সংশোধনবাদ প্রসঙ্গ…

(llbangla.org)
কেহ কেহ সংশোধনবাদকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করে বলেন যে,কোন মতবাদের মৌলিক বিষয় থেকে সড়ে আসা বা পুনগঠন করাকে বুঝায়। মার্ক্সবাদের দৃস্টিতে এই ধরনের ব্যাখ্যা সঠিক নয়। আমরা মার্ক্সবাদের জ্ঞানিদেরকে  এবং মধ্যযুগের চার্চের বা আরিস্ট্যটলের মত জ্ঞানিদেরকে এক রকম মনে করিনা। মহান মাও সেতুং পুস্তক পুজার বিরোধীতা করে সঠিক কাজটিই করেছিলেন। খৃষ্টানরা যেমন বাইবেলের উদৃতি দিয়ে থাকে আমরা ঠিক সেই রূপ উদৃতি প্রদান করতে চাই না । মার্ক্সবাদ কোন ধর্ম নয়, ইহা একটি বিপ্লবী সাধারন বিজ্ঞান। মার্ক্সবাদ মানুষের সামগ্রিক মুক্তির জন্য বিজ্ঞান প্রয়োগ করে থাকে, যার মুল গন্তব্য হলো সাম্যবাদ। আর অন্যন্য বিজ্ঞানের মত বিপ্লবী বিজ্ঞান ও সময়ের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। মহান মার্ক্সের কাজের মুল ধারা থেকে বিচ্যুত হওয়া, এবং মার্ক্সের জীবন কালের পর যা প্রকাশিত হয়েছে তাই সংশোধনবাদ। এই রূপ ধারনা মোটেই সঠিক নয়। তা হলে সংশোধনবাদ কি ?সংশোধনবাদ মানে কেবল মাত্র মার্ক্সবাদের পুনর্গঠন নয়। কোন কোন সময় প্রাগ্রসর বিজ্ঞান বিনির্মানের জন্য তার পুনগঠনের দরকার ও পড়ে। কিছু কিছু পুনগঠন খুবই ভালো। কখনও কখনও মার্ক্সবাদের জন্যই কিছুটা সরে গিয়ে ও বিপ্লবের স্বার্থে কাজ করতে হয়। তবে, সংশোধনবাদ এর থেকে অনেক ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। সংশোধনবাদ মার্ক্সবাদের মন মানসিকতাকে পাল্টে দেয়। সংশোধনবাদ হলো বিপ্লবী বিজ্ঞানের বিপরীতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করা। ইহা একজন মার্ক্সবাদীকে বিপ্লবী হওয়ার পরিবর্তে প্রতিবিপ্লবীতে পরিণত করে দেয়। সংশোধনবাদীরা লাল পতাকা ধারন করে, লাল পতাকাকে প্রতিরোধ করার জন্য। সংশোধনবাদকে নানা ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। তাঁরা নানারূপে আমাদের সামনে হাজির হয়।

১. সংস্কারবাদ- সংস্কারবাদীরা প্রায়শই বলে থাকেন যে আমাদের বিপ্লব করার দরকার নেই। প্রক্রিয়াগত ভাবেই সব কিছু ক্রমে পরিবর্তন হবে। তাঁরা মনে করেন যে, আইনগত ভাবে ও সংসদীয় পদ্বতীতে তাঁরা সাম্যবাদে পৌছে যাবেন। তাঁরা প্রচলিত রাস্ট্রকে শোষক শ্রেনীর ও প্রতিক্রিয়াশীদের একটি যন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করে না। তাঁরা এটাকে প্রকৃতিক ও প্রায় প্রাকৃতিক একটি চিরন্তন ও স্বাধীন প্রতিস্টান হিসাবে দেখে থাকে, যা শ্রেনী সংগ্রামের উর্ধে। এই মতের লোকদের ভাষ্য হলো, রাষ্ট্রব্যবস্থার ভেতর দিয়েই শ্রেনী বিরোধ ও প্রতিক্রিয়াশীলতার অবসান হবে। তাঁরা মনে করেন, জনগণ ক্রমে তাদের সাম্যবাদি আকাংখাকে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই রাষ্ট্রে প্রতিফলন ঘটাবে।  তাঁরা বিশ্বাস করে জনগণই সাম্যবাদিদেরকে নির্বাচিত করবে বা তাঁরা সরকারকে চাপ দিয়ে সাম্যবাদিদেরকে ক্ষমতায় আনবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি মুলত সাম্যবাদি মানসিকতারই প্রতিফলন, ইহাকে বড়জোড় মজুরি বৃদ্বির জন্য অর্থনৈতিক আন্দোলন হিসাবে দেখা যেতে পারে। এই ক্রমাগতবাদের উৎপত্তি হইয়েছে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের পর সংশোধনবাদীদের দ্বারা। তাদেরকে কোন কোন সময় সোস্যাল ডেমোক্রেটিক হিসাবে ও বর্ননা করা হয়েছে।

মহান লেনিন অত্যন্ত কড়া ভাষায় সংশোধনবাদকে নিন্দাবাদ করেছেন। লেনিন রাষ্ট্রের এক ভিন্ন প্রকৃতি তুলে ধরেছেন। লেনিন বলেছেন রাষ্ট্র কোন প্রাকৃতিক প্রতিস্টান নয়। ইহা অনন্ত কাল ধরে বিরাজিত নয়; ছিল না, থাকবে ও না। ইহা জন্ম লগ্ন থেকেই একশ্রেনীর উপর আর এক শ্রেনীর প্রভূত্ব কায়েম করার মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছে। রাষ্ট্র সব সময়ই নিপিড়ক শ্রেনীর সহায়ক হিসাবে ভুমিকা পালন করেছে। বর্তমানে রাষ্ট্রব্যবস্থার যে রূপ আমরা দেখতে  পাচ্ছি সেই অপশক্তির আঁধার রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিপ্লবী শক্তিদিয়ে দখল করা কঠিন কাজ। প্রতিক্রিয়াশীদেরকে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে বিদূরিত করা ও সম্ভব নয়। এটা অনেকটা সেই গল্পের মত যে, এক ব্যাক্তি একটি সোনার থলে জাহাজ থেকে সমূদ্রে নিক্ষেপ করে তা পুনরায় তুলে আনার জন্য পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে। সে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। সোনার থলে ঐ ব্যাক্তিকে পাবে নাকি, ব্যাক্তিটি সোনার থলেটাকে পাবে? প্রতিক্রিয়াশীলদের রাস্ট্রের বৈশিষ্ট্য ও সেই রূপ হয়ে থাকে। বিপ্লবী শক্তি গুলো যখন রাষ্ট্রব্যবস্থায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তখন সেই রাস্ট্রীয় প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থা তাদের কে খেয়া- হজম করে ফেলে। তারা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দখল করতে পারেনা, বরং উল্টো তাদেরকেই রাষ্ট্রব্যবস্থা  গোলামে পরিণত করে ফেলে। তাই, পুরাতন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চুরমার করে ফেলতে হবে। আমাদের সমাজের ভেতর দুটি শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। নতুন শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে, নতুন শক্তিকে গড়ে তুলতে হবে পুরাতন শক্তিকে বিতারিত করার জন্য। আর সেই নতুন শক্তি বিকশিত হবে  প্রলেতারিয়েতের নেতৃত্বে। যারা সংস্কারবাদে বিশ্বাসী তাঁরা নতুন শক্তির উত্থানকে মেনে নিতে পারে না।

২. সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ/সামাজিক ফ্যাসিবাদ- মার্ক্সবাদের নাম ধারন কারী এমন কিছু মানুষ এখন ও আছেন যারা প্রকারান্তরে সাম্রাজ্যবাদেরই ধারক ও বাহক। তাঁরা তাদের সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতাকে লাল পতাকা দিয়ে ডেকে রাখেছেন। দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের সামাজিক সাম্রাজ্যবাদী তাঁরাই যারা সুস্যাল ডেমোক্রেটিক নামে পরিচিত। প্রথম বিশ্ব যুদ্বের সময় জার্মান ও ফ্রান্সের সোস্যাল ডেমোক্রেটিকরা তাদের দেশের সাম্রাজ্যবাদী যুদ্বকে সমর্থন দিয়েছিলো। তাদের যুক্তি ছিলো যে, এই যুদ্বের ফলে তাদের দেশের শ্রমিক শ্রেনী উপকৃত হবেন। তাঁরা তাদের মাতৃভূমির মানুষের সুদিনের জন্য সাম্রাজ্যবাদেরই জয় চেয়ে ছিলো। সংশোধনবাদীরা তাদের জনগণের জন্য, তাদের শ্রমিকদের জন্য সমগ্র  দুনিয়ার শ্রমিকদের মাথা কাটতে ও তাদের বিনাস করতে রাজি ছিলো। এই সোস্যাল ডেমোক্রেটিকরা প্রক্রিয়াগত ভাবেই সংকির্ন মানসিকতার হয়ে থাকে। মহান লেনিন ছিলেন আন্তর্জাতিক মানসিকতার। লেনিনের বক্তব্য ছলো সাম্রাজ্যবাদী দেশের শ্রমিকদের জন্য ‘বিপ্লবী পরাজয়বাদ’ । লেনিন যে নীতি গ্রহন করেছিলেন তা হলো নিজ মাতৃভুমির জারসাম্রাজ্যের পতন- যা আগামীদিনের বিপ্লবের সহায়ক হিসাবে কাজে আসবে। পক্ষান্তরে, সোস্যাল ডেমোক্রেটিকরা ছিলেন সাম্রাজ্যবাদীদের সমর্থক ও ফ্যাসিবাদের পূজারী। তাঁরা নামে ছিলেন সমাজতন্ত্রী কিন্তু প্রকৃত অর্থে তাঁরা ছিলেন সাম্রাজ্যবাদী ও ফ্যাসিবাদের ধারাক -বাহক।

এ ছাড়া ও আমরা ইতিহাসে নানা প্রকার সমাজতন্ত্রী-সাম্রাজ্যবাদী দেখতে পাই। উদাহরন  হোল বিংশ শতাব্দীর মাঝা মাঝি সময়ে সৌভিয়েত ইউনিয়ন সাম্যবাদের দিকে আর এগোতে চাইলোনা। সৌভিয়েত ইউনিয়নের নষ্ট আমলারা নতুন পুঁজিপতি বনে বসল। তাঁরা ক্রমাগত পুঁজিবাদী রাজনীতি কায়েম করতে শুরু করেদিল। এমন কি তাঁরা নিজেদেরকে সমাজতন্ত্রী বলে প্রচার করতে লাগলেন কিন্তু আচার আচরনে সাম্রাজ্যবাদী হয়ে উঠলেন। তাঁরা ও অন্যন্য দেশকে শোষণ করতে শুরু করতে লাগলেন। তাঁরা উপনিবেশিক রীতিনিতি তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোর উপর চাপাতে শুরু করলেন। সাম্রাজ্যবাদীদের মতই তাঁরা কর্মকান্ড চালালেন। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের আগে যে রূপ ছিল তাই তাঁরা করতে লাগলেন। সমগ্র দুনিয়াকে প্রভাব বলয়ের দিক থেকে দু ভাগে ভাগ করা হলো। দু টি সাম্রাজ্যবাদী ব্লক তৈরী হলো । পুর্ব ও পশ্চিম ব্লক। উভয়ের লক্ষ্য হোল তৃতীয় বিশ্বকে নিয়ন্ত্রন করা। তৃতীয় বিশ্বের শ্রম ও সম্পদ দিয়ে নিজেদের আখের গোছানো। আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করা। সৌভিয়েত ইউনিয়ন লাল পতাকার আড়ালে সাম্রাজ্যবাদী নষ্টামি করতে লাগল।

৩. প্রথম বিশ্ববাদ- প্রথম বিশ্ববাদ হলো এক সর্বগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী মতবাদের  নাম। প্রথম বিশ্ববাদ হলো এমন এক সংশোধনবাদী মতবাদের নাম । যা গভীর ভাবে বিশ্বাস করে, প্রথম বিশ্বে বিপ্লবের জন্য একটি সামাজিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সেখানে শোষণের মাত্রা অনেক তিব্র। প্রথম বিশ্ববাদের ধারনা নানা শ্রেনীগত শ্ত্রুতা প্রথম বিশ্বের সমাজে বিরাজ করছে। কিছু প্রথম বিশ্ববাদি এটা ও মনে করেন যে, মজুরী ভিত্তিক ধনিক শ্রমিক (আভিজত শ্রমিক) বিপ্লবে গুরুত্ত্ব পুর্ন ভূমিকা রাখার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আরোকিছু প্রথম বিশ্ববাদি এও মনে করেন যে, লুম্পেন বর্জোয়ারা খুবই নিপিড়িত হচ্ছে প্রথম বিশ্বে, তাই তাঁরা ও প্রলেটারিয়ান শ্রেনীর পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত আছেন। তাঁরা মনে করেন অ্যামেরিকায় বসবাসকারী অসাদা নাগরিকেরা, নারী ও তরুনেরা প্রলেটারিয়ান মানুষের পার্শ্বে এসে দাঁড়াবে। আবার কোন কোন প্রথম বিশ্ববাদী এও মনে করেন যে, তাঁরা প্রথম বিশ্বে বিপ্লবের সামাজিক ভিত্তি বিনির্মানের জন্য কাজ করবেন। মোটকথা হলো, প্রথম বিশ্বের সকল সামাজিক গ্রুপই সামগ্রিক ভাবে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। তাঁরা আর্থ- নৈতিক কারনেই প্রতিক্রিয়াশীলতার দিকে ওকালতি করবে – এটাই স্বাভাবিক ব্যপার । প্রথম বিশ্বের মানুষ বুঝে হোক – না বঝে হোক তাঁরা সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে থাকবে সেটা যে মাত্রায়ই হোক না কেন ।

৪. উৎপাদন শক্তি তত্ব – সংশোধনবাদীদের মাঝে বিপ্লিবী পদ্বতী হিসাবে শ্রেণী সংগ্রামের প্রতি কোন প্রকার উৎসাহ দেখায়  যায় না। তাঁরা মনে করেন যে, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে পারলেই একটি সুন্দর ও সুখী পৃথীবী গড়ে উঠবে ।  তাঁরা বিপ্লবের চেয়ে প্রযুক্তির উপর অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করে থেকেন। তাঁরা এও মনে করেন যে কেবল প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেই আমরা সাম্যবাদের মতই একটি সমাজ পেয়ে যাব । তাঁরা সর্ববই একটি ভুল ধারনার উপর ভর করে চলছেন। তাঁরা সামাজিক নিপিড়নের কথা ভাবেন না – তাঁরা মনে করেন নানা প্রকার ভোগ্যপন্যে ভরপোঁর একটি সমাজ পেলেই হলো । তৃতীয় বিশ্বের সমাজতন্ত্র – প্রথম বিশ্বের ভোগবাদী সমাজের মত একটি সমাজের কথা ভাবতে পারেন না – কেননা সমাজতন্ত্র হল একটি পরিবেশ বান্দব ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী একটি জীবন ব্যবস্থা ; যখন তৃতীয় বিশ্বের সমাজতন্ত্রীগন এটা বুঝতে পেরেন না – তখনই তাঁরা সমাজতন্ত্রকে ত্যাগ করে প্রতিক্রিয়াশীল সেজে বসেন। মুলত সমাজতন্ত্র ও অর্থনীতিবাদের পার্থক্য করতে অক্ষমতাই তাদেরকে সেই পথে নিয়ে যায় ।

৫. সামগ্রীকভাবে সমাজতন্ত্রকে আঁকড়ে ধরতে না পারা ঃ কোন কোন সংশোধনবাদী বলেন যে, তাঁরা হুবহু সমাজতন্ত্রকে মানতে রাজি নন । এই ধরনের সংশোধনবাদীরা সমাজতন্ত্রের আওতায় শ্রেণী সংগ্রামকে জারি রাখতে রাজি নয়। তাঁরা মনে করেন  যে, সমাজতন্ত্র এলেই শ্রেণী সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় । তাঁরা সমাজতন্ত্রকে সাম্যবাদে যাওয়ার মধ্যবর্তী অবস্থা হিসাবে দেখতে চান না । তাঁরা সাধারণ ভাবে কেবল সমাজতন্ত্র বলতে – কল-কারখানার জাতীয় করন ও সমাজ কল্যান মুলক কার্যক্রম পেলেই খুশি। মাওসেতুং এর বিপ্লবী যুগকে বিশ্লেষন করলে, আমরা দেখতে পাই যে, সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে না পারলে তা পুনরায় পুঁজিবাদের দিকে ফিরে আসে । সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া যদি এগোনো না যায় – তবে প্রতি বিপ্লবী শক্তি  বিপ্লবকে গিলে ফেলে। পুরাতন সমাজের সামাজিক অসমতা – নতুন সমাজের সাম্য ও সমতাকে বিনষ্ট করতে পজিবাদের ক্ষমতা কাঠামোকে কাজে লাগায় তাঁদের স্বার্থে। প্রতিক্রিয়াশীল ধ্যান-ধারনা সম্প্রসারিত হয় এবং তা ধবংস করে মহান জনতার মহান বিপ্লব কে । আর সেই জন্যই মহান মাওসেতুং বলেছেন, “ শ্রেণী সংগ্রামকে কখনও ভুলবে না”। বিপ্লবী সংগ্রাম অব্যাহত রাখতেই হবে সকল প্রতিক্রিয়শীলতাকে নির্মূল করতে বুর্জোয়া সংস্কৃতির বিলুপ্তি ঘটিয়ে প্রলেটারিয়েট সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে।  নইলে বিপ্লবের মহান উদ্দেশ্যই ব্যার্থ হয়ে যাবে।

উক্ত আলোচনাই সব কিছু নয়, ইহা কেবল সংশোধনবাদের কতিপয় মোটাদাগের  বিষয়ে আলোকপাথ করা হলো। ইহার বিভিন্ন রকমফের আছে ।  বর্তমান দুনিয়ায় প্রথম বিশ্ববাদের সমালোচনা করা ও এর বিরোদ্বে সংগ্রাম করা সংশোধনবাদের  বিপরীতে লাড়াইয়েরই নামান্তর । সংশোধনবাদের  বিরোদ্বে লড়াই-সংগ্রাম করা আজকের বিপ্লবীদের  প্রধান কর্তব্য। লিডিং লাইট কমিউনিজম আজ সেই দিকেই বিপ্লবীদেরকে ডাকছে। বিপ্লব দীর্ঘজিবী হোক !

 

Leave a Reply