প্রায় ৫০ টি আফ্রিকান দেশের মানুষ স্পেনে বার্সিলোনায় জল বায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সভায় তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা এর জন্য প্রথম বিশ্বকে দায়ী করে তাঁর জন্য ক্ষতি পুরন দেয়ার দাবী করেছেন। তাঁদের সাথে আরো ৭০টি তৃতীয় বিশ্বের দেশ একাত্মতা ঘোষনা করেছেন। তারা ঐক্যবদ্ব ভাবে তাঁদের দুঃখ ও দুর্দশার কথা বলেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আফ্রিকা ও এশিয়ার গরীব দেশ সমূহ ই বেশী ক্ষতি গ্রস্থ হতে চলেছে। এক দিকে অতি বৃস্টির কারনে বন্যা বা অনাবৃস্টির কারনে খরা দেখা দিচ্ছে। এক হিসাবে দেখা গেছে কেবল গ্রীন হাঊস গ্যাস জনিত সমস্যার কারনে তৃতীয় বিশ্বের দেশে ক্ষতি হবে প্রায় ৮০%। আফ্রিকান একটি গবেষনা সংস্থা জানিয়েছে, কেবল টেক্সাসের মাত্র “৩০ মিলিয়ন মানুষ যে পরিমান গ্রীন হাঊস গ্যাস উদ্গিরন করে তা আফ্রিকার এক বিলিয়ন মানুষ ও তা করতে পারেন না”।
আফ্রিকার চিন্তাবিদ ও সুশীল সমাজের মানুষেরা প্রথম বিশ্বের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যে, তারা যেন ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ৪০% কার্বন নিশ্বরন কমিয়ে আনেন। রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে আফ্রিকার মানুষ এই আহবান জানিয়েছেন। পক্ষান্তরে, প্রথম বিশ্বে ও সেই লক্ষ্যে একটি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষনা করেছে। তবে , প্রতিনিয়ত প্রথম বিশ্ব তাঁদের ঘোষিত নীতি লঙ্ঘন করে চলেছেন।
কোপেনহেগেন সম্মেলনে ও সেইরূপ প্রতিবাদ করা হয়েছিলো। জাতি সংঘ ও আশা করে যে দুনিয়া জোড়ে যে ভাবে কার্বন নিশ্বরন চলছে তা কমে আসা উচিৎ। ১৯৯৭ সালে কোপেন হেগেন সম্মেলনে কিটো প্রটোকল স্বাক্ষর করা হয়েছিল। সেখানে মাত্র ৫% কার্বন নিশ্বরন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো। অন্য সকল দেশ তা পালন করতে পারলে ও কেবল অ্যামেরিকা তা করেনি। বরং তারা এর বিরুধিতা করে আসছে। এই ক্ষেত্রে তারা নানা স্থানে গোয়ার্তুমী মার্কা কথা বার্তা ও বলেছেন।
পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় টি প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্ব উভয় স্থানেই ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে। তবু, গ্রীন হাঊস অর্থনীতির কারনে প্রথম বিশ্বি ই বেশী লাভ বান হবে। গ্রীন হাউস অর্থনীতি পুঁজিবাদী অর্থনীতি, গ্রীন হাউস অর্থনীতি সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতি, যা প্রথম বিশ্বের মানুষের ভোগের যোগানদাতা। এই ভোগ ও আবার তৃতীয় বিশ্বের মানুষের শ্রম ঘাম শোষণ করেই চরিতার্থ করে থাকে। এখন পর্যন্ত যারা গ্রিন হাউস গ্যাস জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে কষ্ট করছেন তারা সকলেই তৃতীয় বিশ্বের গরীব মানুষ। প্রশ্ন জাগে মনে, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় কি এমন কোন স্বচ্ছ চুক্তি করা সম্ভব যেখানে প্রথম বিশ্বকে বাধ্য করা যাবে পরিবেশ সংক্রান্ত চুক্তি মেনে চলার জন্য ? কেননা তারা যে ভোগবাদে মত্ত্ব হয়েছেন তা থেকে কি তাদেরকে ফেরানো সম্ভব ? তবে, এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় যে, তৃতীয় বিশ্বের মানুষ খুব সহজেই সেই চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাবেন এবং মেনে ও চলবেন। তারা একে তাঁদের সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নের উপাদান হিসাবেই দেখছেন।#শিহাব