বিপ্লবের জন্য জনযুদ্ধ কি সার্বজনীন ?

ee604-ispw

(llbangla.org)

আমরা এখন প্রথম বিশ্ব ও তৃতীয় বিশ্বের মধ্যে একটি মহা যুদ্বের মাঝ খানে দাঁড়িয়ে আছি । দারদ্রি, আখাল, দুঃখ দুর্দশা, নষ্ঠিুরতা, সহিংসতা ও মহামন্ধা চলছে র্সবত্র। সাম্রাজ্যবাদী প্রথম বিশ্ব তৃতীয় বিশ্বকে এক মহা কবরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে । যারা এখন দুনিয়ায় কর্তৃত্ব করছে তারা যুদ্ধ বিনা তা ছাড়বনো । র্কতৃত্বের বাহিরে থেকে এর কোন প্রকার সংশোধন সম্ভব নয় । তাই , আমাদেরকে যুদ্ধে নামতেই হবে, আমরা তা করব ই।
ভুলই হোক আর সঠকিই হোক আমাদরেকে লড়াই সংগ্রামে নামতইে হবে । প্রস্তুতি বিহীন তাড়াহুড়া করে লড়াই করতে নামলে পরাজয় অনির্বায । যারা অবজ্ঞৈানকি ভাবে তাড়া হুড়া করে, তাদরেকে হারতইে হয় । যাদের নিয়ম শৃংখলা নেই তাদরেকে ও হারতে হবে । যাদের সংগঠন নেই তাদেরকে ও হারতে হবে । যাদের পরকিল্পনা নেই তাদেরকে ও পরাজতি হতে হবে । যেমনটি মহান লেনিন ও মহান মাও সেতুং শিখিয়েছেন,এই ধরনের আচরণ হলো পাতি বুর্জোয়া অথবা র্বুজোয়া মানসকিতার ফল । প্রকৃত পরর্বিতনের জন্য প্রয়োজন লিডিং লাইট কমউিনিষ্ট নতেৃত্ব, সংগঠণ এবং শৃংখলা । আপনি যদি সত্যিই পৃথিবীর পরর্বিতন চান, তবে আপনার নিজের ব্যক্তগিত আবেগ, অনুভুতি এবং নিচুতাকে ও ইগ্যুকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে । আপনাকে লিডং লাইট কমিউনিজম এর নেতৃত্ব গ্রহন করেত হবে । লিডং লাইট কমিউনিষ্ট একটি বিশ্বব্যাপী জনযুদ্ধ পরচিালনা করবে এবং বিজয়ী হবে ।
আমাদের যুদ্ধ হলো বিশ্ব জনযুদ্ধ । ইহা হলো সেই মহান যুদ্ধ যা সকল যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাবে । ইহা হলো প্রকৃত স্বাধীনতা যুদ্ধ । আমরা যদি নিজেদের বাচাঁনোর জন্য উঠে না দাড়াঁই , তবে কছিুই কখন ও পরর্বিতন হবে না । বিশ্ব জনযুদ্ধ হলো বিশ্ব মানব মক্তির ও র্কতৃত্ব র্অজনরে এক মহান রাজপথ । এই র্অথে জনযুদ্ধ হলো এক মহান ও র্স্বাবজনীন এক যুদ্ধ । পৃথিবী ব্যাপী যুদ্ধ একটি র্আন্তজাতিকতাবাদী একযুদ্ধ । চীনের কমরেডগণ প্রথম দিকে কেবলমাত্র ২৮ জন যা রাশিয়ার বলশেভিকদের তুলনায় মাত্র অর্ধেক লোকনিয়ে বিপ্লবী কর্মকান্ড শুরু করেছিলেন । যারা কয়েক বছর সৌভিয়েত ইউনিয়ন পরিচালনা করেছেন এবং মনে করা হয় যে, ইহা চীনের বিপ্লবের জন্য এবং জণগনের মাঝে প্রেরণ সৃষ্টির জন্য কাজ করেছিল । মহান মাও সেতুং একমত পোষন করেছিলেন যে, চায়নীজ বিপ্লবের মডেল সবত্র একই ভাবে কাজ করবে না । কারন সকল দেশের ভূ প্রকৃতি, জনসংখ্যা, এবং শ্রেণী কাঠামো একপ্রকার নয় । উদাহরণ হলো চিলি হলো একটি সরুদেশ এবং শহরের সংখ্যা ও অনেক । তাই চিলির বিপ্লবের বস্তবতার আলোকে প্রয়োজনে আর্জেন্টিনার বামরাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐক্য স্থাপন করে রণনীতি ও কৌশল নির্ধারণ করতে হবে । অন্যদিকে পেরু হলো চায়নার মডেল প্রয়োগের উত্তম জায়গা । সেখানে মাও সেতুং এর কর্মের প্রেরণা সেখানকার বিপ্লবীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করছে । বর্তমানে দুনিয়া জোড়া যে, বস্তি এলাকা গড়ে উঠছে তা ও আগামীতে বিপ্লবের জন্য এক মহা ভূমিকা পালন করতে পারে । আগামীতে বিপ্লবীগন যে, কেবল গ্রাম দিয়ে শহর ঘেড়াও করবেন এমনটি সর্বত্র প্রয়োজন নাও হতে পারে । স্থানীয় পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে কাজ করা একান্তভাবেই প্রয়োজন হবে ।
তৃতীয় বিশ্বের বেশীর ভাগ জায়গায় এইরূপ যুদ্ধহবে নিজেদেরকে বাচাঁনোর জন্য যুদ্ধ । জনযুদ্ধ চীনে পরিচালনা করেছিলেন মহান মাও সেতুং । সেই সময়কার অবস্থা ও বস্তুগত পরিস্থিতি বিশ্লেষন করলে এশিয়ার বহু দেশে, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার জনযুদ্ধ অনেকটাই চীনের মতই হবে । যাইহোক, জনযুদ্ধের ধরনটা চীনের মতকরেই ভাবা হয় তবে, মাও সেতুং একথা বলেছেন যে, প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে যুদ্ধের কৌশল নিরূপন করবেন । তিনি আরো বলেছেন যে, যান্ত্রিকভাবে প্রয়োগ করলে চীনের যুদ্ধকৌশল অন্যান্য দেশের সাথে খাপ না ও খেতে পারে।
ইহা আমাদরে বোঝা খুবই প্রয়োজন যে, জনযুদ্ধ কেবল মাত্র সনোবাহনিী ও সৈনিকের বিষয় নয় । যেখানে প্রয়োজন হবে, আমাদরে দরকার পরবে সেখানে আমরা মুক্ত এলাকা বা লাল অঞ্চল তৈরী করব । এই লাল এলাকায় আমরা নতুন শক্তির বকিাশ ঘটাবো । আমরা নিপিড়িতদের জন্য স্বাধীন প্রতষ্ঠিান গড়ে তুলব । আমরা ছোট পরিষরে নতুন মডেলে রাষ্ট্র গড়ে তুলব । আমরা গনবাহিনী গড়ে তুলব , যা হবে একটি শক্তিশালী লাল ফৌজ । আমরা নতুন সংস্কৃতি গড়ে তুলব । আমরা নতুন সমাজের নতুন মডেল প্রর্দশন করব । আমরা সাধারণ জনগণের বিদ্যা র্অজনের জন্য বিদ্যালয় গড়ে তুলব । আমরা বিপ্লবী সংস্কৃতি তৈরী করব । নতুন শিল্প, নতুন সংগীত, নতুন নৃত্য চালু করব । আমরা গণ আদালত তৈরী করব । আমরা গণ কমিিট গড়ে তুলব । আমরা নতুন ও যৌথ র্অথনীতি চালু করব । আমরা আমাদের পরিবেশ ও প্িরতবেশের সাথে নতুন সর্ম্পক সৃষ্টি করব । আমরা জনগনের সেবক হব । আমরা আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করব । আমরা বিপ্লব বাচঁব । আমাদের গড়ে তুলা লাল এলাকা গুলো বিশ্বের নিপিড়িত ও শোষতি মানুষগুলোর আশার প্রথকি হয়ে উঠবে । আমরা প্রথমে কোন এলাকা, এর পর দেশ এবং এর পর সমগ্র দুনয়িায় বিপ্লব সাধনের জন্য এগিয়ে যাব ।
লিডিং লাইটের নতেৃত্বে বিশ্ব জনযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ব বিপ্লব সংঘটতি হবে । লিডিং লাইট কমিউনিজম আনেক গুলোদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে অনেকদেশকে ঐক্যবদ্ব করবে একটি মাত্র যুদ্ধ ও লড়াইয়ে লড়বার জন্য । আম দের লড়াই শুরুই হবে কোন একটি পশ্চাৎপদ এলাকা থেকে । ইহা আসবে গ্রাম গ্রামান্তর থেকে । ইহা আসবে দুনিয়ার বড় বড় বস্তিবাসীদের মধ্য থেকে । ইহা আসবে জংগল থেকে । এশয়িা, আফ্রকিা ও ল্যাটনি আমেরিকার পাহাড় ও অরণ্য থেকে । এই মহান বিপ্লব প্রথম বিশ্বের তুলনায় তৃতীয় বিশ্বে বেশী দ্রুত গতিতে ছড়েিয় পড়বে । ইহা প্রথম বিশ্বকে তাদের র্বতমান অবস্থান গত কারণে সাময়িক বিরত রাখতে পারে, নতুন শক্তি প্রথম বিশ্বের উপর আরোপ করা হবে, তখন দেখা যাবে যে, তাদের জনসাধারণ তা গ্রহন করে কি না ? ইহা সকল প্রকার সাম্রাজ্যবাদ, পুিঁজবাদ, এবং অবিচারের অবসান ঘটাবে । ইহা হবে এক সুমহান উজ্জলতম স্বাধিনতার উদাহরন । সংগ্রাম আন্দোলনের ভেতর দিয়ে একটি নতুন মানব গৌষ্ঠীর সৃষ্টি হবে, এবং যারা একটি নতুন দুনিয়া গড়ে তুলবনে অমরা এখন একটি অন্ধকার সময়ে বসবাস করছি । আর্ন্তজাতিক কমিউনিষ্ট আন্দোলন স্থবির হয়ে আছে । তবে সময় দ্রুত বদলাচ্ছে । আশাকরা যাচ্ছে পরিস্থিতিগত কারনেই লিডিং লাইট কমিউনিজমের নেতৃত্বে লাল পতাতা হাতে নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্ব এগিয়ে অসবেন এবং প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থাকে ভেঁেঙ্গ চুড়ে ঘুড়িয়ে দিবেন । এটা শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার । আমরাই আন্দোলনের নায়ক ! আমাদের ভবিষ্যত হবে অবশ্যই গৌরবময় ! বিপ্লবী লাল সালাম !! –অনুবাদ ঃ একেএম শিহাব ।

Leave a Reply