স্বাস্থ্য সেবাদানে খালি পায়ের ডাক্তার

chineseculturalrevolutionworkerpeasantsoldierpropaganda(llbangla.org)

বেশ কিছুদিন আগে সমাজতান্ত্রিক চিনের একটি বুর্জোয়া রেডিও অনুস্টানের প্রেক্ষিতে এই লিখার অবতারনা । খালি পায়ের ডাক্তারগন চীনের স্বাস্থ্য সেবাদানের একটি বিকল্প উদ্যোগ। সেই উদ্যোগের মহান লক্ষ্য ছিলো চীনের জনগনের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা । চীনের বিপ্লবের আগে সাধারন জনগণের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার তেমন কোন ব্যবস্থাই ছিলো না । কারন কার্যক্রমের ধরন ছিলো আলাদা। আর এখন কার পদ্বতীর কারনে চীনের জনগণের গড় আয়ু বাড়ছে। মাত্র বিপ্লবোত্তর ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যেই মানুষের আয়ুষ্কাল দ্বিগুন হয়ে গেছে। তবে ১৯৭০ সালের পর থেকেই চিনের সময়াজতান্ত্রের বিচ্যুতি শুরু হয়েছে। আজ চিন সত্যিকার অর্থেই একটি পুজিবাদি দেশে পরিণত হয়েছে। ফলে জনগণের কষ্ট আবার শুরু হয়েছে। তবে আমাদেরকে অগের দিন গুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে ।

এমন এক সময় ছিলো যখন মার্কিন যুক্ত রাস্ট্রে ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আইন কানুন নিয়ে অনেক বিতর্ক হত। এখন তা চলছে। ওবামার নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক পার্টি চেষ্টা করছে সকল স্থরের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেবার জন্য। রিপাবলিকান দলের লোকেরা চেস্টায় আছেন তা রোধ করার জন্য। রিপাবলিকানরা চাইছে এখন যেমন স্বাস্থ্য সেবার কাজ হচ্ছে ব্যাক্তি মালিকানায় তেমনই থাকুক । সাম্যবাদীরা চায় স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য ব্যবস্থা করা হোক। সাম্যবাদে সকলের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয় । এই ব্যবস্থায় এটা থাকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসাবে। প্রতিটি মানুষেরই অধিকার আছে একটি সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাত্রা নির্বাহের। প্রথম বিশ্বে আজো তা নিশ্চিত করা যায়নি। এখানে উল্লেখ্য যে, যদি সোসিয়াল ডেমোক্রেটিক ধরনের কোন ব্যবস্থা ও এখানে কায়েম করা হয় তবে এর মূল্য দিতে হবে তৃতীয় বিশ্বের মানুষকে। তৃতীয় বিশ্বের মানুষ এখন ব্যাপক হারে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। তবে, এখন ও মার্কিন মুল্লুকের মানুষেরা যে পরিমান স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ তার সিকি ভাগ ও পায় না । মার্কিন মুল্লুকের লোকেরা এখন যে পরিমান সম্পদ ভোগ করেন তা বিশ্ব সামাজিক সম্পদের মধ্যে তাদের সত্যিকার পাওনা থেকে ঢেড় বেশী। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখন ও তৃতীয় বিশ্বের বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে সম্পূর্ন ভাবে বঞ্চিত আছেন। এখানের উদার বাদিরা মার্ক্সবাদের মুখোশ পড়ে প্রথম বিশ্বের মানুষের জীবন যাত্রার মান আরো উন্নত করার জন্য দাবী জানায়। লিডিং লাইট সিত্যিকার ভাবে সম্পদের সুস্টু পুন বিলিবন্ঠনে জন্য কাজ করছে, যেখানে দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ সকল সেবা ও পন্য পাবার অধিকার ভোগ করবেন। আলোকিত সাম্যবাদিরা মনে করেন যে, প্রথম বিশ্বের মানুষের জীবন যাত্রার মান আরো উন্নত করার অর্থই হলো তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জীবন যাত্রার মানকে কমিয়ে দেয়া । প্রথম বিশ্ব যে সম্পদ আসবে সেই সম্পদ দুনিয়ার কথাও না কথাও থেকে আসবে । প্রথম বিশ্বের মানুষ যেমন অধিকার ভোগ করেন তেমনি আলোকিত সাম্যবাদীরা তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র মানুষের আগ্রধিকার ও স্বাস্থ্য খাতে বাড়াতে চায়। এই লক্ষ্যেই চীন খালি পায়ের ডাক্তার কার্যক্রম গ্রহন করে। ইহা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি উদ্যোগ। ইহা পুজিবাদি পন্থার চাইতে গনশক্তির প্রচেস্টা হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে। মাওবাদিদের এই রকম কার্যক্রম সারা দুনিয়ার মানুষের জন্য অনুসরনীয় হতে পারে। ইহা হলো জন সেবার একটি নমুনা । 

নিম্নের প্রবন্দ্বটি পড়ুনঃ

“ জনতার জন্য স্বাস্থ্যঃ চীনের খালি ‘পায়ের ডাক্তার’ – লিখেছেন ভিক্কি ভ্যালেন্টাইন”।

যদি কোন দেশে অর্থ ও ডাক্তারের অভাব দেখা দেয় তবে সেই দেশের সরকার কেমন করে তার নাগরিকদেরকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবেন? ব্র্যান্ড উইলসন বলেন যে, যখন কোথাও অধিক হারে চিকিৎসক ও সেবিকার দরকার পড়ে – তা যদি হয় কোন উন্নয়ন শীল দেশ তবে পশ্চিমা দেশের মতই তারা সেই সকল লোকদেরকে নিয়োগ দান করতে চান। এখানে আমরা কেনিয়ার সেই রকম একটি পরিস্থিতির কথা বলতে পারি। যেখানে প্রতি ১০,০০০ দশ হাজার কেনিয়ানের জন্য মাত্র একজন করে ডাক্তার আছেন সেখানে এইডস এর মত রোগের নিয়ন্ত্রন সত্যিই কঠিন কাজ।

১৯৪৯ সালে চীনে বিপ্লবের পর পর একেই অবস্থা ছিলে চীনেও, আজ আফ্রিকায় যে পরিস্থিতি চলছে চীনের মানুষ ও একেই রকম অবস্থার মুখোমুখি হয়েছিলো। চীন বিপ্লবের পর প্রায় ৪০,০০০ হাজার ডাক্তার পশ্চিমা দেশ ও সৌভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রশিক্ষন দিয়ে নিয়ে আসে। তারা এই ডাক্তারদের মাধ্যমে ৫৪০ মিলিয়ন মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দেবার ব্যবস্থা করে। তবে এখন তাদের বেশীর ভাগ ডাক্তারই বড় বড় শহরে মানুষের চিকিৎসা দিয়ে থাকে; অথচ এখন ও প্রায় ৮০ % মানুষ এখনো চিনের পল্লীতে বসবাস করে।

‘ বড় উপত্যকা’ এবং সাম্যবাদি দল

“বড় উপত্যকায়”- দশ মিলিয়ন দরিদ্র কৃষক মারাত্মক কষ্টে আছে। উক্ত এলাকায় কৃষকদেরকে সিস্টমসিস রোগ আক্রমন করে । এই রোগের প্রধান কারন হলো এক ধরনের শামূকের ভেতরে থাকা ক্রিমি যা নদি, পুকুর এবং জলাভূমিতে পাওয়া যায়। কৃষকদেরকে সেই পরজীবি গুলো আক্রমন করে যখন তারা জলা ভূমিতে ঘাস কাটতে যায়; যখন সেই পরজীবি গুলো শরীরে প্রবেশ করে, তখন তা রক্তে মিশে যায়, এবং অসংখ্য ডিম ছেড়ে সমগ্র শরীরে তা ছড়িয়ে দেয়, বিশেষ করে মানুষের ক্ষুদ্রান্তে, লিভার সহ পেটের নানা অংশে। ইহা শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমিয়ে দেয়। মানুষের পেট মোটা হয়ে যায়। শরীরের নানা অঙ্গ সমূহের মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষ করে ক্ষুদ্রান্ত, লিভার ও ফুসফুসের সর্বনাসা করে দেয় ।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিপ্লবের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো কৃষি বিপ্লব। চীনের জন্য একটি “মহা উল্লম্ফনের” দরকার ছিলো । মাওসেতুং সহ পার্টি নেতাদের পরিকল্পনা ছিলো কৃষি বিপ্লব সাধন করা । আর তার জন্য প্রথমিক কাজ ছিলো কৃষকদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।

চেয়ারম্যান মাওসেতুং ও শামুক

চীনের পার্টির একটি অন্ত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন উদ্যোগ ছিলো যে প্রাথমিক ভাবে সংক্রামক রোগের চিকিৎসা করা । হাজার হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষন দিয়ে গ্রামে সেবা দানের জন্য প্রেরন করা হয়েছিলো। তারা গ্রামের কৃষক পরিবার গুলোকে পরীক্ষা করে ঔষধ দেয়া ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করে । জনগণ কে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।

স্বাস্থ্য দলটির প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায় যে, তারা ১৯৫৮ সালে ২.৮ মিলিয়ন কৃষককে পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন। সেই বিশেষ স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২০০ রোগীকে সেবা দেয়া হয়। প্রায় ৬৭ মিলিয়ন পায়খানা নতুন ভাবে স্থাপন করা হয় এবং বহু বাড়িতে পায়খানা মেরামত করে দেয়া হয়। হাজার হাজার কৃষক রাত দিন কাজ করেন তাদের এলাকায় পানি বদ্বতা দূরী করনের জন্য – যাতে শামূকের আবাস্থল বিনিস্ট হয়ে যায় ।

পার্ট কর্মীরা দাবী করেন যে, সিস্টমওসিস রোগ প্রায় ৮৫% থেকে ৯৬% পর্যন্ত নিরাময় হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে কোন কোন এলাকায় এই রোগ একেবারেই নির্মূল হয়ে যায়।

চেয়ারম্যান মাওসেতুং এতে খুবই খুশি হন, এবং পার্টি ঘোষনা করে যে, “ নিরাময়ে কাজ শেষ পর্যন্ত চালানো হবে। এই কাজে বিফল হওয়া চলবে না”।

কিন্তু মাও তার সংগ্রাম অব্যাহত রাখলেন, তিনি অন্যান্য কাজের সাথে সাথে ১৯৬৫ সালে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কাজ ও চালাতে থাকেন। সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়ন মূলক কাজের পাশা পাশি মানুষে সংক্রামক রোগের ও প্রতিরোধ মূলক কাজ করতে থাকেন। মাওসেতুং আদেশ দিলেন, “ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার কাজ গ্রামীন মানুষের কাছে বেশী করে দিতে হবে”। সেখানে যে ডাক্তারদের জন্ম হয়েছে তাদেরকে উখানে পাঠাতে হবে । তারা খালি পায়ে হলে ও সেখানে কাজ করতে পারবেন।

একটি কৃষিক চিকিৎসক দল

সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত মাত্র ২০ বছর বয়সী কৃষক নারী পুরুষদেরকে তিন থেকে ছয় মাসের একটি

স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে তাদেরকে কাজে লাগানো হয়। তাদেরকে শরীর বিদ্যা, ব্যাক্টেরিয়া বিদ্যা, রোগের লক্ষণ জানা সহ আকুপাংচার জাতীয় প্রশিক্ষন দেয়া হয় । এছাড়া এদেরকে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষন ও দেয়া হয় ।

খালি পায়ের ডাক্তারেরা তাদের কাজের সাথে সাথে কৃষক কমরেড ও বন্দ্বুদের সাথে কৃষি কাজে ও আত্মনিয়োগ করেন। তারা সেই সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দিতে থাকেন। তারা কৃষকদেরকে মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে নানা প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করেন। তারা প্রথমিক চিকিৎসা, টিকা কার্যক্রম গ্রহন করেন। তারা শিশু দেরকে ডিপতেরিয়া, হুপিং কাশি, ম্যালেরিয়া, হাম ও যক্ষার টিকা দেয়। তারা ই সাধারন মানুষকে খাবারের আগে হাত ধোয়া ও পায়খানা ব্যবহার করা শেখায়। সাধারন চিকিৎসার পাশা পাশি তারা কঠিন রোগাক্রান্তদেরকে বড় ডাক্তারের নিকট প্রেরনের ব্যবস্থা করে।

দশ বছরের মধ্যে চীণের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় প্রায় ১ মিলিয়ন খালি পায়ের ডাক্তারের সৃষ্টি হয়। আমরা পিছনের দিকে থাকালেই দেখতে পাব যে, এই কার্যক্রমের সফলতা ও ব্যার্থতার জন্য কে বা কারা দায়ী ছিলেন ।

ইহা কি পল্লীর মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দানের মডেল ?

১৯৭০ সালে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও কিছু উন্নয়ন শীল দেশের নেতৃবৃন্দ – এমন কি সৌভিয়েত ইউনিয়নের নেতারা ও চীনের স্বাস্থ্য কার্যক্রমকে একটি অনুসরনীয় হিসাবে অবিহিত করে । তারা মনে করেন এই ধরনের সাধারন মানুষের জন্য স্বাস্থ্য কার্যক্রম স্বল্প মূল্যে চালানো সম্ভব; চীনের উদাহরনকে সকলেরই অনুসরনের আহবান জানান।

কিন্তু অন্ত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, সেই খালি পায়ের চিকিৎসকের কার্যক্রমকে ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে স্থগিত করে দেয় চীন। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার এই কার্যক্রমে সকল প্রকার অনুদান দান করা বন্দ করে দেয়। তারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে মুক্তবাজার অর্থনীতির আওতায় নিয়ে আসে। সাধারন মানুষকে সেবার জন্য মূল্য দিতে বাধ্য করে দেয়। যেসকল দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মান অতি নিম্ন স্তরে- সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য ১৯০ টি দেশের মধ্যে চীনকে চতুর্থ হিসাবে গন্য করেন। আজ ৪০ বছর অতিক্রম করেছে কিন্তু আজো চীনের সেই স্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রভাব কার্যকরী রয়েছে। এখন অনেকেই মনে করেন পিছিয়ে পড়া জনগেনের জন্য এই ধরনের কার্যক্রম অতি উত্তম ।

কেহ কেহ দাবী করেন যে, এই ধরনের কার্যক্রম তেমন ফলদায়ক নয়। ১৯৭২ সালে আমেরিকান ডাক্তার ভিক্টর সিদাল চীন পরিদর্শন করেন এবং মন্তব্য করেন এই বলে যে, এই কার্যক্রমের তথ্যগত তেমন ভিত্তি নেই। এছাড়া এই কর্মসূচির সেবার গুনগত মান নির্নয় করা তেমন সহজ নয়। তবে তিনি এই চলমান কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং বলেন এই চিকিৎসক রা রোগীদের জন্য বন্দ্বু হিসাবে ব্যাপক সাহায্যের ভূমিকা পালন করতে পারেন।

তিনি একমত হন যে চীণের এও কার্যক্রম চীনের বাহিরের দেশ গুলোতে ও সংক্রামক রোগের নিয়ন্ত্রনের ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন- পোলিও , জল বসন্ত, সিস্টোমেসিস ইত্যাদি। জন ফারলী এই বিষয়ে একটি পুস্তক রচনা করেন যার নাম হলো “বিলহাজরা”; ইহা হলো উষ্ণ মন্ডলীয় এলাকায় রোগ নিয়ন্ত্রনের ইতিহাস।

১৯৮৪ সালে, স্টেন্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. পাঊয়েল তার প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য চীন পরিদর্শন করে বর্ননা করেন । তিনি বলেন চীনের ৯০ % এলাকায় সিসস্টোমোসিস বহুলাংশে নির্মূল হয়ে যায়। সামগ্রীক ভাবে মাত্র ৩০ বছরের মধ্যেই ১০ মিলিয়ন মানুষের জীবন যাত্রার পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয়। এবং তার সংখ্যা ও দ্রুত বাড়ছিলো। উন্নত হচ্ছি ছিলো । খালি পায়ের ডাক্তার ও তাদের উত্তর সূরীরা চীনের সমাজে এক ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলো । কমিউনিস্ট পার্টি দাবী করেছিলো “ জলাভূমি অধ্যুষিত এলাকাতে শামুক দ্বারা সংক্রমিত রোগের উপশম করে- ‘একটি সূখি পরিবেশ সৃস্ট

করেছিলো’”। এ কে এম শিহাব

Leave a Reply