মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধনী, ভারত দরিদ্র, “তথাকথিত আন্তর্জাতিক সাম্যবাদি আন্দোলন”- বোবা ও অন্দ্ব পদক্ষেপ !

OB-SH091_ipover_EA_20120320073430-300x206

(llbangla.org)

একটি সাধারণ হিসাবে দেখা গেছে প্রতি কর্মদিবসে মার্কিন মুল্লুকের ১৫ বছরের একজন লোক মাত্র ১১৯.০৩ ডলার ( যা প্রায় ৪,৯৪৬.৮৮ রোপী) আয় করেন। (১) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ৩৯৪.৯ মিলিয়ন ভারতীয়, ৮৬% শ্রমিক যারা আনুস্টানিক বা অনানস্টানিক কাজে নিয়োজিত তারা “ মানবেতর অবস্থায় আছেন”। ৩১৬ মিলিয়ন ( যাদের মধ্যে ১০ জনের মধ্যে ৮ জন ভারতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন) তাদের মধ্যে যারা অধিকাংশ শ্রমিক ২০ রোপী বা ০.৪৯ ডলার প্রতিদিন আয় করেন। (২) আমরা এখানে মার্কিন মুল্লুকের মানুষের দৈনিক আয় ও ভারতীয়দের দৈনিক আয়ের একটা তুলনা মুলক চিত্র তোলে ধরলাম প্রথম বিশ্বের মানুষের আয় ও তৃতীয় বিশ্বের মানুষের আয়ের একটি পার্থক্য বুঝানোর জন্য। অধিকন্তু, এই আয় বৈষম্য আরো স্পষ্ট করে দেয় যে, ভারতীয়রা অধিক মাত্রায় কাজ করে ঠিকে থাকার জন্য। (৩) ভারতীয় শ্রমিকদের তুলনায় অ্যামেরিকান শ্রমিকেরা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও আরামদায়ক চাকুরী করে থাকেন। পক্ষান্তরে, মার্কিনীদের তুলনায় ভারতীয় শ্রমজীবী মানুষ অনেক ঝুকিপুর্ন কাজ করে থাকেন।() () ()

প্রথম বিশ্ববাদিদের একটি উত্তর হলো মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক মানুষই মধ্যবিত্ত এটা সত্য । তবে আমরা এই প্রেক্ষিতে বলতে পারি যে, অ্যামেরিকায় পুর্ন সময় কাজ করলে *নুন্যতম* একজন শ্রমিক ৫.১৫ ডলার ( যা ২১৪.০৭৫ রুপী) প্রতি ঘণ্টায় আয় করতে পারবেন। বা ৪১.২০ ডলার যা (,৭১২.৬০ রুপী) এক দিনে রোজগার করতে পারেন। যা বিশ্লেষণ করলে পার্থক্য দাঁড়ায় প্রায় ১০০ গুন। কমপক্ষে *৮০ গুন* ব্যবধান। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের প্রায় সকল শ্রমিক বা কর্মজীবী মানুষই তাদের নুন্যতম রোজগার করে থাকেন। আমরা তাদের অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ও কল্যাণমূলক সেবার কথা ও উল্লেখ করতে পারি। যেখানে ভারতীয়দের একটি বিরাট অংশ মাত্র ০.৫৯ ডলার আয় করেন ( যা প্রতিমাসে দাঁড়ায় মাত্র ১০ ডলারে ) আর অ্যামেরিকায় কেবল কল্যাণ ফান্ড থেকেই তারা ভারতীয়দের তুলনায় এর চেয়ে অনেক বেশী পেয়ে থাকে। বরং অ্যামেরিকার লুম্পেন প্রলেতারিয়েত যা সতিকার লুম্পেন প্রলেতারিয়েত নয় বরং তারা হলো লুম্পেনবুর্জোয়া হিসাবে ই পরিগনিত করা যায়। এমনকি আমেরিকায় একটি লোক ভিক্ষা করলেও প্রতিমাসে ১০ ডলারের চেয়ে বেশী রোজগার করতে পারবেন। ভারতীয় কেউ কেউ তাই করছেনও । মার্কিনীদের একজন সাধারণ মানুষের পুজিতে যে পরিমান অধিকার আছে ভারতীয় অনেক বুর্জোয়ার ও সেইরূপ অধিকার নেই। ভারতীয় ও অ্যামেরিকার শ্রমজীবী মানুষের মাঝে জীবন মানের পার্থক্য, আয় রোজগারে পার্থক্য থাকায় আমরা তাদের মধ্যে একই শ্রেণী চেতনা বিরাজমান আছে তার পক্ষে কোন অর্থবহ যুক্তি খুজে পাই না। তারা একই শ্রেণী ভুক্ত তা ও বলতে পারি না। তারা কোন ভাবে এক শ্রেণী নন। তাদের শ্রেণী স্বার্থ ও যে এক নয় তা সহজেই অনুমেয়। যেখানে ভারতীয় একজন রোজগার করেন মাত্র ০.৪৯ ডলার আর মার্কিন মুল্লুকে একজন আয় করেন ১০০ থেকে ২৪৩ গুন অর্থ তারা একই শ্রেণী ভুক্ত হতে পারেন না । আমরা সহজেই তা দেখতে পাই যে তৃতীয় বিশ্বের একজন মানুষের জীবন মান ও একজন প্রথম বিশ্বের মানুষের জীবন মানের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য বিদ্যমান। অ্যামেরিকার একন মানুষ বিলাস বহুল জীবন যাপন করেন আর ভারতীয়রা মানবেতর ও গরিবী জিন্দেগী যাপন করে থাকেন। আমরা এই বিষয়ে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের দিকে দৃষ্টি দিতে পারি। বর্তমান সাম্রাজ্যবাদ টি মূলত পুঁজিবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এই বিশ্ব ব্যবস্থার কারনে মার্কিন মুল্লুকের লোকেরা দুনিয়ার অন্যান্য মানুষের তুলনায় এমন কি তাদের যে পরিমান ক্রয় ক্ষমতা আছে বা যা তাদের প্রাপ্য তার চেয়ে ও ঢেঁড় বেশী পেয়ে থাকেনতারা দুনিয়ার সামগ্রীক সম্পদের ভাগে যা পাওয়ার কথা তার চেয়ে ও বেশী পেয়ে

থাকেন। তাই মার্কিন শ্রমিকরা নিজেদেরকে এক জন বিপ্লবী প্রলেতারিয়েত হিসাবে বিবেচনা করবেন তা ভাবার কোন কারণ নেই। কেননা তারা জানে যদি দুনিয়ার অন্যান্য শ্রমিকদের জন্য তাদের বর্তমান প্রাপ্ত আয় সম ভাবে ভাগ করেন বা ন্যায়্যের ভিত্তিতে বিভাজন করেন তবে তাদের সম্পদ, জীবন মান, ক্রয়ক্ষমতা এসব কিছুই কমে যাবে। আমাদের গবেষণা বলছে বর্তমানে অ্যামেরিকার শ্রমিকেরা যা অর্জন করছেন তা তাদের প্রাপ্য পাওনা থেকে অনেক বেশী নিচ্ছেন। তারা বিশ্ব উৎপাদনের যে পরিমান পাওয়ার কথা তার চেয়ে বেশী নিয়ে নিচ্ছেন। প্রথম বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণী মূলত বিশ্ব বুর্জোয়াদের অংশ হিসাবে একটি বিশেষ সুবিধা ভোগী শ্রেণী। তারা ও সাম্রাজ্যবাদ কর্তৃক তৃতীয় বিশ্বকে শোষণ করে যে সম্পদ লুন্ঠন করছেন তাদের অংশীদার হিসাবে ভাগ নিচ্ছেন। কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন, ভাববাদি দৃষ্টি ভঙ্গী আমাদেরকে অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। আমাদের উচিৎ আরো গভীরে দৃষ্টি দেয়া দরকার। পরিস্থিতিকে কেবল উপরে উপরে দেখে প্রথম বিশ্ববাদীদের পকেটের দিকে চেয়ে কোন উপকার হবে না। এটা কোন গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় নয় যে, কোন একক ব্যাক্তি তার বেতন হিসাবে, মজুরি হিসাবে বা বিনিয়োগ করে ব্যাক্তিগত ভাবে পাওনার চেয়ে বেশী আদায় করে নিতে পারলো কি না । তিনি কত মুনাফা কিভাবে আদায় করছেন তা ও কিন্তু বড় কথা নয় বরং আমরা দেখব তিনি একজন শোষক হিসাবে মুনাফা আদায় করছেন কি না ।

সম্পদের বৈষম্যের কারণ মূলত সাম্রাজ্যবাদ, বৈশ্বিক পুঁজিবাদ, একটি বিশেষ ব্যবস্থা যা কোন ভৌগলিক এলাকায় চালু করা হছে এমনকি সমগ্র দেশে, এবং সমগ্র মহাদেশে এবং সামগ্রীক তৃতীয় বিশ্বের শোষণের ফল। প্রথম বিশ্বের কিছু সংশোধনবাদী পার্টি অর্থনৈতিক স্বার্থ বিষয়ে জনগণের মাঝে আন্দোলন সৃজনের প্রয়াস অভ্যাহত রেখেছেন। তারা তৃতীয় বিশ্বের উপর প্রথম বিশ্বের শোষণ ব্যবস্থার অবসান চাইছে না । উরা প্রধানত সামাজিক ফ্যাসিস্ট শ্রেনীর দল। তৃতীয় বিশ্বের কিছু গন সংগঠন আছেন যারা শত সন্দেহ থাকা সত্বেও সেই সকল সামাজিক ফ্যাসিবাদি পার্টির সাথে ঐক্য গড়ে তুলতে চাইছে। সেই দল গুলোর মধ্যে সত্যিকার চেতনা ও বিজ্ঞানের চর্চা না থাকায় তারা তাদেরকে এখন ও “সাম্যবাদী” হিসাবেই অভিহিত করছেন। কেবল মাত্র আলোকিত সাম্যবাদিরাই বিশ্ব শ্রেনীর প্রশ্ন তুলেছেন। তা অনেককে আকৃষ্ট ও করেছে। আমরা এক নব দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে চাই। আমরা একটি বিপ্লবী বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটাতে চাই। যা আমাদের বিজয়কে নিশ্চিত করবে। জনগণ এগিয়ে আসছে এবং আলোকিত সাম্যবাদি চিন্তা ভাবনায় আকৃষ্ট হয়ে বিপ্লবের পথ ধরেছেন। একজন মহান নেতা সত্যিকার লড়াকো সৈনিকদেরকে নিয়ে মানবতার স্বার্থে অন্দ্বকারের পর্দা ছিন্ন করে সামনে আলোর দিকে এগিয়ে যাবেন। এই সময়টি হলো সত্যিকার নয়কদের জন্য ।

1. http://pubdb3.census.gov/macro/032006/perinc/new05_001. htm

According to the United States Census Bureau, people in the United States over 15, working or not, the median personal income was $28,567 (roughly Rs. 1,187,473.00) for 2005. People in the United States typically work about 240 days a year. They work five days a week. They get two weeks in holidays off and another two weeks in vacation time. So, let’s divide $28,567 by 240 to get roughly of $119.03 (roughly Rs. 4,946.88 ) for a very rough lowball median personal income per workday for people (working and non-working) in the United States over 15 years of age.

2.http://www.thehindu.com/2007/08/10/stories/2007081056671600.htm

3. http://naxalrevolution.blogspot.com/2007/08/8-out-of-10-working-indians-earn-less.html pp 70

4. http://naxalrevolution.blogspot.com/2007/08/8-out-of-10-working-indians-earn-less.html pp 58

5. http://naxalrevolution.blogspot.com/2007/08/8-out-of-10-working-indians-earn-less.html pp 66

6. http://naxalrevolution.blogspot.com/2007/08/8-out-of-10-working-indians-earn-less.html pp 97

7. http://naxalrevolution.blogspot.com/2007/08/8-out-of-10-working-indians-earn-less.html pp 99

Leave a Reply