ম্যাগপাই’র পুরাতন ওহিওকে শুভ বিদায়, একটি পর্যালোচনা

[youtube https://www.youtube.com/watch?v=zCV2_63M08g&w=420&h=315]

(llbangla.org)

ম্যাগপাই একটি আঞ্চলিক সঙ্গীত । ইহা ২০০০ সালে প্রকাশিত হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে মিঃ জন ব্রাঊন হারপার্স ফেরীকে ব্যবহার করে কেমন করে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিয়েছিলেন। প্রকাশিত সিডিটিতে অনেক গুলো গান ছিলো যেখানে সেই শোষণের বিষয়াবলীই প্রকাশিত হয়েছে । ১৮৫৯ সালের অক্টোবর মাসে জন ব্রাউন ও তার সাথীরা একটি মহান পরিকল্পনা করেছিলেন । সেই পরিকল্পনায় ছিলো হার্পার ফেরীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় কৃতদাস মানুষের নিকট তাদের মুক্তির জন্য অস্ত্র বিতরন করা। তারা পরিকল্পনা করছিলেন কৃতদাসদের মধ্যে বিদ্রোহ ঘটানো যার ভেতর দিয়ে আমেরিকার সকল কৃতদাস মুক্তির মহা সড়কে উঠে আসবেন। জন ব্রাউন আমেরিকানদের সংস্কার কার্যে অংশ নিতে চায়নি। তিনি বরং সেই কৃতদাস বিদ্রোহের ভেতরদিয়ে একটি কালো স্বাধীন দাস রাজ্য কায়েম করতে চেয়ে ছিলেন। জন ব্রাউনের অনুসারীরা  হার্পার ফেরীর লড়াইয়ে শহীদ হওয়া মানুষের প্রতি শ্রদ্বা জানাতে একটি গান গেয়েছিলো, যার প্রথম কলি “ হে পুরাতন ওহিউ তোমাকে বিদায়”, বার্ক্লে কোপারক এবং এডইন কোপারক, জন হেরী কেঘি, লুইস সার্দান লেরী এবং জন এস, কোপিল্যান্ড, জুনিয়র – তারা সকলেই এই গান গেয়েছেন, সেই গানের শিক্ষা আজো অমলিন। সেই গানটি হলোঃ

“ আমি বেড়ে উঠেছি উত্তরে,

যা মমতাময়ী এক সমাজ,

আমরা মি, গ্যারিসনের সাথে একাত্ম হয়েছি,

এবং চেয়েছি দাসত্বের অবসান হোক।

কিন্তু আমাদের সকল আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন

সেই দিন বিজয়ী হতে পারেনি।

সকল শয়তানী খেলা বন্দ্ব করতে

আমরা প্রায় কাছা কাছি চলে এসেছি।

তাই আমরা বলি নেতা ব্রাউন,

আমরা তোমার অনুসারী

এবং আমরা সকলে এগিয়ে যাই মহামুক্তির পানে”।

এই সঙ্গীতটি যথাযথ ভাবেই দক্ষিন অঞ্চলের দাসদেরকে এই সংকেত পাঠিয়ে ছিলো যে বিজয় অতি সন্নিকটে। দক্ষিনের সাদারা নানা জাতীয় প্রতিস্টানের সহায়তায় সুবিধা আদায় করছিলো।  তবে সাদাদের মধ্যে যারা শ্রেনীগত ভাবে নিচু স্তরের ছিলো এরা স্থানীয়দেরকে অনুগত রাখতে নানা সময়ে নির্দয় ভাবে সহিংস আচরন করেছে। যদি ও তাদের নিজস্ব কোন দাস ছিলোনা বরং নিজেরা ও অনেকেই দাস ছিলো, তবে এটা তারা বুঝত যে সাদা শ্রেনীর দ্বারা আদায় করা ফায়দার ভাগ এরা ও কিছু কিছু পাচ্ছে। আর সেই কারনেই ধনী সাদা শ্রেনীর লোকেরা দরিদ্র সাদা মানুষের উপর বেশী ভরসা করত এবং তাদের মাধ্যমে কালো মানুষের উপর তাদের প্রভূত্ব বজায় রাখত। সেই ধারাবাহিকতা জিম ক্রো পর্যন্ত বহাল ছিলো। নিচু শ্রেনীর সাদা লোকেরা তাদের বর্নবাদি স্বার্থ রক্ষায় সকল সময়ই সতর্ক দৃষ্টি রাখত, তাদের প্রতি কোন প্রকার ঝুকির সৃস্টি হলে জান বাজিরেখে কাজ করে যেত। যখন আইন গত ভাবে সামাজিক  অসাম্য নিয়ে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬০ সালে কথা উঠলো তখন ও নিচু শ্রেনীর সাদা লোকেরাই সেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার জন্য নানা প্রকার সহিংস কাজ করেছে। আজ ও তাদের মধ্যে সেই সামাজিক ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত আছে kkk , মিনুটিম্যান এবং সাদাদের নানা ফ্যাসিবাদি সংগঠনের মাধ্যমে।

একেই ভাবে, প্রথম বিশ্ববাদি লোকেরা তাদের অবস্থানগত কারনেই সাম্রাজ্যবাদের সুবাধে নানা প্রকারে ফায়দা হাসিল করে যাচ্ছে। এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রথম বিশ্বের নিচু শ্রেনীর লোকেরাই সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে সবচেয়ে বেশী সক্রিয় ভূমিকা রাখছে, তারাই প্রবাসীদের বিরুধে বেশী কথা বলে, এবং এরাই সমাজের মধ্যে বেশী রক্ষনশীল ভূমিকায় অবতির্ন হয়ে আছে। প্রথম বিশ্বের মানুষ, তাদের কর্মচারীরা সর্বদা একাত্ম, কেননা এরা সাম্রাজত্যবাদী ব্যবস্থা চালু থাকায় প্রতিনিয়ত সুবিধা পাচ্ছে। এমন কি যারা এমেরিকায় দরিদ্র নামে অবিহিত তারা ও বিশ্বের ১৩% বিশ্ব ধনিক শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত। যদি বিশ্ব সমাজতন্ত্র হয় তবে যে বন্ঠন ব্যবস্থা চালু হবে, সেখানে প্রথম বিশ্বের মানুষের বর্তমান অবস্থান ঠিক থাকবে না, তা কিছুটা নিচে নেমে আসবে। তারা এখন বিশ্ব উৎপাদন ব্যবস্থায় যে পরিমান আদায় করে নেন তা কোন ভাবেই পাবেন না। উক্ত সঙ্গীতটি অতীতের অন্যায় অবিচারের প্রতি দৃষ্টি আকষর্ন করা হয়েছে, এতে প্রথম বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্বে ও তাদের শোষণ প্রক্রিয়ার বিরুধে প্রতিরোধের বক্তব্য নেই। কোন নৈতিক শিক্ষাই পুঁজিবাদের মুনাফা আদায়ের দোকান বন্দ্ব করতে পারে না । আপনি যতই বলুন, প্রথম বিশ্ব তাতে কর্নপাত করবেনা, এখানে বাস্তুবাদের কোন মূল্য নেই। তাদের নিকট এই গুলো ইউটোপিয়া মাত্র। তবে,  এর মানে কিন্তু এই নয় যে একটি ক্ষুদ্র অংশ হলে ও শোষক বা নিপিড়ক শ্রেনী তাদের নিজস্ব শ্রেনী স্বার্থের বিরুদ্বে বিদ্রোহ করবে না গানে জাতীয় স্বার্থে এই কথাই বলা হয়েছে। সঙ্গীতের লিখক তার গানের ভেতর দিয়ে নিপিড়কদের  বিরুদ্বে এবং নিপীড়িতদের সাথে একাত্ম হতে বলেছেন, তারা যতই ক্ষুদ্র হোক, তারাই হলেন প্রথম বিশ্বের বিপ্লবী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরুধী শক্তি। তারা যদি ও প্রথম বিশ্বে বসবাসের কারনে নানা প্রকার ফায়দা পাচ্ছেন কিন্তু এর পর ও বিশ্ব মানবতার স্বার্থে প্রথম বিশ্বের বিরুদ্বই দাঁড়াবেন। তারা দুনিয়াকে দেখেন শোষক ও শোষিত শ্রেনীর দুনিয়া হিসাবে। প্রথম বিশ্ব শোষক আর তৃতীয় বিশ্ব শোষিত। তারা বিশ্ব গন লড়াইয়ের জন্য আলোকিত সাম্যবাদিদের সাথে একত্রে কাজ করবেন।

Leave a Reply