ধনতন্ত্রের প্রভাবে আমেরিকায় অপরাধের হার বাড়ছে !

(llbangla.org)

neighborhood-watch-kids_1

সম্প্রতি গ্যালাপ তার এক জরিপ দেখিয়েছেন যে, অ্যামেরিকার প্রায় তিন ভাবের দুই ভাগ মানুষ মনে করেন, “আমেরিকায় গত বছরের তোলনায় এবার অপরাধ অনেক বেড়েছে”। গ্যালাপ জনগণকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারাকি মনে করেন গত বছরের তোলনায় এবার অপরাধ বেড়েছে না কি কমেছে?” অ্যামেরিকার সাধারণ মানুষ মনে করেন অ্যামেরিকার প্রতিনিয়ত অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে। যখন বিভিন্ন এলাকার মানুষকে তাঁদের স্ব স্ব এলাকার অপরাধের মাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তারা ও একই কথা ই বলেছেন। ৬৬% মানুষ বলেছেন ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে অপরাধ বেড়েছে। ২০০৯ সালে ৭৪% উত্তর দাতা বলেছিলেন অপরাধের মাত্রা বাড়ছে। অ্যামেরিকার জনগণ মনে করেন এখন এখানে এমন বহু অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। যা এফ বি আই এবং বিচার বিভাগীয় পরিসঙ্খানের অজ্ঞাতেই থেকে যাচ্ছে। তারা অনেক ক্ষেত্রে অপরাধের সংখ্যা কমিয়ে প্রদর্শন করছে। ইদানিংকার অপরাধ সমূহের মধ্যে সম্পত্তি ও সহিংসতার অপরাধই কমে গেছে বলে তারা তৃপ্ত হচ্ছেন। তারা সামগ্রীক ভাবে দেখাতে চেষ্টা করছেন সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ দীর্ঘ মেয়াদে আমেরিকায় ধীরে ধীরে কমে আসছে। গ্যালাপ উপসংহারে বলেছেন, “ অপরাধের পরিসংখ্যানে এই বৈপরিত্য দেখা গেলেও মার্কিন সমাজে অপরাধের পরিমান কিন্তু কমে নাই বরং এর মাত্রা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে”।

কার্ল মার্ক্স তাঁর গবেষনায় বলেছিলেন যে, সমাজে আমাদের অবস্থান ই নির্ধারন করে দেয় যে আমরা জগতকে কিভাবে দেখব এবং এর মাঝ আমারা আমাদেরকে কি অবস্থায় বিবেচনা করব। এই জগতে প্রতিটি মানুষ ই তাঁর সম্পত্তির পরিমান ও মালিকানার উপর ভিত্তিকরে তাঁর দৃষ্টি ভঙ্গী ও অবস্থান ঠিক করে নেয়। তারা নিজেদেরকে দুনিয়ার সুবিধা প্রাপ্ত মানুষের দৃস্টিতে সব কিছু বিশ্লেষণ করে থাকেন। তাই তারা প্রায়সই বিশ্বকে একটি হুমকি মূলক জায়গা বলে মনে করে থাকেন, তারা তাঁদের সুবিধার হারানোর ভয়ে থাকে। আর সেই কারনেই সম্ভবত অ্যামেরিকার মানুষেরা মনে করেন প্রতিনিয়ত অপরাধ বাড়ছে যদি ও তাঁর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। কারণ অ্যামেরিকার জনগণ, এমন কি সেখানকার শ্রমিকরা ও নিজেদেরকে ধনিক সমাজের সুবিধা প্রাপ্ত লোক হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। আর সে কারনেই মার্কিনীরা এমনকি কর্মজীবীরা ও ক্রমাগত পুলিশের প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আর সে কারনেই অ্যামেরিকায় আইন ‘শৃঙ্খলা রক্ষার’ জন্য একটি জন প্রিয় ও সার্বজনীন শক্তি কাজ করে যাচ্ছে। যারা সুবিধা প্রাপ্ত এবং ধনিক শ্রেনীর লোক তারা বাস্তবে না হলেও নিজেদেরকে হুমকির মূখে মনে করেনইহামার্কিন মুল্লুকের সমাজে ধনতন্ত্রের প্রতিফলনভয় বিহবলতা তাঁদের সমাজকে ক্রমে গ্রাস করছেভয় ভীতি এখন তাঁদের নিত্য সঙ্গীফ্রেডারিক এঙ্গেলস লিখেছিলেন, সমগ্র ইংল্যান্ডসেখানকার সকল শ্রেনীর মানুষ এখন ধনতন্ত্রের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, আর সেই কারনেই তারা ভারতকে ব্যাপক হারে শোষণ করছেলেনিনদেখেছিলেন কিভাবে প্রথম বিশ্বের মানুষের দেশ প্রেমকে ধনতন্ত্র গ্রাস করেছিলো

এটা ও একটি বড় কারণ যে, প্রথম বিশ্বের শ্রমিক দৃষ্টি ভংগী ও ধনিক শ্রেনীর মতই রূপান্তরিত হয়ে গেছে, কারণ তারা ও এখন ধনিক শ্রেনীর মতই শোষকদের অংশীদার। এখন প্রথম বিশ্বের শ্রমিক শ্রেনীর লোকেরা তাঁদের ন্যায্য পাওনার চেয়ে অধিক হারে সামাজিক পন্য পাচ্ছেন। তারা এখন সাম্রাজ্যবাদের উপকার ভোগীতে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতি এখন এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছে যে, তারা নিজেদেরকে ধনিক শ্রেনীর থেকে নিজেদেরকে আলাদা করে ভাবতে পারেন না। তাই তারা ও ধনিক শ্রেনীর মতই একই রকম দৃষ্টি ভঙ্গী পোষন করে থাকে। তারা ও একই মনস্তত্ত্বের অধিকারী। তৃতীয় বিশ্বের দৃষ্টিতে দেখলে বলতে হয় যে, প্রথম বিশ্বের শ্রমিকগন ও এখন সাম্রাজ্যবাদী বুর্জোয়া বা ধনিক শ্রেনীর ভূমিকায় অবতির্ন হয়েছে।

এই বিশ্লেষন এখন এমন একটি বিজ্ঞান যা আগাম বলা যায় এবং তা ব্যাখ্যা ও করা যাচ্ছে। প্রথম বিশ্ববাদ মাওবাদের একটি অনু সিদ্বান্ত। বিশ্বের অনেকেই বিষয়টিকে বিশেষ ভাবে গন্য করেন না । আমরা বলব, যারা দ্বন্দ্ববাদের অনুসারী তারা যেন বিষয়টি ভেবে দেখেন সাংস্কৃতিক মহান বিপ্লবের পর বিপ্লবী বিজ্ঞানকে এক ইঞ্চি ও কেন আগানো গেলনা ? তবে, লিডিং লাইট কমিউনিস্ট অন্দোলন

বিষয় টি বুঝার চেষ্টা করছে এবং তা আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে একটি বিপ্লবের নতুন স্তর উন্মোচন করার জন্য। বিজয় আমাদের হবেই । #শিহাব

Leave a Reply