সাম্যবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে তৃতীয় বিশ্ববাদি চিন্তা ধারার সাথে প্রথম বিশ্ববাদি চিন্তাভাবনার ও একটা মিশ্রণ ছিল তা আমরা বরাবরের মতই দেখতে পাই। ঐতিহাসিক কারনেই আজ ও আমরা এই আন্দোলনে প্রথম বিশ্ববাদি চিন্তাভাবনার প্রাধান্য দেখতে পাই। মহান মাওসেতুং ও দুর্ভাগ্যবশত সেই চিন্তাভাবনার বাইরে ছিলেন না। প্রথম বিশ্বের কেবল মাত্র কতিয় অভিজাত শ্রেনির মানুষ পৃথিবির অধিকাংশ মানুষ কে শোষণ ও নিপীড়ন করছে- এই ধারনা তিনি ও ভাংতে পারেন নি। তিনি এই ধারনা ও বদলাতে পারেন নি যে, প্রথম বিশ্বের শ্রমিক শ্রেনি সহ বেশীর ভাগ মানুষ বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সহায়ক শক্তি। উপরন্ত, এই চিন্তাভাবনার প্রভাব আমেরিকা সম্পর্কে ও তাঁর মতামতের প্রতিফলন ঘটে। উদাহরন হিসাবে মাওসেতুং এঁর নিচের বক্তব্য উল্লেখ করা যায়ঃ-
“ চীনে জনগন দৃড়ভাবে আমেরিকার জনগনের বিপ্লবী লড়াই সংগ্রামকে সমর্থন করে। আমি আমেরিকান জনগণের আন্তরিক বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি….”
“ মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে সাদারা সকল হরতা-কর্তার দায়িত্বে আছেন। যেখানে কালো নিগ্রোরা নিগৃহিত হছেন । তাঁরা শ্রমিক, কৃষক ও বিপ্লবী বুদ্বিমান মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেনা, তাঁরা সর্বদাই সাদা সংখ্যা গরিস্টদের পক্ষে কাজ করে। বর্তমানে অ্যামেরিকা হাতে গুনা কতিপয় ব্যক্তির নেতৃত্বে, তাদের কিছু সমর্থক, ও বিভিন্ন দেশের স্বল্প সংখ্যক প্রতিক্রিয়াশীল গৌস্টীর সহায়তায় সাম্রাজ্যবাদী কর্মকান্ড চালাছে- যারা দুনিয়া জোড়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের উপর নির্বচার নিপীড়ন, জবর দখল, ও খুন হত্যা চালাছে। তাঁরা হলো সংখ্যা লগু, আর আমরা হলাম সংখ্যা গুরু। তাঁরা দুনিয়ার ৩,০০০ মিলিয়ন মানুষের মাঝে সামগ্রীক ভাবে মাত্র ১০% ।”
এছাড়া ও মাওসেতুং বুঝতে অক্ষম ছিলেন যে, সেই কালোদের স্বাধিকার সংগ্রাম সাদাদের বিরুদ্বে আগ্রাসী সংগ্রামে পরিণত হবে। মহান মাওয়ের ধারনা ছিল যে, সেই সংগ্রামে অ্যামেরিকায় সাদা এবং কালোরা একাকার হয়ে যাবে।
“ কালো জাতির এই লড়াই সংগ্রাম অবশ্যই সাদা শ্রমিক শ্রেনীর আন্দোলনের সাথে একাত্ম করতে হবে, যা স্বাভাবিক ভাবেই অ্যামেরিকার শয়তানি বন্দ্ব করতে ও পুঁজিবাদের শোষণ প্রক্রিয়াকে সমাপ্তি ঘতাবে।”
মাওসেতুং সারা জীবন ভরই প্রথম বিশ্ববাদের ধারনা পোষণ করেছেন। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ও মাওসেতুংএর জীবন কালিন সময় পর্যন্ত তা উচ্ছারন করেছে। তবে, লিন বিয়াও এর সময় কাল ১৯৬৫-১৯৭১ সালে প্রথম বিশ্ববাদের ধারনাটিকে দৃস্যপঠ থেকে একেবারেই অপসারিত করেছে। আর এই ঘটনাটি ঘটে ১৯৬৫-১৯৬৮ সালের মধ্যে। প্রকৃত ঘটনা হলো সেই সময়ে প্রথম বিশ্ববাদের অনুসারী নয় এমন ভিন্ন মতাবলম্বী লোকদের হাতে চীনের প্রকাশনা বিভাগ টি সম্পূর্নরূপে চলে যায়। তাঁরা বিশ্ববাদ সংক্রান্ত লড়াই সংগ্রামের সকল বিষয়াবলী বা কার্যক্রমকে অস্বীকার করে বা মুছে ফেলে। সেই লাইনটা কি লিনবিয়াও এর লাইন ছিল? ১৯৬৫ সালে তিনি লিখেন জনযুদ্ব দীর্ঘজীবি হোক। লিন বিয়াও এ কথা নীতিগত ভাবে মানতেন যে, চলমান দ্বন্দ্ব হোল বিশ্ব নগর বনাম বিশ্ব পল্লীর দ্বন্দ্ব। শোষক জাতি বনাম শোষিত জাতির দ্বন্দ্ব। ১৯৬৭ সালে যখন সাংস্কৃতিক বিপ্লব তুংগে তখন বেইজিং রিভিউ একটি প্রবন্দ্ব প্রকাশ করে যা লিখেছিলেন রবার্ট এফ. উইলিয়ামস লিন বিয়াও এর লাইনটি পরিষ্কার করার জন্য। এতে বলা হয়েছিলো-
“ জনযুদ্বের নীতির পথ ধরে দুনিয়ার মানুষ যারা গ্রামে বাস করেন এবং তাঁরাই শোষক শ্রেনীর আবাসস্থল নগর ঘিরে আছেন। আফ্রো-আমেরিকান বিপ্লবীরা নগরে অত্যন্ত শক্তিশালী ভাবে গোপনে অবস্থান নিয়ে আছেন।”
আমরা বুঝতে পারি যে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরেই প্রথম বিশ্বের মানুষ সম্পর্কে কেমন মূল্যায়ন ছিল। রবার্ট এফ. উইলিয়ামস পার্টি শৃখলার কোন লোক ছিলেন না, সংখ্যালগুরা এই মতটির ব্যাপক প্রচার করে। দুর্ভাগ্যবশত মাওসেতুংএর প্রথম বিশ্ববাদের ডগমার বিপরীতে লিনবাওয়ের লাইনটি জয় লাভ করতে পারেন।
সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অনুসরণে ব্যর্থতা ঃ দেশের আভ্যন্তরীণ নীতিমালায় পুঁজিবাদের ব্যাপক প্রভাব
এপ্রিল, ১৯৬৯ সালের নবম কংগ্রেসে ডানপন্থার দিকে ঝুকে পড়া ছিলো মাওসেতুংএর আরো একটি বড় ভুল। ১৯৭০ সালে মাও দেশের ভেতরে ও আন্তজর্তিক পরিমন্ডলে ও ডান পন্থার অনুসরণ শুরুকরেন। মাওসেতুং যখন ডান পন্থার দিকে ঝুকেন তখন বহু মাওবাদির সাতেই তাঁর বিরুধ বাধে। যখন সকল প্রকার গন আন্দোলন বন্দ্ব হয়ে যায়, এবং ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৬৮ সালে সকল সাংস্কৃতিক বিপ্লবী গ্রুপ গুলোকে অতি বিপ্লবী হিসাবে অভিযোগ থেকে মুক্ত করা হয়। অয়াং লি, যিনি অয়াহান ঘঠনার নায়ক, তিনিই প্রথম তত্ত্বদেন যে, “ প্রলেতারিয়েতের নেতৃত্বে বিপ্লবী কর্মকান্ড চালিয়ে যেতাই হবে”, তাকে ও ১৯৬৭ সালের শেষের দিকে এবং গুনা ফেং এবং কুই বেনুকে ও সকল প্রকার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়। সেই সকল পদক্ষেপ গন আন্দোলনকে থামিয়া দেয় যা প্রলেতারিয়েতের ক্ষমতা গ্রহনে সহায়ক ছিলো। ১৯৭০ সালে চেন বুদা ক্ষমতা হারান। ১৯৭১ সালে লিন বিয়াও ক্ষমতা হারান এবং মারা যান। মুলত চেন বুদা ও লিন বিয়াও ই ছিলেন প্রক্রিয়াগত ভাবে মাওবাদের বিবর্তনের মাধ্যমে মার্ক্সবাদের নতুন স্তরে উন্নয়নের প্রবক্তা। লিন বিয়াও এর বিরুদ্বে অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হয়। অথচ আজ পর্যন্ত এর কোন প্রমান কেউ হাজির করতে পারেননি। লিন বিয়াও এর বিরুদ্বে যে সকল অভিযোগ আনা হছে তাঁর সবই মিথ্যা ও বানোয়াট। লিন বিয়াও এর বিরুদ্বে পুরো গল্পটাই পুলিশকে দিয়ে সাজানো হয়েছিলো। মজার বিষয় হোল যে, ১৯৭৬ সালে চার কুচক্রি নামে যে অভ্যুত্থানের কাহিনিটা তৈরী করা হয়ছিল তা ও ছিলো একটা মিথ্যার বেশাতী। ১৯৬৬-১৯৬৯ সালে সাংস্কৃতিক বিপ্লব সফলতার পর ১৯৬৯ সালে নবম কংগ্রেসের মাধ্যমে মাওবাদিগন মাওবাদি অর্থনিতিতে ফেরত যাতে চেয়ে ছিলো কিন্তু লিও শুকি ও দেং জিয়াউ পিং তা হতে দেয়নি। তাঁরা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় কাল থেকেই পুঁজিবাদকে পুনপ্রবর্তনের আপ্রান চেষ্টায় লিপ্ত ছিলো। তাঁরা চাইছিলো মাওবাদের মডেল বাদ দিয়ে পুঁজিবাদকে গ্রহন করতে। তাঁরা সফল ও হয়েছিল। মাওবাদিগনের এই পরাজয় প্রতিবিপ্লবী শক্তি ও পুজিবাদিদের নানান দল ও উপদলকে সংঘটিত করতে থাকে। পরিনামে মাওবাদি অর্থনিতির মডেলের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর ও পুঁজিবাদই চীনে ফিরে আসে। মহা উল্লম্পনের পর মাও ও তার অনুসারীরা সংশোধণবাদিদের প্রচন্ড চাপের মূখে পড়ে, এবং মাওবাদিগনের লক্ষ্য চরম ভাবে মার খায়, ফলে তাঁরা সংশোধন বাদিদের সাথে আপুস করতে বাধ্য হন। মাওসেতুংএর উন্নয়ন মডেলের পরিবর্তে পুঁজিবাদী মডেলই প্রধান্য পায়, চেন বুধা ও লিনবিয়াও জড়া পাতার মত চিনের প্রশাসনে পরিত্যক্ত হন। অন্যভাবে বললে, ১৯৭০ সালের পর মাওবাদ থেকে চিন দূরে সরে আসে। বিশেষ করে লিন বিয়াও কে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই। সেই সময় মাও নিজেও সংশোধণবাদিদের অংশে পরিণত হন।
যদিও ১৯৭০ সালের বিশেষ পরিবর্তনের পর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সাথে জড়িতদেরকে ক্রমে বিচার করা হচ্ছিল কিন্তু এর পর ও মাওবাদিগনের পত্যাবর্তনের একটা আবাশ বিরাজমান ছিল। উদাহরন, ১৯৭২ সালে চেন ই এর অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় মাও যোগদিয়ে ছিলেন এবং তাঁকে কমরেড বলে সন্মবোধন করেছিলেন এবং সাংস্কৃতিক বিপ্লব বিরুধীদের প্রতি হুশিয়ার উচ্ছারন করেছিলেন। ই জেণ নিং যাকে তথা কতিত চার কুচক্রির এক জন হিসাবে বন্দি করা হয়েছিল তাঁকে মাওসেতুংএর নির্দেশেই উচ্চ রাষ্ট্রীয় পদ দেয়া হয়ছিল। চিনের গণ ফৌজের উপর তার বেশ প্রভাব ও ছিলো তার ভাষ্য হল ..
“ আমাদের জনগণ আমাদেরকে আজ বাম পন্থী বলে অভিশাপ দিচ্ছে, আসলে কি আমরা বামপন্থী ? আমরা তো সেই মানুষ যারা সেই পথ ছেড়ে দিয়েছি। আজ গেল চেন ই আগামী কাল জিয়ান ইং যাবে। সেই বাম পন্থীরা আজ জেলে। অথচ আমরা বছরের পর বছর স্বর্গীয় আশায় মরনপন লড়াই করেছি, দেশের নানা স্থানে নানা যায়গায় যুদ্ব করেছি। সারা দেশে গৃহ যুদ্ব পরিচালনা করেছি। সেনাবাহিনির এক অংশ আমাদের দিকে এসেছে আরেক অংশ অন্যদিকে গিয়েছে । আমরা জয়ী হয়ছি। বাম পন্থিদের অংশ দেশের ক্ষমতা দখল করেছে। আজ অবস্থা অন্যরকম । বাম পন্থিরা জেলে মহান নেতা লীণ বিয়াও আর আমদের মাঝে নেই।”
বিখ্যাত মামলাটি ছিল দেং জিয়াও পিং এর নামে। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সেই সময়কার একজন উল্লেখ যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন তিনি , তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয় । আর তিনিই কি না ‘ সেই ব্যাক্তিতে পরিণত হলেন যিনি পুঁজিবাদের পথে এগিয়ে যাওয়া প্রধান ব্যক্তিদের একজনে।’ ১৯৭২ সালে, মাওসেতুং তার সুর পাল্টে ফেললেন। মাওসেতুং বললেন, জনগণের দাবির কারনেই জিয়াংজিকে বিদায় নিতে হলো, আর দেং জিয়াও পিং ক্ষমতায় আসিন হলেন। মাওসেতুং এর অনুকম্পাই দেং কে চিনের ক্ষমতায় পাকা পুক্ত করেদেয়। এই সেই দেং যিনি ১৯৮০ সালে চীন থেকে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে নির্মূল করে দেয়। সেই সময়টাতে সংশোধণবাদিদের সাথে দেং এর একটা ক্ষমতার দন্দ্ব চলছিলো। তখন ও মাও তাঁকে রক্ষা করেন । আরো উদাহরন হলো, ১৯৬৬-১৯৬৯ সালে যখন চিনে সাংস্কৃতিক বিপ্লব তুঙ্গে তখন ও লুই শুকি র মামলা থেকে মাও নিজে হস্তক্ষেপ করে দেং কে রক্ষা করেন। মুলতঃ মাওসেতুং তার সৃষ্ট সাংস্কৃতিক বিপ্লব সমাপ্ত করতে পারেননি। দেং জিয়াওপিং এর প্রতি মত্রাতিরিক্ত ভালোবাসাই এই করুন পরিনতির জন্য দায়ী।
বিশ্ব দৃস্টিভঙ্গী ও আন্তজর্তিক নীতির ক্ষেত্রে বিচ্যুতিঃ
মহান মাওসেতুং বিশ্ব দৃস্টিভঙ্গী ও আন্তজর্তিক নীতি মালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ও কিছু ভুল করেছিলেন। মাওসেতুং যথার্থভাবেই সৌভিয়েত ইউনিয়নকে একটি সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসাবে চিহ্নত করেছিলেন। কেননা ইহা তখন যথার্থভাবেই পশ্চিমাদের মত সাম্রাজ্যবাদী দেশে পরিণত হয়ে ছিলো। এমন কি ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সিসিপি নিজেকে একটি সাম্রাজ্যবাদের দুসর হিসাবে দেখতে পায়। আর সেই অবস্থার পরিবর্তনের সূচনা হয় যখন লিন বিয়াও বিশ্বদৃস্টিভঙ্গীতে গণ যুদ্বের দর্শন ব্যাখ্যা করেন। চিনে যারা দুনিয়া জোড়ে মাওবাদের মধ্যমে জনযুদ্বের মাধ্যমে মানব সমাজের মহা মুক্তির জোয়ার তুলতে চেয়েছিলেন লিন বিয়াও ছিলেন তাদের একজন। আন্তজর্তিক পরিমন্ডলে মাওবাদের মহা মন্ত্র ছড়িয়ে দেয়ার পক্ষে ছিলেন কমরেড লিন বিয়াও। কমরেড লিন বিয়াও তার চিন্তাভাবনার মাধ্যমে চীন কে একটি বিপ্লবী রাষ্ট্রে পরিণত করতে ছেয়েছিলেন। মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের নেতৃতে যে সাম্রাজ্যবাদী তান্ডব চলছে তার প্রতিরোধ ও সামাজিক সাম্রাজ্যবাদীদের তৎপরতা চিরতরে বন্ধ করার আজীবনের সাধনা ছিল মহান লিন বিয়াও এঁর । মাওসেতুং এই চিন্তা ধারাকে অতি বাম মনে করতেন। আর সেই জন্যই মাওসেতুং ১৯৬৯ সালে চেন উই, ও দেং জিয়াও পিং কে নতুন ধারার রাজনীতি তৈরির জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, লিন বিয়াও বিরোধী তৎপরতা যা চীন-যুক্তরাস্ট্র জোট সৌভিয়েত ইউনিয়ন বিরোধী হিসাবে বিবেচিত হয়। এটাকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি হিটার লিংক নামে অভিহিত করে। ১৯৭০ সালে, এর দ্বারাই তিন বিশ্ব তত্বের সত্বতা প্রমানিত হয়। তবে, তা মাওবাদ- তৃতীয় বিশ্ববাদ নয়। দেং জিয়াউ পিং ১৯৭০ সালে এই তত্বের প্রধান ভাশ্যকার ছিলেন, লিন বিয়াও সেই সময়ে এই ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল দৃস্টিভঙ্গীকে আন্তজর্তিক নিতীমালা প্রনয়নে বিরোধিতা করেন। দেং জিয়াউপিং এঁর সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে এইরূপ খেলার পুর্ন বিকাশ হয় ১৯৮০ সালে। যেখানে নিপিড়ত মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে চিনের নাম হতে পারত তা এখন সাম্রাজ্যবাদীদের মতই আচরণ করছে। তাদের এই ধরনের আচরণ মাওসেতুং এর মহান বিপ্লবের উদাহরনকে ও দুনিয়ার মানুষের সামনে ম্লান করে দিয়েছে।
বিপ্লবী আন্দোলন সংরামকে আগামি দিনে ও নানা সমস্যার ভেতর দিয়ে যাতে হবে। এখন দুনিয়ার কোথাও কোন সমাজতান্ত্রিক দেশ নেই। এই অবস্থায় বিপ্লবী বিজ্ঞান বিনির্মান করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হলো আগে যে সকল ভুল – বিচ্যুতি হয়ছে তা এড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। ইহা বিপ্লবী ইতিহাসে অনেক ক্ষেত্রই নির্মম মনে হতে পারে। তবে তার অবশই প্রয়োজন আছে। চেষ্টা ছাড়া একটি পাথর ও নড়েনা। আজ লিডিং লাইট ইতিহাস বিশ্লেসনের মশাল জ্বেলেছে- ভুল স্বীকার করার উদাহরন তৈরী করছে। আমারা অবশ্যই আগের সটিক কাজ গুলো মেনে চলব আর ভুল কাজ গুলোর অপনোদন করব ও তার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই দিকে জাগ্রত নজর রাখব। একে এম শিহাব।