(llbangla.org)
একটি মাত্র বাক্যে আমরা বলেছিলাম “না!” ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীণতা ঘোষণা করা হয়েছিল। আমাদের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছিলো ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১। আমারা আনুস্টানিকভাবে এই দিনে বিজয় অর্জন করেছিলাম।
২৫ শে মার্চ কালো রাত্রিতে বর্বর পকি হানাদার ও তাদের প্রভু সাম্রাজ্যবাদী গুষ্টি যখন আমাদের ভাই বোন সহ সকল স্তরের মানুষের উপর হায়ানার মত ঝাপিয়ে পড়েছিলো– নির্বিচারে মানুষকে খুন করছিলো, বাঙ্গালী জাতিকে চীরতরে দুনিয়া থেকে মুচে ফেলতে চাইছিলো। তখনই ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়। বলা হল ‘না – না– না’ আমরা আর তোমাদের সাথে নেই আমরা স্বাধীনতা চাই। উরা আমাদের ভূমি দখল করতে চেয়েছিলো। উরা আমাদের মা বোন কে ধর্ষন করছিলো। শিশুদেরকে, কৃষকদেরকে, শ্রমিকদেরকে খুন করছিলো। আমরা তখন জেগে উঠলাম বিদ্রোহ করলাম । পাকিস্তানীরা আমাদের ত্রিশ লক্ষ মানুষকে হত্যা করল। দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করল এবং প্রায় এক কোটি মানুষকে বাড়ী ছাড়া করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। অবশেষে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলাম । স্বাদ পেলাম মুক্তির। কিন্তু অতিব পরিতাপের বিষয় সেই স্বাধীনতা বাঙ্গালীর জন্য মুক্তি নিশ্চিত করতে পারলো না । ক্ষমতাসীনদের একটি অংশ সীমাহীন দুর্নীতিতে গা ভাসিয়ে দিলো। জন জীবনে নেমে এলো দুর্ভোগ। জনতার স্বপ্ন ভূমি সংস্কার, আইনের শাসন, সমাজতন্ত্র ও জনতার শক্তি বিনাশ করে দেয়া হলো। পনরই আগস্টে বঙ্গবন্দ্বুকে স্বপরিবারে হত্যার পর সাম্রাজ্যবাদ তার এজেন্টদেরকে দিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারনা শুরু করলো। মৌলবাদী চক্রকে মাঠে নামানো হল জেনারেলদের মাধ্যমে। তারা নতুন শক্তির পরিবর্তে পুরাতন শক্তিকেই প্রশাসনে পুনঃ স্থাপন করল। ভারত ও সৌভিয়েতরা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল। সত্যিকার মুক্তিযুদ্বাদেরকে একে একে খুন করা হলো । তাদের স্থানে বসানো হলো দুর্নীতি পরায়ন – বিদেশের দালালদেরকে। উদের কারনেই দেশে নেমে এলো নানা দুর্যোগ । সৃষ্টি হলো রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যার। আজো আমরা তা থেকে মুক্ত হতে পারিনাই।
১৯৭১ সালে যে ভাবে দুনিয়ার বড় বড় মোড়লরা আমাদের বিরুদ্বে দাঁড়িয়েছিলো। আজ আমরা আবার দেখলাম তাদের বন্দ্বু যুদ্বাপরাধীদের বিচারের ইস্যূতে উরা আবার আমাদের বিরুদ্বে লেগে গেছে। বিষাক্ত সাপের মত আমাদের পিছু নিয়েছে। প্রথম বিশ্বের কিছু দেশ আমাদের উপর তাদের প্রভাব বিস্তারের আশায় তাদের পছন্দের দল বা শক্তিকে ক্ষমতায় বসাতে তৎপর রয়েছে। উরা আমাদের রক্ত, মাংশ, জমি, শ্রম, তেল, গ্যাস সকল কিছুই চুসে নিতে চায়। উদের মনে রাখা উচিৎ এখনই সময় বদল হয়েছে। আমরা জেগে আছি। আমরা এখন ঐক্যবদ্ব। আমরা বলছি “না”! আমরা মাঠে আছি – একটি নতুন দেশ, নতুন সমাজ ও নতুন ব্যবস্থার প্রবর্তন করব বলে । সে প্রচেস্টা চলছে। সকল প্রচেস্টার লক্ষ্যই হলো উন্নত দেশে পরিণত করা আমাদের বাংলাদেশকে।
আমরা যদি ও পাকিস্তানকে তাড়িয়েছি, বিদায় করেছি চীরদিনের জন্য কিন্তু আমরা আজো সোনার বাংলা পাইনি। সাম্রাজ্যবাদ,তাদের দোষর ও দুর্নীতি বাজদের কারনে আমাদের ভবিষ্যৎ চুরি হয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যতকে বিনাশ করে দিচ্ছে। তারা আমাদের সন্তান ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতকে বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদের চেহেরা বাঙ্গালীর সামনে আজ পরিস্কার, তারা আর আমাদেরকে বোকা বানাতে পারবেনা। আমদের ভবিষ্যত আমাদেরই বুঝে নিতে হবে। আমাদের সকলের দায়িত্ব আমারা ৭১ এ যা শুরু করেছিলাম তা শেষ করা । অনেকেই মারা গেছেন। তাদের জীবন বৃথা যায়নি। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা আমাদের নায়কদের প্রতি, শহীদদের প্রতি চীর কৃতজ্ঞ। আমারা আমাদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করবই। সত্যিকার বিপ্লব সাধন করব ই আমরা সত্যিকার স্বাধীনতা অর্জন করবই। দুনিয়ার বুকে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী দরিদ্রতাহীন – ন্যায় বিচারের দেশে পরিণত হবে। হবে সোনার বাংলা !
আমরা শোষণের সকল শৃংখল ভাংগতে চাই। কেহই মুক্ত নয়– যতক্ষন পর্যন্ত আমারা সকলকে মক্ত করতে না পারছি। ভেবে দেখুন, আমরা যদি বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মান করতে পারি। তা হলেই কেবল সত্যিকার স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি ।
আমরা ই আমাদের ও আমাদের সন্তানদের সত্যিকার স্বধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি। আমাদের মহান কাজ ই হলো স্বধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা। আমাদের স্বপ্ন হোক আলোকিত সাম্যবাদ। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় । ১৯৪৯ সালে চীনে। আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে এই স্বপ্ন নিয়ে মানুষ লড়াই করেছিলো জীবন বাজি রেখে। আমরা আমাদের মহান নায়কদের পথ ধরে, শহীদদের পথ ধরে সামনে এগিয়ে যাব। এখনই সময় এগিয়ে যাবার। জয় বাংলা !