মায়ানমার প্রসংগ…

myanmar_student_protest_education_law_ap_big_story_650-300x185

(llbangla.org)

বিগত কয়েক সপ্তাহে মায়ানমারের জনগণের উপর সেই দেশের সেনাবাহিনী সরকারে নির্দেশে ব্যাপক অত্যাচার ও নির্মমতা চালিয়েছে। প্রথমিক ভাবে সেদেশের ছাত্র সমাজ লেটপাদেন থেকে শিক্ষার অধিকার ও জনগণের মানবাধিকার আদায়ের জন্য রেংগনের দিকে লং মার্চ শুরু করেছিলো। সেই দেশের পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাদেরকে রাজধানীতেই পদ যাত্রায় বাঁধা প্রদান করে। পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে সেখানে আহত হয় কয়েক শত ছাত্র ছাত্রী। প্রতিবাদকারীদের উপর পুলিশ গরম জলের কামান ব্যবহার করে নির্দয় ভাবে। যখন তাঁরা শান্তি পূর্ন ভাবে একজায়গায় বসে পড়ে প্রতিবাদ করছিলো তখন সেনাবাহিনী ও পুলিশের লোকেরা উদেরকে টেনেহেচড়ে গাড়ীতে তুলে জেলখানায় নিয়ে যায়। অনেক নারী ও পুরুষ গ্রেফতার হয়েছেন। অধিকন্ত, যে সকল সাংবাদিক সেই সংবাদ প্রচার করেছিলেন তাদের মধ্য থেকে দুই জনকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। এখন সেই দেশের শ্রমিক শ্রেনীর মানুষ ও ছাত্র জনতার সাথে ঐক্যবাদ হয়ে আন্দোলনে শরীক হয়েছেন। হাজার হাজার শ্রমিক এখন তাদের কল খারখানা থেকে রেঙ্গগনের দিকে লং মার্চে যোগ দিয়েছেন। তাদেরকে ও সেনাবাহিনী রাস্তায় থামিয়ে দিচ্ছেন। অনেক শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, লাঠিপেটা করে আহত করা হয়েছে। সারাদেশের ছাত্র সমাজ আবার জেগে উঠেছে, জনগণের দাবী আদায়ের আন্দোলন আরো জোরদার করার চেষ্টা করছেন।

লড়াই করার প্রথম নিয়মই হলো জানতে হবে কে শত্রু আর কে মিত্র। জনগণ জানেন তাঁরা কারা। একটি বাস্তবতা হলো মায়ানমারে সেনাবাহিনীর একটি কঠিন নিয়ন্ত্রন ইতিমধ্যে সেই দেশে প্রতিস্টিত হয়ে আছে। সেই বাস্তবতা চলছে ২০১১ সালের আরো আগে থেকেই। এখনো সেই দেশের জনগণ এক একনায়কত্বের নিগড়ে বন্দ্বি। সেই একনায়কত্ব প্রথম বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদের দালালী করে আর দেশের মানুষের উপর চালাচ্ছে নির্ম্ম শোষণ ও নিপিড়ন। জনগণ কোন প্রতিবাদ করচলেই তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচারের স্টিমরোলার। সেখানে মানুষের মত বাঁচতে চাওয়া ও অপরাধ। সারা দুনিয়ার আলোকিত মানুষ এখন মায়ানমারের জনগণের অধিকারের প্রতি সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করছে। আমরা সকলেই মানুষ হিসাবে আমাদের সবারই অধিকার আছে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলার। আমাদের অধিকার আছে পবিত্র জীবন যাপনের। যারা ছাত্রদেরকে মারে, জনগণের উপর অত্যাচার চালায় এঁরা ভাল মানুষ নয়। এঁরা অত্যাচারী এঁরা মানুষের দুষমন। এঁরা মানুষ মারে, কারাগারে পাঠায়, হত্যা করে, গুম করে খুন করে। এঁরা মানুষের মুখ বন্দ্ব করে দিতে চায়, এঁরা সকলকেই নিরব নিথর ও স্তব্দ করে

দিতে বদ্বপরিকর। ওরা চায় জনগণ কেবল তাদের পুজা করুক। এঁরা জনগণকে পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদের নিকট বিক্রি করে দিতে চায় আর লুঠে নিতে চায় পাহাড় সম মুনাফা।

আমরা সকলেই জনগণের অধিকারের লড়াই সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জানাই, কেননা এটা ন্যায় সঙ্গত। তবে এটা ও সত্য যে সামগ্রীক পরিবর্তন করা ছড়া এই পরিস্থিতি বদলাবে না। আলোকিত সাম্যবাদ ছাড়া নিপিড়ন, শোষণ ও জুলুম বন্দ্ব হবে না । লড়াইটা করতে হবে সামগ্রীক স্বধীনতা, ন্যায় বিচার, প্রগতি, শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য। আমরা আমাদের সত্যিকার মালিক হবার জন্য কাজ করব। আমরা আমাদের জীবনের নিয়ন্ত্রক হব। তাঁরা আমাদের ভবিষ্যৎ চুরি করে নিতে পারবে না। আমরা তা হতে ও দিতে পারি না । আমাদের ভবিষ্যৎ তো আমাদের হাতেই থাকতে হবে। আমরা সেই সুন্দর দিনের প্রত্যায় রইলাম। মায়ানমারের জনগণের লড়াই সংগ্রামের সাফল্য কামনা করি। একে এম শিহাব

Leave a Reply