জীবন্ত মুসলিম পুড়িয়ে মারছে, চরমপন্থীরা ধর্মের বদনাম করছে !

Bus-on-fire-in-Dhaka-012

(llbangla.org)

“পৃথীবীতে নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব পাবে তারা ই যারা অধিকতর সৎকর্মশীল” [আল কোরান- ২৮ঃ৫]

আমাদের দেশে কতিপয় ভন্ড ব্যাক্তি রাজনীতির নামে মানুষের উপর চালাচ্ছে জুলুম নির্যাতন। তারা মানুষের উপর আক্রমন করে পবিত্র ধর্মের ক্ষতি করছে। আল কোরানে বলা হয়েছে, সৎকর্মশীলরা দুনিয়ার নেতৃত্ব পাবেন। নিপিড়িত মানুষেরা ভালো কাজের মাধ্যমে ও নেতা হতে পরবেন। কিন্তু ধংসাত্বক কর্মকান্ড করে দেশে নিপিড়োনের মাত্রা উরা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভেবে দেখুন কোন সত্যিকার মুমিন মুসলমান বান্দা, নিরীহ যাত্রীদের বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে পারে ? নিরিহ মুসলমানকে অঙ্গারে পরিণত করতে পারে ? তারা যদি ভন্ড না হত, তা হলে কি নিরপরাধ মুসলিম বাসযাত্রীকে রাজনীতির নামে আগুনে পুড়ে মারতে পারে? ধর্মের নামে মানুষ ভাড়া করে অরাজকতা চালাতে পারে? কোরান কি তাই বলে ? কোরান কি বলে নিরপরাধ মুসলিম ও নারী পুরুষকে আগুনে পুড়িয়ে দাও?

চরম পন্থীরা বাসে, ট্রেনে, গাড়ীতে পেট্রোল বোমা মেরে ইতিমধ্যে বহু ক্ষয় ক্ষতি করেছে। তারা বহু মানুষকে মার দোর ও হত্যা করেছে। বিগত কয়েকদিনে ৪৫জন নারী পুরুষ কে আগুনে পুড়িয়েছে আরো ৫০০জন মানুষ নানা ভাবে আহত হয়েছেন। চরম একনায়কত্ববাদি রাজনীতির ধারকরা বিগত অর্ধ শতাব্দি ধরে এই রকমের রাজনীতি করে আসছেন। এরা প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। এরা তো সেই চক্র যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্বের সময় আমাদের জনগনের বিরুদ্বে কাজ করেছিলো। তারা তো সেই চক্র যারা আমাদের বিরুদ্বে গনহত্যার সমর্থন করেছিলো। তারা তো সেই গুষ্টি যারা আমাদের মা বোনদেরকে ধর্ষনে সহযোগী ছিলো। এরা তো সেই দল যারা আমাদের দেশ কে অন্ধ্বকার যুগে ফিরিয়ে নিতে চায় । বর্বরতার সমাজ কায়েম করতে চায় । তারা সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাস্প বিস্তার করতে চায়। এরা পাকিস্তান, আরব এবং পশ্চিমা অনেক রাজা বাদশাদের সমর্থন পেয়ে থাকে। এরা খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।

যদি ধর্মীয় চরম পন্থীরা একবার ক্ষমতায় আসেন তবে তারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে বর্বরতার পরিবেশ কায়েম করবে, অন্ধ্বকার যুগকে ফিরিয়ে আনবে, আমাদেরকে পুঁজিবাদ, সামন্তবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের দাসে পরিণত করবে। তারা সাধারন মুসলমানের বিরুদ্বে ইসলামকে ব্যবহার করে তাদের শোষন প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে। এরা যদি ক্ষমতায় আসে তবে এখন যেটুকু গনতান্ত্রিক অধিকার মানুষ ভোগ করতে পারেন তা ও থাকবে না । তারা মুক্ত চিন্তা, মুক্ত ভাবনা, মুক্ত বাকের স্বাধিনতা হরন করবে। তারা আমাদের সকল অর্জন নস্যাৎ করে দিবে। নারীদের সকল অধকার কেরে নিবে। তাদের রাজত্ব হবে শীরোচ্ছেদ আর গণকবরের। আমাদের সামনে নেমে আসবে এক দুঃস্বপ্ন। তারা চরম ভন্ড, তাদের গনতন্ত্র বা গনতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করার কোন উদ্দেশ্য নেই । হিটালারের কথা মনে করে দেখুন, সে ও তো গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে ক্ষমতা অর্জন করেছিলো, পরে সে তার সকল প্রতি পক্ষকে নির্মূল করেছিলো। সে গনতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলো। যদি তাদেরকে থামানো না যায় তবে বাংলাদেশ হবে সিরিয়ার মত। যদি সেই হায়ানার দল ক্ষমতায় আসতে পারে তবে জনগণের

কপালে দুঃখ আছে। যদি এই চরম পন্থীরা ক্ষমতা দখল করে তবে সকল প্রগতিশীল শক্তির বিনাশ করে চারবে। জনগনের অধিকার কেরে নিয়ে আল্লাহর নামে নিজেদের প্রভুত্ব কায়েম করবে। সকল মানবাধিকার হরন করবে। নিপিড়িত মানুষের মুক্তির পথ বন্দ্ব করে দিবে। কঠিন হয়ে যাবে সকল প্রগতির পথ। আথচ আল কোরান আমাদেরকে অধিকার আদায়ের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে-

“ যদি তোমরা আক্রান্ত হও তবে তোমাদেরকে প্রতি আক্রমনের অধিকার দেয়া হলো। যদি তোমাদের উপর অন্যায় যুদ্ব চাপিয়ে দেয় তবে তা প্রতিরোধ কর। আল্লাহ তোমাদের বিজয় দান করবেন”। [আল কোরান-২২ঃ৩৯]

আজ আমাদের সাধারন জনগণ নানা প্রকার বর্বরতার শিকার হচ্ছেন। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আজ বিপর্যস্ত, আমাদের শিশুরা সঠিক শিক্ষা নিতে পারছেন না । চরম পন্থীদের রাস্তা অবরোধের কারনে আমাদের কৃষকদের ফসল বাজারে নিতে পারছেন না । শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ আজ নিরাপদে কাজে যেতে পাছেন না । আমাদের পেটের ভাত কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের শিশুরা না খেয়ে আছে। চরম পন্থীরা আমাদের ভবিষত চুরি করে নিচ্ছে। মানুষ মার খাচ্ছে। সন্ত্রাসীরা মানুষকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। নারীদের উপর আক্রমন হচ্ছে। সাধারন মানুষ বাসে পুড়ে মরছে। তা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে আমাদের যেটুকু গনতান্ত্রিক অধিকার আছে সেই টুকু রক্ষার জন্য সংগ্রামে যুক্ত হওয়া জরুরী। রাজণীতিতে ধর্মের ব্যবহার বন্দ্ব করে নিপিড়নের পথ রুদ্ব করা উচিৎ। চরম পন্থীরা ধর্মকে নিপিড়নের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। এরা মানুষের জীবন নেয়ার সময় আল্লাহর নাম ব্যবহার করে। এটা খুবই মারাত্মক অপরাধ। এই অপরাধ চলতে পারে না । আলোর পথে লিডিং লাইটের পথে এগিয়ে আসুন । অন্ধ্বকার রুখে দিন। বর্বরতা নয় আলোকিত পথে চলুন।

জয় বাংলা বলে জোর কদমে এগিয়ে যান। জয় বাংলা !! জয় বঙ্গবন্দ্বু !!

Leave a Reply