বিপ্লবী বিজ্ঞান হল একটি কমান্ড, ইহা কোন সখের ও পরিচিতির রাজনীতি নয়।

বিপ্লবী বিজ্ঞান হল একটি কমান্ড, ইহা কোন সখের ও পরিচিতির রাজনীতি নয়।
(llbangla.org)

লিডিং লাইট বিপ্লবী বিজ্ঞান একটি সত্যিকার কমিউনিস্ট আন্দোলন পরিচালনা করছে। সাম্যবাদে উপনিত হওয়া জন্য মার্ক্সবাদ ছিল পৃথিবিতে প্রথম সিন্থিসিস। মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদই ছিল সভ্যতার পরর্বতি স্তর। মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ হল এমন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা যা প্রথম প্রলেতারিয়ান বিপ্লবের ঢেউ তুলে । বিশেষ করে মহান লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিকদের মাধ্যমে রাশিয়ায় বিপ্লব সংগঠিত হয়। এর পরে মাওসেতং বা মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ, মাওবাদের অবদানের পর সাড়া দুনিয়ায় বিপ্লবের বার্তা ছড়িয়ে পরে। তাদের বিপ্লবের বার্তা ইতিহাসে ঝড় তুলে। স্বল্প সময়ের জন্য হলে ও রাশিয়া, চীন সহ পৃথিবী প্রায় এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা সমাজতন্ত্রের ছায়া তলে এসেছিলো। তারা একটি সুন্দর দুনিয়া গড়তে চেয়ে ছিল। ইতিহাসে মাওসেতুং এর বিপ্লবী ত্তত্ব যখন সর্বত্র প্রশংসিত তখন কমিউনিস্টরা স্লোগান দিল মাওসেতুঙ্গের চিন্তাধারাকে কায়েম করতে হবে ! পরর্বতীতে তা বদলে যায়। বলা হয় মাওবাদকে কায়েম করতে হবে। মাওবাদের উত্থান ও সাংস্কতিক বিপ্লবের পর আজ প্রায় অর্ধ শতাব্দী অতিক্রান্ত হয়ছে। দুনিয়া ও অনেক বদলে গেছে । মাওসেতুঙ্গের অনুসারিরা সহ বহু লোকই এই পথে এসেছেন। বহু কিছু অর্জন ও করেছেন। আবার অনেক ভুল কাজ ও করেছেন। মানব সমাজের ও ব্যাপক পরির্বতন ঘটে গেছে। সম্রজ্যবাদীরা তাদের নিপিড়নের বিজ্ঞানকে ও উন্নত এবং আধুনিকায়ন করেছে। আর এর সঠিক ও উপযুক্ত জবাব হল লিডিং লাইট। প্রলেতারিয়ান বিজ্ঞানকে উন্নত করে তার চতুর্থ স্তরে নিয়ে এসছে লিডিং লাইট। লিডিং লাইট কমিউনিজম হল চলমান দুনিয়ার উচ্ছতম এবং চতুর্থ স্তরের বিপ্লবী বিজ্ঞান। ইহাই হল আজকের উপযোগী বিপ্লবী চিন্তাধারা ।  আজকে যে বিপ্লবকে বিজয়ী করতে হবে তা হল লিডিং লাইট কমিউনিজম। চলমান অন্যান্য বিপ্লবি আন্দোলন গুলো বিজয়ী হতে পারবেনা, অনেক আন্দোলন কেবল মাত্র আবেগ ও রোমান্টিকতা দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। বহু আন্দোলন আছে যারা নিতীগত ভাবেই  বিজ্ঞান বিরুধী ও নির্বুদ্বীতায় আক্রান্ত। অনেক দল আছে যারা কেবল মাত্র নিজেদের পরিচয়ের জন্যই ঠিকে আছেন। আর ও অনেক তথাকথিত মার্ক্সবাদী আছেন যারা নিজেদেরকে বিপ্লবী বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু তাদের মাঝে খুব কমই বিপ্লবী আছেন।পুজিবাদীরা সমাজতন্ত্রের বিরুদ্বে প্রচারে প্রপাগান্ডায় ব্যাপক ভাবে সফল হয়ছে। রাশিয়া ও চীন সর্ম্পকে যত প্রচার তারা করছে এবং এ সর্ম্পকে তারা যে পরিমান মানুষের মাঝে ভুল ধারনা তৈরি করেছে , সেই তুলনায় তারা আন্যান্য বিষয়ে খুব কমই জানেন । এমন কি নিউটন বা আইনস্টাইন সর্ম্পকে ও এত টুকু জানেন না। যারা নিজেদেরকে বিল্পবী বলে জাহির করেন তারাও মার্ক্স, লেনিন ও মাওসেতুঙ্গের বাদে কি আছে তা ও তারা খুব কমই জানেন।পাতিক্রিয়াশীলরা বরং বেশী জানেন কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর কি কি করতে হবে। তাই বিপ্লবী নেতৃত্বের দায়িত্ব হলো জ্ঞান সম্পন্ন দল বিনির্মান করা। রাজনৈতিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষন প্রদান করা। আমরা আগামী বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতী নিচ্ছি। আমারা যদি সত্যিকার কমিউনিজম চাই তবে আমাদেরকে আবশ্যি আমাদের আগের বিপ্লবী ঘটনা প্রবাহ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমরা প্রাগ্রসর বিপ্লবী বিজ্ঞান থাকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে চলব। এটা কেবল মাত্র পরিচয় নয়। তাই আমাদের কে কিছু বিষয় সামনে রাখতে হবে, তা হোল –

১. কেবল মাত্র বিজ্ঞানই আমাদের জঠিল সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারে। বিপ্লবী বিজ্ঞান প্রত্যাখান করলে  শোষিত মানুষ তাদের দারিদ্র বিমোচন, উন্নয়ন, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত ইত্যদির সামাধানের ক্ষমতা হারাবে। যারা বিপ্লবী বিজ্ঞানকে আক্রমন করেন, তারা মুল নিপীড়নকেই সযোগীতা করে থাকে।

২.যারা বিপ্লবী বিজ্ঞানের বিরোধিতা করেন তারা প্রকৃত পক্ষে শোষিত মানুষের মুক্তির বিরুদ্বে কাজ করেন। ইহা বিপ্লবকে বাঁধা গ্রস্ত করে। ইহা তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লব কে ও বাঁধা গ্রস্ত করে। ইহা জাতিয় মুক্তির পথকে বাঁধা গ্রস্ত করে। ইহা বিপ্লবী নেতৃত্বকে গড়ে উঠতে বাঁধা দেয়। ইহা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যেখানে বুদ্বিবৃত্তির পরির্বতে নির্বুদ্বীতায় সমাজ নিমগ্ন হয়। ইহা এমন সব রিতি নিতির বিকাশ ঘটায় যেখানে নির্যাতন কারিরা মজলুম জনতার উপর প্রভু সেজে বসে। সাম্রজ্যবাদিদের মতই জনগনকে এমন ভাবে ভাবতে শেখায় যে, তারা ও যেন শোষণ প্রক্রিয়া কে স্বভাবিক মনে করে, তাদের জন্য শিক্ষা বা অগ্রগতির পথকে বন্দ্ব করে দেয়। ইহা মানুষের নিচুতাকে  প্রমুট করে। ইহা প্রকৃত বিপ্লবী নেতৃত্ত্বকে মারাত্মক ভাবে বাঁধা গ্রস্ত করে। ইহা সধারন মানুষের আত্মবিশ্বসকে একেবারে ধবংশ করে দেয় , ফলে তারা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য গড়তে পারে এমন   ভাবনা তাদের জন্য কস্ট সাধ্য হয়। ইহা মানুষকে আত্মবিশ্বসী ও আত্মনির্ভশীল হতে দেয় না। এমন এক দৃষ্টি ভংগী তৈরি হয় যেখানে সম্পদ, পরিচিতি, সম্মোহন, জনপ্রিয়তা, পদ মর্যাদা, যোগাযোগ,  সব কিছুর উপর স্থান দেয়। আর ইহাই তৈরি করে দুর্নতির এক দুষ্ট চক্র। ইহা সাধারন জনগনকে ক্ষমতাহিন করে দেয়। ইহা আমাদেরকে সমাজতন্ত্রের ও কমিউনিজমের পথে এগুতে সমস্যার সৃষ্টি করে।

৩.দাবী করা হয় যে, বিপ্লবী বিজ্ঞান ইউরোপীয়রা ই ভালো বুঝবেন । আরা এর আবাস স্থল তো ইউরূপই। প্রকৃত সত্য হলো বিপ্লব ইউরূপীয় নয়। কেবল সাধাদের নয়। মার্ক্সের সময় থেকে ই বিপ্লব পুর্ব থেকে পশ্চিমে এসেছে ।আমাদের সর্ব শেষ বিপ্লবের ঢেউ টা লেগেছিল পূর্ব ই তা চীনে। প্রতিটি সমাজেই নিজস্ব পরিসরে বিভিন্ন মাত্রায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নন ঘটে। যখন ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়ছিল তখন ও অন্যান্য সমাজে বিজ্ঞানের আগ্রগতি আমারা দেখেছি। তবে এটা সত্য যে ইউরোপ বিপ্লবি বিজ্ঞান অনুসরণের কারনে অন্যান্য সমাজের তুলনায় শত শত বছর এগিয়ে গেছে। তবে প্রতিটী সমাজই এক জঠিল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়া বুদ্বিবৃত্তিক ও ঐতিযের আলোকে এগিয়ে গেছে। চীন,ভারত, মধ্যপ্রচ্য, আফ্রিকা, আমেরিকা ও ইউরোপ ইত্যাদি এর উদাহরন।

৪. যখন বিজ্ঞানের উপর পরিচিতি চলে আসে তখন জাতিয় মুক্তি পথ রুদ্ব হয়। শুধু তাই নয়,  ইহা সধারন ভাবে কেবল চেতনার মান কেই নিচু করেনা বরং জনগনের ক্ষমতাকে ও খর্ব করে, দুর্বল করে বিপ্লবী নেতৃত্ত্বকে । ইহা মধ্যস্বত্য ভোগীকে ও ক্ষমতা লোভীদেরকে শক্তি শালি করে থাকে, যা কেবল মাত্র সংস্কারের দিকেই দাবিত করে। ইহা বিপ্লবী নারিবাদ কে তাচ্ছিল্ল করে  তথাকতিত প্রথম বিশ্ববাদি নারিবাদকেই উৎসাহিত করে । এটা কোন অস্বাভাবিক ঘটনা নয় যে প্রথম বিশ্বে রাজনিতির মুলধারাই হল  পরিচিতির রাজনিতি। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, লিবারেলস, সোসাল দেমোক্রেটস, পসদু- ইন্টিলেচতুয়াল,পসুদো- বিপ্লবী একাদেমিসিয়ান এবং আন্যান্য রা ও একি ভাষায় কথা বলে। নগর কেন্দিক রাজনিতিতে পরিচয় বিত্তিক রাজনীতির বিকাশ হয়ছে। ইহা প্রক্রিয়া গত ভাবেই মিথ্যা রেডিক্যালিজমা ও জনগনকে প্রতারনার শামিল।  কোন রাজনৈতিক ধারা যদি স্বকীয় ধারায় না এগোতে পারে তবে তা সমাজ পরির্বতনের  ক্ষেত্রে কনো ভুমিকাই রাখতে পারে না।

৫।পরিচিতির রাজনিতি জাতিপুজার সমাধান নয়। জনগণকে ক্ষমতাহীন রেখে তা হবার নয়। বরং বিপ্লবী বিজ্ঞান দ্বরা জনতাকে খমতায়ন করতে হবে। তার অর্থ হল জনতার হাতে স্বাধীনতার অস্রটি দিতে হবে। আর সেই অস্রটি ছাড়া তারা সামনে এগোতে পারবেন না।

৬. পরিচিতি মুলক রাজনীতি এবং নিচু মানসিকতার জাতিয়তাবাদি চিন্তাধারা তৃতীয় বিশ্বের রাজনিতিকে জাতিয় শোষণের হাতিয়ারে পরিণত করেছে । এই ধরনের নিচতা জাতিতে বিভক্তি এনে দেয়। কেবল মাত্র বিজ্ঞান ই দুনিয়ার মানুষকে এক করতে পারে। কারণ বিজ্ঞানের শিকর হল বাস্তবতার গহিনে নিহিত।
৭. পরিচিতি মুলক রাজনিতী, বিশেষ করে প্রথম বিশ্বে একটি জাতিপুজা হিসাবেই পরিগণিত হোয়ে আসছে। ইহা প্রথম বিশ্বের জাতিয়তাবাদি ধারাকে শক্তিশালী করছে আর অন্য দিকে তৃতীয় বিশ্বের মক্তির পথকে কঠিন করে তুলছে । আমারা যখন প্রথম বিশ্বের পদানত জাতি গোলুর পাশে দাঁড়াতে চাই তখন তৃতীয় বিশ্বের প্রদত্ত্ব  মুল্যের কারনে আমরা তা পারিনা। আমরা তৃতীয় বিশ্বের মানুষের মক্তির লড়িয়ে শরিক হতে পারিনা ।

৮. আর্দশ হল একটি অস্র ইহা কোন জিকির নয়। তবে সকল আর্দশ এক রকম ও নয়। কিছু আর্দশ হল চামচ, কিছু আর্দশ হল ছুরি, কিছু আর্দশ হল ইটের মত, কিছু আর্দশ হল বন্দুকের মত, কিছু আর্দশ হল এটম বোমার মত এবং লিডিং লাইট কমিউনিজম হল সর্বোচ্ছ বিপ্লবী বিজ্ঞানের স্তর হিড্রোজেন বোমা । আমরা যদি তৃতীয় বিশ্বের মুক্তি চাই, আমারা যদি কমিউনিজম  চাই, তবে যা পাওয়া যায় তা দিয়েই আমাদের শোষিত ও নিপিড়িত মানুষকে সস্র করতে হবে। যদি আমরা সকল প্রকার শোষণের অবসান চাই তবে আমাদেরকে লিডিং লাইটের বিপ্লবী বিজ্ঞানের আর্দশ অনুসরন করতে হবে। এছাড়া আর কোন কিছই মানবতাকে একতাবদ্ব করতে পারবে না।

৯। বিপ্লবী বিজ্ঞান অন্দ্ব আর্দশ নয়। যদি অন্য কোন আর্দশ এর ছেয়ে বেশি যৌক্তিক পাওয়া যায় তবে আমরা জনগনকে সেইটাই অনুসরণ করতে আহবান করব। যদি চতুর্থ স্তরের আর্দশ কাজে না আশে তবে, আমরা পঞ্চম  স্তরের আর্দশের উন্নয়ন ঘটাব  । তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জন্য এবং মানবতার জন্য কাজ করে যাব।

১০। বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কিছু অনুসরণ করলে নিরাপত্থার ঝুঁকি থেকেই যায়। পরিচিতি মার্কা রাজনীতি এমন এক পরিবেশ সমাজে তৈরী করে রেখছে যার ফলে ব্যতিক্রম কিছু দেখলেই মানুষ বিরোধিতায় লাগে যায়। রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনার পরির্বতে ব্যাক্তিগত ধারনা ব্যখ্যায় করতে থাকে। কোন আর্দশিক আলোচনার চেয়ে ব্যাক্তিগত পরিচিতির বিষয়ে সবিশেষ গুরুত্ত্ব আরোপ করে থাকে।

স্ট্যালিনের আমল সর্ম্পকে একটি কথা চালু আছে যে, শোষিত ও নিপিড়িত মানুষের নৌকা কমিউনিজমের সাগর তীরে ভীরে ছিলো। আমরা মনে করি এই দৃস্টিভঙ্গী  সঠিক নয়। আমরা এটা প্রযুক্তির ইতিহাস ব্যাখ্যা করে বলতে পারি ইহা ঠিক নয়। আমাদের বিপ্লব আনিবার্য। আমদের বিপ্লব কোন প্রকার প্রতারনা নয়। আমাদের বিপ্লব তারকাদের বলা কোন গাল গ্লপ ও নয়। মাও ও লেনিনবাদিরা তা দেখতে পাচ্ছেন। তারা সেটা বুঝতে পারছেন যে, বিপ্লব কেবল মাত্র সামনে এগোনো নয় পিছনে যাওয়া ও বিপ্লবের ধর্ম। কোন জিনিষ আমাদেরকে চির কালের জন্য শোষণ ও নিপিড়ন থেকে বেড় করে আনবে? একটী মাত্র জিনিষ আছে আর তা হল বিজ্ঞান, বিজ্ঞান শিক্ষা, বিজ্ঞান প্রয়োগ । আর সে জন্যই আমাদেরকে লিডিং লাইটের আর্দশে লালিত হতে হবে। লিডিং লাইট  কমিউনিজম হল একটি কমান্ড! বিপ্লবী বিজ্ঞান হল একটি কমান্ড! লিডিং লাইট অনুসরণ করুন ! লিডিং লাইট হয়ে উঠোন! নট ডিম বাল্ব!!! এ কে এম শিহাব ।

Leave a Reply