নাইন এলিভেন.. ৯/১১…

(llbangla.org)২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর, এক চরম নাঠকীয় কায়দায় আমেরিকা আক্রান্ত হয় । আমেরিকার অর্থনৈতিক শক্তির প্রতিক বলে পরিচিত বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্র দুটি যাত্রীবাহি বিমানকে মিসাইল হিসাবে ব্যবহার করে আক্রমন শানানো হয়েছিল এবং আমেরিকার সামরিক শক্তির প্রতিক পেন্টাঘনে আঘাত করা হয়েছিল আরো একটি বিমান নিয়ে ।  এছাড়া আরো একটি মিসাইল হিসাবে ব্যবহূত বিমান পথেই ক্রাশ করেছিল । এই ঘটনায় প্রায় তিন হাজার লোক মারা গিয়েছিল । এই আক্রমনটি একই সাথে বিভিন্ন দিক থেকে সংঘটিত করা হয়েছিল । আমেরিকা এই ঘটনায় আফগানিস্তান ও ইরাকে আক্রমন ও আগ্রাশন চলাবার অজুহাত খোজেঁ পেয়েছিল । আমেরিকা একে তাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার শক্তি বৃদ্বির অজুহাত হিসাবে ও ব্যবহার করে। তারা  একে সেনা শিল্প, নিরাপত্তা শিল্প, পুলিশি কার্যক্রম, বাজেট বৃদ্বি ও প্রযুক্তিগত বিষয়কে বিপুলভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ পায়। তারা এই ঘটনাকে দূরদূরান্তে নজরদারী করার কাজে লাগায় ।  এই আক্রমনটিকে আমেরিকা সীমান্ত এলাকায় সামরীকি করণ ও অভিবাসী মানুষের উপর নির্যাতনের অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করেছিল। তারা এ কে ইসলাম ও বিশেষ করে আরব বিশ্বকে সন্ত্রাসী হিসাবে অভিহিত করার কারণ হিসাবে দাঁড় করায় । আর এর সবগুলোই ছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্বেরই অংশ যা মার্কিণ রাষ্ট্র , তাদের মিডিয়া এবং নীতিনির্ধারকদের শাণিত অস্ত্র। এই ধরনের যুদ্ধ হলো অনন্ত যুদ্ধ, যার কোন শেষ বিন্দু নেই । যা হলো বিগত দশকের লাল অতংকের ও কমিউনিজমের বিরুদ্ধে যুদ্ধেরই মত । এই মহান (!) যুদ্ধ কাদের জন্য বেহেশতি উপহার নিয়ে এসেছে ?  ইহা সামাজ্যবাদকে দিয়েছে তৃতীয় বিশ্বকে দমন ও পিড়ন করার এক মহা সুযোগ, এবং গৃহে বসেই দুরবর্তী কোন দেশকে ধবংস করার এক মহা লাইসেন্স।

মার্কিনীরা সেই সূদুর অতীত থেকেই নিপিড়িত ও পিছিয়ে পড়া জাতি গুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে । মার্কিনীরাই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণহত্যা সংগঠিত করেছে । একটি আস্ত মহাদেশের প্রায় সব আদি অধিবাসীদেরকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তারা, নিজেদের জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য । মিলিয়ন মিলিয়ন কালো মানুষকে হয় হত্যা, নয় তো দাসে পরিনত করেছে তারা । মেক্সিকোর প্রায় অর্ধেক সম্পদ মাকিনীরা লুন্ঠন করেছে , চুরি করেছে তাদের সম্পদ রাশি । আমেরিকা সত্যি সত্যিই আজ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যবাদী ও ঘৃন্য মোড়লে পরিনত হয়েছে। পূর্বের ইউরূপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের মত তারা ও দুনিয়া জোড়া সাম্রাজ্য কায়েম করতে বদ্ধপরিকর । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরূপ দুর্বল হতে থাকে । আর অন্যদিকে আমেরিকা অতিব শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী দেশ হিসাবে আর্ভিভূত হয়েছে। আমেরিকা তাদের অর্থনৈতিক নীতির অংশ হিসাবেই দুনিয়া জোড়া বোমা, সেনাশক্তি, একনায়কত্ব, গুপ্তহত্যা ও আত্মঘাতি দল গঠন ও ব্যবহার করে আসছে । তাদের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষকে তারা নিধন করেছে । আবার তথা কথিত অর্থনৈতিক নীতির কারণে বিলিয়ন বিলিয়ন লোক মারা গেছে ; অনাহার, রোগ শোক, বিশুদ্ধ পানির অভাব ইত্যাদীর কারণে । পুঁজিবাদ নিজেই সমস্যা সৃষ্টিকারী একটি ভয়ংকর মতবাদ। ইহা অত্যন্ত নিমর্ম  ও জঘণ্য একটি মতবাদ। আজ আমাদের প্রিয় দুনিয়াটাই মারাত্মক বিপদজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি । আর এর জন্য দায়ী হলো মার্কিন স্টাইলের সীমাহীন  ভোগবাদী জীবন ধারা । যখন মানুষ আমেরিকার অন্যায় কু কর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রসর হয় , তখনই মার্কিনীরা সেই দেশে বোমা ফেলে, তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে গুপ্তঘাতকের মাধ্যমে হত্যা করে এবং তাদের উর্বর ভূমিকে বিষাক্ত করে ও নষ্ট করে দেয় । দেশের পর দেশ আজ মাকির্নীরা গোরস্তানে পরিনত করছে । মানুষের কংকালে আজ ভরে উঠছে  আমাদের প্রিয় পৃথিবী নামক গ্রহটি। সাগর মহা সাগরের পানি আজ রক্তে রঞ্জিত। যখন মানুষ নতুন কোন জীবন ব্যবস্থার প্রস্তাব করে, বা কোন মডেল উপস্থাপন করে, তখনই আমেরিকা তার সকল শক্তি প্রয়োগ করে তাকে ধবংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায় ।  এখানে অবাক হবার কিছু নেই যে, মানুষ কেন আমেরিকাকে আক্রমন করতে চায় ; কেনই বা তারা মার্কিনীদেরকে মন থেকে ঘৃনা করে । আর কেনইবা ৯/১১ ঘটল ? বরং একটা বিরাট রহস্য হলো যে আরো বড় কোন ৯/১১  আক্রমন কেন এখন ও ঘঠেনি ?

লিডিং লাইট দুনিয়ার নিপিড়িত মানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছে যে, চলমান সকল প্রকার শোষণ, অন্যায় অবিচার, অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম ও প্রতিরোধ আন্দোলন শুরু করার জন্য । বিনাশ করতে হবে প্রথম বিশ্বকে, বিনাশ করতে হবে সাম্রাজ্যবাদকে এবং কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার জন্য শুরু করতে হবে আমরন লং মার্চ। মনে রাখতে হবে, উঁই  পোকার পাখা গজায় মরিবার তরে। -একেএম শিহাব

 

Leave a Reply