প্রথম বিশ্ব হলো এখন একটি মৃতনক্ষত্র

death-star-1

(llbangla.org)

লিডিং লাইট নিপিড়িত মানুষের পক্ষে লড়াই করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রথম বিশ্বের একটি বিরাট সাম্রাজ্যবাদী দেশ হলো আমেরিকা । প্রথম বিশ্ব সমগ্র মানব জাতির জন্য একটি দুষ্ট চক্র, তা আমরা আমেরিকার দিকে থাকালেই সহজে বুঝতে পারি। আমেরিকা এমন একটি দেশ যা স্থাপিত হয়েছে গন হত্যা, ভূমি দখল ও মানুষকে দাসে পরিণত করা মাধ্যমে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের রক্তের উপর গড়ে তুলা হয় একটি আস্ত মহাদেশ । ইহা ইতিহাসের সবচেয়ে জগন্য ও বৃহৎ ভূমি দখল এবং গনহত্যার নজির। অধিকন্ত, ইহাকে আফ্রিকান দাস ভিত্তিক আন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতির দেশ হলো আমেরিকা। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষকে খুন করা হয়। আমেরিকান দাস প্রথার কারনে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ সীমাহীন নিপিড়নের শিকার হয়। আমেরিকার সেই ভূমি দখলের নেশা আজো কাটেনি। তারা আদিবাসি ভূমি, আরব, আফগান,ইরাক ও লিবিয়ার ভূমি দখলে নিতে এখন মত্ত হয়ে আছে। আমেরিকা তাদের জীবন মান ও বিলাস বহুল জীবন যাত্রা বজায় রাখার জন্য তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহকে এখন ও সমান তালে শোষণ করেই যাচ্ছে। তাদের ভোগ বিলাসের কারনে আজ পৃথিবী প্রাকৃতিক বিপর্য্যের সম্মোখিন হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদিদের সীমাহীন ভোগের কারনে আজ দুনিয়ার পরিবেশ দুষন মরাত্মক অবস্থায় চলে যাচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদ যখন দুনিয়ার পরিবেশ সন্ত্রাস চালায় তখন প্রকৃতি ও তাঁর শোধ নিতে চায়। ম্যালকম এক্স এই সম্পর্কে বলেছেন, “ মুরগীর বাচ্চা আনা হয় বাজি করার জন্য”। তিনি বললেন, “ মুরগীর বাচ্চাকে কিনে আনাই হয় বাজি করে খাওয়ার জন্য, আমরা এর জন্য কোন প্রকার দুঃখ অনুভব করি না ; ইহা তো আমাদের জন্য খুশির বিষয়”।

আমরা যদি এই ভাবে চিন্তা করিঃ আমেরিকা এবং প্রথম বিশ্ব উভয়ই একটি মৃত নক্ষত্রের মত। যেমন দেখা যায় তারকা যুদ্ব ছবিতে সেই রকম দৃশ্য। এই ছবিতে, মৃত নক্ষত্রটি হলো মহাবিশ্বের ফ্যাসিবাদিদের একটি অস্ত্র কারখানা হিসাবে দেখা যায়। ইহা হলো এটি যুদ্ব ক্ষেত্র ও “ছোট চাঁদ” যেখানে পৃথিবীর সভ্যতার বিকাশ হয়েছে। এখানে এমন কিছু ব্যাক্তিকে এনে হত্যা করা হয় যারা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্বে কাজ করেন। এই ছবিতে দেখা যায় যে, আলদিরান প্লানেট কে ধ্বংস করা ও বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ খুন করার দৃশ্য। প্রথম বিশ্ব হলো পৃথিবীর সাম্রাজ্যবাদ, ইহা তৃতীয় বিশ্বের একটি মৃত নক্ষত্রের মতই এখন কাজ করছে। ইহা মানব সমাজে সন্ত্রাস, অর্থনৈতিক শোষণ, সেনা অভিযান ও পরিবেশের সর্বনাশ করছে। যেমন করে আলদিরানকে মৃত নক্ষত্র ধ্বংস করে ফেলে, আমরা যদি প্রতিরোধ না করি তবে, ঠিক সেই ভাবে তৃতীয় বিশ্বকে প্রথম বিশ্ব ধ্বংস করে ফেলবে। লিডিং লাইট মৃত নক্ষত্রটি কোন কারনে ধ্বংস হয়ে গেলেও এক ফোটা চোখের পানি ফেলবে না । মানুষ বাচাতে হলে, পৃথিবী বাচাতে হলে এমন কি জীবন বাচাতে হলে ঐ দুষ্ট নক্ষত্রটিকে ধ্বংস করতেই হবে। ছবিতে যেমন করে বিদ্রোহ হয়, লড়াই হয় বা মারা যায়, আমাদেরকে ও সেই রূপ করতে হবে । আত্মসমর্পন বা বিপ্লব ? জীবন বা মৃত্যু ? আমাদের রাস্তা পরিস্কার। লড়াই, লড়াই এবং লড়াই। কোন প্রকার আত্মসমর্পন নয়। সামগ্রীক ভাবেই আলোকিত সাম্যবাদি হয়ে উঠতে হবে।

Leave a Reply