চীনের পুজিবাদিরা বলছেন কমিউনিস্ট পার্টি বিপ্লবী নয়, ইহা একটি শাসক দল ।

(llcobangla.org)
 
সাম্প্রতিক সময়ে, চিনের নেতারা বলছেন যে, তথাকথিত কমিউনিস্ট পার্টি এখন বিপ্লবী পার্টি নয় বরং ইহা একটি শাসক দলে পরিণত হয়েছে। ভাষ্যকাররা বলেছেন, চিনের প্রেসিডেন্ট জিং জিয়াওপিং, যিনি প্রেসিডেন্ট হুজিন তাও এর স্থালাভিষিক্ত হয়েছেন এবং যে বক্তব্য তিনি রেখেছেন, এটা তার ব্যাক্তিগত মতামত নয় – যা তিনি তার সর্ব শেষ বিবৃতিতে বলেছেন তা বিগত সরকারের ই ধারাবাহিকতা। অতীতের বিপ্লববাদী ধারা থেকে ভিন্ন পথে যাত্রার ই প্রতিফলন ঘটেছে তার বক্তব্যে। পার্টিকে প্রলেতারিয়ান বিপ্লবের বাহন হিসাবে ব্যবহার না করে তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে প্রতারনা করার জন্য, তাঁদের সাম্প্রতিক সময়ের কর্মকান্ডে এর প্রতিফলন ও ঘটছে।
 
১৯৭০ সাল থেকেই সমাজতন্ত্রকে বাদ দিয়ে পুঁজিবাদ কায়েমের কাজ শুরু করেছিল চীন। ১৯৬৬ সালের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়ে মাওবাদীরা সকলকে সাবধান বানী শুনিয়ে ছিলেন, “ শ্রেণী সংগ্রাম কে কখন ও ভুলে যাবেন না”। মাওবাদীরা তা ধরে রাখার চেষ্টা ও করেছিলেন। ১৯৬৯ সালে গন আন্দোলন শেষ হয়, ১৯৭০ সালে পিএলএ নেতারা বিপ্লবীদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। পুজিবাদিদের নেতা দেং জিয়াও পিং ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করেন। চীন সেই বছর থেকেই পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব রুপান্ত্রিত হতে থাকে বুর্জোয়াদের একনায়কত্বে।  চীন ১৯৮০ সালের মধ্যেই পশ্চিমাদের পুঁজিবাদী উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়। চীনের পতাকার রং এর আরো আগে থেকেই বদলাতে শুরু করেছিলো।
 
মহান মাওসেতুংয়ের চীনে এখন আবার একটি বিপ্লব করা দরকার – সেখানে ঝেঁকে বসা পুজিবাদীদের জঙ্গাল ও তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গদেরকে ক্ষমতা থেকে ঝটিয়ে বিদায় করার জন্য। চীনা জনগণের এখন আবার আলোকিত সাম্যবাদের আলোকে  একটি সত্যিকার, নতুন  বিপ্লবী পার্টি গড়ে তুলা দরকার যা চিনের সাধারণ দরিদ্র মানুষের আগামী দিন কে সুখী ও সমৃদ্ব করে দিবে। অনেক সংস্কারবাদী মানুষেরা এখন ও মনে করেন, কোন না কোন ভাবে চীন সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তারা মনে করেন তাঁদের দেশের যে গার্মেন্টস শীল্পের বিকাশ হয়েছে তা ও এক প্রকার সমাজতন্ত্র। এই সংস্কারপন্থীদের মধ্যে যারা আছে তারা হলেন- ওয়ার্কাস ওয়ার্ল্ড পার্টি, পার্টি ফর দ্যা সোস্যিয়ালিজম এন্ড লিভারেশন, ফ্রিডম রোড সোসিয়ালিস্ট অর্গানাইজেশন, এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব অ্যামেরিকা। # শিহাব

Leave a Reply