লিডিং লাইট এবং মাওবাদের পার্থক্য বিষয়ে প্রাশ্ন ও উত্তর

11026391_405935289585124_1435605622_n

(llbangla.org)

আমরা সম্প্রতি মাওবাদ ও লিডিং লাইট কমিউনিজম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন পেয়েছি তাঁর উত্তর নিম্নে দেয়া হলো-

১. তৃতীয় বিশ্ববাদ সম্পর্কে চেয়ারম্যান মাওসেতুং ও লিডিং লাইটের মতামত কি একেই রকম ?

উত্তরঃ না । লিডিং লাইটের “বিশ্ব শ্রেনী বিশ্লেষণ” ও মাওসেতুংয়ের তৃতীয় বিশ্ববাদ তত্ত্ব মোটেই এক নয় । আসুন এদের মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষন করে দেখি।

১৯৭০ সালে মাওসেতুং “ তৃতীয় বিশ্বতত্ত্ব” ধারন করতেন। মাওসেতুং বলতেন, “ প্রথম বিশ্ব” হলো আমেরিকা ও সৌভিয়েত ইউনিয়ন। “দ্বিতীয় বিশ্ব” হলো কিছু ছোট সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা গঠিত ইউরূপীয় দেশ, জাপান, ও অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি। এবং “তৃতীয় বিশ্ব” হলো দরিদ্র দেশ সমূহ নিয়ে। মাওয়ের ধারায় প্রাধান্য পেয়েছিলো জাতিয়তাবাদ, ভৌগলিক পরিস্থিতি যেখানে চীনের দৃস্টি ভঙ্গীই ছিল মূলকথা। সেখানে সর্বহারার ধারনার কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। ১৯৭০ সালে যখন সংকির্ণ ভাবে চীন তাঁর পররাষ্ট্র নীতির উদ্ভাবন ঘটায় তখনই এই ধারার বিকাশ ঘটে। মাওবাদীদের চিন্তা ভাওবনার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, একটি বিশ্বকে আরেকটি বিশ্ব থেকে আলাদা করার ক্ষেত্রে সামারিক শক্তি ও অন্যের ভূখন্ড দকলকে খুবই গুরুত্ব পূর্ন উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। অথচ ইউরূপীয়ান সাম্রাজ্যবাদী দেশ সমূহের মধ্যে তাদের জন সাধারনের জীবন যাত্রার মান সৌভিয়েত ইউনিয়নের চেয়ে অনেক উন্নত ছিল। তবে তারা ছিলো ছোট দেশ, এবং সামরিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় এই দেশ গুলো মাওয়ের মতানুসারে দ্বিতীয় বিশ্ব হিবে বিবেচনা করা হয়েছে। পক্ষান্তের, লিডিং লাইট মাওসেতুংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখেই বিশ্বকে দেখেছে। যেমন মাও বলেছিলেন “বিপ্লবের প্রথম প্রশ্ন কি হবে”ঃ “ আমাদের শ্ত্রু কে?” এবং “আমাদের বন্দ্বু কে ?” আমরা বিশ্বকে জাতিয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভিত্তিতে দেখি না । আমরা দেখি শ্রেনী চেতনার নিরিখে। এবং সর্বহারার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আমরা বিশ্বকে শ্রেনী বিশ্লেষণ থেকে, সামাজিক শক্তি থেকে দেখে থাকি । কেননা আমরা চাই শোষণ, নিপিড়ন, পুর্ন স্বাধীনতা ও আলোকিত সাম্যবাদ। আমরা মানব সমাজকে জীবন যাত্রার মানের ভিত্তিতে “বিশ্ব” হিসাবে ভাগ করে থাকি। দুনিয়ার যে সকল এলাকায় মানুষ দরিদ্র ও মানবেতর জীবন যাপন করেন তাদেরকে আমারা তৃতীয় বিশ্ব বলে থাকি। অন্য দিকে পৃথিবীর যে সকল অঞ্চলে মানুষ ধনি, সম্পদশালী ও আরাম দায়ক জীবন যাপন করেন তাদেরকে আমরা প্রথম বিশ্ব বলে থাকি। আমরা মানব সমাজে দুটি প্রধান স্তর দেখতে পাচ্ছি। এর একটি স্তর ধনে সম্পদে ও সুযোগ সুবিধা পেয়ে বিলাসী জীবনযাপন করেন যাদেরকে আমরা প্রথম বিশ্ব বলছি। অন্যদিকে নিচু মানের জীবন যাপনে অভ্যস্থ আরো একটি স্তর যাদেরকে আমরা তৃতীয় বিশ্ব হিসাবে বিবেচনা করতে পারি। আর এই দুটি স্তরের মাঝখানে আছে আরো একটি স্তর যাদেরকে আমরা দ্বিতীয় বিশ্ব বলে থাকি। তাদের জীবন যাত্রা ও দ্বিতীয় মানের । এখনো তাদের বিষয় আসয় তেমন আলোচনায় আসে না ।

[ প্রথম বিশ্ব ]-স-উ——————প-র-[“দ্বিতীয় বিশ্ব”] ————-ম—————ব-[তৃতীয় বিশ্ব ]

এই নক্সায়, আমরা একটি যেমন সূইজারল্যান্ড, “স”, অনেক উন্নত জীবন যাপন করছে, তারা এখন এমনেক স্তরে আছে যা আমেরিকার চেয়ে ও উন্নত, “উ”। আমরা এখন পুর্ত্তুগালের কথা ধরতে পারি “প”, যারা প্রথম বিশ্বের প্রান্তে অবস্থান করছে। কিন্তু এরা আবার মধ্যম স্তরে অবস্থিত। রাশিয়া, “র,” ও এমন এক স্তরে আছে যারা প্রায় মধ্যম স্তরের মাঝেই আবর্তিত হচ্ছে। একেই ভাবে যেমন বাংলাদেশ “ব”, তারা মেক্সিকোর “ম”, চেয়ে ও দরিদ্রতম। এই নক্সায় আমরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমূহকে প্রথম বিশ্বের স্তরেই বিবেচনায় রেখেছি। এই নক্সাটিকে আবার কোন দেশ তাদের ব্যাক্তি বিশ্লেষণে ও ব্যবহার করতে পারেন। কতিপয় দেশ যারা প্রথম বিশ্বের প্রতিবেশি এরা তৃতীয় বিশ্ব ভূক্ত হলেও তাদের জীবন মান অনেক উন্নত। একেই ভাবে প্রথম বিশ্বের কিছু পকেট দেশ আছে যারা উন্নত জীবন যাপনের সুযোগ পেয়ে থাকে।

আমরা এই নক্সাটাকে ফ্যাসিবাদের উত্থান বিষয়ে ভবিষ্যৎ বানী করার জন্য ব্যবহার করতে পারি। গতানুগতিক ভাবে প্রথম বিশ্ব অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের দেশ সমূহের উপর ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেয়। উদাহরন হিসাবে আমরা গ্রীস ও রাশিয়ার কথা বলতে পারি । প্রথম বিশ্বের দেশ সমূহ নিজেদেরকে অধিকতর উদারতাবাদি হিসাবে প্রমান করার চেষ্টা করে থাকে । তারা তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহে এই নীতির চর্চা করতে চায়, সেখানে ভোটের মাধ্যমে, সামাজিক সভা সমাবেশের মাধ্যমে এবং বিপ্লবী চিন্তা ভাবনার অবসানের ভেতর দিয়ে গণতন্ত্র ও উদারতার উদাহরন সাধারন মানুষের সামনে তুলে ধরতে চায়। একেই ভাবে তারা প্রচার করে থাকে তাদের দেশ সমূহে উন্নত জীবন, গরীবের সংখ্যা কম ধনীদের সংখ্যাই বেশী। আর সেই কারনেই বলা যায় যে, প্রথম বিশ্বে উল্লেখ যোগ্য হারে সর্বহারার সংখ্যা প্রথম বিশ্বে নেই। আমরা প্রথম বিশ্বের বিলুপ্তি কামনা করি, কারন আরা নিজেদের অবস্থানকে আরো উন্নত করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। প্রথম বিশ্বের মানুষ শৃংখল মক্তির বিষয় থেকে বহু বহু দূরে অবস্থান করছে। তাদের জীবনে সম্পদ, নিরাপত্তা, সুখ, আরাম আয়েশের কোন অভাব নেই । তারা বুর্জোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্থ হয়ে উঠেছেন। ‘এক জন সর্বহারার শিকল মুক্তি ছাড়ার আর কিছুই নেই’ এটা কেবল একজন সত্যিকার সর্বহারার জন্যই প্রযোজ্য। আমরা বার বার দেখছি, বুর্জোয়া শ্রেনীর লোকেরা বিপ্লব ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লড়াই সংগ্রাম থেকে সকল সময়েই নিজেদের মূখ ফিরিয়ে রেখেছে। বিপ্লব তৃতীয় বিশ্ব থেকে “দ্বিতীয় বিশ্বের” দিকে এবং এর পর প্রথম বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাবে।

২. আমরা কেন প্রথম বিশ্বের পরাজয় কামনা করি ?

কার্ল মার্ক্সের সময় আর আজকের সময়ের শ্রেনী বিভাজন যে এক নয় তা বেশ আগেই চীনের মাওবাদিরা বুঝেতে পেড়েছেন। এ প্রসংগে চিনাদের ভাষায় “ নয়া বুর্জোয়া” কথাটি শুনা যায়। লুই সুখি এবং দেং জিয়াওপিং তাদের অন্যতম। তাদের পরিচালিত কল কারখানা আর মার্ক্সের আমলের ইংল্যান্ডের বুর্জোয়াদের পরিচালিত কারখানা কি এক রকম ? এখন কার চীনের ও সৌভিয়েত ইউনিয়নের বুর্জোয়া শ্রেনী আর আগের গতানুগতিক সময়ের বুর্জোয়া শ্রেনী কিন্তু এক নয়। এরা আমলাতান্ত্রিক, প্রকৌশলগত ও সম্মিলিত প্রকৃতির । এরা স্ব স্ব দেশের সম্পদের মালিকানা ধারন করেন। এই বুর্জোয়া শ্রেনী আবার প্রতিক্রিয়াশীল চক্র হিসাবে ভূমিকা রাখে। এই বুর্জোয়া শ্রেনী নিজেদেরকে ক্ষমতার কেন্দ্রে ধরে রাখতে চেষ্টা করে। জনগণের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে সামাজিক ভাবে তাদের নিয়ন্ত্রন কয়েম রাখতে চেষ্টা করে থাকে। মাওবাদিগন অনেক আগেই বলেছে যে, মার্ক্সের দুনিয়া আর আজকের দুনিয়া এক নয় । প্রথম বিশ্বে এখন একটি কর্মজীবি বুর্জোয়া শ্রেনী আছেন যারা কাজ করেন কিন্তু তারা কোন ভাবেই শোষিত নন। তাদের জীবন যাত্রা অনেক উন্নত, তারা সাম্রাজ্যবাদের উপকার ভোগী, তাই তারা কোন ভাবে সাম্রাজ্যবাদকে উচ্ছেদ করতে আগ্রহী নন। ফ্রেডারিক এঙ্গেলস বহু আগেই বলেছিলেন সাম্রাজবাদের সুবাদে ভারতে শোষণের ভেতর দিয়ে ইংল্যান্ডের জনগণ ক্রমে বুর্জোয়া হয়ে উঠছে। লেনিন ও লিখেছিলেন, “ অভিজাত কর্মচারী” লিন পিয়াং বলেছিলেন, “ বিশ্ব পল্লী” যা “বিশ্ব নগর” কে বৈরী হিসাবে বিবেচনা করে। এই সকল চিন্তাবিদ ও বিপ্লবীগন লিখে গেছেন যে, শ্রেনী পরিবর্তিত হয়ে গেছে। মাওবাদিগন মাঝে একটি নতুন বুর্জোয়ার কথা বলেছে । আর এই খানে আমরা আরো একটি শ্রেনীর কথা উল্লেখ করছি, তা হলো ধনি দেশের ও সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়ার জনগণ। এরা এখন ভিন্ন এক প্রকার বুর্জোয়ায় পরিণত হয়েছে।

মাওবাদিগন চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় কেবল লেনিনের পর্যবেক্ষনের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন যে, “ তাকেই কেবল মার্ক্সবাদি বলা যায়, যিনি শ্রেনী সংগ্রাম ও সর্বহারার একনায়কত্বে বিশ্বাস করেন”। মাওবাদিদের চিন্তাধারা হলো, যে বুর্জোয়াদের পরাজয়ই সাম্যবাদকে এগিয়ে নেবার পথ। তারা মনে করেন “সর্ব ক্ষেত্রে সর্বহারা সামগ্রীক একনায়কত্ব কায়েম করা সাম্যবাদ সম্ভব নয়”। মাওবাদিরা চীনে কেবল মার্ক্সের গতানুগতিক বুর্জোয়াদের কথা ভাবেনি। তাদের সামনে এসেছে কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরেই জন্ম হয়েছে এক ধরনের বুর্জোয়া। আমরাও তাদের মতই একমত যে সকল স্থরে সামগ্রীক ভাবে সাম্যবাদ কায়েমের জন্য সর্বহারার একনায়কত্ব একন্ত জরুরী বিষয়। প্রকৃত মার্ক্সবাদে কথা হলো বুর্জোয়া শ্রে

নীর বিনাশ সাধন করা। এর অর্থই হলো সকল ধরনের বুর্জোয়া, বুর্জোয়া বিশ্ব এবং প্রথম বিশ্ব সহ সকল বুর্জোয়াদের নিপাত করা। আগে যেমন সত্যিকার মার্ক্সবাদি ও সংশোধনবাদি ছিলো আজো তা আছে। আমরা অবশ্যই বুর্জোয়াদের নিপাত চাই। তাদের সাথে কোন প্রকার আপোষ নয়। তাই আমরা সকল প্রকার সংশোধনবাদের বিরুদ্বে অবস্থান নিয়েছি। কার্ল কাউটস্কি, নিকিতা ক্রুসচেভ, লুই সুখী, দেং জিয়াও পিং এবং প্রথম বিশ্ববাদি চক্রের বিরুদ্বে আমাদের লড়াই। চীনের মাওবাদি বিপ্লবী গন যে ভাবে সকল স্তরে সর্বহারার একনায়কত্ব কায়েম করতে চেয়ে ছিলো আমরা ও সেই ভাবে লিডিং লাইট সাম্যবাদকে বিপ্লবী বিজ্ঞান হিসাবে এগিয়ে নিতে বদ্বপরিকর।

৩. আপনি বলেছেন প্রথম বিশ্ব আপনার কিছু বিপ্লবী বন্দ্বু আছেন, প্রথম বিশ্বের বিপ্লবীদের ভূমিকা কি ?

আলোকিত সাম্যবাদের আসল লক্ষ্য হলো বিশ্ব ব্যাপী গনযুদ্বের সূচনা করা। একজন আলোকিত সাম্যবাদি দুনিয়ার কোথায় থাকেন তা কোন বিষয় নয়। তারা আমাদের ভাই-বোন। আমাদের একটি দির্ঘ ঐতিহ্য আছে যে, অনেকেই তাদের নিজস্ব শ্রেনী ভেঙ্গে সর্বহারার কাতারে এসে শরিক হয়েছেন। এর বড় উদাহরন হলো ফ্রেডারিক এঙ্গেলস। তিনি কেবল মার্ক্সকে অর্থ সাহায্য দিয়ে চালিয়ে রাখেননি বরং তিনি নিজেও একজন বিপ্লবী বিজ্ঞানী ছিলেন। আলোকিত সাম্যবাদিদের আন্দোলন সত্যিকার বিপ্লবীদের আন্দোলন।

আলোকিত সাম্যবাদের শ্লোগান হলো, “ তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লব, প্রথম বিশ্বকে রুখে দিবে”। প্রথম বিশ্বের বিপ্লবী বন্দ্বুদের একটি প্রধান কাজ হলো বিশ্ব জোড়ে গন লড়াই সূচনার ক্ষেত্রে আলোকিত সাম্যবাদিদেরকে সর্বাত্বক সহযোগীতা করা। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লবীদের পাশে দাঁড়ানো। আবার স্ব স্ব দেশে প্রথম বিশ্বে বিপ্লব বিরোধী কর্ম কান্ডের প্রতিরোধ করতে তৎপর থাকা। তাদের দায়িত্ব হল সম্পদের সমাহার করা। সাম্রাজ্যবাদকে পদে পদে বাঁধা দেয়া । তাদের আরো কাজ হলো প্রথম বিশ্বকে দুর্বল করার জন্য কাজ করা । আর তৃতীয় বিশ্বের বন্দ্বুদের পক্ষে দাড়িয়ে জনমত তৈরী করা । আমরা প্রথম বিশ্বে বিপ্লবকে বাদ দিচ্ছি না । বরং আগামী দিনে আরো শক্তিমত্বা নিয়ে অগ্রসর হতে চাই। প্রথম বিশ্বকে পরাজিত করতে হলে প্রথমে তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লবকে সম্পন্ন করতে হবে। তৃতীয় বিশ্বকে মুক্ত করতে হবে। যেমন লিন পিয়াং বলেছিলেন, বিপ্লব বিশ্ব পল্লী থেকে শুরু হয়ে বিশ্ব নগরের দিকে এগিয়ে আসবে।

৪. প্রথম বিশ্ব বসবাস কারী কালো, অধিবাসী ও অন্যান্যদেশের মানুষেরা কি তৃতীয় বিশ্বের শত্রু ?

একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, সকল সংখ্যালগিস্ট মানুষ ও জাতি কিন্তু এক রকমের নয়। উদাহরন হিসাবে আমরা এশিয়ার লোকদের কথা বলতে পারি এমন কি উরা যদি সাদা ও হয়। এশীয়ানরা কিন্তু একই ধরন বা প্রকৃতির নয়। যেমন চিন দেশের মানুষ, জাপানী, ভিয়েতনামী, লাঊসিয়ান, হং, ফিলিপিনো, মালয়েশিয়ান, ইন্দোনেশিয়ান, কোরিয়ান এবং আমেরিকায় বসবাস কারী অন্যান্য জাতির লোকেরা । তাদের মাঝে নানা বিষয়ে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। সম্পদের দিক থেকে লাউসিয়ান ও জাপানীদের মাঝে অনেক পার্থক্য। এছাড়া ও এশিয়ার আদিবাসী দের মধ্যে বিস্তর গড়মিল রয়েছে। কালো মানুষদের মাঝে ও পার্থক্য বিদ্যমান। কিছু কিছু কালো সম্প্রদায় আছে যারা অন্য কালোদের চাইতে বেশ অগ্রসর । একেই ভাবে, চিংকুনিস, মেক্সিকান এবং ল্যাতিনোস। কিউবানরা সালভাদরের মনুষের চেয়ে আমেরিকা ভালো অবস্থায় আছেন। নানাজাতির মানুষের মাঝে নানা দিক থেকে পার্থক্য বিদ্যমান। আবার একেই জাতির মধ্যেও পার্থক্য লক্ষ্যনীয়। আবার প্রথম বিশ্বের সাদা মানুষের মাঝে ও নানা ভাবে পার্থক্য আছে। তৃতীয় বিশ্বের কোন কোন স্থানে প্রথম বিশ্ব কিছু নিজস্ব ডঙয়ের পকেট তোইরী করে রেখেছে। আমেরিকায় ও অস্ট্রেলিয়া কিছু আদিবাসি আছেন যারা এখনো দরিদ্র জীবন যাপন করে থাকেন। তবে আসল কথা হলো এই সকল লোকদের মধ্যে সত্যিকার কোন প্রকার যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। তারা বিচ্ছিন্ন ভাবে বসবাস ও চলাফেরা করে থাকে। তাদের মাঝে কোন প্রকার বিপ্লবী ভিত্তি নেই। কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া সেখানে কোন প্রকার সর্বহারা নেই । আমাদের গবেষনা বলছে প্রথম বিশ্বে সত্যিকার অর্থে কোন সর্বহারা শ্রেনী নেই।

কিন্তু এর মানে এই নয় যে প্রথম বিশ্বে কোন প্রকার অন্যায় কর্ম হচ্ছে না । এর মানে এই নয় যে উরা যা খুশি করুক আমরা সেই বিষয়ে নিরব থাকব। তাদের অন্যায় কর্মের কোন প্রতিবাদ করা হবে না । আমরা কিন্তু কোন ভাবেই উদারতাবাদি নই। আমরা পরিবর্তনকামী, আমরা বিপ্লবী। আমাদের কাজই হলো বিপ্লব সাধন করা। আমরা চাই বা না চাই প্রথম বিশ্ব এবং তাঁর পকেট গুলো শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম বিশ্বে বপ্লবের স্বার্থেই তৃতীয় বিশ্বে আগে বিপ্লব সাধন করতে হবে। প্রথম বিশ্বে যারা সর্বহারা তারা আমাদের সাথে সহযোগীতা করবেন। তাদের কৌশল হতে পারে ‘ডিফিটিজম’।

৫. আপনি কি লিন পিয়াং কে মাওসেতুং এর চেয়ে বড় মনে করেন ?

তাদেরকে ব্যাক্তি হিসাবে না দেখে আমাদের উচিৎ তাদের রাজনৈতিক লাইনটি দেখা। রাজনীতি হলো একটি কম্যান্ড ইহা কোন ব্যাক্তিবাদ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে লিন পিয়াং এর লাইন মাওসেতুং এর লাইনের চেয়ে উন্নত ছিলো। ১৯৭০ সালে মাও যখন ডানপন্থার সাথে ঐক্য করতে যাচ্ছিলেন তখন লিন পিয়াং তার বিপরীত মত প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৬০ সালে মাওসেতুং নিকিতা ক্রুসচেভের সাম্রাজ্যবাদের সাথে “শান্তি পূর্ন সহাবস্থানে” সামালোচনা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭০ সালে মাও নিজেই পাশ্চাত্যের সাম্রাজ্যবাদের সাথে সহাবস্থানের নীতি গ্রহন করেছিলেন। হুবহু সৌভিয়েত ইউনিয়নের মত নিজের দেশের স্বার্থকে বিশ্ব সর্বহারার স্বার্থের উর্ধে স্থান দিয়ে ছিলেন। ১৯৭০ সালের চীনের নীতি ছিলো চীনের রক্ষনশীল মতেরই প্রতিফলন। কিন্তু লিন পিয়াং চেয়ে ছিলেন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্বে বিশ্ব ব্যাপী গন যুদ্বের সূচনা করতে। পক্ষান্তরে, মাওসেতুং জাতিয় স্বার্থকে প্রধান্য দেন। অধিকন্তু, লিন পিয়াং চাইতেন বিশ্ব গ্রাম দিয়ে বিশ্ব নগরকে ঘেরাও করতে। লিন ১৯৬৯ সালের সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে আরো জোরদার করতে চাইতেন আর মাওসেতুং চাইতেন ডানপন্থীদেরকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে। সেই বিবেচনায় লিন কে মাও এর চেয়ে উত্তম মনে হয়। কিন্তু সামগ্রীক বিবেচনায় মাওসেতুং লিনের চেয়ে অনেক বড় মাপের নেতা ছিলেন। লিন নয় ; মাওসেতুং ই চীনের মহান বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাও একজন বিপ্লবী বিজ্ঞানী লিখক ছিলেন। তিনি ই মাওবাদি বিপ্লবের ঢেউ তুলে ছিলেন। লিন কে যদি বলি লিডিং লাইট তবে মাও ও লেনিন কে বিংশ শতাব্দির উজ্জ্বল লিডিং লাইট বলতে হবে।

আমাদের প্রথম কাজ হলো বিপ্লবী বিজ্ঞানকে উন্নত করা, কোন বিশেষ ব্যাক্তির উত্তরাধিকার চর্চা নয়। আমরা আমাদের পূর্বের লিডিং লাইট মার্ক্স, লেনিন, মাওসেতুং ও লিন পিয়াং কে আমাদের পথ নির্দেশক হিসাবে গন্য করি। তারা মানব জাতির শ্রেস্ট সন্তান। তারা আমাদের প্রেরনার উৎস। কিন্তু মাও মৃত্যুর পর ইতিহাস কিন্তু থেমে যায়নি। বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত উন্নতি লাভ করেছে। আজ আমরা ও বিপ্লবের পরবর্তী ঢেউ তুলার জন্য বিপ্লবী বিজ্ঞানের উন্মেষ ঘটিয়েছি। যেমন লেনিন মার্ক্সের পর, মাওসেতুং লেনিনের পর আমরা তাদের সকলের পর আরো উন্নত বিপ্লবী বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে তৎপর রয়েছি। আলোকিত সাম্যবাদ হলো এর পরের স্তর।

৬. আপনি দাবী করেছেন আলোকিত সাম্যবাদ বিপ্লবী বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর। আলোকিত সাম্যবাদের সাথে অন্যান্য অপরাপর মার্ক্সবাদি-লেনিনবাদি ও মাওবাদের মধ্যে পার্থক্য কি ?

আলকিত সাম্যবাদ হলো সামগ্রীক ভাবে একটি অগ্রসর বিপ্লবী বিজ্ঞান। ইহা তাঁর প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রসর চিন্তা ভাবনাকে লালন করে। এখানে অবশ্য এর তালিকা দেয়া সম্ভব নয় । তবে আমরা চেষ্টা করব এর কিছু বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধারার জন্যঃ

আলকিত সাম্যবাদ আধুনিক যুগে আবিস্কৃত জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় প্রশাখায় অগ্রসর সকল কিছু কে মার্ক্সবাদের সাথে সম্পৃক্ত করে বিবেচনা করে থাকে, মার্ক্সীয় বস্তুবাদ, যুক্তিবিদ্যা, ভাষাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিজ্ঞানের বিশ্লেষন করে সমাজকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যেতে চায়। জ্ঞান বিজ্ঞানের অনেক শাখায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, যদি মার্কীয় শিক্ষা প্রয়োগ না করা হয় তবে তা মানুষের কাছে একটি বরফাচ্ছাদিত রহশ্যে ঘেরাই থেকে যাবে। ১৯৭৬ মাওয়ের মৃত্যু বিজ্ঞানকে নিশ্চয়ই বরফাচ্ছাদিত করে দেয়নি। অথচ পুঁজিবাদ প্রতিনিয়ত তাদের নিপিড়ন কারী বিজ্ঞানকে উন্নত করেই চলেছে। আমরা যদি তাদের সাথে পাল্লাদিয়ে বিপ্লবী বিজ্ঞানের বিকাশ না ঘটাই তবে আমরা অবশ্যই হেরে যাব। তাই অবশ্যই আমাদের উচিৎ বিপ্লবী বিজ্ঞানের বিকাশ সাধন করা বা আলোকিত সাম্যবাদের বিকাশ ঘটানো। এই ধারনারটি আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে।

আলোকিত সাম্যবাদ রাজনৈতিক অর্থনীতিকে একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করাতে চায়। আলোকিত সাম্যবাদ বিশ্ব শ্রেনী বিশ্লেষণকে করে দেখাতে চায় এখন তা কিভাবে বিশ্ব পরিষরে কাজ করে। বিশ্ব শ্রেনী বিশ্লেষণ আমাদেরকে বলে যে, বিপ্লবের সামাজিক ভিত্তি এখন কেবল তৃতীয় বিশ্বেই বিদ্যমান আছে। প্রথম বিশ্ব সত্যিকার ভাবে কোন প্রলেটারিয়েট বা সর্বহারা শ্রেনী নেই। আমরা দেখাতে চাই কিভাবে অধুনিক বুর্জোয়া ও সর্বহারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন সাধন করে ফেলেছে। বুর্জোয়ারা কেবল প্রথম বিশ্বেই বিকশিত হচ্ছে না বরং তারা এখন নিজেদেরকে তৃতীয় বিশ্বের দিকে ও সরিয়ে নিচ্ছে। সেখানকার জনশক্তিকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে।

আলোকিত সাম্যবাদে জেন্ডার ইস্যূকে আরোও অগ্রসর ভাবে বিবেচনা করে। আমরা দেখছি যে, সাম্রাজ্যবাদ নানা ভাবে শ্রেনী চরিত্রকে ভিন্ন মাত্রা দিচ্ছে, ইহা আবার জেন্ডার ইস্যূকে ও প্রভাবিত করে ফেলেছে। তৃতীয় বিশ্বের মানুষের শ্রম সৌধের উপর প্রথম বিশ্বের মানুষ বিলাশী জীবনযাপন করছেন। ইহা নারী পুরুষ সকলের ক্ষেত্রেই সমান। প্রথম বিশ্বের নারী সমাজ ব্যাপক স্বাধীনতা ও সুযোগ সুবিধা উপভোগ করছে। এখানে উরা পুরুষের তুলনায় কোন অংশেই কম নয়। ইহা উদারতাবাদ ও সামাজিক গনতন্ত্রায়নের ফল। এখানে আমাদের জিজ্ঞাসা হলো এই বিলাশী জীবন যাত্রার রশদ কে বা কারা যোগান দিচ্ছেন ? তৃতীয় বিশ্বের নারী সমাজ এখনো পিতৃতান্ত্রিক অবস্থার কারনে নিপিড়নের শিকার। আধা সামান্তবাদি ভাবনা চিন্তা ও সামাজিক কাঠামো তাদেরকে এখন মধ্যযুগীয় অবস্থায় রেখে দিয়েছে। তাই প্রথম বিশ্বের নারীরা আরো বেশী সুবিধা পাচ্ছে। ফলে প্রথম বিশ্বের নারী সমাজ ও তৃতীয় বিশ্বের নারীদের থেকে অনেক বেশী সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন।

আলোকিত সাম্যবাদিরা অগ্রসর সেনা বিপ্লবী বিজ্ঞানের ধারক। বিপ্লব করতে হলে বিশ্ব ব্যাপী গন লড়াইয়ের পথকে আরো শক্তি শালী করতে হবে। বিশ্ব বুর্জোয়া সমাজের বিপরিতে বিশে সর্বহারাদের সংগ্রামকে জোরদার করতে হবে। এই লড়াই হবে সামগ্রীক পরিসরে । ইহা হবে এক ভিন্ন আংগীকে । ভিন্ন তত্ত্ব ও বিন্ন চর্চায়। সকল বস্তীবাসী, দরিদ্র, ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির লড়াই হিসাবে তা এগিয়ে যাবে। এই লড়াইয়ে তথ্য প্রযুক্তি, আকাশ শক্তির বিকাশ, স্যাটালাইট, ও রুবটিক শক্তিকে ব্যবহার করা যেতে পারে। নতুন নতুন আবিস্কৃত পন্থা ও পদ্বতিকে কাজে লাগানো হবে। বিজয়ী হবার জন্য অবশ্যই জন শক্তি ও জনগনের সামগ্রীক জাগরনকে কাজা লাগানো হবে। তাঁর সাথে সাথে তত্ত্বগত বিকাশ ও নিশ্চিত করা হবে।“তত্ত্ব ছাড়া চর্চা অন্দ্ব”।

আলোকিত সাম্যবাদিরা বিগত দিনের বিপ্লব, প্রতিবিপ্লব ও সয়াম্যবাদের উন্নয়ন কাঠামোকে বিশ্লেষণ করে সকল প্রকার সংশোধন বাদ ও সুবিধাবাদের পথ পরিহার করবে। আমরা দেখাবো কেমন করে উৎপাদন শক্তিকে তাত্ত্বিক ভাবে বিশ্লেষণ করে মানব কল্যানের পথকে সুগম করা যায়। সৌভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন কেমন করে বিপ্লবের প্রাথমিক স্তরে নিজেদের অবস্থানকে ক্রমে শক্তিশালী করে তুলে ছিলো। তাদের কর্ম অভিজ্ঞতা আমাদেরকে জ্ঞানের নব দিগন্ত প্রদর্শন করবে।

আলোকিত সাম্যবাদ একটি অগ্রসর মার্ক্সবাদি পরিবেশ সম্মত সমাজ বিনির্মান করবে। আমরা জানি পরিবেশ সম্মত সমাজ বিনির্মানে আগে বিপ্লবী শক্তির কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্বলতা ছিলো। পরিবেশ সম্মত উন্নয়ন নক্সা খুবই জরুরী বিষয়। অর্থনীতিতে পরিবেশের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে মুনাফা কেন্দ্রিক উন্নয়নের কারনে পরবেশকে অবজ্ঞা করা হয় । কিন্তু আলোকিত সাম্যবাদে মানব চরিত্রের সাথে সংগতি রেখে পাকৃতিক পরিবেশের যত্ন নেয়া হবে। মানুষের জীবন যাত্রার সুস্থ্যতার জন্য – বাস্তু সংস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করা হবে। পুরাতন শক্তির জায়গা দখল করবে নতুন শক্তি। সামাজিক কাঠামো বদলে যাবে । ভোগবাদের জায়গা দখল করবে সাম্যবাদি বা ত্যাগের জীবনাচার। সর্বহারা বিপ্লবী বিজ্ঞান সমাজে নতুন পরিবেশ তৈরী করবে। আলোকিত সাম্যবাদ একটি অগ্রসর বিপ্লবী বিজ্ঞান ভিত্তিক উন্নয়ন মডেল উপহার দিবে। আমরা হাজার বছরের সামাজিক নিপিড়নের ধারাকে উচ্ছেদ করে দেব। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শোষনের অবসান ঘটাব। মার্ক্স সেই উদ্যোগকে বলেছে সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ। বলশেভিক বিপ্লবের ভেতর দিয়ে প্রথম এর উন্মেষ ঘটে। মাওবাদিরা এর আরো বিকাশ সাধন করেন। মাও লেনিনের পন্থাকে আরো এগিয়ে নিয়ে চিনে বিপ্লব সাধন করেন। এখন সমাজের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আলোকিত সাম্যবাদিরা সময় উপযোগি পদক্ষেপ গ্রহন করবে। আলোকিত সাম্যবাদিরা বিপ্লবের নানা ক্ষেত্রে নিজেদের বিকাশ সাধন করবে, ইহা উচ্চতর বিপ্লবী বিজ্ঞান ও ব্যবহারিক বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটাবে। নতুন ধরনের, ক্ষমতা কাঠামো, নয়া সংস্কৃতি, ও জীবন চর্চার উন্মেষ ঘটাব। আমরা এভায়াকিয়ান বা প্রচন্ডবাদি ও নই। আমরা সত্যিকার সাম্যবাদি ধাররবিকাশ সাধনে কজ করছি। আমাদের এগিয়ে যাবার জন্য সত্যিকার মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ ও মাওবাদ চর্চা করছি। আমরা মতান্দ্ব নই। আমরা মক্তভাবে বিপ্লবী বিজ্ঞানের চিন্তক। আমরা মনেকরি সত্যিকার মাওবাদি হতে হলে মাওকে ও অতিক্রম করে যেতে হবে। তা এখন সময়ের দাবী। ইহা বিজ্ঞানের দাবী। সত্যিকার মাওবাদিরা বিজ্ঞান মেনে চলেন। এরা মাওবাদকে ধর্ম মনে করেন না । এরা সত্যিকার ভাবে নির্মোহ হয়ে বিজ্ঞানের চর্চা করেন। আলোকিত সাম্যবাদ হলো আজকের সময়ের প্রয়োজন। ইহা হলো অগ্রসর মার্ক্সবাদ। আগামী দিনের সমাজ বিপ্লবের পথ। মানুষের মুক্তির পথ। নিপিড়ন ও শোষণ অবসানের চুড়ান্ত পন্থা। ইহাই লিডিং লাইট।

Leave a Reply