![iStock 20492165 MD - American and Israeli flags](https://bengali.llco.org/wp-content/uploads/sites/10/2014/08/usaisraelflags-300x199-1.jpg)
(llbangla.org)
আমেরিকার কিছু গবেষণা প্রতিস্টান মার্কিনীদের মতামত জরিপ করে গাজায় চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেছেন। তাঁদের এই গবেষনার ফলাফল সত্যিই চমকপ্রদ। একটি প্রতিস্টান যারা প্রতিবছর ৩ মাস অন্তর ৪ টি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তাঁদের প্রথম প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যে, মার্কিনীরা বিশ্বাস করেন ইসরায়েল “অনেক দূর এগিয়ে গেছে”। বিগত ২০০৬ সালের পর থেকেই তাঁদের এই মনোভাব অপরিবর্তীত রয়েছে। যখন লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্বে ইসরায়েলীরা তাঁদের অভিযান শুরু করেছিলো –তখন থেকেই অ্যামেরিকানদের এই মতামত বিরাজ করছে। এর দ্বারা যে বিষয়টি স্পষ্ট হয় তা হলো বিগত এক দশকে ও ফিলিস্তিনীদের পক্ষের যে সকল সংস্থা আছে তারা তাঁদের কার্যক্রমের মাধ্যমে মার্কিনীদের মনোভাবের কোন প্রকার পরিবর্তন ঘটাতে পারেন নি। তবে এবার মনে হচ্ছে আগের তুলনায় এখন মার্কিনীদের মতামত ইসরাইলীদের বেপরোয়া কার্যক্রমের বিপক্ষে চলে গেছে, আমাদের বিশ্বাস এখন এই জরিপের ফলাফলে অনেক পরিবর্তন দেখা যাবে, অভিজাত শ্রেণী এবং সাংবাদিকদের অনেকেই আর ইসরাইলীদের সমর্থন করেন না। তবে, এটা ও সত্য যে মার্কিন মুল্লুকের তৃণমূলে তেমন কোন পরিবর্তন এখন ও আসেনি। ইসরায়েলের পক্ষে প্রচার প্রপাগান্ডায় প্রধানত নানা গনমাধ্যম সবিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তাঁদের পক্ষের বুদ্বিজীবি, নীতি নির্ধারকগন তৃণমূলকে সামনে রেখে কার্যক্রম গ্রহন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তাঁদের জরিপ বলছে, তরুন সমাজ বিশেষ করে ডেমক্রেটিক দলীয় লোকেরা এখন ইসরাইল ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
“ ডেমক্রেট সমর্থক গুষ্টি চলমান ইসরাইলী সহিংশতার কারনে বেশী বিভক্ত হয়েছেন, ২৯% লোকেরা এই হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছেন, ২৬% লোক দায়ী করেছে ইসরাইলকে এবং ১৮% লোক দায়ী করেছেন তাঁদের উভয়কেই”।
“ উদার গন্তান্ত্রিকদের মাঝে যারা মতামত দিয়েছেন তাদের ৪৪% বলেছেন ইসরাইল অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে, ৩৩% বলেছেন তারা সঠিক ভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন, এবং ৭% বলেছেন তারা এখন ও তেমন কিছুই করতে পারেন নি। রক্ষনশীল পন্থীদের মাঝে যারা মতামত দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১০% বলেছেন ইসরাইয়েল অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে, ৫১% বলেছেন তাঁদের ভূমিকা সঠিক ই আছে, এবং ২১% বলেছেন ইসরায়েল এখন ও তেমন কিছু করতে পারেনি”।
বিশেষ ভাবে লক্ষ্যনীয় যে, ২২% সাদা মানুষ বলেছেন ইসরায়েল অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে, ৩৬% কালো মানুষেরা বলেছেন যা বলেছেন ৩৫% ল্যাতিনুরা ও একেই কথা বলেছেন । কালো ও ল্যাতিনো উভয় ই বলেছেন যে ইসরায়েল গাজায় গনহত্যা চালিয়েছে। তাদের কর্মকান্ড সভ্যতার ইতিহাসে জগন্যতম হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
প্রথম বিশ্ববাদী বাম দল গুলোর মাঝে এমন একটি মিথ চালু আছে যে, তারা মনে করেন আমেরিকার সমাজ গঠনিক ভাবে “অভিবাসী সমাজ” দ্বারা গঠিত – তা আজ আমাদেরকে ভালো ভাবে অনুধাবন করা দরকার। তাঁদের মাঝে এমন একটি ধারনা প্রচলিত আছে যে, যেহেতু এখন ও অভিবাসীদের দ্বারাই সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হয়, সেহেতু তাঁদের দিয়েই সেখানে একটি বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব। কিন্তু এটা ভূলেগেলে চলবে না যে, এই রাষ্ট্রটি সাদাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এর মানে হলো সাদাদের দৃষ্টি বংগীর বাইরে অন্য কেহ সেখাবে নাক গলাতে পারেন না। এক কালে একই ভাবে দক্ষিন আফ্রিকায় তারা শাসন করেছেন এখন তারা ফিলিস্তিনে ও তাই করতে চাইছেন। সেই লক্ষ্যেই ইসরায়েল ফিলিস্তিন দখলে নিয়েছে।
এই মিথ থেকে অসাদাদের মাঝে জাতীয় মুক্তির চেতনা জাগতে পারে, আভ্যন্তরীণ আদা উপনিবেশবাদ, এবং করদ রাজ্য গুলোর মধ্যে স্বাধীনতা, বিপ্লব ও সাদাদের পরাজিত করার সংগ্রাম বাধতে পারে। ইহা একটি সত্য বিষয় যে, উত্তর অ্যামেরিকা ইউরূপীয়ান অভিবাসীদের দ্বারা আজ শাসিত হচ্ছে, এবং এটা ও সত্য যে, এখন ও সাদাদের প্রাধান্য এবং নির্মমতা সেখানে বিরাজ করছে। তবে যা সত্য নয় তা হলো প্রথম বিশ্ব সহ অ্যামেরিকায় বিপ্লবের জন্য তাঁদের সমাজ মোটেই প্রস্তুত নয়। আর এটা ও সত্যি নয় যে, আমেরিকার ভেতরকার আদা উপনিবেশিক দেশ সমূহ সেখানকার পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করার জন্য উল্লেখ যোগ্য কোন ভূমিকা রাখবে। এটা বড় জোর গতানুগতিক আন্দোলন সংগ্রামের নামে একটি বিশেষ ধরনের মিথ প্রচার হতে পারে। যা অনেকটা “রোমান্টিক চলনার” মতই – বিপ্লবী বলে জাহির করার একটি প্রবনতা। এই কর্মকান্ড প্রকৃত বিচারে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, আর নেতৃত্ব দান কারীরা কিছু সুযোগ সুবিধা আদায় করার মওকা পেয়ে যাবেন। যদি এই ধরনের বিশ্লেষণকে সত্যিকার ভাবে গ্রহন করা হয় তবে প্রথম বিশ্ববাদকে অবশ্যই ত্যাগ করা সহজতর হবে।
মিথ যারা তৈরী করেছেন তারা একটা জিনিস ভালো বুঝেছেন যে, প্রলেতারিয়ান চিন্তা ভাবনা এখন আর সাদাদের মাঝে নেই, কেননা তারা এখন আর প্রলেতারিয়েতের স্তরে নেই। তারা যা বুঝতে ব্যার্থ হয়েছেন তা হলো, আভ্যন্তরীণ আদা উপনিবেশিক জন গুষ্টির মাঝে ও প্রলেতারিয়েতের ধারনয়া বিরাজ মান নেই। ইহা একটি গুরুত্ব পূর্ন বিষয় হলো যে, অসাদাদের মাঝে কি ধরনের মানসিকতা বিরাজমান রয়েছে তা যাচাই করে দেখা। এখন আদিবাসী সমপ্রদায়ের মানুষের মাঝে ও এখন আর আগের মত জাতীয় চেতনা কাজ করে না। যেটুকু আছে তা ও খুবই নগণ্য পর্যায়ে। জাতীয় চেতনার ক্ষেত্রে মাক্সিকানদের মাঝে ইহা বেশ শক্তিশালী । অন্যদিকে তা সিকাগোবাসীদের মাঝে তেমন শক্তিশালী নয়। এই ধরেন চেতনা ও আবার অনেক ক্ষেত্রে জাত্বাভীমানের পর্যায়ে পরে। সাদা এবং অসাদাদের মাঝে দৈনিন্দিন জীবনে একটা ব্যবদান থেকেই যাচ্ছে।
সম্পাদিত জরিপে একটা জিনিস পরিস্কার হয়েছে যে, সাদাদের তুলনায় কালোরা অধিক মাত্রায় বেশী সমর্থন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনীদের অধিকারের প্রতি। ল্যাতিনু সম্প্রদায়ের মানুষেরা ও ফিলিস্তিনীদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ও সঙ্গহতি জানিয়েছেন। প্রকৃত সত্যি হলো সামগ্রীক জরিপের বিশ্লেষণে দেখাসাদাদের তুলনায় অসাদা লোকেরা বেশি মাত্রায় ফিলিস্তিনীদের প্রতি সমর্থন দেখিয়েছেন। কোন কোন মিথ গঠন কারীর এইরূপ মত ও আছে যে, অসাদা প্রলেটারিয়ান যারা অ্যামেরিকায় বা ইসরাইলে থাকেন তারা ও হয়ত ফিলিস্তিনীদের প্রতি সমর্থক ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি।
এটা সত্য যে আমেরিকার সমাজে নানা দেশের নানা জাতের মানুষ বসবাস করেন। ইহার ও একটি সুদির্ঘ ইতিহাস আছে। এই ক্ষেত্রে মানতেই হবে যে, ইয়াহুদীরা আমেরিকার সবচেয়ে পুরাতন অভিবাসী মানুষ। আইরিসরা এখানে বর্নবাদের যন্ত্রনায় কাতর হয়েছেন। এই রূপ অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। তবে সাদা লোকেরাই সকলের আগে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অনুকম্পা পেয়েছেন সকলের আগে। কেহ কেহ মনে করেন ভাষাগত কারনে ও এই রূপ সুবিধা অর্জন করে থাকবেন। কিছু ঐতিহাসিক আছেন যারা মনে করেন যে, হংকী শব্দটি মূলত হাঙ্গেরীয়ান এবং পূর্ব ইউরূপীয়দের মধ্য থেকে উদ্বুত হয়েছে, যাদেরকে দেখলে স্বাভাবিকভাবে যথযত ভাবে সাদা মনে হয় না। সাধারণ ভাবে সাদাদের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এই শব্দটি সাম্রাজ্যবাদকে আজ প্রতিনিধিত্ব করে, তাই কোন মানুষকে হংকী হবার জন্য সাদা হবার দরকার নেই। আজ অ্যামেরিকায় এশিয়ান, ও আইরিস অ্যামেরিকানদের মধ্যে মাতাপিছু আয়ের তেমন তারতম্য নেই । লাতিন ও কালো মানুষেরা নিজেরাই এখন সাম্রাজ্যবাদের পক্ষের লোক । তারা ও এখন এখানে প্রায় সাদাদের মতই সাম্রাজ্যবাদের সুবিধা ভোগ করছেন। এখন সকলের মাঝেই এমন একটি সহনীয় পরিস্থিতি বিরাজ করছে যেখানে সাংস্কৃতিক, ইতিহাস, কথা বলার ধরন ও প্রকৃতি ভিন্ন হওয়া সত্বে ও মেনে নিচ্ছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান এখন একটি শক্তি শালী ভুমিকা রাখছে, যা অতীতে ছিলনা। মার্কিনীরা ভিন্ন ভাষাভাষি, ভিন্ন সংস্কৃতিকে ও বিভিন্ন জাতিয়তার মানুষকে সমন্বিত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে, সকল কে একই মর্যাদায় সমন্বিত করতে পারেনি।
তবে অ্যামেরিকা নিজেকে একটি বহু জাতিক দেশ হিসাবে দুনিয়া জোড়ে সাম্রাজ্যবাদী ভূমিকায় অবতির্ন করার চেষ্টা করছে। তারা পুরাতন পদ্বতীর মাধ্যমে নিপিড়িত জাতির পক্ষে নিপিড়ক জাতি বিরুদ্বে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সালের মডেল আনুসারে স্বাধীনতাকামী জনতার বন্দ্বু হিসাবে জাহির করতে চাইছে। এই বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের আওতায় আমরা কি দেখছি – এখানে প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্ব যথাযথ ভাবে ই বিরাজমান থাকছে। এমন কি তাঁদের সীমান্ত এলাকাকে পর্যন্ত কঠিন ভাবে বন্দ্ব করে দিচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদকে তারা বিশ্বায়ন করেছে। তাই বিশ্ব ব্যাপী তাদেরকে মোকাবেলা ও করা দরকার। বুর্জোয়া বিশ্বে চলছে বুর্জোয়া নির্মমতা। প্রলেতারিয়ান বিশ্বকে নতুন পদ্বতীতে প্রতিরোধ করতে হবে। সকল লিডিং লাইট ই শসস্ত্র হবেন। বিশ্ব প্রলেতারিয়ানরা দুনিয়াজুড়ে গনযুদ্বের ডাক দিবেন। এই গন যুদ্ব হবে পরিবেশ, মানুষ ও আমাদের প্রীয় পৃথীবীকে হেফাজত করার জন্য। আমাদের দিন আসবেই! #শিহাব