প্রথম বিশ্ব প্রসঙ্গে-

879632_700b

(llbangla.org)

“প্রিয় লিডিং লাইট,

প্রথম বিশ্বের লিডিং লাইটগন কিভাবে গরিব সাধারণ মানুষের সাথে মিলিত হবেন ? যেখানে কোন গরিব সাধারণ মানুষই নাই। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্চ শ্রেনীর মানুষেরা শ্রেণী হিসাবে সুবিধা পাবেন । কিন্তু তারা চাইলে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জন্য কি করতে পারেন? যেখানে দরিদ্র মানুষনেই সেখানে সাম্যবাদি হওয়া খুব কঠিন কাজ। তবে আমরা কি করতে পারি?”

মহান লেনিনের এই প্রশ্নটি প্রথম বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য। “ আমাদের কি করিতে হইবে?” একজন লিডিং লাইট প্রথম বিশ্বে কি কি করতে পারেন। যেখানে তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও শ্রেণী শত্রুর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন। যারা প্রতিনিয়ত সাম্যবাদের বিরুদ্বে, বিপ্লবের বিরুদ্বে ও সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে কাজ করে চলেছেন ? প্রথম বিশ্বে উল্লেখ যোগ্য কোন প্রলেতারিয়েত শ্রেণী নেই। প্রথম বিশ্বের মানুষ আরামদায়ক ও নিরাপদ জীবনযাপন করছেন। তারা শ্রেণী স্বার্থে সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে ভুমিকা পালন করছেন। আমাদের দায়িত্ব হলো এই পরিস্থিতিতে করনীয় কি তা নির্নয় করা । প্রথম বিশ্বের জীবন যাত্রা অনেক বদলে গেছে । তা এখন আর ১৯১৭ সালের রাশিয়ার মত বা ১৯৪৯ সালের চীনের মত নয়। পরাতন পন্থায় এখন আরকন কাজ করবে না। পরাতন চিন্তা ভাবনা এখন অকার্যকর। আমাদেরকে অবশ্যই অতীত থেকে ব্যাপক শিক্ষা নিতে হবে। লিডিং লাইট প্রথম বিশ্বের জন্য অবশ্যই নতুন বিপ্লবের রূপকল্প প্রনয়ন করবে।

প্রথম বিশ্বে প্রলেতারিয়েত নেই বা এখানে কোন সামাজিক বিপ্লবী ভিত্তি নেই তাই বলে আমরা বিপ্লবের জন্য কিছু করব না বা সকলেই হাত গুটিয়ে বসে থাকব তা তো হবে না। যদি ও এখনই বিপ্লব সম্ভব নয় তাই বলে আত্মসমর্পন করাটা গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। আত্মসমর্পন কোন কাজের কথা নয়। যারা বিপ্লবী বিজ্ঞানের পথ ছেড়ে দিতে চান, কিছু না করার মতবাদে বিশ্বাস করেন তারা মূলত সংশোধনবাদের পথেই হাটছেন।

লিডিং লাইট অল্প কোথায় যা বলতে চায় তা হলো-“ প্রথম বিশ্বে প্রতিরোধ; তৃতীয় বিশ্বে বিপ্লব”। এর কারণ গুলো নিম্নে দেয়া হলঃ

প্রথমতঃ যদি আপনি প্রথম বিশ্বের মানুষ হয়ে থাকেন তবু আপনি এখানেই সীমাবদ্ব নন। আমাদের বিপ্লব বিশ্ব ব্যাপী। আমাদের দরকার হলো যুদ্বাদেরকে তৈরী করা দুনিয়ার যখন যেখানে যাওয়া দরকার সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া। এখন এটা ও বিপ্লবের সহায়ক কাজ। আমরা শ্লোগান তুলছি এই বলে, “ একটি প্রথিবী, একই মানুষ, একই সংগ্রাম, এক সংগঠন, একই নেতৃত্ব, একই বিজ্ঞান এবং একটি ই জীবন মানুষের জন্য বিলিয়ে দেবার জন্য । আমাদের সুন্দর আগামীর জন্য”।

আমাদের এখন দরকার সুদক্ষ, নিবেদিতপ্রান মানুষ যারা পরবর্তী বিপ্লবের ঢেঊ তোলার জন্য কাজে এগিয়ে যাবে। আমাদের দরকার অর্থ ও সম্পদের । প্রথম বিশ্বের মানুষ সেই সহযোগীতার করার স্তরে অবস্থান করছেন। তাদের সময় ও সম্পদ আছে। তারা তৃতীয় বিশ্বের মানুষের সহায়তার জন্য কাজ করতে পারেন। আপনি যদি প্রথম বিশ্বের মানুষ হয়ে থাকেন তবে আপনাকে বিপ্লবী কাজে অংশ গ্রহনের সুযোগ লিডিং লাইট করে দিতে পারে। প্রথম বিশ্বের কমরেড ও বন্দুগন বিপ্লবী কাজে এগিয়ে আসতে পারেন। আপনার পাশে লিডিং লাইট আছে।

দ্বিতীয়তঃ আমাদের কমরেডগন প্রথম বিশ্বেই প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেন। যদি ও এখনই প্রথম বিশ্বে বিপ্লব সম্ভব নয় , কিন্তু প্রথম বিশ্বের মানুষকে প্রগতির দিকে দাবিত করা যেতে পারে। লিডিং লাইট ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কাজ করেছে। এই ধরনের কাজ করার জন্য লাল পতাকার দরকার নেই। এই ধরনের কাজ প্রকাশ্য ফ্রন্টের মাধ্যমে সম্পাদন করা যায়। ইহা গোপঅন ও প্রায় গোপন অবস্থায় ও করা সম্ভব। লিডিং লাইট প্রথম বিশ্বে সংগঠন তৈরী করে ও তা করতে পারে এবং সম্পদ উৎপাদন ও সংগ্রহ করে শক্তি বাড়াতে পারে।

আমাদের কাজ হলো প্রথম বিশ্বে ফ্রন্ট তৈরীকরে তাদের শক্তি, সাম্রাজ্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদের বিনশ সাধন করা। আমরা প্রথম বিশ্বের সমাজ ব্যবস্থায় এমন একটি পরিবর্তন আনতে চাই যা তৃতীয় বিশ্বের সমাজ বিপ্লবে সহায়ক হবে। আমরা তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করে সমাজ বিপ্লকে ত্বরান্বিত করতে কাজ করে যাব। আমাদের কাজের একটা বড় দিক হবে যা অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক হিসাবে বিবেচিত হবে – তহবিল গঠন মূলক হবে ( যুদ্ব বিরোধী, সামরিকতন্ত্র, পুলিশতন্ত্র বিরোধী, নিরাপত্তা বিরোধী রাষ্ট্র, ভোগবাদ

বিরোধী, পরিবেশ সম্মত উদ্যোগ এবং ভৌগলিক সমতা ইত্যাদি) এটা দৃশ্যত ভিন্ন কিছু মনে হলে ও তা হবে রাজনীতির জন্যই। গতানুগতিক কার্যক্রম কারর্য্যকরী হিসাবে মনে হলে ও প্রথম বিশ্ব তা সকল ক্ষেত্রে কার্যকরী না ও হতে পারে। বাম ধারার আন্দোলন কে শক্তি শালী করার মাধ্যমে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করা।

প্রতিটি ক্ষেত্রে মৌলিক বিষয় গুলো লিডিং লাইটের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আমরা আপনাকে আমাদের কাজের কার্যকরী ভাবে সম্পৃক্ত করতে চাই। আপনার কাজের দক্ষতা, মেধা, ও আকাঙ্ক্ষাকে বিপ্লবী কাজে লাগাতে চাই। যা নিপিড়িত মানুষের মুক্তির পথকে সুগম করবে।

যেখন কোন স্থানে বিপ্লবী সাজা বিপদজনক হতে পারে। বিপ্লবী মানেই হলো প্রচলিত আইন কানোনের মৌলিক বিষয় গুলোকে বদল করা। অনেক ক্ষেত্রেই তা করতে গিয়ে বুলেট ব্যবহার করতে হতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে কারাগারের ও দরকার হয়। বিপ্লব উদার পন্থীদের জন্য বিপদ জনক হতে – তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জন্য আত্মগাতী তৎপরতা হিসাবে পরিগিনিত হতে পারে। বিপ্লবী কার্যক্রমের জন্য নানা প্রকার নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার দরকার হয়। একের পর এক নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থার ভেতর দিয়ে বিপ্লব এগিয়ে চলে। কিন্তু আমাদেরকে সর্বদা যা মনে রাখতে হবে তা হলো, যদি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সঠিক ভাবে কাজ না করে তবে আমাদের শত্রুরা সকল কিছুকেই নস্যাৎ করে দিতে পারে। বিপ্লবে ঝুঁকি তো থাকবেই। বাস্তবতা আমাদেরকে মেনে নিতেই হবে। তার আলোকেই আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে।

আমাদের বিশ্বাস সব কিছুই পরিস্কার হয়েছে।

লাল সালাম ! লিডিং লাইট দির্ঘ জীবী হোক !!

Leave a Reply