পুস্তক পূজাকে না বলুন !

little-red-book (1)
(llbangla.org)
মাওসেতুং পুস্তকী জ্ঞান, অধিবিদ্যা ও মতান্দ্বতাকে তিব্র সামালোচনা করেছিলেন এই বলেঃ
“ পুস্তকে যা লিখা হয়েছে তা কি সঠিক – মানসিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে চীনের কৃষক ও শ্রমিকদের কাছে। অবাক কান্ড যে তা কমিউনিস্ট পার্টিতে ও একেই প্রবনাতা লক্ষ্যনীয়, তারা আলোচনার সময় বলে, ‘ আমাকে দেখান তো ইহা কোন পুস্তকে লিখা আছ’… “
আমাদের একটি বড় ঐতিহ্য আছে। বিপ্লবের খুবই গুরুত্বপূর্ন কাজ করে গেছেন কার্ল মার্ক্স, ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, ভ্লাদিমির লেনিন, মাওসেতুং, লিন পিয়াং ও লিডিং লাইট। কেহ যদি নিজেকে বিপ্লবী বলে পরিচয় দেন তবে তাকে অবশ্যই তাদের মহান কর্ম সম্পর্কে কিছুটা ওয়াকিব হাল হতে হবে। কারন তাদের বিশাল সাহিত্য ভান্ডার, ইহা খুব সহজেই একজন বিপ্লবীকে পুস্তক পুজায় নিয়োজিত করে ফেলে। যদি ও যতেস্ট আলোচনার দাবী রাখে যে, সেই সকল সাহিত্য সত্যিই যথার্থ বিপ্লবী মান সম্পন্ন কি না । যারা সকল কিছুকেই বেদ বাক্যের মত মনে করেন তারা মূলত অধিবিদ্যক মানসিকতার শিকার। এই ধরনের মানসিকতা অবশ্যই বর্জনীয়। আমরা এই ধরনের মানসিকতার বিরুধিতা করি। কোন তত্ত্ব সঠিক কি না তা নির্ভর করে সেই তত্ত্ব বিশ্বকে কিভাবে ব্যাখ্যা করে তাঁর উপর। অন্য ভাবে বললে তা হলো, বিচার্য বিষয় হবে তত্ত্বের বাস্তবতা কি বা কতটুকু, কোন ভাবেই ঐতিহ্য নয়। এটা জ্ঞানবিদ্যার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্নবিষয় ।

আমাদেরকে অবশ্যই কেতাবী লড়াই থেকে দূরে থাকতে হবে। সাধু সন্যাসীদের মহান বানী উদ্বৃত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মোটা মোটা বই বগলে নিয়ে মত্ত্ব থাকা উচিৎ নয়। এটা কোন ভাবেই যথার্থ হতে পারেনা যারা নিজেদের দাবীর পক্ষে এন্তার এন্তার উদ্বৃতি হাজির করে নিজেকে সঠিক প্রমানের চেষ্টা করেন। তবে যে সকল পুস্তক আমাদের সামনে দুনিয়ার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে বা দুনিয়াকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে যা বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জ্যশীল তা অবশ্যই গ্রহন যোগ্য। আমাদেরকে কোন ভূল তত্ত্ব গ্রহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই জন্য ভীত হওয়া চলবে না । মার্ক্সবাদ কোন ধর্ম নয়। কোন সাহিত্য বা রচনাবলীই কিন্তু ‘ বাইবেল’ নয়। আমরা বিজ্ঞানী, আমরা কোন সন্যাসী নই।

বিজ্ঞান দিনে দিনে উন্নত হচ্ছে। আলবার্ট আইনস্টাইন আইজ্যাক নিউটনের উপর বিত্তি করে এবং লেনিন মার্ক্সের উপর ভিত্তি করে তাদের বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়েছেন। মাও লিনেনের উপর ভিত্তি করে কাজ করেছেন। লিডিং লাইট বিপ্লবী ইতিহাসের উপর ভিত্তিকরে গড়ে উঠেছে। আমাদের সামগ্রীক কাজ আগের সকল প্রয়োগ করা কার্যক্রমের উপর ভিত্তিকরে গড়ে উঠেছে। যা সঠিক তা গ্রহন করা হয়েছে আর যা বেঠিক তা বর্জন করা হয়েছে। কোন প্রকার গোড়ামীবাদের চাদরে আমাদেরকে ঢেকে ফেলা উচিৎ নয়। সেটা হোক মাওবাদি, হুজ্জাবাদি বা ট্রটস্কিবাদি ইত্যাদি যাই হোক না কেন – তা নিয়ে মত্ত হওয়া সঠিক কাজ নয়। আমাদের ভিত্তি হল বিজ্ঞানের সত্য। তা কোন গোড়ামীবাদের ফসল হতে পারে না ।

লিডিং লাইট হলো বিপ্লবী বিজ্ঞান ও মার্ক্সবাদের সর্বোচ্চ স্তর। বর্তমানে মার্ক্সবাদ আগের মার্ক্সবাদকে অতিক্রম করে গেছে। আলোকিত সাম্যবাদকে আমাদেরকে অবশ্যই ভালোভাবে বুঝতে হবে। এটা একটি ব্যানার। এটাই হবে আগামীদিনে বিপ্লবের ঢেঊ তুলার প্রতীক। ভবিষ্যৎ আমাদেরই। এটা আগামীতে অতিব গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠবে।

Leave a Reply