প্রথম বিশ্ববাদ ও পপারের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গ –

(llcobangla.org)

ভূয়া সচেতনতা বিরাজমান। তবে প্রথম বিশ্বের মানুষের দৃষ্টিভংগী পর্যালোচনা করলে আমরা দেখি যে তাঁরা ধনীক শ্রেনীর মনোভাবই পোষণ করে থাকেন – যাকে ভূয়া সচেতনতা বলা যায় না । সামাজিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই- বেশীর ভাগ সাদা মানুষ, এশিয়ান, ও আদিবাসি যারা মার্কিনী তাঁদের নিজস্ব ঘর আছে। সাদাদের জন্য ৩/৪ টি গৃহ বরাদ্ব দেয়া আছে। কালো অ ল্যাটিনুদের প্রায় অর্ধেকের  ও সেই রূপ ব্যবস্থা করা আছে। সাধারণ ভাবেই বলা যায় প্রতিটি পরিবারে একটি হলে  করে হলে ও গাড়ি আছে। একাধিক টেলিভিশন, গান শোনার যন্ত্র, ওভেন, কোকারীজ এবং কম্পিউটার – মোবাইল ফোন ও লেপ্টপ সহ সব কিছুই তাঁদের গৃহে পাওয়া যাবে। এমন কি তাঁদের মাঝে যারা গরীব তাঁদের গৃহে ও একটি বড় সড় আলমিরা, শিশুদের খেলনা, এবং নানাহ প্রকার বিলাশ দ্রব্য তাঁদের গৃহে সোভা পায়। পক্ষান্তরে, দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ এখন ও আমেরিকার এক জন দরিদ্র শ্রমিকের মত জীবন যাপনের কথা আশা করতে পারেন না । উদাহরন হিসাবে ভারতের কথা বলা যায় যেকানে বহু মানুষ দিনে এক ডলারের ও কম আয় করেন। আর  সাধারণ  ভাবে দেখা যায় প্রথম বিশ্বের বাহিরে – দুনিয়া জোড়ে একজন শ্রমিক মাত্র দিনে ২-৩ ডলার আয় করেন । এমন কি অ্যামেরিকায় যাদেরকে বলা হয় দরিদ্র সীমার নিচের মানুষ, তাঁরা ও তৃতীয় বিশ্বের ১৫% ধনিক শ্রনীর সম পর্যায়ের মানুষ হিসাবে  গন্য হন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ধনিক শ্রেনীর বলেই তাঁরা ধনিক শ্রেনীর দৃষ্টি ভংগী পোষণ করে থাকেন। তাঁরা কোন ভাবেই কার্ল মার্ক্স বর্নিত প্রলেটারিয়েট বা সর্বহারা নন । তাঁরা শৃংখল মুক্তির স্তর থেকে বহু দূরে। তাঁরা তাঁদের শ্রমের পরিমানের চেয়ে অনেক বেশী উৎপাদন করেন- যা পরবর্তী উৎপাদন চক্রে ব্যবহার করা হয়। তাঁরা মার্ক্স বর্নিত সর্বহারা বা শ্রমিক হিসাবে মানবেতর জীবন যাপন করেন না । প্রথম বিশ্বের একজন  শ্রমিকের পুঁজি সংগ্রহ ও ব্যবহারে যে পরিমান সুযোগ রয়েছে – তা তৃতীয় বিশ্বের ধনি মানুষের ও নেই । পুঁজিবাদ প্রথম বিশ্বের বিশাল  সংখ্যক মানুষের জন্য কাজ করছে। তাই সেই সকল উপকার ভোগী মানুষেরা পুঁজিবাদকে এবং সাম্রাজ্যবাদকে সমর্থন করছেন । তাই তাঁরা সমাজ পরিবর্তনের কোণ আন্দলনকে সমর্থন দেয় না, বরং তাঁদের সুযোগ সুবিধা আরো বাড়বে এমন পরিবর্তন রাজনৈতিক দল সোস্যাল ডেমোক্রটিক শক্তিকে তাঁরা সমর্থন করছেন । তাঁরা হলেন – সাম্রাজ্যবেদের প্রকৃত উপকার ভোগী শ্রেণী। যদি সমতার নীতিতে সামাজিক উতপাদনের  সম্পদের বন্ঠন হয়, তবে প্রথম বিশ্বের শ্রমিকগন বর্তমানে যে পরিমান পান তাঁরা তা থেকে কম পাবেন।

যদি প্রথম বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণী শোষিত হত। তাঁরা যদি আরো কম আয় করত – এবং সমাজতান্ত্রিক বন্ঠন ব্যবস্থা হলে যদি আরো বেশী পাওয়ার সুযোগ থাকত, তবে আমরা বলতে পারতাম যে, তাঁরা ভূয়া সচেতনতায় ভোগছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য তা নয় । তাঁরা সত্যি এক এক জন ক্ষুধে বুর্জোয়া – তাঁরা যা তাঁর মতই বর্তমানে আচরন করছেন। আমাদেরকে বাস্তবতা বুঝতে হবে এবং সকল গোঁড়ামি বাদ দিয়ে বিষয় টি অনুধাবন করতে হবে ।

কার্ল পপারের একটি বিখ্যাত প্রবন্দ্ব আছে – তাতে তিনি মার্ক্সবাদ ও বিজ্ঞানের সমালোচনা করেছেন। পপারের মতানুসারে, একজন মার্ক্সবাদি যখন কোন কিছু করে বা দেখে সে মার্ক্সবাদি থেকে  ও অমার্ক্সীয় কাজ করে থাকে। সে তাঁর কাজের পক্ষে একটি সাধারণ ব্যাখ্যা ও সাময়িক ভাবে দাড় করিয়ে দেয়।  তাঁর কৃতকাজকে সে ভূল হিসাবেই গন্য করে না ।

 অন্য  কথায়, পপারের মতে – মার্ক্সবাদ এর জন্য মিথ্যা হয়ে যায় না ; কেননা ইহা কোন নিরেট বিজ্ঞান নয়। পপার বলেন, ইহা আবার কোন ধর্ম ও নয় । মি. পপার যা বলেন তা মুলত সংশোধনবাদের ই নামান্তর । ইহা প্রথম বিশ্ববাদের ও অমার্ক্সীয় বিষয় হিসাবে পরিগনিত হয় । প্রথম বিশ্বে এমন কোন উপাদানই দেখা যায় না যা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কাছা কাছি হিসাবে বিবাচনা করা যেতে পারে । যদি ও প্রথম বিশ্বের কোন কোন দেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কিছু কিছু তৎপরতা চোখে পড়ে বা তাঁদের অর্থিক মন্দ্বা দেখা যায় – এর পর ও বলা যায় যে, সেখানে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব এক ইঞ্চি ও এগোয় নাই । দিনে দিনে প্রথম বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণী সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদের সমর্থকে বা সহায়কে পরিনত হচ্ছে। সেটা ইউরূপেই বলুন আর আমেরিকায়ই বলুন – তা একেই রকম । প্রথম বিশ্ববাদীরা উপরে উপরে বড় বড় কথা বললে ও তাঁরা জনতার কথা খুব কমই শোনেন। তাঁরা বেশী আন্তরিক হলেন তাঁদের সত্যিকার ভোটারদের  সমর্থন প্রাপ্তির প্রতি । দেখুন ! তাঁরা যা বলেন তাকি তাঁরা করেন ?  বিশ্ব আর্থ – সামাজিক অবস্থায় ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তাঁরা এপথে আসতে চাইছে না । আসল সত্যিটা হলো – তাঁরা মানসিক ভাবেই শোষকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সে যাই হোক, প্রথম বিশ্ব আজ বিপ্লবের বিপরীরতে দাঁড়িয়ে গেছে। প্রথম বিশ্ববাদিরা খুব সাধারণ ভাবেই বলেন যে, প্রথম বিশ্বে আর বিপ্লব হবার মত অবস্থা নেই। তাঁরা কারণ হিসাবে বলেন যে, উরা নাকি ভুয়া সচেতনতা্য ভোগছেন বা তথাকথিত মগজ দুলাইয়ের শিকার হয়েছেন।

আমরা আগেই বলেছি যে, এক জন প্রথম বিশ্বের শ্রমিক এখন তাঁর নিজের  শ্রমের তুলনায় অধিক পাচ্ছেন। আমরা আরো বলেছি – প্রথম বিশ্বের একজন শ্রমিক বিশ্ব সামাজিক উৎপাদনের সম পরিমানের চেয়ে বেশী পাচ্ছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লবী আন্দোলনের ইতিহাসে – প্রথম বিশ্বের আন্দোলন সংগ্রাম কখনও একাত্ম হতে পারেনাই । তাঁদের মাঝে  সমাজতন্ত্রের চর্চায় সর্বদাই একটা দূরত্ব বিরাজমান ছিলো। তাঁদের আচরনিক দিক, তাঁদের মানসিক গঠন সর্বদাই ধনবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী আবেশে আবিস্ট ছিলো । প্রথম বিশ্ববাদের প্রকৃতি ও ধর্ম সম্পর্কে পপার সটিক কথাই বলেছেন। তিনি সংশোধনবাদ  সম্পর্কে ও সটিক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বিনাদ্বিধায় স্বীকার করেছেন যে, প্রথম বিশ্ব কোন ভাবেই সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্য চালকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না । যখন একজন প্রথম বিশ্ববাদি  বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হয়, তখন তাঁরা একটি সাময়িক কারণ প্রদর্শন করেন। একজন প্রথম বিশ্ববাদিকে কোন জিনিস প্রথম বিশ্ববাদের দিকে দাবিত করে ? কোন আর্থ সামাজিক অবস্থা ? কোন ঘটনা ? কোন পর্যবেক্ষন ? প্রথম বিশ্বের জনগণের মাঝে কি এমন কোন বিষয় আছে – যা তাঁদের বিশ্বাসকে নাড়া দিতে পারে ? এমন  কোন জীবাষ্ম নেই –  যা প্রথম বিশ্বের  বিশ্বাসীর মনে দোলা দিতে পারে, এমন কোন প্রমান আজো মিলেনি যা প্রথম বিশ্ববাদীদেরকে নাড়া দিয়েছে। পপার প্রথম বিশ্ববাদ সম্পর্কে যতার্থই  মূল্যায়ন করেছেন । প্রথম বিশ্ববাদীরা বিজ্ঞান মনস্ক নয় । তাঁদের মানসিকতা প্রধানত ধর্ম কেন্দ্রীক। কিছুই তাঁদের বিশ্বাসের ঘরে আঘাত হানতে পারেনি। তাঁদের জিবনে কত রকমের ব্যার্থতা ও বিফলতা এসেছে – কিন্তু তাঁদের জাগরন ঘটেনি। আর কি করলে তাঁরা জাগবেন ?

উক্ত প্রসঙ্গে , আমরা পপারের জিজ্ঞাসার জবাব খুব সহজেই দিতে পারি । আমরা মিথ্যাকে প্রমান করতে ভালোভাসি, কেননা আমরা বিজ্ঞান মনস্ক। আমরা প্রথম বিশ্ববাদীদের মত উট পাখি নই- যে বিলির ভেতর আমরা মাথা ঢেকে রাখব। আমাদের অনেকেই  এক কালে প্রথম বিশ্ববাদি ছিলেন। কিন্তু আমরা ইহা থেকে বেড়িয়ে এসেছি। আমরা প্রথম বিশ্ববাদকে বার বার ভুল প্রমান করেছি। যদি প্রথম বিশ্ব একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হয়, বা এই আন্দোলন উল্লেখ যোগ্য শক্তি অর্জন করে,  তবে আমরাই প্রথম এর সমর্থন দিব । আমরা আমাদের ভুল স্বীকার করে নেব। আমরা যখন দেখব যে,  প্রথম বিশ্বের  শ্রমিকগন ক্ষমতা দখল করে স্বাভাবিক ভাবে তাঁদের জীবন মান দুনিয়ার অন্যান্য মানুষের সাথে সমভাবে ভাগাবাগী করে নিচ্ছেন, বা তাঁরা তাঁদের ভুমি, ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সমূহ অন্যদের সাথে ভাগাভাগী করছেন – তখন আমরা বলতে পারব যে – ইহা সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ নয় । তা সত্যিকারের অগ্রগতি। আমাদের ধারনাকে মিথ্যা প্রমান করার জন্য ও প্রথম বিশ্বে কোন সাম্যবাদী বিপ্লব সংগঠিত হবে না । আমরা যখন দেখব যে, প্রথম বিশ্বের কোন একটি সমাজে তৃতীয় বিশ্বের বিপ্লবী কার্যক্রম প্রয়োগ করা হয়েছে – যা কেবল বুদ্বিজীবী ও রাজনৈতিক কর্মীদের মাঝে নয় । তা হলে ও আমরা আমাদের চিন্তার পুনঃ মূল্যায়ন করব। আমরা যদি দেখি যে, আমেরিকার রাজপথে উল্লেখযোগ্য  সংখক মানুষ নেমে এসে আওয়াজ তুলে যে, তাঁদের জিবনযাত্রার মান যেন কমিয়ে দেওয়া হয়, এবং ভুমি সংস্কার করে তাঁদের দখল করা জমি যেন ফেরত দেয়া হয় । তা হলে ও আমরা আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গী বদল করব।

আমরা রক্ষনশীল নই। প্রকৃত বাস্তবতা হলো যে, প্রথম বিশ্বের কোথাও সত্যিকার কোন বিপ্লবী আন্দোলনের অস্থিত নেই । সত্যকার কমিউনিজমের আলোচনা এখন প্রথম বিশ্বে হাসির বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মূল কথা হলো প্রথম বিশ্বের শ্রমিকরা বড়ই প্রতিক্রিয়াশীল । তাঁরা এমনকি  সংশোধনবাদীদের আন্দোলনকে ও সমর্থন করেন না ।  অনেকেই প্রত্যাশা করেন যে প্রথম বিশ্বের শ্রমিকরা তৃতীয় বিশ্বের শ্রমিকদের সাথে ঐক্য স্থাপন করবেন এবং বিপ্লবে শরিক হবেন। কিন্তু তা একেবারেই অবৈজ্ঞানিক  ও অবাস্তব বিষয় ।

বস্তুগত বিষয়াদি ও  বৈষয়িক  স্বার্থ  মানুষের আচরনকে বহুলাংশে  প্রভাবিত করে থেকে । আর সেই জন্যই সাম্রাজ্যবাদী প্রচার মাধ্যম তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে জন সংখ্যার বিস্ফোরন সহ কিছু বিষয় কে ব্যাপক ভাবে প্রচার করে থাকে । কেন না সেখানে এখনো কিছু কিছু বৈপ্লবিক কর্ম কান্ড সংগঠিত হয় । তাঁরা সর্বহারাদের অধিকার, সাম্যবাদ ও স্বাধীনতার জন্য বিদ্রোহ করে । প্রকৃত সত্য হোল প্রচার মাধ্যমকে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ প্রথম বিশ্বের মানুষের মত মুক্ত ভাবে উপভোগ করতে সুযোগ পায় না। আর তাই, কখন ও কখনও আসল সত্য বেড়িয়ে আসে । পুজিবাদিদের মিথ্যা প্রচারনা বাস্তবতার নির্মম সত্যের কষাঘাতে বিলিন হয়ে যায়। ভুয়া সচেতনতা ঠিকে থাকে, আর তা দির্ঘায়িত ও হয়। তবে, প্রকৃত সত্য একদিন বেড়িয়ে আসেই।

বাস্তবতা হলো প্রথম বিশ্বে  উল্লেখ যোগ্য হারে সত্যিকার কোন প্রলেটারিয়েট নেই । তাই আমরা কখনো এখানে প্রলেটারিয়েট বিপ্লব দেখতে পাব না । তবে, আমরা এখানে প্রতিক্রিয়াশীল ও ফ্যাসিবাদি গৌস্টীর উত্থানের ঘটনা ও কিছু মেকী চা-চক্র দেখতে পাব।  আমরা ১৯৬৮ সালের প্যরিসে যেমন দেখেছিলাম – কিছু সোস্যাল – ডেমোক্রেট/সোস্যাল – সাম্রাজ্যবাদীদের উত্থান। যখন প্যারিসের শ্রমিকগন  বিপ্লবের লক্ষ্যে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছিলো তখন আমরা দেখলাম  তাঁদের কেউ কেউ বেতন বৃদ্বির আশ্বাসে কারখানায় ফিরে গেলেন। আমরা আরো দেখলাম ডান ও বাম ফ্যাসিস্ট চক্রের কামড়া কামড়ি।

বিজ্ঞান হলো চর্চা ও ব্যখ্যার বিষয়। প্রথম বিশ্ববাদ বাস্তবতা বিবর্জিত একটি বিষয়, ইহা একটি অনিশ্চিত বিষয় ও বটে। মি. পপার এটাকে একটি সাময়িক ও ধর্মীয় বিষয়ের মত করে দেখেছেন। লিডিং লাইট কমিউনিজম হলো একটি সূ নিশ্চিত ও ব্যাখ্যা যোগ্য বিষয়। ইহা আমাদেরকে বলে দেয় কোথায় কোথায় বিপ্লব হবে – আর কোথায় কোথায় তা হবে না । ইহা আমাদেরকে  সামাজিক ঘটনা প্রবাহকে ব্যাখ্যা করা  একটি চমৎকার পদ্বতী বাতলে দেয়। এটাই প্রকৃত বিপ্লবী বিজ্ঞান।

মহান কার্ল মার্ক্স ইউটোপিয়া বা কল্প বিজ্ঞান থেকে তার প্রকল্প গ্রহন করেছিলেন। তিনি তাঁর প্রকল্পকে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র বলে অবিহিত করেছিলেন। আর আজ লিডিং লাইট কমিউনিজম হলো – একটি বিপ্লবী বিজ্ঞান। ইহা ই বিপ্লবের সঠিক পথ। অন্য দিকে প্রথম বিশ্ববাদ হলো একটি প্রহেলিকা । দুর্ভাগ্য হলো ইহা আমাদের অনেক ক্ষতি করে ফালেছে। ইহা প্রথম বিশ্ব ও সামাজিক ফ্যাসিবাদের আগুন কে ডেকে রেখেছে। আমরা তাঁদের স্বরূপ উন্মুচন করবই। – একে এম শিহাব

Leave a Reply