সাম্রাজ্যবাদী বানিজ্যিক প্রতিস্টান গুলো ভারতীয় জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করছে। চলচ্চিত্র এভাটার যে গল্প প্রদর্শন করেছে তা ভারতীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর লন্ডন ভিত্তিক ভেদান্তা খনিজ সম্পদ আহরক কম্পানীর আক্রমনের ইতিহাস। ডংগ্রীয়া কন্দ আক্রান্ত হয় ভেদান্তা খনিজ কোম্পানীর দ্বারা। ইহা এমন একটি বানিজ্যিক সংস্থা যারা একটি সম্প্রদায়কে বিলিন করে দিয়ে পবিত্র পাহাড়ে তাঁদের নিজেদের জন্য একটি খিনিজ অঞ্চল গড়ে তোলতে চায়। স্থানীয়দের বক্তব্য হলো ঃ
“আমরা অতি শান্তি ও সম্প্রতি পূর্ণ পরিবেশে এই পাহাড়ে বংশ পরম পরায় বসবাস করে আসছিলাম, এই বিশাল বিস্তৃত অরন্যে, এই অগনিত বন্য জীব যন্তুর সাথে মিতালী করে। আমরা এখন জীবন মৃত্যুর লড়াইয়ে অবতির্ণ। এখন ও সময় আছে আমাদেরকে না মেরে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেবার”।
ভেদান্তা পরিকল্পনা করেছে নিয়ামগীরী পাহাড়ের চূড়াতে খোলা পদ্বতিতে খনি খনন করে এলমুনিয়াম এবং ওরাভেক্সাইট আহরন করার জন্য। আগস্ট,২০০৮ সালে ভারতীয় আদালত বানিজ্যিক প্রতিস্টানকে সবুজ সংকেত প্রদান করেছেন। ওরিশ্যার সরকার ভেদান্তাকে এই আশ্বাস দিয়েছে যে, তাঁরা এই পাহাড় থেকে ভেক্সাইট আহরন করার সুবিধা পাবে ই।
“ যদি ভারতীয় উচ্চ আদালত ও এই ভেদান্তের পক্ষে খনি খননের রায় প্রদান করেন, তবে ডনগ্রীয়া কন্দের নারী-পুরুষ সহ সকল মানুষ । তাঁদের শিশু, প্রবীন সকলেই তাঁদের কারখানায় ও রাস্তায় শোয়ে পড়বে এবং বলবে প্রথমে আমাদের হত্যা কর তাঁর পর খনি খনন কর। কেননা আমরা এই পাহাড় ছেড়ে কথাও যেতে পারব না” ।
বানিজ্যিক কোম্পানি গোলো তাঁদের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাঁদের খাদ্য বিষাক্ত করে তুলছে, তাঁদের সম্পদ চুরি করছে, বিনাশ করে দিচ্ছে প্রকৃতিক সৌন্দর্যকে। এটাকে প্রথম বিশ্ব কর্তৃক তৃতীয় বিশ্বের প্রতি আক্রমণ হিসাবে ও বিবেচনা করা যেতে পারে। এই ধরনের উদ্যোগ ডনগ্রীয়া কন্দের মানুষ ও ভারতীয় জনগণের বিরুদ্বে গন হত্যার শামিল। বিগত বছরে শান্তি পূর্ন ভাবে ডনগ্রীয়া কন্দবাসী বানিজ্যিক কম্পানীর কার্যক্রম বন্দ করে দিতে চেয়েছিল। তাঁরা খনি এলাকায় মানব বন্দন রচনা করেছিলো। ৭০০০ লোক নিয়ে প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ভেদান্তা শসস্ত্র লোক ভাড়া করে স্থানীয়দেরকে বসে আনার চেষ্টা করে। ভাড়া করা লোক এবং পুলিশ বেআইনি ভাবে স্থানীয় মানুষের বাড়ী ঘর ভেদান্তের জন্য দখল করে নেয় ।
এখন ও ভারতের অধিকাংশ মানুষ দিনে মাত্র ২.৫০ ডলারে দিনাতিপাত করে থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যত লোক আছে, তাঁর চেয়ে ও বেশী ভারতীয় মানুষ এখন মাত্র ০.৮০ ডলারে জীবন ধারন করে থাকেন। পুজিবাদি – সাম্রাজ্যবাদ, এবং বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া ভারতীয়দের জীবন দুর্বিসহ করে তুলছে। যখন ধনিক দেশের মানুষেরা আরো বেশী ধনী হয় – তখন দরিদ্র দেশের মানুষেরা আরো গরীব হয়। ভারত যদি মুক্তি চায় তবে তাঁদের উচিৎ সত্যিকার গণতান্ত্রিক চেতনায় নিজেদের লড়াই সংগ্রামকে জোড়দার করা। কোন সাম্প্রদায়িক পথে নয়ঃ একই ধারায় দরিদ্র দেশের মানুষ গুলোকে দুনিয়া জোড়ে গন সংগ্রামের পথে সাম্রাজ্যবাদী ধনিক দেশ এবং তাঁদের স্থানীয় এজেন্ট ও দালাল গুলোকে মোকাবেলা করতে হবে। তা হলেই এক চাটিয়া ভাবে ধনিক শ্রেনীর মানুষেরা গরীবদের সম্পদ লোন্ঠন করতে পারবে না। এ লক্ষ্যে লিডিং লাইট ভারত সহ সারা দুনিয়ার গরীব মানুষের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। মেহেনতি মানুষের জয় হোক !# শিহাব