মহান প্রলেতারিয়েত সাংস্কৃতিক বিপ্লব সূচনায় নতুন শক্তি ও আদর্শের উত্থান ঘটিয়ে ছিল । পর্ব-১

HKJ9D00Z

(llbangla.org)

ভুমিকা

আজ সারা দুনিয়ার সাম্যবাদিরা এক জটিল সমস্যায় আক্রান্ত তারা না পারছেন বিপ্লবকে ধরে রাখতে, না পারছে তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতেঅবশ্য এর কারন নিহিত আছে দুর্নীতি, আমলাতন্ত্র ও বিলুপবাদের চিন্তাধারার মাঝে। স্ট্যালিনের শাসন আমলকে সৌভিয়েত ইউনিয়নে শিল্প বিপ্লব হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। যান্ত্রিক পরিবর্তনকে প্রায়স সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। যান্ত্রিকতার সাথে মানুষকে একত্র করে তার মহাত্ম রোমান্টিকতার সাথে শিল্প সাহিত্যে ব্যাপক প্রচার করে থাকে। কেহ কেহ প্রকৌশলগত উন্নয়নকে একটি সমাজতান্ত্রিক উন্নত সমাজ হিসাবে দেখে থাকেন এবং একেই তারা সাম্যবাদি সমাজ হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। স্ট্যালিন ও তার বিরোধী ট্রটস্কি উভয়ই এই ক্ষেত্রে একই দৃষ্টি ভঙ্গী প্রকাশ করেছেন। লেনিন এক সময়ে বলেছিলেন– ‘সমাজতন্ত্র হলো সৌভিয়েত শক্তি ও বিদ্যুতের সমন্বয়,পরবর্তীতে চিনে যখন এইরূপ নীতির পক্ষে মতামত জোরদার হয়, তখন মাওবাদিরা এই বক্তব্যের সমালোচনা করেনএইরূপ দৃষ্টি ভঙ্গিকে উৎপাদন শক্তি তত্ত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর এই দৃষ্টি ভঙ্গীর জন্যই স্ট্যালিনের শাসন ব্যবস্থাকে একটি পুলিশি শাসন হিসাবে দেখা যায়। যদি সমাজতন্ত্রকে একটি যন্ত্র হিসাবে দেখা হয়, তবে অব্যবস্থাপনা জনিত কারনে শোষন চলতে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে কি না তাই দেখা হয় ? একটি যন্ত্রের অকার্যকারিতাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায় ? তবে এর সহজ ব্যাখ্যা হলো যন্ত্রে কোন দোষ নেই, সমাজতন্ত্রের ও কোন ত্রুটি নেই, বরং এর সাথে সম্পর্কিত যারা আছেন তাদের বিদ্রোহ, অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা এবং বিদেশী চরদের অপকর্মই দায়ী হিসাবে বিবেচনায় আনতে হয়। আর এই সকল কারনেই একটি রাষ্ট্র পুলিশি রাষ্ট্রে রূপ পরিগ্রহ করে। বিপ্লবের নামে পুলিশকে সন্ত্রাসী হিসাবে ব্যবহার কোন নতুন বিষয় নয়। ফরাসী বিপ্লবের সময়ে ও রবিসপাইরী প্রকাশ্যেই বিবৃতি দিয়ে বললেন যে, জোর যবরদস্তীর কোন বিকল্প নেই। স্ট্যালিন ও তাই করলেন, তা কেবল জনগণের বিরুদ্বে নয় বরং নিজ দলীয় লোকদের বিরুদ্বে ও তিনি ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন। তা সামাজিক রূপান্তর, সামাজিক সঞ্চালন করতে গিয়ে সকল ক্যাডার ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাথায় বন্দুক ধরা হয়েছিল যেন সমাজতন্ত্রের যান্ত্রিক চাকাটি সচল থাকে। ভেতরের শত্রু ও দুর্নীতি উচ্ছেদ করতে গিয়ে ও তাঁকে বাধ্য হয়ে এই করতে হয়েছে। তকে অনেকেই এই বিষয়টিকে খুবই সাধারণ ভাবে বিশ্লেষণ করে থাকেন। স্ট্যালিনের শাসন ব্যবস্থার জটিল অবস্থাটির ব্যাখ্যা তারা অতি সরল ভাবে উপস্থাপন করে থাকেন সত্যি কথা বলতে দ্বিধা করেন। মাওবাদিরা সৌভিয়েতের এই অভিজ্ঞতাকে পুনরাবৃত্ততি করতে চায় না। তারা সামনের সময়টিকে আরো ভালোকরতে চান, সাম্যবাদকে নতুন ভাবে প্রয়োগ করতে আগ্রহী। মাওবাদিরা প্রলেতারিয়েত শ্রেনীর একনায়কত্বের মাধ্যমে সাম্যবাদকে ভিন্ন আঙ্গিকে এগিয়ে নিতে চান। সমাজতন্ত্র কোন স্থির ও চুড়ান্ত বিষয় নয়, স্ট্যালিন প্রসাশন এর কোন ভালো উদাহরন নয়। সমাজতন্ত্র হলো একটি পরিবর্তনশীল ব্যবস্থা, ইহা সমাজের অসংগতি সমূহকে পরিশোদ্ব করে একটি সুষম অবস্থার দিকে নিয়ে যায়। ঘটনা চক্রে সমাজতান্ত্রিক কাঠামোতে আদর্শিক ও সমাজতাত্ত্বিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ক্ষমতার কেন্দ্রে নতুন ধরনের বুর্জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা এমন কি খোদ কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরেএখন তা প্রতি বিপ্লবে রূপ নিচ্ছে। মাওবাদিরা সতর্ক বানী উচ্চারন করে বলেছেন, “ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পতাকার রং বদলে যাচ্ছেএর আরো একটি অর্থ হলো চীন সৌভিয়েত ইউনিয়নের মতই নিজেকে পাল্টে ফেলছে। মাওবাদিরা পরিবর্তন চাইলেও তার মাঝে সাম্যবাদি আদর্শের প্রতিফলন দেখতে চাইছেন। বিপ্লবী কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেবার জন্য মাওবাদিরা শ্রণী সংগ্রাম চালু রাখতে ছেয়েছিলেন, তারা পুলিশি ব্যবস্থার উদ্ভাবন চান নাইতারা প্রতিবিপ্লবকে প্রতিরোধ করতে প্রয়াস পেয়েছেন। ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত নানা ভাবে মানুষের কাছে এসেছে। সেই সময়ে মাওবাদিদের চিন্তা চেতনার ও বিকাশ ঘটে। রাজনৈতিক আদর্শ সাংস্কৃতিক বিপ্লবের আদলে জনতার সামনে উপস্থিত হয়েছিলো। জনতার শক্তি সমাবশ ঘটিয়ে পুরাতন শক্তির বিলোপ সাধন করে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। মাওবাদের প্রকৃত বিকাশ ঘটাতে নানা কৌশল ও প্রচার চালাতে হবেএটা ই ছিলো সময়ে দাবী।

একটি বিপ্লবের লক্ষ্য কেবল ক্ষমতা দখল করা বা রাষ্ট্রীয় প্রতিস্টান সমুহের কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রন করাই যতেস্ট নয় বিপ্লব কোন সাধারণ কু দেতা বা সামরিক অভুত্থান নয়। রাষ্ট্রের বা সমাজের অন্যান্য অঙ্গ সমূহ বা প্রতিস্টান সমূহ পুঁজিবাদের আদর্শে লালিত থেকে যেতে পারে। তাদেরকে ও পরিবর্তন করতে হবে। ঐ সকল প্রতিস্টান সমূহকে কেবল নিয়ন্ত্রন করা ই নয় বরং ক্ষেত্র বিশেষে তা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে হবে। অন্য দিকে বুর্জোয়াদেরকে পরাজিত করাই শেষ নয় আমাদেরকে তাদের শূন্য স্থান দখল করতে হবে। পুরাতনকে তাড়িয়ে নতুন ব্যবস্থাকে প্রতিস্টিত করতে হবে। বুর্জোয়া ধ্যান ধারনার পরিবর্তে প্রলেটারিয়েন আদর্শের উপস্থাপন করতে হবে। বিপ্লবী বিজ্ঞানের চর্চা চালু করতে হবে। শ্রেণী সংগ্রাম হলো সমাজের দুটি শ্রেণী দুই ধরনের আদর্শের সংঘাত। সমাজতন্ত্রের লড়াইয়ের মূল বক্তব্যই হলো সামাজিক পরিবর্তনে জন্য কাজ করা । যেখানে বুর্জোয়ারা প্রাধ্যান্য বিস্তার করে আছে তাদেরকে উচ্ছেদ করে প্রলেতারিয়ত শ্রেনীর প্রাধান্য প্রতিস্টা করা । প্রতিক্রিয়াশীল চক্রকে নির্মূল করা। পুরাতন শক্তিকে বিদূরিত করে নতুন শক্তির বকাশ সাধন করা ।

১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬১ সাল এই সময় টায় মাওবাদিদের ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। দলে এবং প্রশাসনে নিজেদের কর্তৃত্ব কমতে থাকে। তারা ক্ষমতার ভর কেন্দ্রের বলয় চিটকে পড়তে থাকেন সেখানে চীনের আরেক চেয়াম্যান লুই সুকি যিনি রাষ্ট্র ও দলের প্রধান ব্যাক্তি তার প্রভাব বাড়তে থাকে। তিনিই হলেন চীনের পুঁজিবাদের পুনঃ নির্মাতা ১৯৬৭ সালে তিনি ই সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে বস্তাবন্দী করেন। তবে যখন সাংস্কৃতিক বিপ্লব চলছিল তখন থেকেই সত্যিকার মাওবাদি ও সংস্কার বাদি এবং পুঁজিবাদী অংশের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তা ছিলো দলের ভেতরে ও বাইরে। যারা এদের মধ্যে ছিলেন ডান পন্থার অনুসারী তারা জাতীয় ঐতিয্য পন্থী কনফুসিয়াসের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। আর যারা ছিলেন বিপ্লবী তারা সকল কিছুর পরিবর্তন চাইতেন। তারা বিজ্ঞান বিত্তিক সমাজের পরিকল্পনা করেছিলেন। কতিপয় ঐতিহাসিক ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সালের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় কালের উল্লেখ করেছেন। তারা দেখিয়েছেন মাওয়ের শেষ জীবনে নানা রাজনৈতিক মেরু করনের ক্ষেত্রে কিছু দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। মাও কিছু বিষয়ে ছাড় ও দিয়েছেন। ১৯৬৯ সালের দিকে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ঘোষনা করা হলেও তার চলে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। আর সেই ঘোষনা টি এসেছিলো নবম কংগ্রেস থেকে। সেই কংগ্রেসে মাওয়ের নীতির বিজয় বার্তা ও প্রকাষ করা করা হয়। তা মূলত ছিলো বামপন্থার বিজয়। ডান পন্থীদের অবস্থা তখন একেবারেই ভালো ছিলো না । কিন্তু যখন বামপন্থীদের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলো তখন সামাজিক ভাবে জনগণের ক্ষমতার স্থলে সৈনিক শক্তির প্রভাব বাড়তে লাগল। তখন জ্যং ছাঙ্কু ঘোষনা করলেন সকল শ্রমজীবী মানুষকে একটি কমান্ডের আওতায় আনা দরকার তাই প্রতি তিনটি কমিটি দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে নানা শ্রেণী পেশা ও গ্রাম গঞ্জের লোকদেরকে নিয়ন্ত্রন করার প্রয়াস নেয়া হয়। এটা মুলত বামপন্থার একটি নিয়ন্ত্রন কারী কাঠমো ই ছিলোতবে ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত নবম কংগ্রেসের মৌলিক নীতিমালা সমূহ অনুসরন করা হলেও ১৯৭১ সালে লিন পিয়াং এর মৃত্যুর পর তা শিতিল হয়ে পড়ে সৈনিকদের উপর ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রভাব কমতে থাকে । সত্যিকার অর্থে ১৩ ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে মাওবাদি সৈনিকদের প্রভাব তলানিতে এসে ঠেকে। বাম পন্থার এই পতনই মুলত কাল হয়ে দাঁড়ায় আর সেখানে ক্ষমতায় আসিন হয় ডান পন্থীরা। অথচ লিন পিয়াং এর সৈনিকেরা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রধান রক্ষক ছিলেন তারা জনতার সাথে মিলে মিশে সংশোধনবাদীদের প্রতিরোধ করছিলেন। নতুন শক্তির বিকাশে উল্লেখ যোগ্য ভুমিকা পালন করছিলেন। এই কর্মকান্ডই সকল বিপ্লবী কাজের কেন্দ্রে পরিণত হয়। তথা কথিত চার কু চক্রী ও বাম পন্থার লোকের সহজেই ৬ অক্টোবর,১৯৭৬ সালে উচ্ছেদ হয় তখন তাদের পক্ষে দাড়ানোর মত কেহ ছিলেন না । আর তা ঘটেছিলো ৬ই সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ সালে যেদিন মাওয়ের মৃত্যু হয়। এটা সত্যি যে সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছিলো মাওবাদের ই একটি প্রাগ্রসর পদক্ষেপ। কিন্তু এর পর সাংহাই কেন্দ্রীক ক্ষমতা কাঠামো এর পক্ষে দাড়ায়নি। মাওবাদি শক্তির আহবান ছিলো, “ প্রলেতারিয়েতের নেতৃত্বে বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে হবেসেই সময় টাতেই মাওবাদি সৈনিকেরা নিজেদের ক্ষমতা হারায়এটা ১৯৭১ সালের কথা সাংস্কৃতিক বিপ্লব আদতে বিপ্লবের ই একটি অফিসিয়াল ধারাবাহিকতা ছিলো। তা নবম কংগ্রেসের সিন্দ্বান্তের আলোকে প্রনিত একটি উল্লেখ যোগ্য

বিষয়। এই বিপ্লবের শক্তি ১৯৬৬১৯৭৬ সালের মধ্যেই ক্ষয় হয়ে বিলিন হয়ে যায়।

সাংস্কৃতিক বিপ্লবের দুইটি দিক ছিলো এর একটি হলো চীনের বিপ্লবকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া। এর উল্লেখ যোগ্য দিক ছিলো সমাজতন্ত্রের একটি মডেল বিনির্মান করা। এর মুল শ্লোগান ছিলো ঐক্য ও সংহতি। বাম পন্থার প্রতি সমর্থন। প্রকৃত সাম্যবাদের ভিত্তি রচনা করা । মাওসেতুং বলতেন আমি শ্রেণী সংগ্রাম চাই অন্য কোন যুদ্ব নয় দ্বিতীয় যে দিক টি ছিলো তা হলো লিন পিয়াং এর নেতৃত্বে সমাজের অভ্যন্তরে আদর্শ গত লড়াই চালানো । সমাজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা পুঁজিবাদের দালাল চক্রকে বিনাশ করার জন্য শক্তি প্রয়োগ করা । সামাজিক অসমতাকে বিদায় করা ইত্যাদি। কিন্তু নানা কারনে এই উদ্যোগ আর সফল হতে পারেনি। ইতিমধ্যেই পার্টি ও মাওসেতুং এর উপর পুঁজিবাদী চক্রের প্রধান্য বিস্তার হয়ে যায়।

মতান্দ্ববাদি মাও অনুসারীরা দাবী করেন যে এখনও সমাজতান্ত্রিক ইতিহাসে সাংস্কৃতিক বিপ্লব এগিয়ে যাচ্ছে। এক অর্থে এটা সত্য। তাত্ত্বিক ভাবে বলশেভিকবাদের তুলনায় মাওবাদিদের চিন্তাভাবনা অনেক অগ্রসর। যদি ও প্রতিবিপ্লব প্রতিরোধে ব্যার্থ হয়েছে এর পর ও মাওবাদিদের আদর্শিক চর্চায় নতুনত্ব ও আছে। তবে এটা দেখার বিষয় হলো তারা রাজনৈতিক ভাবে উচ্চ বাচ্চ্য করলেও নানা প্রকার পরিক্ষা নিরিক্ষার ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। তাদের যারা নেতা তাদের সকলের ই সমালোচনা করা হয়েছে। যেমনঃ ওয়াং লি, গোং ফেন, কি ব্যানুই, চেন বোধা, লিন পিয়াং, জিয়াং কিয়াং, অউয়াং হোঙ্গোউয়ান ইত্যাদি কেবল মাওসেতুং এর ই সমালোচনা করা হয়নি। তবে বিগত দশকের শাসন আমল গুলোতে মাওসেতুঙ্গের প্রসাশনিক ব্যবস্থা কোন ভাবেই সমান্তরাল ভাবে অনুসরন করা হয়নি। সেখানে লুই সুখীর মত পুঁজিবাদের অনুসারীদেরকে ও অনুকরন করা হয়েছে। অনেক মাওবাদিদেরকে বিতারন করা হয়েছে। তবে এটা প্রনিধানযোগ্য যে, মাওসেতুঙ্গের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়ে নানা সামাজিক ধারনার উদ্ভব হয়েছে। বিপ্লবী বিজ্ঞান বুঝা, সামাজতন্ত্র ও প্রতিবিপ্লব সম্পর্কে সঠিক ধারনা অর্জন করা সহজতর হয়েছে। আলোকিত সাম্যবাদের নানা দিক সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা গেছে। অস্ত্রের সাথে জ্ঞানের সমন্বয় সাধন করে ক্ষমতা দখল করা বিপ্লবী বিজ্ঞানকে আরো এগিয়ে নেয়া আলোকিত সাম্যবাদকে বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের দাবী। আমরা যদি সাহসী হই তবে আগামী দিন আমাদের ই সুর্য উঠছে ! আমাদের দিন আসছে!

মহান উল্লম্ফন, অর্থনীতিবাদ ও উৎপাদন শক্তি তত্ত্ব

মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের গোড়ার বিষয় গুলো খুব সরল নয়। সেই সময়ে বেশ কিছু সাংঘর্ষিক বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো ১৯৫৭১৯৬২ সালে চীনের সৌভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ব্যাপক ভাবে মতবিরোধ দেখায় দেয়। চীনের মাওবাদি চিন্তাবিদ্গন দেখলেন সমাজতান্ত্রিক ব্লক এর জন্য তাদের অর্থনীতি ঝুকির মূখে পড়ছে। মাওবাদিরা আরো দেখলেন স্থানীয় প্রবনতা ও আন্তর্জাতিকতার দিকে ঝুকছে।

সৌভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের কমিউনিস্টদের সম্পর্ক কোন কালেই খুব ভালো ছিলো না। চীনারা তাদের স্বাধীকার সংগ্রামের সময়ে নানা ভাবে তাদের নেতাদেরকে দেখেছেন। যদি ও মাওবাদি নেতারা মস্কোর সমর্থন পেয়েছে নানা ভাবে কিন্তু এর পর ও তাদের সম্পর্ক কখনও মধুময় ছিলো না । মাওবাদিরা তাদের বিপ্লবের জন্য যে টুকু সমর্থন দরকার কেবল সেই টুকুই তারা মস্কোর কাছ থেকে গ্রহন করেছেন।

সৌভিয়েত ইউনিয়নে স্ট্যালিন বিরোধী তৎপরতা মাওকে আহত করে। ব্যাক্তিগত ভাবে চীনের মানুষের উপর স্ট্যালিনের রভাব ছিলো। মাওয়ের পার্টির ভেতরে যারা তার শত্রু ছিলো তারা স্ট্যালিন বিরোধী প্রচারনাকে মাওয়ের বিরুধীতায় কাজে লাগায়। মাও স্ট্যালিনের অনুসারী হিসাবে নিজেও ভিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন। ১৯৫৬ সালের ২৫শে ফেব্রোয়ারীর সৌভিয়েত এর ২০তম কংগ্রেসে নিকিতা ক্রুসচেভ স্ট্যালিনের বিরুদ্বে বিষোদ্গার করেন। তিনি এই বিষয়ে দুনিয়ার কোন কমিউনিস্ট পার্টির সাথে আলোচনা পর্যন্ত করেন নাই। এমন কি অনেক দাপুটে নেতা মাওয়ের সাথে পর্যন্ত কোন কথা বলেন নাই। পরর্বতীতে মস্কোর এই নীতিকে সংশোধনবাদ বলে অভিহিত করা হয়। সৌভিয়েত ইউনিয়ন পুনরায় টিটুর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। যে টিটুকে স্ট্যালিন ও আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলন

বর্জন করছেন। সৌভিয়েত নেতৃত্ব গ্রহন করলেন সংশোধন পন্থার অনুসারীরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই উরা পশ্চিমা দুনিয়ার দিকে ঝুকে পড়েন। তারা সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদী – সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মাঝে কোন প্রকার বিরোধ রাখতে চাইলেন না । তারা শ্রেণী সংগ্রামের বিপরীতে সমন্বয়ের তত্ত্ব হাজির করলেন। তারা “শান্তিপূর্ন সহাবস্থানের কথা প্রচারে মগ্ন হলেন। এই নতুন দৃষ্টি ভঙ্গী নানা জায়গায় ব্যাপক প্রভাব পড়তে লাগলো। চীনে ১৯৫০-১৯৬০ সালে মাওবাদিদের কার্যক্রমে নানা ভাবে সমস্যার সৃষ্টি হলো। সৌভিয়েত চীনের পারমানবিক কেন্দ্র স্থাপনে সাহায্যদিতে অস্বীকার করে বসল। এমন কি চীন কে কোন প্রকার সামরিক সাহায্য দিতে ও অস্বীকার করলো। মস্কো চাইলো সমাজতান্ত্রিক ব্লক কেবল তাঁরাই নিয়ন্ত্রন করবেন। কোন প্রকার বিকল্প শক্তির বিকাশ তারা করতে দিবেন না। চীনে মার্কিনিদের সহায়তায় তিব্বতীদের বিদ্রোহ, ১৯৫৮ সালে তাইওউয়ান সমস্যা, ১৯৬২ সালে চীন ভারত যুদ্ব ইত্যাদি সকল কিছুতেই রাশিয়ানরা চীনে বিপরীতে অবস্থান নেয়ার কারনে চীন তাদের উপর মারাত্মক ভাবে নাখোশ হয়। যখন অ্যামেরিকার গোয়েন্দা বিমান ভুপাতিত করা হয় সৌভিয়েত ইউনিয়নে তখন সংশোধনবাদিরা ১৯৬০ সালের প্যারিস সম্মেলনে ক্ষমা চায় অ্যামেরিকার কাছে। কিন্তু যখন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট আইজেন হাউয়ার আস্বীকার করলেন তখন শোধনবাদি দালাল চক্র কোন জবাব ও দিলেন না । কিন্তু চিনের মতে এটা ছিলো একটি সমাজতান্ত্রিক দেশের জন্য এক ধরনের অপমান। কিউবার মিসাইল সমস্যার ক্ষেত্রে ও তারা অপমান জনক অবস্থার সৃষ্টি করে।

যুগস্লাভিয়ার সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনার জন্য আলবেনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদের সাথে রুর ব্যবহার করে এবং স্ট্যালিন নীতির বিরুধিতায় মত্ত হয় সৌভিয়েত কু চক্রী মহল। তারা এসব কিছু করতে থাকে নিজেদেরকে একটি সাম্রাজ্যবাদী দেশে পরিণত করার জন্য। তারা ও তাদের বলয় নিয়ে অ্যামেরিকার মত একটি সাম্রাজ্য হতে চায়। চীন তখন এর সমালোচনা করে। এটা ছিলো তথা কতিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক একটি বলয় একটি গতিশীল অর্থনীতির পরিবর্তে তারা চেয়েছিলো সৌভিয়েত পন্য তাদের বলয়ের দেশ সমূহে বিক্রি করতে। যেমনচিনি হল এর একটি। এই ভাবে তারা কিউবাকে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদের নাগপাশে বন্দী করে ফেলে।

িপ্লবের দশ বছর পর কিউবার বিপ্লবী নেতা চিনির মহাত্ম বর্ননা করতে গিয়ে বলেন, তারা দশ মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদন ও মজুদ গড়ে তুলতে চান মাও এ ধরনেরনিতির বিরোধিতা করেন । শুধু তাই নয় চে গুয়েভারা ও এ নিয়ে ফিদেলের সাথে মতবিরোধ করেন। চে সংশোধনবাদের চরম বিরুধিতা করেছিলেন। কিউবা অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকুক তা তিনি কখন ও চান নাই। বিশ্বে আলবেনিয়া ও আনোয়ার হোজ্জা হলে একটি বড় উদাহরন যে তিনি ক্রশ্চেভের বিরুধিতা করে একটি ফল উৎপাদন কারী দেশ হিসাবে নিজেদেরক প্রমান করেছিলেন।

যখন ধীরে ধীরে সমালোচনা শুরু হলো তখন জনগণ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে । ক্রশ্চেভ মাওসেতুঙ্গের বিরুদ্বে বক্তব্য রাখতে শুরু করলেন। তিনি তাঁকে “ একজন জাতিয়তাবাদি, একজন বিভক্তকারী বা সনশোধনবাদি” বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন। মাও তখন প্রকাশ্যেই তাদের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে দেন। তিনি ও তাদেরকে সংশোধনবাদিসামাজিক –সাম্রাজ্যবাদী হিসাবে ঘোষণা করেন। (২) ঘটনাক্রমে, ১৯৭০ সালে মাওসেতুং সৌভিয়েতকে ফ্যাসিবাদি বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি পশ্চিমাদের সাথে শান্তি পূর্ন আবস্থানের তিব্র বিরোধিতা করেনতখন মাও সৌভিয়েত ইউনিয়ন ও পশ্চিমা বিশ্বের বিরোধিতা একই সাথে করতে থাকেন।

মাওসেতুং সৌভিয়েত ইউনিয়নের আভ্যন্তরীণ নীতি যা ক্রশ্চেভের নেতৃত্বে চলছিল তার বিরুধিতা করছিলেন। সৌভিয়েত সমাজে বিপ্লবী চেতনার শক্তি তিরুহিত হয়ে যায়। বিপ্লবের স্থানে জায়গা দখল করে আমলাতন্ত্র। মাও সেই অবস্থা যেন চীনে না হয় তার জন্য কাজ করেন। মাও এমন একটি কার্যক্রম গ্রহন করেন যা ছিল গ্রামীন সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে তা – উপর থেকে চাপিয়ে দেবার মত নয়। মাও সৃজনশিল পন্থার কথা বলেন- সৌভিয়েতের মত গতানুগতিক পন্থা নয়। মহান উল্লম্ফনের সময়ে প্রাথমিক ভাবে মাও সৌভিয়েতকে ভেঙ্গে দেন নাই। মাও এমন কি আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের ক্ষেত্রে সৌভিয়েত মডেলকে গ্রহনের জন্য পরামর্শ দেন। মাও অনেক ক্ষেত্রে তার সমালোচনাকে সরাসরি না করে দোয়াষার মত মন্তব্য করতেন (৩) তবে মাওয়ের মত এত ধারাল

সমালোচনা আজো কেঊ করেনিমাও নিজেজে সংশধনবাদিদের থেকে পৃথক করে কথা বলেন নাই। বরং উৎপাদন শক্তি তত্ত্বেরবিষয়ে মাওবাদি ও বিরুধীদের সাথে এই বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। শ্রেণী সংগ্রামকে পরবর্তী শতকে এগিয়ে নেবার জন্য তার প্রচেস্টার কমতি ছিলো না। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অভিজ্ঞতা সহ একে একটি নতুন স্তরে উন্নিত করার জন্য তিনি সর্বদা তৎপর ছিলেন। তবে, ১৯৫৭ সালের মহান উল্লম্ফন ও প্রকৌশলগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে অর্থনীতিবাদের ত্রুটি মাও সৌভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের প্রকৌশলগত উন্নয়ন ঘটিয়ে পাশ্চাত্যের সাথে প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হতে চেয়েছিলেন। তিনি এই বিজয়কে দেখতেন সমাজতন্ত্রের বিজয় হিসাবে। মে ১৯৫৭ সালে ক্রশ্চেভ ঘোষনা করেছিলেন যে, সৌভিয়েত ইউনিয়ন অল্প সময়ের মধ্যেই মাথা পিছু মাংশ, দুধ, ও রুটি উৎপাদনে অ্যামেরিকাকে ধরে ফেলবে। মাওসেতুং ও পিছিয়ে থাকলেন না তিনি ঘোষনা করলেন চীন অতি শীগ্রয়ী ব্রিটেনকে উৎপাদনের ক্ষেত্রে পিছে ফেলে দিবে। স্ট্যালিনমানেই হলো লৌহ মানব। আলেক্স গেস্টব তিনি একজন সৌভিয়েত কবি তিনি লিখলেন, আমরা লৌহ ছাড়াই বেড়ে উঠছিলৌহ ছিল বলশেভিকদের একটি বিশ্ব দৃষ্টি ভঙ্গী। তারা সামাজতন্ত্রকে একটি যন্ত্রের মত মনে করতেন। মাও উত্তরাধিকার সূত্রে এই ধারনার বাহক ছিলেন। মহান উল্লম্ফনের সময়ে ও মাও লৌহের ব্যবহার কেমন হচ্ছে তা দেখে উন্নয়নের মাত্রা ঠিক করতেনবেশী লোহা ব্যবহার মানেই বেশী উন্নয়ন

এই বার আমাদের দেশ .২ মিলিয়ন টন লোহা, এবং আগামী পাঁচ বছর পর ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন টন, এর পরবর্তী পাঁচ বছরে ২০ থেকে ২৫ মিলিয়ন টন এর পর আরো ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন টন লোহা আমরা কাজে ব্যবহার করতে পারব। আমরা আমাদের চাহিদা পুরন করে আন্তর্জাতিক পরিসরে ও ভূমিকা রাখতে পারব। আমরা আমাদের শক্তির স্বাক্ষর রাখতে পারব…. কমরেড ক্রশ্চেভ বলেছেন মাত্র ১৫ বছরের তারা আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যাবেন, আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই আমরা ও ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে যাব()

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রকৌশলগত উন্নয়নের অতিমাত্রায় গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে উৎপাদন শক্তিকে কি মাত্রায় উস্কে দেয় তা আমরা দেখতে পাই জুলাই ২৪,১৯৫৯ সালের কিচেন বিতর্কেযা সংগঠিত হয় ক্রুশচেভ বনাম রিচার্ড নিক্সনের মধ্যে। অ্যামেরিকার সুকুলনিকাই জাতীয় পার্কে এই দুই ব্যাক্তির মধ্যে একটি অপরিকল্পিত বিতর্ক অনুস্টিত হয়েছিল। এই বিতর্ক উপভোগ করেন তখন উপস্থিত কিছু সাধারণ মানুষ। নিক্সন বললেন সেই ব্যবস্থাই সকলের জন্য উত্তম যা সাধারণ মানুষের রান্না ঘরে ভালো জিনিস সরবরাহ করতে পারেন। আর ক্রুশচেভ বললেনঃ

্যামেরিকা সৌভিয়েত ইউনিউয়ন দেখে নিজেদের তৈরী করছে, তবে তারা ভাবছেন সেই ভাবে কাজ করছেন না। আপনি হয়ত ভাব ছেন আপনাদের দেখে রাশিয়ার মানুষের অবাক হয়ে যাবে কিন্তু আসলে তা নয়। নতুন ভাবে গড়ে উঠা রাশিয়ানদের ঘরে এর সবই আছে()

এই সংক্ষিপ্ত মন্তব্য সৌভিয়েত ইউনিউনের সকল কিছু কে উস্থাপন করেনা। তবে তাদের চিন্তার গতিটা বুঝা গেল। সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য কোন ভাবেই পশ্চিমাদের পুঁজিবাদী জীবন যাত্রার সাথে প্রতিযোগীতা নয়আত্ম কেন্দ্রীকতা বা ভোগবাদ যাদের একমাত্র লক্ষ্যআজকের যে অ্যামেরিকা তাদের এই জীবন মান গড়ে তুলতে শত শত বছর ধরে মানুষের উপর শোষণনিপীড়ন করে আসছেযাদের ভিত্তি হলো গন হত্যা, খুন, জবর দখলঅন্যান্য জাতির সম্পদ চুরি এবং লুন্ঠন করাতাদের সম্পদের ভিত্তি হলো লক্ষ, লক্ষ আমেরিকাবাসীকে খুন করা, তাদেরকে দাসে পরিণত করা, জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করাতাদের এই সবের মূল উদ্দেশ্যই হলো সীমাহীন ভোগআরসকল বিষয় কেবল উৎপাদন শক্তির বিকাশ বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধন করে অর্জন করা যায় সমাজতন্ত্রের উচিনয় পাশ্চাত্যের চিন্তার আলোকে নিজেকে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত করাপুঁজিবাদের পথ ধরে সামাজতান্ত্রিক লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় উৎপাদন শক্তি তত্ত্ব প্রকাশ্যেই সমাজতান্ত্রিক চিন্তা ভাবনাকে অস্বীকার করেসামগ্রীক বিচারে পুঁজিবাদের মত সমাজতন্ত্রের চাকচিক্য কম থাকবেইপুঁজিবাদ পুঁজিবাদের মধ্যেই ভালোতবে সমাজতন্ত্রের মধ্যে নয় প্রযুক্তি সাধারণ ভাবে সমাজতন্ত্রের ও সাম্যবাদের সেবা করে না । চিন্তা চেতনায় মাওসেতুং উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু সৌভিয়েত পদক্ষেপ ধারন করেছেন, যা উৎপাদন শক্তি তত্ত্বের সমার্থক। মাওবাদিরা ক্রমে এই প্রভাব থেকে বেড়িয়ে আসবেন।

1. Hayter, Teresa. The Creation of World Poverty. Third World First. Great Britain: 1990. . p. 67
2. “Sino-Soviet Split” Wikipidia. http://en.wikipedia.org/wiki/Sino-Soviet_split
3. Dikotter, Fran. Mao’s Great Famine. Walker Publishing Company, Inc. New York: 2010. p. 12
4. ibid. p. 57
5. ibid. p. 14
6. “Nixon and Khrushchev Argue In Public As U.S. Exhibit Opens; Accuse Each Other Of Threats,” NY TIMES. July 14, 1959  http://www.nytimes.com/learning/general/onthisday/big/0724.html

Leave a Reply