বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঝড় : কি করিতে হইবে ?
(llcobangla.org)
পাঁচ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে । এই বিক্ষোভ এর সুচনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগ এলাকায় এরপর তা ছড়িয়ে পরে সমগ্র বাংলাদেশে । ছড়িয়ে পরে স্কুলে,কলেজে,গ্রামে গ্রামান্তরে । কেন এই বিক্ষোভ ? সকলের দাবি রাজাকারের ফাঁসি চাই। ৭১ এর ঘাতক দালালদের,খুনিদের,রেপিস্ট ও গণ হত্যা কারিদের ফাঁসি চাই। আন্তর্জাতিক আপরাধ আদালত যদিও জাতি সঙ্গের কোন আদালত নয় তবু এই আদালত ১৯৭৩ সালে ঘটিত হয়ে ছিল ১৯৭১ সালের স্বাধিনতা সংগ্রামের সময় যারা জাতির বিরুদ্বে দাড়িয়ে ছিল। এই আইনের আওতায় যতাযত ভাবে বিচার করার দাবিতে জনতা আজ রাজপথে । বিগত ৪২ বছর যাবত জন সাধারন প্রতিক্ষা করেছে। ইতিমধ্যে ব্লগার,পলিশ,ইস্লামিস্ত ও আম-জন তার মধ্য থেকে প্রায় শতাধিক লোক খুন হয়ছে। এখানে বিভিন্ন দল ও শ্রেনির বেশ জটিল স্বার্থ জরিত রয়েছে । তাই আমাদের সামনে যে বিশয়টি এসে দারায় তা মহান লেনিনের সেই বিখ্যাত প্রশ্ন ,কি করিতে হইবে ?
পঠভুমিঃ
১৯৭১সালের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমন্দলে পাকিস্তানের আংশ হিসাবে পরিছিত ছিল ; একে পুর্ব পাকিস্তান বলা হত, যদিও বাংলা বা বাংগালি আলাদা একটি জাতি ছিল। আর এতাছিল বৃহত্তর বাংলার একটি আংশ যা পাকিস্তানের ভেতরে একটি নিপিরিত জাতি। বাংলাদেশ ছিল একটা কলনি বা সেমি কলনির মত। বাংলাদেশের ভুমি,কারখানা, ও ব্যাবসা বানিজ্যের সিংহ ভাগ মালিক ছিল পশ্বিম পাকিস্তানিরা। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় ধনিক শ্রেনির মানুষ সমর্থন করেছিল পাকিস্তান কে তাদের শ্রেনি স্বার্থেই। পুর্ব পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষ পরিনত হয়েছিল দ্বিতিয় শ্রেনির নাগরিকে ।তাদেরকে পশ্বিম পাকিস্তানিরা প্রায়স বাঙালীদেরকে তুচ্চ-তাছছিল্ল করত । যদিও উভয় পাকিস্তানে প্রা যদিও উভয় পাকিস্তানে প্রা যদিও উভয় পাকিস্তানে প্রায় সকলই ছিল ইসলাম ধর্মানুসারি। তবে উভয় এলাকায় ভাষা গত,জাতিগত ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য বিদ্যমান ছিল । পাকিস্তানিদের প্রভুত্ত্ব সুলভ আচরনের কারনে উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা ঘোষণা করে। অথচ ‡পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ বাংলায় কথা বলে। আর কিছু মানুষ কথা বলে পাঞ্জাবি,শিন্ধি ও অন্যান্য ভাষায়। বাংগালিরা রাজপথে নামে আর প্রান দেয় মায়ের ভাষার দাবিতে।১৯৫২ সালে। আজ তাই ২১শে ফেব্রুয়ারী পালিত হয় বিশ্ব মাতৃ ভাষা দিবস হিসাবে। এ ছাড়া পাকিস্তানিদের মন গড়া ইস্লামি সুভিনিজম বাংলার মানুষ কে নানা ভাবে নিপীড়ন করছিল। এমন কি পুর্ব পাকিস্তানের সোণালী আশ পাট,চা,চামড়া,মাছ ও জন শক্তি থেকে প্রাপ্ত টাকা এবং সকল প্রকার রাজস্ব পশ্চীম পাকিস্তানে তাদের উন্নয়নে খরচ করা হত। বাংগালিরা প্রতিবাদ করলেই ভারতের দালাল ,ইস্লামের শ্ত্রু বলে হামলা মামলা দিয়ে নানা ভাবে নির্জাতন চালাত।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক সঙ্কট তখনি ভয়াল রুপ ধারন করে পাকিদের শত চাল বাজি স্বত্তে ও আওয়ামি লিগ বিপল ভাবে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করে । তখন স্বাভাবিক ভাবেই আশা করা হয়ছিল যে বঙ্গ বন্ধুর নেতৃতে সরকার গটিত হবে। কিন্তু পাকিস্তানের শাসক শ্রেনি তা মেনে না নিয়ে তারা ১০-১৩ মার্চ বিপুল পরিমান সৈন্য পর্ব পাকিস্তানে সমাবেশ ঘটায়। বি‡পুল পরিমান অস্র সস্ত্র আমদানি করতে থাকে বাংলায়। সেই সময় ঘটেছিল এক ভয়াল প্রাকৃতিক ঘটনা যার ফলে মারা জায় প্রায় ৩০০০০০-৫০০০০০ মানুষ। পাকিস্তানি সাশক চক্রু প্রয়োজনীয় সাহায্য দেবার পরিবর্তে মানুসের উপর চালায় নির্ম্ম নিপীড়ন। মানুষ জিবন বাঁচাতে রাস্তাই নামে প্রতিবাদ করে শাসক চক্রের অপশাসনের বিরুধে। সাম্রাজ্যবাদ ও আগ্রাসী হায়ানাদের বিরুধে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের পর গড়ে উঠে প্রতিরুধ সংগ্রাম সংগঠিত হয় মুক্তি বাহিনী। সেই সময়কার সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের প্রয়োজনে বাংলার জনগণের লড়াইকে পশ্চিমাদের বিরুধে কাজে লাগাতে ছেয়েছিল । সেই লড়াই শ্রেনি সংগ্রাম ও স্বাধিনতা সুংগ্রামে একাকার হয়ে গিয়েছিল। সেই মুক্তিযুদ্বে প্রায় ৩০,০০০০০ মানুষ শহীদ হয়েছিল এবং প্রায় এক কোটি মানুষ শরনার্থীতে পরিনত হয়েছিল । পাকিস্তানি এবং তাদের শহযোগী আল বদর,আল শামস ও রাজাকার বাহীনি ইতিহাসের সবছেয়ে জগন্যতম হত্যাযজ্ঞ ছালিয়েছিল । সমগ্র বাংলাদেশে এখনও হাজার হাজার গণ কবর পাওয়া যায়। যেখানে ছাত্র, শিক্কক,শ্রমিক, কৃষক নারী পরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছিল নর পশুর দল। বাংলাদেশের বুদ্বিজিবি ও সাংস্কৃতিক করমীদেরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি ও তাদের সহযোগীরা । হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও আন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে উরা নির্বিচারে খুন করেছিল । প্রায় ৪০০০০০ নারিকে উরা রেপ করেছিল। হাজার হাজার স্কুল ও কলেজের ছাত্রিকে উরা যৌন দাসীতে পরিনত করেছিল। সেই সময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিল “আমি মাটি চাই, মানুষ চাই না” তার এই নিতির নাম ছিল পোড়ামাটি নিতি। বাংগালির সেই মুক্তিযুদ্ব সারা দুনিয়ায় এক ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। মাও এর চিন ও মার্কিনীরা পাকিস্তানিদেরকে সমর্থন দিয়ে ছিল। মহান ভারত ও সোভিয়েত রাশিয়া আমাদের মহান মুক্তির সমগ্রামে সমর্থন দিয়ে সার্বিক সহযোগীতা করেছিল। নিক্সন প্রশাসন বাংলাদেশের মুক্তির লরাইকে বাছাই করা গনহত্যা হিসাবে চিহ্নত করে অকুন্ট ভাবে পাকিস্তানিদের প্রতি সমর্থন দিয়েছিল। আমেরিকার একজন করম কর্তা তখন বলেছিলেন, পাকিস্তান যা করছে তা যথার্থ। কথিত সমাজতান্ত্রিক চিন তখন সংশোধনবাদের দিকে ধাবিত হচ্চে। তারা ও তখন প্রতিক্রিয়াশিল ভুমিকা পালন করে। চীনে তখন লিন বাওএর পতন ঘটে গেছে। চিন আমেরিকার সাথে জুটব্দ্ব হতে সুরু করেছে। উপরন্থ চিন তার জন্ম লগণ থেকেই ভারতের সাথে এক মহা বৈরী ভাব পোষণ করে আসছিল। ভারত ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভয় পাচ্ছিল কেননা ভারতের ভেতরে ও একটি বিরাট অংশ বাংলায় কথা বলে। নকশালদের নেতৃতে চলচ্ছিল কৃষক বিদ্রহ। মাও ও লিনবাও এর লিখনি ভারতের ছাত্র সমাজকে সসস্র লরাই সংগ্রামে উদ্বোদ্ব করছিল। তাই ভারত দ্রুত বাংলার স্বধীনতা সংগ্রামকে সহযোগিতা দিলে মুক্তিবাহিনির প্রচণ্ড আক্রমনে পাকিস্তানিদেরকে পরাজিত হয়, এবং ১৬ই ডিসেম্বর,১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। জন্ম হল এক ন্তুন দেশের যার নাম বাংলাদেশ। নানাহ প্রাকৃতিক গোলযোগের কারনে বাংলাদেশ সম্পধহীন হয়ে পরেছিল। যা ১৯৭৪ সালে ব্যাপক রুপ ধারন করে। প্রাকৃতিক গোলযোগ,রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনা এবং চাঊলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে দেশে আখাল দেখা দিয়ে ছিল চরম ভাবে। দেশে দুর্নীতি ও চরম আবস্থায় পঔছেছিল। একজ কবি লিখেছিলেন “ভাত দে, হারামযাদা ,নৈলে মান চিত্র খাব”। ঊলেখ্য যে, সেই সময় প্রায়, ১.৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয় ছিল অনাহার,কলেরা, ম্যালেরিয়া সহ নানাহ রোগে। সেই আখালের ধাক্কায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল কৃষক,শ্রমিক ও মেহেনী জনতা ।বাংলাদেশের সেই দূযোগের সময় আমেরিকা তার প্রতিশোধ নিতে ছেয়ে ছিল,কেননা সে ছিল বাংলার মুক্তি সংগ্রামের বিরোধী এবং অন্যদিকে তার শ্ত্রু কিউবা এই সংগ্রামে সর্মতন দিয়েছিল। মূলত আমেরিকার কারনেই বাংলায় অংসখ্য মানুসের মৃত্য হয়েছিল। আমেরিকা চুক্তিমোতাবেক খাদ্যপাঠাতে দেরি করেছিলো।
বাংলার বেশ কিছু সমস্যার সমাধান আজ ও আমিমাংশিত রেয়ে গেছে। ১৯৭১ সালের ২৪শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এ, এইচ,এম কাম্রুযযামান ঘোষণা করেছিলেন যে, “কোন যুধ্বপরাধীকেই চাড় দেয়া হবেনা ।যারা খুন করেছে,রেপ করেছে বাড়ী ঘর পড়িয়েছে তাদেরকে কনভাবেই ক্ষমা করা হবে না। ১৯৭২ সালে শীর্স ১০০ জন পাকিস্তানী অপরাধী সৈনিকে গনহত্যার দায়ে বিচারের জন্য ঘোষণা করা হয়ছিল । দি বাংলাদেশ দালাল আইন ১৯৭২, পরে সরকার একটি সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করে ,তবে যারা খুন,হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদির সাথে জড়িত তারা ব্যতিত। আইন সংশোধন করে একটি নুতুন আইন প্রনয়ন করাহয় যা আন্তর্জাতিক আপরাধ আইন -১৯৭৩ নামে পরিচিত, তা এখনও চালু আছে । ১৯৭৫ সালে বঙ্গ বন্ধুকে হত্যার মধদিয়ে দেশকে মুক্তিযুদের চেতনা থেকে সরিয়ে এনে ভিন্ন এক বাংলাদেশ ঘটনের প্রক্রিয়া চালু করা হয়। দেশের রাজনিতীতে ধর্মের ব্যাবহার, রাজাকারদের পনর্বাশন শুরু করা হয়। এমনকি তাদেরকে মন্ত্রী এম্পি বানানো হয় । জাগাতির মুখে কালিমা লেপনের নামান্তর। এই আবস্থা চলতেথাকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত । ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রাজাকার আর স্বাধিনতা বিরুধিদের জয় জ্যকার চলতেই থাকে। তরুণ প্রজন্মের ভোটে আওয়ামিলিগ ২০০৯ সালে বিপুল জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসে। আওয়ামিলিগের নির্বাচনি ইস্তেহার ছিল রাজাকারদের বিচার করা ,আর সে জন্যই তরুণরা তাদেরকে ভোট দেয়। সরকারে আসিন হওয়ার পর রাজাকার দের সাথে একাত্ত হয় জাতীয়তাবাদি দল প্রতিক্রিয়াশিল জামাত এ ইস্লামির সাথে মানবতাবাদ বিরুধি অপরাধের বিচারের বিরুধিতা শরু করে।
প্রতিবাদ –প্রতিপ্রতিবাদ ঃ
২০০৩ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি, ঢাকার শাহবাগে শুরু হয় প্রতিবাদ, স্বল্প সময়ের মধেই প্রচুর লোক যোগদেয় শাহবাগের প্রতিবাদ সমাবেশে। তারা দাবি জানায় বিশেষ ট্রাইবুনালে যারা অপরাধে দুষি প্রমানিত হবেন তাদেরকে ফাঁসি দিতে হবে। তাদের দাবি ছিল আগে সম আপরাধের জন্য যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, এখন কেন সেই আপরাদের জন্য সেই শাস্তি হবেনা? আর সেই দাবির সূত্রধরে সমগ্র বাংলাদেশে প্রতিবাদের জোয়ার বয়ে যায়। স্মপ্রতি দুনিয়ার আন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে ও প্রতিবাদের ধরন টা ছিল একি রকম। ই-মেইল,ফেসবুক,নেট ও আন্যান্য সামাজিক মাধ্যম গুলো বিশাল ভুমিকা রাখে এই প্রতিবাদের সমাবেশে। লিডিং লাইট বিস্লেশক মনে করেন যে, বিপ্লবি হিসাবে অতিতের মত পুরাতন ধ্যন ধারনা থেকে বেড়িয়ে এসে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। তা এক দিকে যেমন বিপ্লবের পথ খোলেছে অন্য দিকে আবার প্রতিক্রিয়াশিলতাকে ও উস্কে দিতে পারে। প্রতি বিপ্লবকে ও করতে পারে তরান্নিত। তাই, আমাদেরকে বুজতে হবে যে, আমরা এখন নুতুন দুনিয়ায়,নুতন চ্যালেঞ্জ,নুতন বিজ্ঞান এ প্রবেশ করেছি। লিডিং লাইটের বক্তব্য হল, “নতুন প্রযুক্তি এবং বিস্তৃত যোগাযোগ ব্যবস্থা আমাদের সামনে বিপ্লবের এক অবারিত দরজা খোলে দিএছে। এই অবারিত যোগাযো ব্যবস্থা বিপ্লবে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে । দ্রুত বিপ্লবি পরিস্থিতি বিনির্মানে সহায়ক হবে। দ্রুত বিশ্ববিপ্লবের পরিস্তিতি তৈরি করে দিবে। এই নতুন প্রযুক্তি আমাদেস্রকে সমাজতন্ত্র বিনির্মানে সহায়ক হবে”।
শাবাগের আন্দোলন কেবল একটি গণ আন্দোলন নয়। জামাত ও প্রতিদিন পুলিশ বিজিবির সাথে লড়াই করছে রাজ পথেই। প্রতিদিন তারা গুলি খেয়ে মারা যাচ্ছে । এপর্যন্ত প্রায় ১২০ জন মারা গেছেন। রাজ পথে চলছে প্রতিবাদ পালটা পতিবাদ। হয়ত আরো মৃত্তু অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে।
এই প্রতিবাদের সুচনা মানুসের মনে তখন ও দানা বেঁধেছিল যখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানা গুলোতে শত শত শ্রমিক আগুনে পরে মারা গিয়েছিল মালিকদের অবহেলার কারনে। শাহবাগ আন্দোলনটি একটি জঠিল প্রক্রিয়ার বহিপ্রকাশ। পদ্মাসেতুর দুর্নিতি,হল মার্ক কেলেংকারি, দ্রব্য মুল্যের সিমাহীন উর্ধগতি,রাজাকারদের লালন পালন এই আন্দোলনের মুল কারণ।
জনগনের এই জগরন কে একটি প্রকৃত বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাওয়ার একটা সউযোগ তৈরি হয়ছে। তৈরি হয়েছে লিডিং লাইট কমিউনিজমের বিকাশের ও প্রচারের। লিডিং লাইট কোন রাজশক্তির লেজুর নয় বরং তা উচ্ছেদের জন্য কাজ করছে। লিডিং লাইট জনতার এই জাগরনে তার স্বীয় আদর্শকে তুলে ধরবে। বন্ধুগন চেয়ে দেখুন ! জনতা যেমন রাজাকার আর কলাবরেটরদের বিরুধে শ্লোগান দিচ্ছে তার সাথে সাথে বিদ্যমান পুরাতন ক্ষমতা কাঠামোর বিরদ্বে ও কথা বলছে। পুরাতন পুজিবাদ,সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদের অবশেষ সহ সকল পুরাতন নেতৃত্তের বিরুদ্বে আওয়াজ তুলেছে আজকের জাগ্রত জনতা। লিডিং লাইট মনে করে তথা কথিত গনতান্ত্রিক সংস্কারে বাংলার মানুসের সমস্যার সমাধান হবেনা । পুরাতন রাজনিতি কোন না কোন ভাবে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখবেই। কখন ও কখন ও গনতন্ত্রের নামে, ইস্লামের নামে এমনকি সমাজতন্ত্রের নামে ও তারা তাদের গদি ধরে রাখবে। আর জনগন পরাজিত হতেই থাকবে। যদিও এই জাগরন কোন বিপ্লবের জন্য নয় তবে, লিডিং লাইট ইহা থেকে শিখবে, অবিজ্ঞতা নিবে। আজ পৃথীবীর নানা দেশে এইরুপ জাগরন হচ্ছে। প্রকৃত দলের অভাবে তা কাজে লাগানো যাচ্ছেনা। অথচ বিপ্লবের পটভুমি তৈরী হয়ে আছে। দারিদ্র,নিপিড়ন,শোষণ এখন দুনিয়াময় ।
পুরাতন শক্তি বনাম নতুন শক্তি
পুরাতন শক্তির সাথে আপোস রফা করে বিপ্লব আর্জন করা যায় না । পুরাতন শক্তি সবসময় প্রতিক্রিয়া শীল শক্তির পূজা করে থাকে। পুরাতন শক্তি, পুরাতন রাষ্ট্র, সমাজ, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং নিরাপত্তার সংস্থা গুলো ও একই কাজ করে থাকে। এই গুলো প্রতিক্রিয়া শীল চক্রের নিযার্তনের হাতিয়ার। রাষ্ট্র কখন ও শ্রেনির উপরে উঠতে পারেনা। এটা হলো নিপিড়নের হাতিয়ার। এর অর্থ হলো যে, একটি শ্রেনী আর একটি শ্রেনি কে শোষণ করবে। বিপ্লব পরাতন শক্তির কোন একটি আংশের সংস্কারের নাম নয়। বিপ্লব বিনাশ করবে সকল পুরাতন রাজ শক্তির। এই সমাজ ভেংগে নতুন সমাজ গড়বে। বিপ্লব হলো একটি প্রক্রিয়া । মহান লেলিন যাকে বলেছিলেন দ্বৈত শক্তি । যদিও দুটি শক্তি সমান্তরাল ভাবে চলে কিন্তু তারা পরস্পরের সাথে দ্বন্দ্ব হয়। লিডিং লাইট হলো একটি ছায়া সরকার। ছায়া সমাজ। একটি ছায়া শক্তি, একটি ছায়া নেতৃত্ত্ব যা বিশাল ভাবে অন্ত্রালে কাজ করে যাচ্ছে। যা সময় হলেই রাজনৈতিক, সাংস্কিতিক ও মিলিটারি শক্তি নিয়ে আভির্ভুত হবে। যখনি লিডিং লাইট প্রয়োজনীয় শক্তি অরজন করবে তখনি তার লাল এলাকা গড়ে তুলবে। সকল প্রকার ব্যবস্থাকে চুরমার করে বিপ্লবের লাল পতাকা হাতে এগিয়ে যাবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে যে ধরনের গণ আন্দোলন গণ সংগ্রাম দেখা দিয়েছে তা থেকে আমাদেরকে আনেক কিছু শিখতে হবে। আর আমরা সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারি। আমরা এই আন্দোলনকে পাতি বুজোয়া বা প্রতিক্রিয়া শীলদের সমাবেশ বলে উড়িয়ে দিচ্ছি না। বরং আমরা আমাদের কথা গুলো বলার, বুঝাবার সুযোগ নিচ্ছি। আমরা এই আন্দোলন ও জাগরন কে সঠিক পথে চালাবার চেষ্টা করছি। আমরা বলছিনা যে এই জাগরনি পুজিবাদের পতন ঘটাবে। বরং আমাদের কথা হল যে, তরুন দের এই প্রতিবাদ প্রতিরুধ বাংলার জন গনের সামনে বিপ্লবের এক নব উদাহরন তৈরি করবে। আমরা ধৈয সহকারে বিষয় গুলো পযর্বেক্কন করছি। আমরা এখনি কোন প্রকার নেতৃ দিতে রাজি নই। সময় হলে আমরা ভিন্নভাবে ভুমিকা পালন করব তবে তাদের সাথে আমরা মিশে যাব না। আমরা লিডিং লাইটের নব শক্তির উন্মেশ ঘটাব। এক বিশেষ কৌশল গত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব। সেই বিপ্লবি সদর রাস্তাই থাকে নানা ঝুঁকি ,চমক, ও সাফল্য । আমরা লিডিং লাইটের আধুনিক বিজ্ঞানের তথ্য উপাত্ত ব্যাবহার করব। ধৈয্য, আনুগত্য,শৃংখলা,ত্যাগ, নেতৃত্তও মেনে আমরা চলব। লিডিং লাইত হোন! আমাদের দিন আসছে, বিজয়ের সুয্য উটবেই। শিহাব।