একজন পূর্ণ সক্ষম ব্যাক্তি ও নিজেকে প্রতিবন্দ্বী মনে করে…

Wheelchair question mark

( প্রথম বিশ্বের মানুষেরা এখন সম্পূর্ন বাস্তবতা বিবর্জিত। তারা এখন তাঁদের জীবনকে স্বাপ্নিক জগতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেদেরকে সাম্যবাদী, মাওবাদি, গনযুদ্বের জেনারেল, যাদুকর, ভূত-প্রেত বা রক্ত চুষা বাদুর ইত্যাদী ভাবতে ভালোবাসে। কিছু সক্ষম ব্যাক্তি নিজেকে প্রতিবন্দ্বী মনে করছেন। তৃতীয় বিশ্বের যারা বিপ্লবে বিশ্বাস করন তাঁদের উচিৎ উদেরকে সন্দ্বেহের চোখে দেখা। তারা আদতেই কোন বিপ্লবী নয়। তারা অনেক ক্ষেত্রেই কুৎসিত খেলায় মত্ত।)

মিট চেরিস, তিনি কোন প্রতিবন্দ্বী মানুষ নন, কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই তিনি একটি হুইল চেয়ারে বসে নিজেকে একজন প্রতিবন্দ্বী হিসাবে জাহির করলেন। গত কালের একটি প্রমান্য প্রদর্শনীতে তিনি যা বললেন,-

“ আমি একটি হুইল চেয়ারে করে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আমি জানি তা আমার করা ঠিক হয়ন, আমারা মনে হচ্ছে আমি একজন প্রতিবন্দ্বি হতে চলেছি। আমার মনে হচ্ছে এখন মানুষ যা হতে চাইছে – আমি ও তাই হতে চললাম। আমার মনে হচ্ছে মানুষের জীবনে এই রকম একটি অনাকাংখিত অবস্থাই নেমে আসছে”।

চেরিস বলেছেন, বেশ কিছু কাল ধরে তার কাছে এমনটাই মনে হচ্ছে- “ আমি এখন সর্বত্র এই মনোভাব ই সকলের মাঝে দেখতে পাচ্ছি”।

তিনি আরো বললেন যে, আমি শহর ভ্রমন, বাজার করা, হোটেলে খাবার খাওয়া সহ সকল কাজই হুইল চেয়ারে বসেই করতে পারি। তিনি যেখানে খুশি সেখানে এবং যার কাছে ইচ্ছা তার কাছেই যেতে পারেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই হুইল চেয়ার বাসীদের সম্পর্কে বলে যে, তারা নিজেদের মন ও মননে ও পঙ্গুত্বে ভূগতে থাকেন। ক্ষুদ্রতা এদেরকে গ্রাস করে। তাঁদের জীবন স্বপ্ন বিলাশ আর অস্বাভাবিক ঘটনায় পরিপূর্ন হয়ে থাকে। এই স্বপ্ন বিলাসের মাত্রা এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে এরা নিজেদের শরীরে ক্যানসারের ব্যাক্টেরিয়া নিজেদেরকে রোগী বানিয়ে দেখাতে পছন্দ করেন। গবেষণায় এরূপ তথ্য বেড়িয়ে এসেছে। অনেক নার্স ও ডাক্তার এরূপ তথ্য দিয়ে বলেছেন যে জীবন বিধংসী জিবানু নিয়ে অনেকেই এখন ঘুরছেন।

…. একজন কল্পনাবিলাসী মানুষকে সাধারনত ক্লিনিকের কর্তারা মানসিক রোগী হিসাবেই বিবেচনা করছেন। যৌনতা এবং প্রতিবন্দ্বীতা সম্পর্কিত একটি প্রবন্দ্বে বলা হয়েছে, ডা. রিচার্ড ব্রনো গবেষনা কালে দেখেছেন যে, এই কল্পনা বিলাশীরা মূলত মনের গভীরে রক্তক্ষরনে ভোগছেন। ভালোবাসার কাঙ্গাল হওয়া সত্বে ও উরা তা পায়নি। তিনি সেই কল্পনা বিলাসীদের সম্পর্কে বলেছেন, “ তারা সেই ছোট্র বয়স থেকে পিতা মাতার আদর যত্ন ও স্নেহ ভালোবাসা পায়নি। তারা পায়নি কোন সহানুভূতি। তাদেরকে সঠিক স্থানে নিতে হলে বা সুস্থ অবস্থায় ফেরত নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই তাদেরকে স্নেহ ও ভালোবাসা দিতে হবে। তিনি প্রশ্ন করেছে রাষ্ট্র সব কিছুই দিতে পারে কিন্তু স্নেহ ভালোবাসা দিবে কিভাবে? #শিহাব

Leave a Reply