস করছি ।  দারিদ্রতা, নিরন্তর যুদ্ধ, অনাহার, রোগ সূখ, নিমর্মতা ও ধর্ষন খুন  ও প্রকৃতিক দূষণ আমাদের নিত্য সংগী । ইহা আমাদিগকে হতাশ করতে পারে ।  তবে, আমরা আবার ্মন সময়ে ও আছি যখন মানব জাতি তার উন্নতির এক উচ্ছতম সময়ে উপনিত হয়েছে ; ভালো কিছু করার জন্য প্রচেষ্ঠা ও চালাচ্ছে । অসম্ভবকে সম্ভব করছে । বিপ্লব , একটি রক্তিম লাল ঢেউয়ের মত চড়িয়ে পড়ছে সারা পৃথিবীতে । মনবতার এখন বিকল্প পথে হাঠার সময় এসেছে । যদি ও অতীতের বিপ্লবগুলোর সমাপ্তি ঘটেছে হয়েছে তবে  তারা  আমাদেরকে দেখিয়ে গেছে যে, প্রচলিত ব্যবস্থাকে বদল করা কোন অসম্ভব কাজ নয় । আমরা আরো ভাল করতে পারি । আমরা কর্তৃত্ব দখল করতে পারি । পরবর্তীতে, আমরা দীর্ঘ সময় কর্তৃত্ব হাতে ধরে রাখতে পাবে এবং বিপ্লবের পরিপূর্ণতা আনয়ন করতে পারব । এমন কি এটা ও বলা যায় যে, আমাদের র্ব্যাথতা  পুঁিজবাদের সফলতার চেয়ে ও উত্তম । বিগত মহান বিপ্লবগুলো আমাদেরকে বহুকিছু শিখিয়েছে ।  তবে আমাদেরকে বোঝতে হবে সেই দিন শেষ । অতীতের মহান বিপ্লবগুলোর ঢেউয়ের সমাপ্তি ঘটেছে । যদি ও বিচ্ছিন্ন ভাবে তাদেও কিছু অবশেষ রয়েছে । আমরা মুধুমাত্র অতীতের পানে তাকিয়ে থাকব না । আমরা চেষ্ঠা করব অতীত অভিজ্ঞতা  থেকে আগামীতে ভূল ভ্রান্তি কমিয়ে সামনের পানে এগিয়ে চলার জন্য । সামনের মহান বিপ্লবের ঢেউকে তরান্নিত করতে, আমরা অবশ্যই অতীতকে অধ্যয়ণ করব, সারাংশ করব,বিজ্ঞানে অগ্রগতি আনব, আমাদেরকে প্রস্তুত করব, সংগঠন গড়ে তুলব, নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাব । লিডিং লাইটের কাছে বিজ্ঞান আছে, আছে বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার মত সংগঠন ও নেতৃত্ব । যে কোন বিপ্লবেই  কেহ কেহ অন্যদেও চেয়ে অধিকতর অগ্রসরশীল হয়ে থাকে । কিছু  মানুষ প্রজ্ঞা সম্পন্ন হয় । তারা পথ দেখাতে পারে । তারা অন্যদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন । আবার পদাঘাত ও প্রতারণা ও করতে পারে । তারা হলো নেতার নেতা, পথ প্রদর্শকের পথ প্রদশর্ক । তারাই আধারের আলো, তারাই নেতৃত্ব দেন এবং প্রাগ্রসর জনগৌষ্ঠী । তারাই অগ্রনী বাহিনী । দি লিডিং লাইট ।

যখন কোন মহান বিপ্লবের চূড়ান্ত প্রচেষ্ঠা সংগঠিত হয় তখন বিজ্ঞান নানাহ কৌশল অবলম্ভন করে থাকে । সকলের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা একরূপ নয় । মানুষ এক সাথে সকলেই এগিয়ে যেতে পারে না । আমরা এ বিষয়ে লিডিং লাইটে প্রস্তুতি গ্রহন করছি যারা আমাদের সাথে অংশ নিচ্ছেন । এর অর্থ হলো ইহা প্রাথমিক পরিচিতি । নতুন কর্মী সমর্থকদেরকে আমাদের বক্তব্য সম্পর্কে পরিচিত করানো । এই জিজ্ঞাসা ও জবাব গুলো হলো জ্ঞানের প্রাথমিক স্তর । ইহা চূড়ান্ত কোন বিষয় নয় ; সামনে এগিয়ে আসুন । নিজের যোগ্যতা প্রমান করুন । সর্ব স্তরে লিডিং লাইটের আলো অনুসরন করুন । লিডিং লাইট হয়ে উঠোন ।

১.লিডিং লাইট কি?

লিডিং লাইট কমিইনিষ্ট অর্গানইজেশন, হলো একটি নতুন ধরণের অগ্রগামী সংগঠন । ইহা একটি আর্ন্তজাতিক সংগঠন হিসাবে আসছে মহান কমিউনিষ্ট বিপ্লবের ঢেউ তুলার জন্য কাজ করছে ।    ইহা বর্তমানে অনেক দেশেই কর্মরত । তৃতীয় ও প্রথম উভয বিশ্বেই বিরাজমান । দি লিডিং লাইট প্রধানত গোপনীয় ভাবেই কাজ করছে ।    দি লিডিং লাইট নতুন ভাবে বিপবের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে পরিচালিত , এ যুগের বিপ্লবী বিজ্ঞানের ব্যবহার করে এর উ”্চতম স্তরে উন্নিত হতে চায় আর এটাই হলো দি লিডিং লাইট কমিউনিজম। দি লিডিং লাইট এর হাতেই আছে বিজ্ঞান, সংগঠন, এবং নেতৃত্ব যার আধ্যমে সত্যিকার কমিউনিজমে উন্নিত হওয়া সম্ভব ।

২.অগ্রগামী বাহিনী কি?

প্রতিটি মানুষ একই সময়ে উন্নতির একই স্তরে উন্নিত হতে পারে না । কিছু মানুষ  হয় চরম প্রতিক্রিয়াশীল । কিছু মানুষ দ্বিধাদ্বন্ধে ভোগে । আর কিছু মানুষ সবে মাত্র সচেতনতার পথে পা বাড়িয়েছেন । কিছু মানুষ মোটামোটি অগ্রসর মানষিকতা পোষন করেন । কেহ কেহ বেশ অগ্রসর আবার অনেকেই অগ্রসর চিন্তাভাবনায় উলেরখযোগ্য ভাবে এগিয়ে আছেন । যখন অগ্রগামী মানুষ গুলো সংঘবদ্ধ হয় , তারাই তৈরী করে অগ্রগামী বাহিনী ।  অগ্রগামী বাহিনীর নিকট খুবই অগ্রসরশীল ও উন্নত বিপ্লবী বিজ্ঞান রয়েছে । তারই অগ্রসর হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে প্রকৃত নেতৃত্ব প্রদানের জন্য । তাঁরা হলেন সেই মানুষ যারাঁ অন্যদেরকে ও জাগিয়ে তুলতে পারেন । তারাই মানবতাকে উর্ধ্বে তুলে ধরেন । তারা হলেন পথ প্রদর্শকের পথ প্রদর্শক । তারা হলেন নেতার নেতা । তারাই একসময় অন্ধকার যুগে মানবতাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন । আজকের যুগে দি লিডিং লাইট দুনিয়ার মানুষের জন্য অগ্রগামী বাহিনী ।

৩.অন্যান্য দল যারা নিজেদেরকে বিপ্লবী বলে দাবী করে, তাদের সর্ম্পকে দি লিডিং লাইট এর মতামত কি?

পৃথিবীতে বহু দল উপ দল আছে, যারা নিজেদেরকে বিপ্লবী বলে দাবী করে থাকে । কেহ কেহ প্রগতিশীল কিন্তু ত্র“টিযুক্ত । কেহ কেহ প্রকৃত অর্থেই প্রতিক্রিয়শীল । কেহ কেহ   ফ্যাসিস্ট । কেহ কেহ সংশোধনবাদী । কেহ কেহ বিপ্লবেরে সাথে বিশ্বাসঘাতক । কেহ কেহ মেকী পতাকাদারী । আমরা বিপ্লবী বৈজ্ঞানিক পন্থায় চলার পথে যাচাই করে নিব কে সঠিক আর কে বেঠিক ; কে অগ্রগামী আর কে অগ্রগামী নয ; বিপ্লবের বিজ্ঞান হলো একটি আদেশ । কেবল মাত্র দি লিডিং লাইট বিপ্লবের বিজ্ঞানই আমাদেরকে প্রকৃত স্বাধীনতার পথ দেখাতে পারে ।

৪. অন্যান্য দলের সাথে কি আমরা একতা গড়ে তুলতে পারি?

নীতিগত ভাবে, বিপ্লবী বৈজ্ঞানিক নেতৃত্বের আওতায় আমাদের সব ধরনের লোকের সাথেই মেশা ও একতা গড়ে তুলা উচিৎ । তা অবশ্যই লিডিং লাইট নেতৃত্বের অধীনে হবে । তবে, সকলেই বিজ্ঞান ভিত্তিক নয় । সকলেই আমাদের চূড়ান্ত  উদ্দেশ্যের সাথে সম্পকযুক্ত নয় । সকলেই সর্বহারা শ্রেনীর ও নির্যতিত এবং নিপিড়িত মানুষের  প্রতিনিধিত্ব করে না । তাই সকলের অবস্থান ও এক নয় । তা ছাড়া, সকলে বিপ্লবের বিজ্ঞান ও অনুসরন করেন না ।  আমরা বরং তুলনামূলক ভাবে কম অগ্রসর দলের সাথে একতা গড়ব : যারা আমাদের ও প্রলেটারিয়েটের উদ্দেশ্য  অর্জনে সহায়ক হবেন । আমরা একতার জন্যই একতা গড়ব না । আমরা যখন তুলনা মূলকভাবে কম অগ্রসর দলের সাথে একতা গড়ব তা হবে কৌশলগত ও আন্তরিকতাপূর্ণ । আমরা সবর্দা লাল পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরি । আমাদের সর্বদা সংগ্রাম হবে জোট মহাজোটের ভেতরে নেতৃত্ব অর্জনের জন্য ।

৫. লিডিং লাইট কেন সাধারণত গোপনীয়ভাবে কাজ করে ?

লিডিং লাইট গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ করে এর কারন হলো উৎপীড়ক রাষ্ট্র ; প্রাথমিক ভাবে এর উৎপিড়নকে এড়িয়ে চলার জন্য ।  আমাদের একান্ত উদ্দেশ্যই হলো যে কোন মূল্যে  পুরাতন র্কতৃত্বের (ওল্ড পাওয়ার) অবসান ঘটানো । বার বার আঘাৎ হানা । রাষ্ট্র এবং তাদের এজেন্টদেরকে এবং তাদের নেতা ও তাদের অনুসারীদেরকে বিপ্লবী সংগঠন আঘাৎ করবে । আমাদেরকে অনভিজ্ঞ হলে চলবে না ।

৬.আমাদেও প্রধান উদ্দেশ্য কি? লিডিং লাইট কমিউনিজম কি ?

লিডিং লাইট এর বিপ্লবের প্রধান গন্তব্যস্থলই হলো কমিউনিজম । সকল প্রকার নিপিড়ন ও শোষণের অবসান । কেহ ধনী আর কেহ গরীব থাকবেনা । জাতিগত, গৌষ্ঠীগত ও লিঙ্গগত বৈশম্য থাকবে না । থাকবেনা তরুণ ও যুব সমাজের অপব্যবহার । সাম্যবাদ হলো সম্পূর্ণ মুক্তি ও স্বাধীনতা । এক দলের উপর আর এক দলের কোন প্রকার প্রভুত্ব করার সুযোগ থাকবে না । মার্কস ও লেনিনের ভাষ্য অনুযায়ী রাষ্ট্র হলো এক শ্রেণরি উপর আরেক শ্রেণীর উৎপিড়ক যন্ত্র । যখন এক দল অরেক দলের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্ঠা করবেনা, তখন আর রাষ্ট্রের ও দরকার থাকবে না । সাম্যবাদ হলো ন্যায় পরায়ণতা । সমাজ গঠিত ও পরিচালিত হবে সমাজের প্রয়োজনে । ব্যাক্তিবাদ ও অর্থলিপ্সা থাকবে না । সাম্যবাদী সমাজে মানুষ নিজেকে একা বা একক ভাবে বিবেচনা করবে না । সাম্যবাদ হলো সামগ্রীকতা, সকলের অংশগ্রহনে সকলের জন্য কল্যান । সাম্যবাদে কোন প্রকার ব্যক্তিগত সম্পত্তি থাকবে না । সাম্যবাদ হলো আত্ম ত্যাগের সঠিক নমুনা । মহান মার্ক্সের ভাষ্য হলো, “ সামর্থানুসারে কাজ করবে, এবং চাহিদানুসারে পাবে”। মানুষের কাজকর্ম মানব সেবার চেতনায় পরিচালিত হবে । মানুষ একক সাম্যবাদের আওতায় থাকবে । সাম্যবাদে আমি, আমি,আমি  নেই, সেখানে স্থিতিশীলতা নিশ্চত হবে । সকল মানুষ, আর আমাদের সকলের বাসযোগ্য গ্রহটিকে ধ্বংস করবে না । আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের রয়েছে এক সুন্দর স্বপ্ন ও অঙ্গীকার । সাম্যবাদে কোন প্রকার আগ্রাসী শক্তির আস্ফালন থাকবে না । সাম্যবাদ হলো শান্তি । সাম্যবাদের আওতায় বিপ্লব সয়ংক্রিয়ভাবে চলমান থাকবে । পূর্ণ সাম্যবাদ পৃথিবীতে কখনই ছিলনা, যদিও কোন কোন আদিবাসী সমাজে সাম্যদাদের সাথে মিলে যায়, এমন কিছু  রীতিনীতি চালু ছিল যাকে কেহ কেহ “আদিম সাম্যবাদ বলে অভিহিত করেছেন” ।  বর্তমানে প্রযুক্তি সামাজিক দুঃখ দুদর্শা লাগবে উল্লেখ যোগ্য ভুমিকা রাখতে পারে । যখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে তখন আমাদেও প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার একটি ব্যাপক পরিবর্তন ও পূর্নরগঠন একান্ত আবশ্যক হয়ে দাড়িছে । যেমন ঃ- শ্রেনী সংগ্রম ও নের্তৃত্বের লড়াই । সমাজ ব্যবস্থা এখন যন্ত্রনির্ভর ও জটিলতায় আক্রান্ত । কমিউনিষ্ট বিপ্লবের প্রথম ধাপে অন্ধঅনুসরনের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল । বিজ্ঞানকে অনুসরন করা হয়নি । আমরা কি কেবল বিপ্লবের বিজ্ঞান প্রয়োগ করেই সত্যিকার কমিউনিজমে পৌছতে পারব ? লিডিং লাইট কমিউনিজম হলো পরবর্তী কমিউনিজম । লিডিং লাইট  এর কাছে অনেক অগ্রসর পরিকল্পনা ধারণা রয়েছে যা পূর্বের কমিউনিজমের ধারণা থেকে বহু অগ্রসর । লিডিং লাইট কমিউনিজমই হলো আজকের সবচেয়ে সত্য ও খাঁটি কমিউনিজম ।

৭. ইহতো খুবই চমৎকার বিষয়, তবে ইহা কি মানব প্রকৃতির বিরোদ্ধে যায় না ?

মানব জাতি সবরকম বৈচিত্রময় পরিবেশে বসবাস করেছে  । কোন কোন পরিবেশ ছিল খুবই,শ্রেণী বিভাজিত প্রকৃতির, যেমন সামন্তবাদী, এবং পুঁিজবাদী প্রকৃতির। তবে বেশীর ভাগ মানব সমাজই তার অস্থিত্ব ঠিকিয়ে রেখেছিল সুসম বন্ঠন ভিত্তিক আদিবাসী  সমাজ ব্যবস্থার ম্ধ্যমে । উদাহরণ হিসাবে  উল্লেখযোগ্য হলো যে, উত্তর আমেরিকার আদিবাসী সমাজে সু সম বন্ঠন ব্যবস্থা আজকের পুঁজিবাদী সমাজের চেয়ে অনেক উন্নত ছিল । দুনিয়ার বেশীর ভাগ সমাজ এই প্রক্রিয়ায়ই চলে এসেছে হাজার হাজার বছর ধরে । মহান কার্ল র্মাক্স এই সমাজকেই “আদিম সাম্যবাদী সমাজ” বলেছেন । অধিকন্ত আরো বলা যায় যে, বিংশশতাব্দীতে মহান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর ও তা প্রমানিত হয়েছে যে, মানব জাতি আজ ও অনেক সুসম বন্ঠন ব্যবস্থার ভেতর বসবাস করতে পারে ; পুজিঁবাদী সমাজ প্রদত্ব সুবিধার চেয়ে অনেক বেশী সুবিধা পেতে পারে সাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় । চিন বিপ্লবের উৎকর্ষতার সময়, বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ সাম্যবাদী ব্যবস্থাপনায় বসসাস করতে পেরেছে । এমন কি পৃথিবীর  কোন কোন এলাকায় ছোট পরিষরে হলে ও কিছু আদিবাসী মানুষ সাম্যবাদী সমাজ বজায় রেখেছে । আরো দেখা যায় যে, কোন কোন ধর্মীয় ও অন্যান্য জনগৌষ্ঠি নিজেদেরকে আলাদা ভাবে রাখতে ও শাসন করতে, সাম্যবাদী পদ্ধতীর বন্ঠন প্রক্রিয়া চালু রাখতে  পছন্দ করে থাকে । যদিও ইহা প্রায়শই অগনতান্ত্রিক ও চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতির ভিত্তিতে হয়ে থাকে । তাই ইহা স্পষ্ট ভাবেই বলা যায় যে, সুসম বন্ঠন ও সাম্যবাদী সমাজ মানব প্রকৃতি বিরোধী বলে যে প্রচার চালানো হয়, তা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য নয় ; বরং,ঐতিহাসিক ও বাস্তবতা বলে তাদের দাবী অসত্য ও মিথ্যা ।

যদি এমন ও দেখা যায় যে, সত্যিকার সাম্যবাদী সমাজ ও সমান বন্ঠন ব্যবস্থা কায়েম করা অসম্ভব ছিল অথবা টেকসই হয়নি  কিন্তু এর মানে এ নয় যে, আমরা এই মতবাদের প্রকৃত পথ ও পন্থাকে বোঝার চেষ্ঠা করা থেকে সরে আসব । গবেষনা বলছে, মানুষ অধিক মাত্রায় সাম্যবাদী ব্যবস্থায় সমবন্ঠনের সমাজে সূখ ও শান্তিতে বসবাস করছে । মানুষ সেখানে অধিকতর বেশী দয়া মায়া ও স্নেহশীল জীবন যাপন করছেন । তুলনা মূলক ভাবে সেই সকল সমাজে সমস্যার মাত্রা অনেক কম । তাই আমাদেও উচিৎ সাম্যবাদী সমাজের আদর্শ ও রীতিনীতি সমূহ ভালোভাবে আত্মস্থ কার এবং বোঝা ।

মানুষ তো সমাজে বসবাস করে নিজেদেরকে আরো উন্নত করতে । আমাদেরকে বোঝতে হবে, সমাজকে বুঝাতে হবে, আমাদের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যশীল আদর্শ কোনটি । সমাজকে নিরুতসাহিত করতে হবে কোনটি আমাদের প্রকৃতি বিরোধী । আমরা নতুন শক্তি ব্যবহার করব, নতুন সমাজে নতুন মানুষ গড়তে, একটি উন্নত মানবতাবাদ গড়ে তুলার জন্য ।

৮. মানুষ কি প্রকৃতি গত ভাবে লোভী নয় ?

মানুষ প্রকৃতিগত ভাবে লোভী নয় । মানব ইতিহাসের বিপুল অভিজ্ঞতা বলে যে, তারা সাম্য ও সমবন্ঠনের সমাজে বহু কাল বসবাস  করে এসেছে । সৈনিকগণ প্রাণ দেন তাদের সাথীদের জন্য । পিতামাতা নিজেদের আরাম আয়েশকে বিষর্জন তাদের সন্তানদের জন্য । শহীদগণ প্রান দেন তাদেও আদর্শেও জন্য । লিডিং লাইট আত্মত্যাগ করেন স্বাধিনতার ও দুনিয়ার সকল মানুষের মুক্তির জন্য  । মানুষ প্রকৃতিগত ভাবে দয়ালু ও মহান । আমরা সামাজিক জীব । আমরা যেহেতু পুজিঁবাদী ব্যবস্থার আওতায় বসবাস করছি, এখানে আমরা এই ধারণাই পাচ্ছি যে, মানুষ আত্মকেন্দ্রীক ও লোভী । পুঁজিবাদ মানুষকে এইরূপ ধারণাই প্রদান করে থাকে যে, যদি জীবনে উন্নতি করতে চাও তবে আত্মকেন্দ্রীক ও লোভী হও । আর অন্যদিকে সাধারণ সমাজের মহান আদর্শঋ হলো ‘নিজেরে লয়ে বিব্রত রহিতে আসেনাই কেহ অবনী পরে’ অর্থাৎ অন্যের প্রয়োজনে নিজেকে বিলিয়ে দাও । পুজিঁবাদের আদর্শ হলো সীমাহীন ভোগই সকলের জন্য ভাল ।   আর এই করেনেই মানুষ ভাবে সকলেই লোভী, তাই সমাজের বহু মানুষই আজ লোভী হয়ে উঠেছে, পরিনত হচ্ছে লোভি মানুষে  । মানুষ পুঁজিবাদের আদর্শকে মানুষের প্রকৃত আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করছে । তারা বিশ্ব বুর্জোয়া আদর্শকে প্রথম বিশ্বের এবং মানবতার আদর্শ হিসাবে প্রদর্শন করছে ।

কোন কারনে যদি ও কেহ কেহ লোভী হয়ে উঠে , কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সমাজ এটাকে উৎসাহিত করছে । মানুষের পরিবতর্ন করতে ও হতে  পারে । মানুষ খুবই স্পর্শ কাতর প্রকৃতির হয়ে থাকে । মানুষ তাদের সমাজকে নিজেদেও সংশোধন করার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে থাকে ।  তাই যদি ও কিছু কিছু খারাপ চরিত্র আমাদের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে ,তা বিদূরীত করার জন্য আমরা সমাজকেই ব্যবহার করতে পারি । সমাজকে আমরা সত্যিকার মনবতা গড়ে তুলতে ব্যবহার করতে পারি ; যা মন্দ ও খারাপ তার জন্য নয় । আমরাই নতুন মানবতাবাদ গড়ে তুলতে পারি ।

৯. আপনি কি সমাজিক প্রকৌশলের কথা বলছেন ?

হ্যাঁ , আমি তাই বলছি । সমাজের সকল বিভাগই তো প্রকৌললের আওতাভুক্ত । তবে প্রশ্ন হলো তারা কিসের জন্য প্রকৌশল বিদ্যাকে কাজে লাগাচেছন ? সমাজটাকে তারা এমন ভাবেই সাজাচ্ছেন যেন প্রথম বিশ্বের কিছু দেশ তৃতীয় বিশ্বের বেশীর ভাগ দেশ কে ও তাদের নাগরিকদেরকে শোষন নিপিড়ণ করতে পারেন ।  এই সমাজ টি এমন ভাবে সাজানো হয়েছে, যার ফলে কিছু দেশকে অতিমাত্রায় কর্তৃত্বশীল ও অসম বন্ঠন প্রক্রিয়ায়  সম্পদ শালী করতে সহায়তা করেছে । এই সমাজকে এ্মন ভাবে নক্সা করা হয়েছে, যেখানে সমাজিক অসমতাকে উৎসাহিত করা হয় । এই সমাজ বিশ্ব বুর্জোয়াদের একক কর্তৃত্বে পরিচালিত হয় । এই সমাজ কাঠামো তাদেরকেই কর্তৃত্বে থাকতে সহায়তা করে থাকে । এ সমাজকে এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে, যেখানে মানুষ এবং পৃথীবীর পরিবেশ ও প্রতিবেশকে বুর্জোয়াদের অধিক মুনাফার জন্য  বলিদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দারিদ্র, চারি দিকে নিরন্তর যুদ্ধ, পরিবেশের সীমাহীন বির্পযয় এই সমাজের এক অবিচ্ছিন্ন অংশ । প্রচলিত সংস্কৃতি মানুষকে শেখাচ্ছে পুজিঁবাদী ব্যবস্থা সবচেয়ে ভাল এবং ইহা ই ¯া^ভাবিক জীবন পদ্বতী । কিন্তু বাস্তবতা হলো ইহা কোন ভাবেই স্বাভাবিক এবং ভাল জীবন পদ্বতী নয় ।

লিডিং লাইট কমিউনিজম হলো সামগ্রীকভাবে একটি নতুন ব্যবস্থা । আমরা এমন একটি সমাজ কাঠামোর নক্সা তৈরী করেছি, যা বিপ্লবী বিজ্ঞানের মাধ্যমে পরিচলিত হবে ।  লিডিং লাইট কমিউনিজম মানুষ ও পৃথিবীকে সকল প্রকার মুনাফার উপরে স্থান দিবে । লিডিং লাইট কমিউনিজম মানুষের সেবা নিশ্চিত করবে । ইহা দূর করবে নিপিড়ণ, ইহা দূর করবে দারিদ্রতা, ইহা বিদূরীত করবে সমাজের সকল প্রকার অসমতা । ইহা প্রয়োজনে নানা বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থার ঊদ্ভাবন করবে । ইহাই সত্যিকার মানবতাবাদ । ইহাই  স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন প্রক্রিয়া । লিডিং লাইট কমিউনিজম এমন প্রকৌশল ব্যবস্থার প্রয়োগ করবে যা সকল মানুষকে করবে মুক্ত ও প্রথিবীকে রাখবে শান্তিময় । লিডিং লাইট কমিউনিজম এর  প্রধান উদ্দেশ্যই হলো নতুন মানবতাবাদ গড়ে তুলা ।

১০. আমাদের নেতৃত্ব গ্রহনের প্রক্রিয় কি হবে ? কোন পন্থায়ই বা ঘটবে আমাদের বিপ্লব ?

আমরা এখন প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের মহা যুদ্বের মাঝ খানে দাঁড়িয়ে আছি । দারিদ্র, আখাল, দুঃখ দুদর্শা, নিষ্ঠুরতা, সহিংসতা ও মন্ধা চলছে সর্বত্র। সাম্রাজ্যবাদী প্রথম বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বকে এক মহা কবরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে । যারা এখন র্কতৃত্ব করছে তারা যুদ্ধ বিনা তা ছাড়বেনা । কর্তৃত্বের বাহিরে থেকে এর কোন প্রকার সংশোধন ও সম্ভব নয় । ভুলই হোক আর সঠিকই হোক আমাদেরকে লড়াই সংগ্রামে নামতেই হবে । প্রস্তুতি বিহীন তাড়াহুড়া করে লড়াই করতে নামলে পরাজয় অনিবার্য । যারা অবৈজ্ঞানিক ভাবে তাড়া হুড়া করে, তাদেরকে হারতেই হয় । যাদের নিয়ম শৃংখলা নেই তাদেরকে ও হারতে হবে । যাদের সংগঠন নেই তাদেরকে ও হারতে হবে । যাদের পরিকল্পনা নেই তাদের কে ও পরাজিত হতে হবে । এই ধরনের আচরণ হলো পাতি বুর্জোয়া অথবা  বুর্জোয় মানসিকতার ফল । প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন লিডিং লাইট কমিউনিষ্ট নেতৃত্ব, সংগঠণ এবং শৃংখলা । আপনি যদি সত্যিই পৃথিবীর পরিবর্তন চান, তবে আপনার নিজের ব্যক্তিগত আবেগ, অনুভুতি এবং নিচুতাকে ও ইগ্যুকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে । আপনাকে    লিডিং লাইট কমিউনিজম এর নেতৃত্ব গ্রহন করতে হবে । লিডিং লাইট কমিউনিষ্ট একটি বিশ্বব্যাপি জনযুদ্ধ পরিচালনা করবে এবং বিজয়ী হবে ।

আমাদের যুদ্ধ হলো বিশ্ব জনযুদ্ধ । ইহা হলো সেই মহান যুদ্ধ যা সকল যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাবে । ইহা হলো প্রকৃত স্বীধনতা যুদ্ধ । আমরা যদি নিজেদের বাচাঁনোর জন্য উঠে না দাড়াঁই , তবে কিছুই কখন ও পরির্বতন হবে না । বিশ্ব জনযুদ্ধ হলো বিশ্ব মানব মুক্তির ও কর্তৃত্ব অর্জনের মহান রাজ পথ  । এই অর্থে  জনযুদ্ধ হলো এক মহান ও স্বার্বজনীন এক যুদ্ধ । পৃথিবী ব্যাপী যুদ্ধ আর্ন্তজাতিকতাবাদী এক যুদ্ধ ।

ইঁহা আমাদের বোঝা খুবই প্রয়োজন যে, জনযুদ্ধ কেবল মাত্র সেনাবাহিনী ও সৈনিকের বিষয় নয় । যেখানে প্রয়োজন হবে, আমাদের দরকার পরবে সেখানে আমরা ভিত্তি এলাকা বা লাল অঞ্চল তৈরী করার । এই লাল এলাকায় আমরা নতুন শক্তির বিকাশ ঘটাবো । আমরা নিপিড়িতদের  জন্য স্বাধিন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলব ।  আমরা ছোট পরিষরে নতুন মডেল রাষ্ট্র গড়ে তুলব । আমরা গনবাহিনী গড়ে তুলব , যা হবে একটি শক্তিশালী লাল ফৌজ । আমরা নতুন সংস্কৃতি গড়ে তুলব । আমরা নতুন সমাজের নতুন মডেল প্রদর্শন করব । আমরা সাধারণ জনগণের বিদ্যা অর্জনের জন্য বিদ্যালয় গড়ে তুলব । আমরা বিপ্লবী সংস্কৃতি তৈরী করব । নতুন শিল্প, নতুন সংগীত, নতুন নৃত্য চালু করব । আমরা গণ আদালত তৈরী করব । আমরা গণ কমিটি গড়ে তুলব । আমরা নতুন ও যৌথ অর্থনীতি চালু করব । আমরা আমাদের পরিবেশ ও প্রতিবেশের সাথে নতুন সম্পর্ক সৃষ্টি করব । আমরা জনগনের সেবক হব । আমরা আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করব । আমরা বিপ্লবে বাচঁব । আমাদের গড়ে তুলা লাল এলাকা গুলো বিশ্বের নিপিড়িত ও শোষিত মানুষ গুলোর আশার প্রথিক হয়ে উঠবে । আমরা প্রথমে কোন এলাকা, এর পর দেশ এবং এর পর সমগ্র দুনিয়ায় বিপ্লব সাধনের জন্য এগিয়ে যাব ।

লিডিং লাইটের নেতৃত্বে বিশ্ব জনযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ব বিপ্লব সংঘটিত হবে । লিডিং লাইট কমিউনিজম আনেক গুলোদেশের স্বাধিনতার লড়াইয়ে অনেকদেশকে ঐক্যবদ্ব করবে একটি মাত্র যুদ্ধ ও লড়াইয়ে লড়বার জন্য । আমাদের লড়াই শুরুই হবে কোন একটি পশ্চাৎপদ এলাকা  থেকে । ইহা আসবে গ্রাম গ্রামান্তর থেকে । ইহা আসবে দুনিয়ার বড় বড় বস্তিবাসীদের নিকট থেকে । ইহা আসবে  জংগল থেকে ।  এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার পাহাড় ও অরণ্য থেকে । এই মহান বিপ্লব প্রথম বিশ্বের তুলনায় তৃতীয় বিশ্বে বেশী দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে । ইহা প্রথম বিশ্বকে তাদের বর্তমান অবস্থান গত কারণে সাময়িক বিরত রাখতে পারে, নতুন শক্তি প্রথম বিশ্বের উপর আরোপ করা হবে, তখন দেখা যাবে যে, তাদের জনসাধারণ তা গ্রহন করে কি না ? ইহা সকল প্রকার সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, এবং অবিচারের  অবসান ঘটাবে । ইহা হবে এক সমহান উজ্জলতম স্বাধিনতার উদাহরন । সংগ্রাম আন্দোলনের ভেতর দিয়ে একটি নতুন মানব গৌষ্ঠির সৃষ্টি হবে, এবং যারা একটি নতুন দুনিয়া গড়ে তুলবেন ।

১১. বিপ্লব কি অবশ্যই সহিংস হতে হবে ? শান্তি পূর্ণ নয় কেন?

বিজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়া ইতিহাসের দিকে থাকালে আমরা দেখতে পাব যে দুনিয়ার কোন পরিবর্তনই সরল পথে হয়নি। একটি জটিল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে । সমাজিক শক্তি গুলোর মধ্যে দ্বন্ধের ভেতর দিয়েই সকল সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে  । মহান কার্ল মার্কস বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাস হলো শ্রেণী সমূহের দ্বন্ধের ইতিহাস । পূর্বের সকল বিপ্লবের আকাঙ্খা ছিল কমিউনিষ্ট আকাঙ্খা এবং গন মানুষের আকাঙ্খার ই নামান্তর । সেই বিপ্লবে সহিংস ও অহিংস দুই ধরনের ব্যবস্থাই ছিল ।  বিপ্লব কোন ডিনার পার্টি নয় । কমিউনিষ্টদের নেতৃত্বে পরিচালিত বিপ্লব সমাজের মৌলিক কাঠামোগত আমূল পরিবর্তন আনয়ন করবে । এটা সমাজের সংসকৃতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্র কাঠামো, এবং নাগরিক সমাজের আমূল পরিবতর্ন ঘটাবে । একটি সামাজিক শক্তি আর একটির উপর কতৃত্ব গ্রহন করবে । লিডিং লাইট কমিউনিজম বিপ্লব সাধনের জন্য আমাদেও পৃথিবীতে প্রয়োজনীয় পরিস্থিতির সৃষ্ঠি করছে । কর্তৃত্ব এবং সুযোগ সুবিধা মৌলিকভাবে  পরিবর্তন সাধন করতে হবে । সম্পদ ও তার বন্ঠন ব্যবস্থা ব্যাপক ভাবে পরিবর্তিত হবে । সামগ্রীক জীবন ব্যবস্থার সকল অসংগতি বিদূরিত করে নতুন নিয়মে পরিচালিত হবে । কেহ কেহ এটা সমর্থন করবে আবার কেহ কেহ এটা সমথর্ণ করবে না বরং এর বিরোীধতা করবে । সমাজিক পরিবর্তনটি কোন প্রার্থনা অনুষ্ঠানের মত হবে না । ইহা কোন মন্ত্রবলে ও সাধিত হবে না । এটা কেবল মাত্র আমাদেও আশা আর অঙ্গুলি হেলনে ও হবে না । লিডিং লাইট কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার জন্য সত্যিকার অর্থেই সামাজিক পূর্নগঠণ মূলক কার্যক্রম গ্রহন করতে হবে । আমরা অবশ্যই শত্র“ মিত্র যাচাই কওে নেব । ইহা নিপিড়িত ও অসহায় মানুষের ভরসার স্থল ও নতুন শক্তি হিসাবে  গড়ে উঠবে । ইহা বিদ্যা অর্জন এবং আদর্শিক পূর্নগঠণে উদ্দোগ গ্রহন করবে । এটা বিপ্লবের  স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহন করবে, সাম্রাজ্যবাদ,পুঁজিবাদ, সমন্তবাদ , ফ্যাসিবাদ, প্রথমবিশ্ববাদী এবং অন্যান্য প্রতিক্রিয়শীল গৌষ্ঠিকে সমূলে বিনাশ করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করবে । বর্তমানে যে প্রথম বিশ্ব রয়েছে তাদেরকে ও আমরা ছিন্ন ভিন্ন  করে দেব । বাস্তবতা হলো এই লড়াই সংগ্রাম তার প্রয়োজনেই সহিংস হয়ে উঠবে ।

১২. গান্ধি ও মার্টিন লুথার কিং সম্পর্কে আপনাদের ধারণা কি? তাঁরা তো অহিংসভাবেই জয়ী হয়েছেন ।

প্রথমতঃ গান্ধি ও মার্টিন লুথার কিং জুঃ সম্পকে প্রচুর উপকথা ও কাহিনী প্রচলিত আছে । প্রকৃত ইতিহাস জানা আমাদের খুবই দরকার , প্রচলিত বিদ্যালয়ে যে বাজারী ও কাল্পনিক ইতিহাস পড়ানো হয় তা নয় ।

দ্বিতীয়তঃ গান্ধি ও মার্টিন লুথার কিং উনারা কেহই আমাদের মত সমাজের মৌলিক আমূল পরিবর্তনের জন্য উদ্দোগী ছিলেন না । তারাঁ প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কার ছেয়েছিলেন মাত্র, আর পুরাতন রাজনৈতিক শক্তির সাথে কতিপয় বিষয় নিয়ে দরকষাকষি করেছিলেন । গান্ধীর ব্যাপারে কথা হলো, ব্রিটিশ উপনিবাস বাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রনের পরিবর্তে আংশিক ও উপ উপ নিবাসবাদের আদলে সাম্রাজ্যবাদের সাশন প্রতিষ্ঠা করতে ছেয়েছিলেন । আর  মার্টিন লুথার কিং এর ব্যাপারে কথা হলো, তিনি তো সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের বিনাশই চাননি, বরং তাকে স¤প্রসারিত করতেই ছেয়েছেন, শুধু র্শত  ছিল আমেরিকায় কালো মানুষেরা যেন রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা পায় । তবে অবশ্যই তাঁদের অবদানের কারণে সমাজ ব্যবস্থায় অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামের পটভূমি রচনায় ও সংস্কারে ভূমিকা রাখে । আপনি যদি কেবল মাত্র সরকারকে কম আয়কর দিবেন বলে দাবী করেন তবে, যে প্রতিক্রিয়া হবে, নিশ্চই আরো বেশী প্রতিক্রিয়া হবে যদি, দাবী করেন যে পুরো পঁিজবাদি ব্যবস্থাটাকেই আপনি বিনাশ করতে চান । মানবতার সামগ্রীক মুক্তির পশ্নটি আর অন্য কোন প্রকার সংস্কারের বিষয়টি মোটেই এক জিনিষ নয় । যেমন, আয়কর কমানো, পরিবেশ উন্নয়ন, বেকার ভাতার দাবী ইত্যাদী । গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিং এর দাবী গুলো সেই রকম সংস্কারমূলক ও ছিলনা । লিডিং লাইট কমিউনিজম হলো আমূল পরিবর্তন কারী সংগঠন, সমাজের মৌলিক ও গভীর উপাদান গুলোর  পূর্নবিন্যাশে বিশ্বাসী এক অগ্রণী বাহিনী । ইহা স্বল্প সংখ্যক লোকদের কাছ থেকে সম্পদ নিয়ে অন্যান্য লোকদের মাঝে বিতরনের ব্যবস্থা গ্রহন করবে । ইহা স্বল্প সংখ্যক লোকদের নিকট থেকে কর্তৃত্ব কেড়ে নিয়ে সকলের মাঝে সর্মপন করবে । ইহা হাজার বছর ধরে চলে আসা সমাজের মৌলিক উপাদান এবং রিতিনীতির পবির্তন করবে ফেলবে। এটা  নির্বাচনে নিচক ভোট পাওয়া নয় ।  লিডিং লাইট কমিউনিজম হলো বিপ্লবের দাবীতে অনঢ়  এক মহান সংগঠনের নাম ।

অধিকন্ত, গান্ধী  ভারতীয় স্বাধিনতা আন্দোলনের,কোন উল্যেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন না । ভারতীয় আন্দোলনের পেছনে যে গুরুত্বপুর্ন কারনটি ছিল তা হলো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ । ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সেই যুদ্ধে দুর্বল ও অনেকাংশে বিধস্ত হয়ে গিয়েছিল । তাদের জন্য তাদের বিশাল সাম্রাজ্য ধরে রাখা কঠির হয়ে পড়েছিল । কে অর্থে  বিশ্ব ব্যাপী উপনিবেশ বিরোধী আন্দোল শুরু হওয়ার পর ই ভারতীয় স্বাধিনতার অর্ধেক অর্জিত হয়ে গিয়ে ছিল । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুধু সশস্র সংগ্রমকেই অনুমোদন করেনি বরং তাকে বিজয়ী ও করেছে , সেই কারনেই সর্বত্র স্বাধিনতা আন্দোলন সফলতা অর্জন করে , আর সেই গুলোর সবই অহিংস ছিলনা । একটি উপনিবেশ দখল করার আন্দোলন অন্য আরেকটিকে উৎসাহিত করেছে এবং দুর্বল থেকে দুর্বলতর করেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদেরকে । সাম্রাজ্যবাদের কোন একটি অংশে সশস্র সংগ্রাম প্রকারান্তরে অন্যদিকে  ভারতীয় স্বাধীনতার আন্দোলনকে সহায়তা করেছে । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মূলত সেই বিশাল কাজটিই করে দিয়েছিল । পরিস্কার করে বললে বলতে হয়, ভারতীয় স্বধীনতা সংগ্রামের একমাত্র ব্যাক্তি গান্ধী নন । সেখানে আরো বহু সংগ্রামী শক্তি ছিল, তারা কখনই নিজে দেরকে অহিংস আন্দোলনকারী হিসাবে  বলেন নি। স্বাধীনতার বিষয়টি সত্যিই একটি জটিল প্রক্রিয়া । ব্রিটিশরা তাদের স্বর্থের প্রয়োজনেই গান্ধীবাদীদের নিকট দেশের নেতৃত্ব হস্তান্তর করতে ছেয়েছিল  । ইহা কালো মানুষদের আন্দেলনে ও প্রয়োগ করা হয়ে ছিল । ইহা বিশ্ব ব্যাপী উপনিবেশবাদের বিলুপ্তির আন্দোলনে বৃহত্তর পরিষরে সংগঠিত হয়েছিল । তবে সকল জায়গায় অহিংস পরিস্থিতি ছিলনা ।  মার্টিন লুথার কিং ই একমাত্র আন্দোলন কারী ছিলেন না বরং আরো অনেকই ছিলেন । গ্যাটুসকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল । তৎকালিন প্রচলিত ব্যবস্থাকে সংগ্রামের শক্তি প্রয়োগ করে অবদমিত করে নবদিগন্তের উন্মেষ ঘটানো হয়েছিল যাদের মধ্যে সবাই অহিসং ছিলেন না । একটি মিথ্যা উপকাহিনী চালু আছে যে, কেবল মাত্র অহিংস আন্দোলনের পথেই সংস্কার ও সামগ্রীক পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে । কিন্তু এর সত্যিকার ইতিহাস অনেক জটিল ।

কর্তৃত্ব কেহ কাউকে দেয়না বরং তা কেরে নিতে হয় । অবশ্যই, বিপ্লবের সফলতার জন্য সমাজের নেতৃত্ব ও সুযোগ সুবিধা  যারা ছেড়ে দিতে চায় না, সাধারণ নিপিড়িত মানুষ তাদের কাছ থেকে নেতৃত্ব কেরে নিবে  । যারা বিপ্লবের বিনাশ কামনা করে তাদের কাছ থেকে তাকে হেফাজত করতে হবে । বিপ্লব হেফাজত করতে হলে অবশ্যই  একে অন্যের উপর শক্তি প্রয়োগ করতে হবে ।  কোন কিছুই একক ভাবে হয়না । সেখানে কিছু মানুষ থাকবেই যারা সবাত্মক চেষ্ঠা করবে পুঁজিবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্যে । পুজিঁবাদ নিমর্ম কসাইয়ের মত তৃতীয় বিশ্বের সম্পদ কেরে নেয়ার জন্য যত্রতত্র বোমা ফেলছে । আপনিকি মনে করেন যে, আপনি বললেই তারা তা বন্দকরে দিবে । আমাদের প্রয়োজন সত্যিকার বিপ্লব সাধন করা কোন প্রকার অলিক কল্পনা নয় ।

১৩. আমরা কি কেবল মাত্র সমাজটা কে সংস্কার করতে পারি না?

না। লিডিং লাইট কমিউনিজম কায়েম করতে হলে, আমাদেরকে পুরাতন পৃথিবীটাকে ভেঙ্গে নতুন ভাবে গড়ার কাজে হাত দিতেই হবে । আমরা হাজার বছর ধরে চলে আসা সামাজিক রীতিনীতির পরিবর্তন সাধন করে নতুন এক ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চাই । আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সমাজেন নিপিড়ন বিনাশ করা । আমরা সম্পূর্ন নতুন সমাজ গড়ে তুলতে চাই । আমরা নতুন নেতৃত্বের সূচনা করতে চাই । আমরা লড়ছি সমাজের আমূল পর্ণগঠনের জন্য । আমরা দুনিয়ার সকলধনীদেও সম্পদ কেওে নিব এবং দরিদ্রদেরকে তা দিব । বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের মাঝে । আমরা জীবনকে সাম্যবাদী পন্থায় গড়ে তুলব । আমরা সত্যিকার রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে শোষিত ও নিপিড়িত মানুষকে গড়ে তুলব । বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের মানুষকে । আমরা রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রদান করব তরুণ সৈনিকদেও মাঝে । আমরা প্রথম বিশ্বের প্রচলিত দাপট কমিয়ে আনব  । আমরা প্রচলিত জেন্ডর ধারণার অবসান ঘটাব । আমরা রাষ্ট্রকে বিদূরিত করব । আমরা সমাজটাকে গড়ে তুলব এবং কাজে লাগাব মানব ও পৃথিবী বান্ধব হিসাবে ; বাজার, পুঁজি, বা প্রথম বিশ্বের জন্য নয় । আমরা সৃজন করব নতুন সংস্কৃতি, নতুন শিল্প, নতুন সঙ্গীত, নতুন নৃত্য ইত্যাদি । আমরা গৃহর ও বাহিরের কাজ কর্মের ও খেলাধুলার ব্যবধান বিদূরিত করে দিব । আমাদের বিপব হলো সকল ভন্ডামীর অবসান । লিডিং লাইট কমিউনিজম হলো এ পর্যন্ত আমাদেও জানা সব ছেয়ে অগ্রসরশীল সংগঠন ।

অবশ্যই, সম্পদশালী ও সমাজের কর্তৃত্বশীল ব্যাক্তিগন এর বিরুধিতা করবেন  কেননা তারা প্রচলিত ব্যস্থার সুবিধাভোগী শ্রেনী । যারা কোন না কোন ভাবে সামাজিক কর্তৃত্বের সাথে জড়িত তারা কিছুতেই তাদের নেতৃত্ব ছেড়ে দিবে না এবং সমাজের মৌলিক কোন পরিবর্তন ও মেনে নিবে না । সংশোধনবাদের কথা হলো, আমরা ক্রমান্নয়ে সংস্কারের মাধ্যমে সাম্যবাদী সমাজে ঊন্নিত হতে পারি । অথচ বাস্তবতা হলো যারা নেতৃত্বে আছেন তারা আমাদেরকে পদে পদে বাধাঁর সৃষ্টি করবে । তারা শক্তি প্রয়োগ করে আমাদের কার্যক্রমকে, মহান বিপবকে থামিয়ে দিবে । কর্তৃত্ব কেহ কাউকে দেয়া হয়না তা কেরে নিতে হয় । তা ইতিহাসের বাকেঁ বাকেঁ প্রমানিত হয়েছে । বিপবই হলো সমজের সত্যিকার পরিবর্তনের একমাত্র সঠিক পথ  তা সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব নয়।

১৪. আপনারা কেন বলছেন “বিজ্ঞান হলো একটি কমান্ড” ? ইহা কি বিজ্ঞান নয় যার মাধ্যমে মানুষকে নিপিড়ণ করাহচ্ছে ?

বিজ্ঞান হলো এ্মন একটি হাতিয়ার, যার মাধ্যমে আমরা অনেক জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারি । সমাজের সামগ্রীক পরিবর্তন করতে, হাজার বছর ধরে সমাজে চলে আসা নির্যাতন, নিপিড়ণ বন্ধ করতে, সমাজকে নতুন ভাবে সাজাতে, কমিউনিষ্ট বিশ্ব গড়ে তুলতে, যেখানে শান্তি, সাম্য, এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা অনেকাংশে জটিল থেকে জটিলতর হতে পারে। আমরা সেখানে কোন প্রাথর্না বা যাদু মন্ত্র ব্যবহার করবো না । ০০ বিজ্ঞান আমাদেরকে এক নতুন পথ প্রদর্শন করবে যা পৃথিবীকে আরা ভালো ভাবে গড়তে, পরিচালনা করতে সহায়তা করবে । ইহা আমাদেরকে এক নবদিগন্তের পথ প্রদর্শন করবে । বিজ্ঞান আমাদেরকে এমন একটি পথ প্রদর্শন করে  যার মাধ্যমে ব্যাক্তিবাদের সীমাদ্ধতার পরিবর্তে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহনে উৎসাহিত করে । চলান সমাজ ব্যবস্থার আওতায় বিজ্ঞানকে কখনও কখনও মানুষকে নিপিড়ন করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তবে এর অর্থ এই নয় যে, বিজ্ঞান নিজেই কোন সমস্যা । আমরা বিজ্ঞানকে বর্জন করার কথা বলছিনা বরং এটাকে আমরা নিপিড়কদের নিকট থেকে কেড়ে নিয়ে মানুষের কল্যানে ব্যবহার করব । লিডিং লাইট কমিউনিজম বিপবী বিজ্ঞানকে নিপিড়ক শ্রেণীর বিপরীকে ব্যবহার করবে । আমরা যখন বলি, “বিজ্ঞান হলো একটি কমান্ড” এর অর্থ হলো “ বিপবী বিজ্ঞান হলো একটি কমান্ড” বা । “লডিং লাইট কমিউনিজম হলো একটি কমান্ড ” ।

১৫.  লিডিং লাইট কমিউনিজমকে আপনারা কেন বিপ্লবী বিজ্ঞানের র্সবোচ্চ স্তর বলছেন ?

নিপিড়ক শ্রেণী তাদের রাজত্বকে অধিকতর মজবুত করতে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করছে । তারা শোষন প্রক্রিয়া কে স্থায়ী ও কার্যকরী রাখতে তাদের সহযোগী বুদ্ধিজীবিদেরকে মোট অংকের অর্থ প্রদান করছে থাকে । তারা পুজিঁবাদী ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে গবেষনা মূলক কাজর জন্য  তারা বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে । আমরা শক্তির সাথে শক্তি মেলাব ।  আমরা মেধার সাথে মেধা মেলাব । বিগত ২০০ শত বছর যাবত তারা যেমন বিজ্ঞানকে নিপিড়নের কাজে ব্যবহার করেছে, আমরা এর পরিবর্তে মানুষের মুক্তি ও স্বাধিনতার জন্য বিজ্ঞানের উন্নয়ন ঘটাব  এবং ব্যবহার করব । মহান র্কাল মার্কসই সর্ব প্রথম বিজ্ঞানকে একটি মানবিক ও সূমহান উদ্দেশ্যে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহার করেছিলেন ; যা মানুষকে সত্যিকার স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিতে পারে। মার্কসের সময় থেকেই বিলিয়ন বিলিয়ন লোককে জড়িত কর ব্যাপকভাবে সমাজিক বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষনা চলে আসছে , যা আমাদেরকে বিশাল জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা এনেদিয়েছে । আমরা অবশ্যই অতীত কে অধ্যয়ন করব, বিশেষ করে বলশেভিক ও মাওদাদী অভিজ্ঞতাকে । আমরা অবশ্যই ইতিহাসের সর্ববৃহৎ গবেষনাগারের দিকে নজর দিব । আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হলে আমাদেরকে আগের বিপ্লব গুলো মত ও নানা রকম সমস্যা মোকাবেলা করে এগোতে হবে । আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে আগের বিপ্লব গুলো কমিউনিজম কায়েম করতে গিয়ে কি কি সঠিক ও কি কি ভূল করেছেন । আমাদেরকে অবশই বুঝতে হবে সমাজের শক্তিসমূহ কি কি রীতিনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয় । তবে, আমাদেরকে পিছনের দিকে থাকিয়ে থাকলে চলবে না । আমাদেরকে দেখতে হবে পৃথিবী কি কি ভাবে পরিবতির্ত হয় । সর্বশেষ এক মহান বিপ্লব ঘটে গেল মওবাদী পন্থায় চিন দেশে । তার চরম উৎকর্ষতা আমরা দেখতে পাই তার সাংস্কৃতিক  বিপ্লবের সময় । সেটা ও পায় অর্ধ শতাব্দী আগের কথা । ইহা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে আমাদেরকে বুঝতে হবে সেই সময় থেকে পৃথিবী কিভাবে পরিবতির্ত হয়েছে ।

অতীতে কমিউনিজমে পৌঁছার জন্য প্রচেষ্ঠা থেকে  দি লিডিং লাইট এর বাস্তব ও অনেক প্রাগ্রসর অভিজ্ঞতা আছে । দি লিডিং লাইট এর নিকট এমন একটি অর্থনৈতিক তত্ত¡ আছে, যা বিশ্ব শ্রেণী বিশ্লেষনের ভেতর দিয়ে গড়ে ঊঠেছে ; নতুন প্রক্রিয়ায় চলমান শোষন ও মূল্যতত্ত¡, নতুন প্রলেতারিয়েত, নতুন সমাজতন্ত্র, এবং নতুন বিশ্ব জনযুদ্ধ । দি লিডিং লাইট আমাদের বুঝার পরিসরটিকে স¤প্রসারিত করেছে এবং াামরা বুঝতে পারছি কিভাবে জেন্ডার ইস্যূ বিশ্ব পরিসওে কাজ করে । দি লিডিং লাইট আমাদেরকে বুঝতে শিখিয়েছে প্রতিবিপ্লব ও সংশোধনবাদ কিভাবে সংঘটিত হয় । দি লিডিং লাইট আমাদেও বুঝতে শিখিয়েছে জ্ঞানবিজ্ঞান  এবং এর পদ্ধতি । দি লিডিং লাইট আমাদেরকে শিখিয়েছে কিভাবে অতীতের ভূল সংশোধন করে কমিউনিষ্ট ভিশন সঠিক ভাবে স্থির ও নির্ধারণ করতে হয় । দি লিডিং লাইট হলো আর্ন্তজাতিক চর্চার নাম, নতুন কর্তৃত্ব ও শক্তির প্রথম বিশ্বের তত্ত¡ । বিভিন্ন কারণে অতীতের বিশ্ব জনযুদ্ধ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়েছে । এটা খুবই সাধারণ বিষয় যে, ইতিমধ্যেই পরিস্কার হয়ে গেছে দুনিয়ার পরিবর্তনের জন্য আর কোন বিকল্প পথ নেই । আজ দি লিডিং লাইট হলো কেবলমাত্র সাম্যবাদ বা কমিউনিজম ।

১৬. আপনারা কত বড় দল ? আপনাদের এতিহাসিক পটভূমি কি? আপনাদেও কার্যক্রম কেমন? কি ভাবে ককাজ করেন ? আপনাদের মহান কর্মপরিকল্পনা গুলোইবা কি কি?

আমরা কখনই আমাদের সংখ্যা ও শক্তি প্রকাশ করিনা । যদি কেহ বলেন যে, তিনি দি লিডিং লাইট এর পতিনিধিত্ব করছেন তবে বুঝতে হবে আসলে তিনি তা নন । কেহ যদি বলেন যে, তিনি দি লিডিং লাইট এর ভেরের খবর জানেন তবে জানবে যে, তিনি সঠিক কথা বলছেন না  অথবা বিভ্রান্ত করছেন। আমাদের পরিচয় সর্ম্পকে কোন প্রশ্নে আমরা নিরব ।  এসব কারো জানার কোন প্রয়োজন নেই । তবে, মানুষ তা জানতে আগ্রহী । এটা আমরা ও  তা বুঝি । এই সকল তথ্য প্রকাশ করলে আসলে রাষ্ট্রই লাভবান হয় । আমরা গোপনীতা বজায় রাখি । আমরা যাচাই বাছাই করে প্রবেশাধিকার দেই । আমরা অনেকের জন্যই হুমকী ।  আমরা নতুন কর্তৃত্ব গড়ছি  । আমরা ভাগ ভাগ করে কাজ করছি । তথ্য প্রবাহ চাহিদা ভিত্তিক । আমরা আমাদের পরিকল্পনা পকাশ করিনা । বিজ্ঞান অধ্যয়ন করি । রাজনীতির গভীওে প্রবেশ করি । বুঝার চেষ্ঠা করি কি বলা হয়েছে এবং কি বলা হয় নি ।

আমরা সাদা এবং কাল, প্রথম বিশ্ব এবং তৃতিীয় বিশ্ব, নারী ও পুরুষ, প্রবিণ এবং নবীন । আমরা সর্বত্র আছি । আমরা মানব জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে পরিচালিত করি । আমরা সত্যিকার বিপ্লবে কর্মরত । আমাদের অন্তর পরিশুদ্ধ । কোন ঈগু নেই । আমরা সুশৃংখল আমরা দি লিডিং লাইট এর লাল ফৌজ । আনূগত্য, শৃংখলা, বুদ্ধিমত্তা, বিজ্ঞান ও ত্যাগ আমাদের পথের দিশা ।

১৭. আমি কিভাবে সহায়তা করতে পারি ?

নিজেকে জ্ঞানী হিসাবে গড়ে তুলুন । বিপ্লবের বিজ্ঞান অধ্যন করুন । আদর্শের আলোকে নিজেকে গড়ে তুলুন । দি লিডিং লাইট কমিউনিজমের সাথে পরিচিত হোন । ঈগু ত্যাগ করুন । এর জন্য আমাদের হাতে কোন সময় নেই । দান করুন । যোগাযোগ করুন দি লিডিং লাইট এর সাথে ; দি লিডিং লাইট এর সৈনিক হবার জন্য । দি লিডিং লাইট কে অনুসরন করুন । দি লিডিং লাইট হয়ে উঠোন । আমরা আপনার উপযোগী কর্ম ও কর্তব্য নির্ধারণ করে দিতে পারব ।

আপনাকেই তা প্রমান করতে হবে যে আপনিই এই কর্মেও জন্য অগ্রসরশীল । কিছু সময় লাগবে । আপনাকে একটি স্তরে উন্নিত হতে হবে । আমরা সাধারণ ভাবে গোপনীয় সংগঠন । আমরা কোন কাজ কিভাবে করছি অথবা সবকিছু বুঝে ফেলার আশা করবেন না ।

যদি দি লিডিং লাইট এর এই সংগ্রমে শরিক হতে না পারেন তবু আমাদেরকে সহযোগীতা করতে পরবেন । আমাদেরকে অনুদান করে । অনুদানকে আমরা ছোট কওে দেখিনা । ইহা আমাদের চলমান কার্যক্রমকে গতিশীল করতে সহায়ক হয় ।  আমাদের কাজকর্মের উন্নয়ন ঘটায় এবং আমাদের আদর্শ প্রচারে সহায়তা করে ।

দি লিডিং লাইট কে একটি কমান্ড হিসাবে দেখুন । দি লিডিং লাইট হোন ! দি লিডিং লাইট কে আন্তরিকভাবে অনুসরন করুন !

Leave a Reply